সেহরিতে মাইক বাজানো নিয়ে দ্বন্দ্ব, মাদরাসায় হামলা
- পঞ্চগড় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০১:০১ এম, ২৪ মার্চ ২০২৫

পঞ্চগড়ে মাদরাসার মাইকে সেহরিতে ডাকাকে কেন্দ্র করে হাফেজিয়া এতিমখানা মাদরাসায় দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের তেলিপাড়া এতিমখানা লিল্লাহ বোর্ডিং মাদরাসায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে মাদরাসার ২১ জন ছাত্র, চারজন শিক্ষকসহ ২৬ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় রোববার (২৩ মার্চ) মাদরাসাটির পরিচালক বাকি বিল্লাহ বাদী হয়ে ছয় জনের নামসহ অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে পঞ্চগড় সদর মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন—তেলিপাড়া গ্রামের মনতাজ আলী (৬০), তার তিন ছেলে আলম (৪০), মো. আনছারুল (৩৫) এবং কায়দি আযম (৩০)। কায়েদি আযমের স্ত্রী মোছা. ছাবিনা (২৫) মৃত সামছুল হকের ছেলে মো. ফয়জুল(৫০)। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসীর সঙ্গে পরামর্শ করেই রমজান মাসে প্রতিরাতে তেলিপাড়া মাদরাসা থেকে সেহেরি খাওয়ার জন্য মাইকে নিয়মিত ডাকা হয়। মাদরাসার সঙ্গে গোবিন্দপুর দরবার শরিফের খানকা শরিফও রয়েছে। শনিবার বিকেলে হঠাৎ করেই তেলিপাড়া এলাকার মনতাজ আলী তার ছেলে আলমসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন দলবেধে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাদরাসায় এসে মাইক বাজানো নিয়ে মাদরাসার শিক্ষকদের হুমকি দেন। প্রথমে মারুফ নামে এক ছাত্রের গায়ে হাত তুলেন তিনি। একপর্যায়ে তার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় মাদরাসায়। এ সময় হামলায় হাফেজ খানার কক্ষ করা হয়।
এ দিকে সেদিন রাতেই পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ হেল জামান ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তেলিপাড়া গ্রামের মানুষ হামলাকারীদের শাস্তির দাবি করলে ওসি দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন।
তেলিপাড়া গ্রামের সুলতান নামে এক বাসিন্দা জানান, আমার সামনেই হামলাকারীরা ছাত্রদের মারধর করেছেন। কিন্তু তারা দলবদ্ধ হয়ে হামলা করায় প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি। একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ হেল জামান বলেন, খবর পেয়ে শনিবার রাতেই মাদরাসাসহ খানকাটি নিজেই পরিদর্শনে করেছি। এলাকাবাসীর সঙ্গে ঘটনার বিস্তারিত জেনেছি। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।