ছয় বছর সম্পর্কে ছিলাম, পরিবার চেয়েছিল আমরা বিয়ে করি: স্বস্তিকা
- বিনোদন ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১২:২৯ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২৫

টানা ৬ বছর সম্পর্কে ছিলেন কলকাতার জনপ্রিয় তারকা জুটি জিৎ-স্বস্তিকা। সম্পর্ক ভাঙার পরও কেউ কাউকে নিয়ে কখনও কটু কথা বলেননি। সম্মান দেখিয়েছেন দুইজন দুইজনের প্রতি। তবে এখনও সেই পুরানো দিনের স্মৃতি মনে পড়ে স্বস্তিকার কারণ তার পরিবার চেয়েছিল জিতের সঙ্গে সম্পর্কটা স্থায়ী করতে।
দীর্ঘ ৪ বছর কাজের সুবাদে তারা একে অন্যের প্রেমে পড়েন। ৬টা বছর একসঙ্গে থেকে সম্পর্কে ইতি টানেন তারা। তারকা জুটির কাজ দর্শক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল বেশ। ২০০৪-২০০৮ সাল পর্যন্ত তারা অনেক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন।
দীর্ঘ দিন পর গত বছর জিতের জন্মদিনে উইশ করতে গিয়ে সকলের সামনে অভিনেতার প্রতি ভালোবাসার কথা স্বীকার করেন অভিনেত্রী।
জানা যায়, স্বস্তিকার সংসার ভাঙার পর ‘মাস্তান’ ছবিতে কাজ করেছিলেন জিতের বিপরীতে। সেখানেই তাদের বন্ধুত্ব হয়। যা পরে প্রেমের পরিণতি পায়। পার্টি থেকে ছবির প্রচার, সব জায়গাতেই একসঙ্গে যেতেন। অভিনেত্রীর পরিবারের সঙ্গেও তার দারুণ সম্পর্ক ছিল।
যখন তারা আলাদা হয়ে যান, স্বস্তিকার পরিবারের লোকজন নাকি খুব একটা খুশি হননি। ইন দ্য রিং, ফিল্মফেয়ার বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, জিতের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তার বোন অজপা প্রচুর কান্নাকাটি করেছিল। শুধু তাই নয়, সম্পর্ক ভাঙার জন্য বোনকেই কাঠগড়ায় তুলেছিল।
খানিকটা মজার ছলেই জিতের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন স্বস্তিকা। তিনি জানান, মেয়ের সঙ্গে জিতের বন্ডিং ভাল ছিল। তারপর মেয়ে যত বড় হয়েছে, জিতের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙা নিয়ে মাকেই কথা শুনিয়েছে।
অভিনেত্রীর ভাষায়, ‘এখনও যে সম্পর্ক নিয়ে ওর অসুবিধা নেই, সেটা হলো জিতের সঙ্গে সম্পর্ক। ৬ বছর আমরা একসঙ্গে ছিলাম। আমার মেয়ে তো ওই সম্পর্ক নিয়ে আমাকেই দোষারোপ করে। বলে, আমিই নাকি সম্পর্ক শেষ করেছি। বলে ফেলে মাঝেমধ্যে, কী কারণে সম্পর্ক ভেঙেছে জানি না কিন্তু যাই হোক, এর জন্য আমি তোমাকে ক্ষমা করব না।’
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার মা-বোনও সব সময় ওর (জিতের) পক্ষই নিয়েছে। ওরা চেয়েছিল আমরা বিয়ে করি। আমার বোন তো কেঁদে ভাসিয়েছিল সম্পর্কটা ভেঙে যাওয়ার কথা শুনে। ও (মেয়ে অন্বেষা) জিতের সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ ছিল। যখন বড় হলো, ওর দাবি ছিল- জিৎ খুবই সুপুরুষ। মা তুমি এটা কী করলে।’
সম্পর্ক নিয়ে স্বস্তিকা বলেন, ‘আমার সিরিয়াস ৬টা সম্পর্ক ছিল। সেটাই মনে হয় ৬০০টা। কিন্তু আসলে সংখ্যা ৬টা।’
কী কারণে জিতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়েছিল, তা জানা যায়নি। পরেও কেউ এই বিষয় নিয়ে মুখ খোলেননি। জিত এই ঘটনার কয়েক বছর পর বিয়ে করেন।