চট্টগ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০১:৪১ পিএম, ৩১ মার্চ ২০২৫

আজ সোমবার (৩১ মার্চ) পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় সারাদেশের ন্যায় ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করেছে চট্টগ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) তত্বাবধানে সিটির ৪১টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন মসজিদে একই সময়ে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চসিকের আয়োজনে জমিয়াতুল ফালাহ্ জাতীয় মসজিদের ঈদগাহ ময়দানে ঈদ উল ফিতরের প্রথম জামাত সোমবার সকাল ৮ টায় ও সকাল পৌনে নয়টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম জামাতে ইমামতি করেছেন জমিয়াতুল ফালাহ্ জাতীয় মসজিদের খতিব হযরতুল আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী এবং দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেছেন জাতীয় মসজিদ জমিয়াতুল ফালাহ্র পেশ ইমাম।
সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর ন্যায় বাংলাদেশেও ২৯ রোজা শেষে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা ও অনুগ্রহ লাভের আশায় মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর ঈদের আনন্দ আয়োজনে শামিল হয়েছেন।
ঈদের প্রথম জামাতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, চসিকের মেয়র শাহাদাত হোসেন, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ কাতারবন্দি হয়ে নামাজ আদায় করেন। এ সময় মুসল্লীরা দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
ঈদগাহ ময়দানে সকলের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রাখা হয়েছে স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা। মুসল্লিরা যাতে স্বস্তিতে নামাজ আদায় করতে পারে, সে জন্য বৈদুতিক পাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
নামাজ আদায় শেষে শাহাদাত হোসেন ১৯৭১, ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহিদ ও আহতদের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, ‘দেশের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য মানুষ বার বার বুকের রক্ত দিয়েছে এবং অজস্র মানুষ শহিদ হয়েছে। জনমানুষের প্রত্যাশিত বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হোক।’