যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, অভিযোগ বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে


March 2025/Chopped wound.jpg

বরিশালে যুবদল নেতা মেহেদী সিকদার ও ছাত্রদল নেতা শামীম হোসেনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহতের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়কের অনুসারীদের বিরুদ্ধে। তুচ্ছ ঘটনার মীমাংসাকে কেন্দ্র করে শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলার বুখাইনগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। 

চরমোনাই ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম মাসুমের ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি ভুক্তভোগীসহ স্বজনদের।

তবে অভিযোগ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতা আমিনুল ইসলাম মাসুম। এদিকে যুবদল নেতা মেহেদীকে কোপানোর ঘটনায় জড়িতদের স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়েছে বলে জানা গেছে।

আহত মেহেদী সিকদার বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব ও বুখাইনগর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক। আরেক আহত শামীম হোসেন একই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ২৫ টাকা পাওনা নিয়ে দ্বন্দ্বের মীমাংসায় গিয়েছিলেন আহত ও অভিযুক্তরা। শনিবার দুপুরে সালিশের সময় মতের অমিলের কারণে ছাত্রদল নেতা শামীম হোসেনকে থাপ্পর দেয় বাদল খান। বাদল আগে আওয়ামী লীগ করলেও এখন বিএনপি নেতা মাসুমের সমর্থক। ঘটনার সময় বাদলকেও ধাক্কা দেন আহত শামীম। এরপর বাদলসহ কয়েকজন শামীমকে ধরে পাশের গলিতে নিয়ে রড দিয়ে পেটাতে থাকেন। তখন শামীমকে উদ্ধার করতে গেলে যুবদল নেতা মেহেদীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন বাদল ও জিহাদ।

বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য আকবর মুবিন বলেন, বহিরাগত তামিম নামে এক ব্যক্তির কাছে বুখাইনগর বাজারের দোকানদার রনি ২৫ টাকা পেত। সেই টাকা চাওয়ায় দোকানদার রনিকে কয়েক দিন আগে মারধর করে তামিম। সেই ঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দেন রনি। সেই ঘটনার তদন্তে গিয়ে পুলিশ বাজার কমিটির নেতাদের বিষয়টি মীমাংসা করতে বলে। এরপর শনিবার সালিশে বসে বাজার কমিটির নেতা ও স্থানীয়রা। মীমাংসার একপর্যায়ে ছাত্রদল নেতা শামীমকে থাপ্পর দেন বিএনপি নেতা মাসুমের অনুসারী বাদল খান। এর কিছু সময় পর বাদল খান, তুহিন ও তামিমসহ বেশ কয়েকজন শামীমকে পাশের একটি গলিতে নিয়ে রড দিয়ে মারধর শুরু করেন। তখন শামীমকে উদ্ধার করতে মেহেদী ঘটনাস্থলে যান। এ সময় বাদল ও জিহাদ মেহেদীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। বর্তমানে তিনি বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহত মেহেদী সিকদার জানান, মাসুম বিএনপির নেতা হয়েও আওয়ামী লীগের লোকজনকে শেল্টার দেন। তার নেতৃত্বে দুই ছেলেসহ বাদল ও তুহিন তাকে মারধরের পর বাসা থেকে দা এনে কুপিয়ে আহত করেন।

চরমোনাই ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম মাসুম বলেন, ‘আমি বাজারে গিয়েছি সালিশ মীমাংসা করতে। মারধরের কোনো ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।’

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় মেহেদী শিকদারের পরিবারের সবাই থানায় এসেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। বাকিটা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×