গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য কর্মসূচি
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:৫৪ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২৫

যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে আগামী ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দুই দিনের বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৫ মার্চ বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যা, ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা। জনবহুল স্থানে গণহত্যা উপর বস্তুনিষ্ঠ ও নৈর্ব্যত্তিক দুর্লভ আলোকচিত্র/প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। বাদ জোহর জেলার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে নিহতদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত এবং প্রার্থনা করা হবে এবং রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত পুরো দেশে কেপিআই ও জরুরী স্থাপনা ব্যতীত এক মিনিটের জন্য প্রতীকি ব্ল্যাক আউট।
২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে চট্টগ্রামের কাট্টলীস্থ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনি ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। একই সময়ে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ৯টায় নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন, পুলিশ, কারারক্ষী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসির সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৪ টায় সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে।
সুবিধাজনক সময়ে চট্টগ্রামের সব হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, শিশু পরিবার, পথশিশু, পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রসমূহে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে। জাতির শান্তি সমৃদ্ধি, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি ও মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার শান্তি কামনায় মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে। সিনেমা হলসমূহে বিনা টিকেটে ছাত্র- ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র এবং জেলার সব উন্মুক্ত স্থানে বস্তুনিষ্ঠ নৈর্বাত্তিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হবে। জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। জেলা পর্যায়ে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ও উপজেলা পর্যায়ে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
ডিসি পার্ক, শিশু পার্ক, জাদুঘর ও চিড়িয়াখানাসহ সব পার্ক শিশুদের জন্য বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা ও বিনা টিকিটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থাকরণ এবং ডিস ক্যাবল অপারেটর/মালিকগণ কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করবে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস অনুষ্ঠানমালা সরাসরি সম্প্রচার করবে। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও রঙিন নিশান দ্বারা সজ্জিত করবে।