প্রত্যেককে একটি করে গাছের চারা রোপণ করতে বললেন শোলাকিয়ার ইমাম
- কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:৪৮ পিএম, ৩১ মার্চ ২০২৫

‘আমি নাগরিক রেসপন্সিবিলিটি থেকে, বিশ্বনবীর (সা.) পক্ষ থেকে পরামর্শ এবং রিকোয়েস্ট রাখতে চাই, এই যে লক্ষ লক্ষ মানুষ এখানে আমরা সমাবেত হলাম। এক বছর সময় আপনাদের আমি দিলাম। পৃথিবীর জন্য দেশের মানুষের জন্য প্রত্যেকেই একটা করে গাছের চারা বাড়িতে রোপণ করে আবার এই ময়দানে আসবেন ইনশাআল্লাহ।’
সোমবার (৩১ মার্চ) ১৯৮তম ঈদুল ফিতরের জামাত শেষে লাখ লাখ মুসল্লিদের উদ্দেশে এভাবেই কথাগুলো বলেন কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের ইমাম মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণত শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাতে বেশি মুসল্লি হয়। যেহেতু আপনারা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, ঈদুল আজহার জামাতকে আমরা সুন্দর করতে চাই। বর্তমান বিশ্বের মুসলিমদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যারা কষ্টে আছেন, ফিলিস্তিনের গাজার মুসলমানদের জন্য আমরা সবাই দোয়া করবো ইনশাআল্লাহ।’
দীর্ঘ ১৫ বছর পর ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের ইমামতি ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুফতি মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ। এ সময় তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজবেহ রহমত বলেন, ‘এবারও দেশ-বিদেশের প্রায় ছয় লাখ মুসল্লি এ ময়দানে একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছেন। এবারের জামাতে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি মুসল্লি অংশ নেন।’
আগের দিন রোববার (৩০ মার্চ) থেকে শুরু করে সোমবার ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার মুসল্লির ঢল নামে শোলাকিয়া ময়দানে। সকাল সাড়ে ৮টার আগে কানায় কানায় ভরে যায় ময়দান। সকাল ১০টায় নামাজ শুরু হলে শোলাকিয়া মাঠে উপচেপড়া ভিড়ের কারণে আশপাশের রাস্তা-ঘাট, বাসাবাড়ির ছাদ, নরসুন্দা নদীর পারে মুসল্লিরা নামাজের কাতার করে দাঁড়িয়ে যান।
নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহ বিশেষ করে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।