
ভোরের আলো ফুটতেই তুরাগ তীরজুড়ে সৃষ্টি হয় ভক্তদের ঢল, আর সেই আধ্যাত্মিক পরিবেশেই সম্পন্ন হলো তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শূরায়ে নেজামে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে শুরু হওয়া মোনাজাত ৯টা ১৩ মিনিটে শেষ হয়। ঢাকা ও গাজীপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত অসংখ্য মানুষ এতে অংশ নেন।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শূরায়ে নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, পাকিস্তানের মাওলানা আহমেদ বাটলা মোনাজাত পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, দোয়ার সময় ইজতেমা মাঠজুড়ে কান্নার স্রোত বয়ে যায় এবং পুরো তুরাগ তীরজুড়ে গত কয়েক দিন ধরে ছিল গভীর ধর্মীয় আবহ। এবারের জোড় ইজতেমায় ২৭টি দেশ থেকে ৭৩২ জন বিদেশি অতিথি অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে ছিল পাকিস্তান, ভারত, সৌদি আরব, ইয়েমেন, কানাডা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, তিউনিসিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, নাইজার, আফগানিস্তান, জার্মানি, জাপান, চাদ, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, মিসর, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়া। এবারের জোড় ইজতেমায় মোট ৬ জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে বলেও আয়োজকরা নিশ্চিত করেছেন।
ইজতেমা আয়োজকদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, জোড় ইজতেমায় তাবলিগের সাথীরা সারা বছরের কাজের ‘কারগুজারি পেশ’ করার পাশাপাশি মুরব্বিদের কাছ থেকে ‘রাহবারি’ গ্রহণের সুযোগ পান। এতে কেবল তিন চিল্লার সাথী এবং কমপক্ষে এক চিল্লা সময় ব্যয় করা আলেমরাই অংশগ্রহণ করতে পারেন। তাদের মতে, এই নিয়মই জোড় ইজতেমার বিশেষ মর্যাদা ও গুরুত্ব ধরে রাখতে সাহায্য করে।