বিচার না হওয়ার আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই: রেজাউল করিম
- লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০১:৫৩ পিএম, ২২ মার্চ ২০২৫

জামায়াত ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরে সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন সেই আন্দোলনের সুফল আমরা বিথা যেতে দিতে পারিনা। আন্দোলনের সময় যারা গুলি চালিয়েছে, ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে জনগণের টাকায়, রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে যারা মানুষ হত্যা করেছে, বিচার না হওয়ার আগে বাংলাদেশের মাটিতে তাদের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াত আয়োজিত সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২৪ এর আন্দোলনের পর আমরা যখন গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরতে শুরু করেছি তখন আমরা আবার নতুন করে অনেক গুলো সমস্যার মধ্যে পড়তে শুরু করেছি। আমি মনে করি আমরা যদি সঠিক পথে চলতে চাই তাহলে আমাদের দুটি রাডার সঠিক পথে চলতে হবে। আর তা হলো এক আমাদের রাজনীতিবিদদেরকে আরেক হচ্ছে জাতীর বিবেক যারা সত্য সংবাদ জাতীর কাছে তুলে ধরে সেই আমাদের সাংবাদিকদের। অতীতে স্বৈরশাসকের সময় এই দুইটি রাডারই আক্রান্ত। রাজনীতিবিদরা গুম, খুনের শিকার হয়েছে। তেমনি সাংবাদিকরাও গুম, খুনের শিকার হয়েছে। আইনাঘরে গিয়েছে এবং ২৪ এর আন্দোলনে হত্যার শিকার হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ক্ষমতার লোভে বিগত দিনে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করা হয়েছিল। সুতরাং সেই অধিকার যেন কোনোভাবে আর ক্ষুণ্ন না হয়। সেজন্য আমরা চারটি প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। বিগত দিনে যারা শহিদ হয়েছেন, অন্যায়-অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। সবার আগে সেই জুলুমের বিচার হতে হবে। যে সিস্টেমের কারণে গণতান্ত্রিকতার নামে স্বৈরতান্ত্রিকতা ডালপালা গজিয়ে দেশের মানবাধিকার-ভোটের অধিকার লুণ্ঠিত হয়েছে, সেজন্য একটি সংস্কার প্রয়োজন। সংস্কার ছাড়া যারাই ক্ষমতায় আসবে তারাই পুলিশ-র্যাব দিয়ে তাদের মর্জি মতো নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে। তৃণমূল পর্যন্ত ফ্যাসিবাদ আর দুর্নীতি পৌঁছে যাওয়ার কারণে স্থানীয় সরকার কাঠামো ভেঙে পড়েছে। এজন্য আমরা জামায়াতে ইসলামী মনে করি, স্থানীয় নির্বাচন হতে পারে, হওয়া প্রয়োজন।
জেলা জামায়াতের (ভারপ্রাপ্ত) আমির এডভোকেট নজির আহমেদের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন- জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এ আর হাফিজ উল্যাহ, সেক্রেটারি মাওলানা ফারুক হোসাইন নুরনবী, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা শাখার সভাপতি মমিন উল্যাহ পাটওয়ারীসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।