সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়া নিয়ে সংঘর্ষ, অতঃপর...
- সিলেট প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৫:১৫ এম, ২৫ মার্চ ২০২৫

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ও ক্যাজুয়ালটি বিভাগে চিকিৎসাধীন রোগীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) রাত ৯টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সংঘটিত হামলায় নার্স ও পুলিশসহ ৪ জন আহত হয়েছেন৷
আহতরা হলেন- ওসমানীর নার্স জাহেদুল ইসলাম (২৮) ও দিলোয়ার হোসেন (২৪), উইমেন্স মেডিকেলের নার্স রাসেল আহমদ (২৮), পুলিশ সদস্য সুভাস দাশ (৩২)।
এ ঘটনায় পুলিশ তিনকে আটক করে নিয়ে যায়৷ আটকরা হলেন- গিয়াস উদ্দিন রানা (৩৫), মোস্তাক হোসেন (২২) এবং আব্দুল রুহিন (২২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এর আগে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় ইফতারের পর সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়াকে কেন্দ্র করে পথচারীদের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধলে ৪ জন আহত হোন৷ হামলাকারীদের কাউকে চেনা যায়নি। পরে আহতরা ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান।
কিছুক্ষণ পরেই হামলাকারীদের এক পক্ষ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন৷ একপর্যায়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী, নার্স ও ব্রাদারদের ওপর হামলা চালান বহিরাগতরা।
পরবর্তী ওই সংঘর্ষে আহত হন- শহীদুল ইসলাম (৩২), জাবুর হোসেন (২৮), ফেরদৌস আহমদ (২৫), জাকির হোসেন (২৬)।
আহত পুলিশ সুভাস দাশ বলেন, হাসপাতালে মারামারি দেখে আমি এগিয়ে গেলে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পাবলিক ভেবে আমাকে মারধর করা হয়। আমি এখন আহত অবস্থায় ওসমানীতে ভর্তি আছি৷
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, সোমবার রাত ৮টার দিকে চৌহাট্টা এলাকায় সংঘর্ষের পর আহতরা এসে ভর্তি হোন ওসমানীতে। আগের সংঘর্ষের জেরে বহিরাগতরা এসে আহতদের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে হামলা করে। এসময় নার্স ও ব্রাদাররা প্রতিহত করতে গেলে তাদেরকেও মারধর করা হয়৷
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ তাৎক্ষণিক ওসমানী মেডিকেলের জরুরি বিভাগে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। দুদফা সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন৷ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।