রাত পোহালেই চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ
- চাঁদপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১০:৪২ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২৫

সৌদি আরবের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে দেশটিতে কাল রোববার (৩০ মার্চ) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। তবে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোববার বাংলাদেশে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এসব গ্রামের সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা প্রায় ৯৫ বছর ধরেই আরব দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ঈদ উদযাপন করে থাকেন। ঈদকে ঘিরে এসব গ্রামে শনিবার (২৯ মার্চ) রাত থেকে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর মো. আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে আমরা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখি এবং ঈদ উদযাপন করি। শনিবার সৌদিতে চাঁদ দেখা গেছে। তাই রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় সাদ্রা মাদ্রাসা ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আরও বিভিন্ন এলাকাতেও ঈদের জামাত হবে।’
সাদ্রা ছাড়াও এক দিন আগে ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হল হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এ ছাড়া চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করেন।
জানা গেছে, ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু স্থানীয়দের অসহযোগিতার মুখে তা ভেস্তে যায়। সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে এক দিন আগে ঈদ পালনের উদ্যোগ নেওয়ায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে। ওই বছরই নিজ গ্রাম সাদ্রায় ফিরে আসেন তিনি। পরে তিনি দরবার শরীফ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করেন তিনি।