কুমিল্লায় শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন অভিযোগ, বিচার চেয়ে বিক্ষোভ
- কুমিল্লা প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০১:১৮ এম, ২৪ মার্চ ২০২৫

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মাওলানা গোলাম সাদিকের বিচারের দাবিতে রোববার সকালে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত ১৮ মার্চ নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে কোচিং ক্লাসে দেরিতে আসায় একটি নির্জন কক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন সহ-সুপার গোলাম সাদিক। ১৯ মার্চ মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জামাল উদ্দিনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় ওই ছাত্রী। অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত সহ-সুপারকে ডেকে যৌন নিপীড়নের ঘটনাটি জানতে চান সুপার। সে সময় তিনি বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে সুপারকে উল্টো হুমকি দিয়ে অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। পরে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে অফিস কক্ষে এসে প্রভাব খাটিয়ে মাদ্রাসার সুপার জামাল উদ্দিনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সহ-সুপার গোলাম সাদিকের হাতে একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনা বেরিয়ে আসে। শুরু হয় প্রতিবাদ।
অভিযুক্ত সহ-সুপারের বিচার ও পদত্যাগী সুপার জামাল উদ্দিনের পুনর্বহালের দাবিতে রোববার সকালে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, ক্লাসে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে গোলাম সাদিক তাদের শরীরে হাত দিত। বাধা দিলে তিনি অন্য কারণ দেখিয়ে বেত্রাঘাত করতেন।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সহ-সুপার মাওলানা গোলাম সাদিকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়ে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জামাল উদ্দিন বলেন, ‘নবম শ্রেণির এক ছাত্রী সহ-সুপার গোলাম সাদিকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের ব্যবস্থা করলে তিনি একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে আমাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন। যদি আমি পদত্যাগ না করি, তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। বাধ্য হয়েই গত ২২ মার্চ পদত্যাগ করি।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামাল হোসেন জানান, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবুও খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।