আমিনপুরে ওসির বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতাকে মিথ্যা মামলায় জেলের অভিযোগ
- পাবনা প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৪:৪৪ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২৫

পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে আশিকুর রহমান আশিক নামে ছাত্রদল নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে ও গ্রেপ্তারকৃত আশিকের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচী করেছেন দলীয় নেতাকর্মী ও তার স্বজনরা।
রোববার (২৩ মার্চ) দুপুরে পাবনা শহরের জজ কোট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাগরকান্দি ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জজ কোটের সামনের সড়কে মানববন্ধনে মিলিত হয়।
সেখানে বক্তারা অভিযোগ করেন, সাগরকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুর রহমান আশিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। অথচ আমিনপুর থানার ওসি তাকে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন। যৌথবাহিনী যখন আশিককে গ্রেপ্তার করে তখন ৫৪ ধারায় একটি মামলা দেওয়ার কথা ছিল। অথচ ওসি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ছাত্রলীগ বানানো হয়েছে।
তাদের দাবি, মুলত ওসির বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন আশিক। তিনি ওসিকে ফ্যাসিবাদি আওয়ামীলীগের দোসর হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। এটা বলার কারণে আশিককে মিথ্যা মামলায় হয়রানী করছেন ওসি আলমগীর। তিনি প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে বিএনপির লোকজনকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা মামলার আসামি বানিয়ে হয়রানী করছেন বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী স্বজনরা।
তারা দ্রুত মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার আশিকের মুক্তির দাবি জানান। না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপির নেতা কামাল হোসেন, জামাত আলী সরদার, ইউসুফ আলী খান, ছাত্রদল নেতা স্বপন।
এদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যৌথবাহিনীর অভিযানে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলা দিয়ে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আশিকের বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ চারটি মামলা রয়েছে।’
ওসি আরো বলেন, ‘যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, তখন আশিক তার পক্ষে কাজ করে। এর আগে আশিক উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীনের পক্ষে কাজ করতো। এখন স্থানীয় বিএনপির সাবেক এমপি সেলিম রেজা হাবিবের পক্ষে কাজ করে। আরেকটি গ্রুপ আছে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের গ্রুপ। মুলত স্থানীয় বিএনপির এই দুইটা গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’