
বড়াইগ্রামের জোনাইল ইউনিয়নের নাজিরপুর জোলার পাড় এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ছাত্রশিবির সভাপতিসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে কুশমাইল গ্রামের সফর আলীর ছেলে, জোনাইল ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাব্বির হোসেন (২২), শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম (২৮) ও সফর আলী (৪৫) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে ছাত্রদল কর্মী আতাউর রহমান (২২), রায়হান আলী (২১), মোশাদ হোসেন (২১), কাওসার হোসেন (২৩) ও আকাশ হোসেন (২৩) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। বাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। উভয়পক্ষের আহতরাই কুশমাইল গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, দলীয় বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্কের জের ধরে ছাত্রদল-যুবদল নাজিরপুর জোলার এলাকায় ওসমান গণি নামে এক জামায়াত কর্মীকে আটক করে। খবর পেয়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা এসে ওই কর্মীকে ছাড়া করে ফেরার পথে একটি অটোভ্যানে থাকা শিবির সভাপতিসহ অন্যদের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে ১০ জন আহত হন।
স্থানীয় ছাত্রদল নেতা আকরাম হোসেন বলেন, “জামায়াতের কর্মীরাই প্রথমে আমাদের একজনকে মারপিট করলে সংঘর্ষ ঘটে। এতে আমাদের পাঁচজন আহত হয়েছেন।”
জোনাইল ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাহবুবুর রহমান বলেন, “কোনো সংঘর্ষ হয়নি। আমরা চলে আসার সময় তারা অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসে আকস্মিক হামলা করে পাঁচজনকে আহত করেছে। পরে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে নিতে রাত ১২টার দিকে আহত না হলেও পাঁচ ছাত্রদল কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, “খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”