
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নাম উচ্চারণ করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিতাস উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সেলিম ভূঁইয়া। এই ঘটনায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি।
সোমবার (১০ নভেম্বর) জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান সরকার এবং সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সীর স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সী।
নোটিশে বলা হয়েছে, গত ৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে তিতাস উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর যৌথ উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মেহেদী হাসান সেলিম ভূঁইয়া বক্তব্যের সময় “তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার” জায়গায় “জননেত্রী শেখ হাসিনা” বলেছেন। ওই মুহূর্তের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনায় কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনা নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মেহেদী হাসান সেলিম ভূঁইয়ার মোবাইল ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সী বলেন, “মেহেদী হাসান সেলিম ভূঁইয়ার বক্তব্যে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাই তাকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তার জবাব যথাযথ না হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এর আগে রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে মেহেদী হাসান সেলিম ভূঁইয়ার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। গত শুক্রবার কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় অনুষ্ঠিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় তিনি ওই মন্তব্য করেন। ১৪ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওটিতে তাকে বলতে শোনা যায়, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অর্ধাঙ্গিনী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।” পাশে থাকা নেতাকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গেই তার ভুলটি সংশোধন করে দেন, আর মুহূর্ত পরেই ভিডিওটির রেকর্ডিং বন্ধ হয়ে যায়।