পঞ্চগড়বাসীর ঈদ আনন্দ বাড়িয়েছে মিরগড় ইকো পার্ক
- পঞ্চগড় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০২:২৩ পিএম, ০১ এপ্রিল ২০২৫

পঞ্চগড়ের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল জেলা শহরে সরকারি বা বেসরকারি পৃষ্ঠপোশকতায় একটি শিশুপার্ক গড়ে তোলা। অবশেষে শহর থেকে ৪ কিলোমিটার পশ্চিমে ঐতিহাসিক মিরগড়ের করতোয়া নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে কাঙ্ক্ষিত মিরগড় ইকোপার্ক। ২১ একর জমিতে গড়ে ওঠা ইকো পার্কে রয়েছে শিশু, বয়ষ্কসহ সব বয়সের মানুষের বিনোদনের ব্যবস্থা।
সরেজমিন মিরগড় জেলা প্রশাসন ইকোপার্কে গিয়ে দেখা যায়, জেলা প্রশাসনের নিজস্ব উদ্যোগে গড়ে ওঠা পার্কটির শুক্রবার (২৮ মার্চ) কাজ চলাকালীন কিছু অংশ সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এরপর থেকেই সেখানে ভিড় শুরু হয়। ইকো পার্কের প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা। অনেকে রোজার মধ্যেই শিশুদের নিয়ে পার্কটি দেখতে এসেছেন। এবার ঈদে ৫০ হাজারের বেশি স্থানীয় পর্যটক ইকো পার্কে আসবেন বলে আশা করছেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী।
জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলার নামকরণে পাঁচ গড়ের অন্যতম ঐতিহাসিক মিরগড়। এখানকার করতোয়া তীরের পরিত্যক্ত বিশাল জমিতে এই ইকো পার্ক গড়ে উঠেছে। পার্কে রয়েছে শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইডস। রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান, চা বাগান, হরেক রকম সৌন্দর্য্যবর্ধক গাছ, কৃত্রিম লেক, বড় আকারের পানির ফোয়ারা, ইকো টুরিজমের বিশেষ আদলে বানানো বসার ঘর, আধুনিক সৌচাগার ও চারপাশে ওয়াকিং ওয়ে। জেলার বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের জন্য আছে আবাসন সুবিধাও।
স্থানীয় কিশোর আরমান আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকার পরিত্যক্ত ২১ একর জায়গায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইকো পার্কটি হচ্ছে। এখন থেকেই অনেক মানুষ আসছে পার্কটি দেখতে। ঈদ কিংবা বিশেষ দিন ছাড়াও এখানকার করতোয়া নদীর বাঁক, কাঠের ব্রিজ দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ঘুরতে আসেন আমাদের ঐতিহাসিক মিরগড়। আশা করছি পার্কটি সম্পন্ন হলে বাইরে থেকে অনেক পর্যটক আসবে পার্ক দেখতে।’
মিরগড় এলাকার ব্যবসায়ী ওয়াকিলুজ্জামান বলেন, ‘এই জায়গাটি নদীই ছিল। এক সময় চর জেগে ওঠে। এতাবড় একটা জায়গা এখানে পরিত্যক্ত ছিল, আমরা বুঝতেই পারিনি। তবে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।’
জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বলেন, ‘এখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি পার্কের। শহরের কাছেই সরকারি ২১ একর পরিত্যক্ত ছিল। জমিটি অবৈধ দখলদারদের যেকোনো সময় দখলের একটা আশঙ্কাও ছিল। এজন্য ওই জমি ওপর ইকো পার্কটি গড়ে তোলা হয়েছে। পঞ্চগড়ের মানুষের পাশাপাশি সারাদেশের টুরিস্টদের জন্য এটি একটি ভালো বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হবে। এই ঈদে ৫০ হাজারের বেশি স্থানীয় পর্যটক পার্কটিতে যাবেন বলে আশা করছি।’