দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শরিফ (২৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ আতাউর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের কোনাবাড়ি এলাকায় মারামারির ঘটনাটি ঘটে। পরে বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে আতাউরকে আটক করে পুলিশ।
আহত শরিফ সাদিপুর ইউনিয়নের কোনাবাড়ি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। ঘটনার পর তিনি নিজেই বাদী হয়ে বুধবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে শরিফ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কোনাবাড়ি গ্রামের হামিদুর রহমানের ছেলে আতাউর, হাবিব ও পিয়া হোসেন দীর্ঘদিন ধরে তাঁত (জামদানি শাড়ি) চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। একই পেশায় যুক্ত শরিফের সঙ্গে তাদের কয়েকদিন ধরেই মনোমালিন্য চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সাড়ে ১১টার দিকে কোনাবাড়ি-নয়াপুর সড়কে মনোয়ারারের বাড়ির পাশে শরিফকে একা পেয়ে আতাউরসহ আরও চারজন দেশীয় অস্ত্র—রামদা, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে আতাউর রামদা দিয়ে শরিফকে কোপ দিলে তিনি মাথায় গুরুতর আহত হন।
এ সময় শরিফকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তার ভাবি জিয়াসমিনের কাছ থেকে ১২ আনা স্বর্ণের চেইন ও একটি নাকফুল ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। হামলার পর আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা আহত শরিফকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন বলেন, “এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে কিছুক্ষণের মধ্যেই আদালতে প্রেরণ করা হবে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”