পটুয়াখালীতে ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রীর চিকিৎসার খোঁজ নিলেন নাহিদ ইসলাম
- পটুয়াখালী প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:০৮ পিএম, ২০ মার্চ ২০২৫

পটুয়াখালীতে ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী ও তার পরিবারের খোঁজখবর নিতে এসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামপটুয়াখালীতে ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী ও তার পরিবারের খোঁজখবর নিতে এসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম
পটুয়াখালীতে ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী ও তার পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে এসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে পটুয়াখালীতে পৌঁছান তিনি। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী (১৭) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকায় নিহত হওয়া এক ব্যক্তির মেয়ে।
ওই ছাত্রী পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা জানতে নাহিদ ইসলাম দুপুরে হাসপাতালে যান। তিনি পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক দিলরুবা ইয়াসমিনের কক্ষে গিয়ে ছাত্রীর সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পাটির মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মুজাহিদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব জাহিদ আহসান প্রমুখ।
পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ধর্ষণকারীদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে। প্রশাসন যদি আসামিদের বিচারের কাঠগড়ায় আনতে ব্যর্থ হয়, তাহলে জাতীয় নাগরিক পার্টি রাজপথে অবস্থান নেবে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারকাজ দেখতে চাই এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার চাই।’
ভুক্তভোগী (১৭) দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়েন। তার পরিবার বলছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুমকি উপজেলার একটি ইউনিয়নে ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় সাকিব মুন্সি (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গতকাল সন্ধ্যায় পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ছাত্রীটির মা সাংবাদিকদের জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে তার স্বামী গুলিবিদ্ধ হন। ১০ দিন পর ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শহীদ স্বামীকে দুমকি উপজেলার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার কলেজপড়ুয়া মেয়ে বাবার কবর জিয়ারত করে কাছেই নানার বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় মুন্সি বাড়ির কাছে পৌঁছালে স্থানীয় মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সিসহ দুজন তার মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের দৃশ্য তাদের মোবাইলে ধারণ করে এবং ধর্ষণের কথা কাউকে না বলতে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার মেয়েকে ফেলে যায়। এ ঘটনায় বুধবার দুজনের নাম উল্লেখ করে দুমকি থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ছাত্রীকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’