২৪ আর ৭১ নিয়ে বিতর্কে যাওয়া উচিত হবে না : চসিক মেয়র


MARCH NAEEM 2ND/ctg-meyor.jpg

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আমরা একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি দীর্ঘদিন ধরে। সেই স্বপ্নটি আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে। এখানে উল্লেখ্য যে ২৪ আর ৭১ কে নিয়ে কোন ধরনের বিভেদ কিংবা কোনো ধরনের বিতর্কে যাওয়া কখনো উচিত হবে না। 

তিনি বলেন, ৭১ এবং ২৪ ইতিহাসে নিজ নিজ জায়গায় থাকবে। কোনো একটিকে দিয়ে আরেকটি ঢেকে দেওয়ার চিন্তাভাবনা আমাদের করা উচিত নয় বলে আমি মনে করি।

বুধবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৭১ -এ একটি দেশ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের জন্য মানুষ যুদ্ধ করেছে এবং এমন একটা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আর ২০২৪ এ একটি দল যারা ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট কায়দায় মানুষের মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকারকে শেষ করে দিয়েছে সেটা রোধ করেছে ছাত্র-জনতা রক্তদানের মধ্য দিয়ে। আজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়েছে। আমরা আশা করছি অনতিবিলম্বে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি বৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি বৈধ সংসদ দিয়ে মানুষের মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার বাস্তবায়ন করবে।

সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসে আমি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের শহীদদের স্মরণ করি এবং মুক্তিযুদ্ধে যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে দেশের পক্ষে নানাভাবে ভূমিকা সব বীরকে শ্রদ্ধা জানাই।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন রক্ষায় সিটি কর্পোরেশনের পরিকল্পনা তুলে ধরে মেয়র বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বদ্ধভূমিগুলো নতুন প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা জরুরি। আপনারা জানেন ১৯৭১ সালের ১০ নভেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পায়োনিয়ার ফোর্স চট্টগ্রামের পাহাড়তলি অঞ্চলে এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। পাঞ্জাবি লেইন, বিহারী লেইন, ওয়ারলেস কলোনিসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে ছিলে।

‘পরবর্তী প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে পাহাড়তলীতে  বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে। বধ্যভূমির পেছনে যে জায়গাগুলো এখনো বেদখল আছে এবং বিভিন্ন  মামলার কারণে বধ্যভূমির জায়গা সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি সেগুলোর সমাধান করে কীভাবে বধ্যভূমি সম্প্রসারণ করা যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা এখনো বেঁচে আছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের গবেষণা করেন তাদের নিয়ে আমরা কমিটি করে বধ্যভূমি সংরক্ষণ করার। আমরা চিন্তাভাবনা করছি এবং বধ্যভূমিতে প্রাণ হারানো শহীদদের নামের নামফলক স্থাপনের পরিকল্পনা আছে আমাদের।

এসময় মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×