
দেশে সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের একমাত্র পথ হচ্ছে পিআর (প্রতিনিধিত্বমূলক অনুপাত) পদ্ধতি—এমন মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির, চরমোনাইর পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
তিনি বলেন, “আমাদের দৃশ্যমান সংস্কার দেখাতে হবে। খুনিদের, জালেমদের, টাকা পাচারকারীদের দৃশ্যমান বিচার আমরা দেখব এরপর পিআর পদ্ধতিতেই নির্বাচন হতে হবে।”
গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মাগুরা জেলা শাখার আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
চরমোনাই পীর আরও বলেন, সরকার নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও এখনো দেশে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি হয়নি। তিনি বলেন, “রাস্তাঘাটে যে ধরণের তাণ্ডব দেখছি। সোহাগের মতো ছেলেকে পাথর মেরে দিয়ে নির্মমভাবে মারা হচ্ছে। সাংবাদিকরাও নিরাপত্তা পাচ্ছে না।”
তিনি অভিযোগ করেন, একটি বড় রাজনৈতিক দল গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে চাঁদাবাজির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার অবৈধ অর্থ সংগ্রহ করেছে। “এই কালো টাকা তারা নির্বাচনের সময় ব্যবহার করবে। এই কালো টাকার মাধ্যমে গুণ্ডা তৈরি করবে, সুন্দর পরিবেশকে অসুন্দর করবে,” বলেন তিনি।
বর্তমানে প্রচলিত নির্বাচনী পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে তিনি বলেন, এতে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পেলেই সরকার গঠন সম্ভব হয়ে যায়, ফলে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের মতামত উপেক্ষিত থাকে। তাঁর মতে, “পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সংসদে সব দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। কেউ স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পারবে না।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মাগুরা জেলা শাখার আমির মোস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা নাজিরুল ইসলাম, মাওলানা মশিউর রহমান, সেক্রেটারি হাফেজ মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির এমবি বাকেরসহ আরও অনেকে।
সমাবেশের শেষদিকে, মাগুরা-১ আসনে নাজিরুল ইসলাম ও মাগুরা-২ আসনে মোস্তফা কামালকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।