আমার এলাকার খবর

চট্টগ্রামে ‘ক্লিন বাংলাদেশ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার’ চালু

জলাবদ্ধতা ও প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় ক্লিন বাংলাদেশের উদ্যোগে এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সহযোগিতায় যাত্রা শুরু করল “প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার”। রমজান উপলক্ষ্যে চালু হওয়া এই বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিনের বিনিময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণ করা হচ্ছে। সিটির চকবাজার কাঁচাবাজারের সামনে শুক্রবার (৭ মার্চ) আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চসিকের মেয়র শাহাদাত হোসেন। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, রাজনীতিবিদ মনিরুল ইসলাম ইউসুফ। অনুষ্ঠান ক্লিন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শওকত হোসেন জনি বলেন, ‘আমাদের শহরের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো প্লাস্টিক বর্জ্য ও জলাবদ্ধতা। আমরা জানি, নালা ও ড্রেনগুলো প্লাস্টিকের কারণে বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আমরা চেয়েছি সমস্যার একটি কার্যকর সমাধান দিতে- যেখানে পরিবেশ রক্ষা ও মানবিক সহায়তা একসাথে করা যায়। তাই, ‘প্লাস্টিক আনুন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিন’ এই ধারণা নিয়ে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। এটি শুধু প্লাস্টিক দূষণ রোধ করবে না, বরং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রমজানের সময়ে সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।’ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষা ও জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। ক্লিন বাংলাদেশের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। কারণ এটি জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নগর পরিচ্ছন্নতার জন্য একটি বাস্তবসম্মত সমাধান দিচ্ছে। আমরা চাই, এই কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হোক এবং নগরবাসী প্লাস্টিক বর্জ্যের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আরও সচেতন হোক।’ রমজান মাসব্যাপী প্রতি শুক্রবার ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদ কাঁচাবাজারের সামনে এই কার্যক্রম চলবে। ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিন জমা দিয়ে চনা, ছোলা, খেজুর, ছিড়া, আলু, পেঁয়াজ ও ডিমসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিতে পারবেন সাধারণ জনগণ। এই আয়োজন সফলভাবে পরিচালনা করছেন ক্লিন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক তানভীর রিসাত ও টিম লিড করছে ইমন, আলভি, জাহিদ, প্রমি, তানজিফা। পাশাপাশি সদস্য হিসেবে কাজ করছে সাকিব, ইয়াজ, মুনতাসির, পার্থ। ক্লিন বাংলাদেশ আশা করছে, এই উদ্যোগ নগরবাসীর মধ্যে প্লাস্টিক ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে এবং পরিবেশবান্ধব অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

গণপিটুনিতে নিহত নেজাম ও ছালেকের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা

চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলায় গণপিটুনিতে নিহত হন নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেক নামের দুইজন। তাদের মধ্যে নেজামের মরদেহের পাশে অত্যাধুনিক ও প্রাণঘাতী একটি পিস্তল পাওয়া যায়। যেটি চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানা থেকে লুট হয়েছিল। এ ঘটনায় বুধবার (৫ মার্চ) সাতকানিয়া থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেছে পুলিশ। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল হাসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন কাঞ্চনা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কবির আহাম্মদের ছেলে আলমগীর (২০), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুস সাত্তারের ছেলে ফরহাদ (৪০), ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আলমগীরের ছেলে মো. ফারুক প্রকাশ কালা ফারুক, উত্তর কাঞ্চনা দীঘির পাড় এলাকার গুরা মিয়ার ছেলে সাইফুদ্দীন প্রকাশ সাবু এবং এওচিয়া ইউনিয়নের চুড়ামণি এলাকার আব্বাস উদ্দিনের ছেলে সিএনজিচালক হারুন। আসামিরা সবাই নেজাম ও ছালেকের সহযোগী এবং তারা ওই দিন এলাকাবাসীর ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এজাহার ও পুলিশের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, নেজামের মরদেহের পাশে থেকে উদ্ধার করা পিস্তলটি ‘টরাস টিএইচ’ মডেলের ৯ মিলিমিটার ক্যালিবারের পিস্তল। টিকেইউ৩৯১৬১ নম্বরের পিস্তলটি বডির ওপরের অংশের এক পাশে টরাস বিপি- ২০১৭ মিটিসি মেড ইন ব্রাজিল এবং অপরপাশে টিএইচ৯ ৯এক্স১৯ লেখা আছে। সিরিয়াল মিলিয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে অস্ত্রটি নগরের কোতোয়ালি থানায় ব্যবহৃত হতো। ৪ দশমিক ২৭-ইঞ্চি ব্যারেল ও অ্যাডজাস্টেবল টু-ডট রিয়ার সাইট সুবিধার কারণে আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রটি দিয়ে নিখুঁত লক্ষ্যে গুলি করা যায়। মাত্র ৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের পিস্তলটির সঙ্গে দুটি ম্যাগাজিন থাকায় এতে ১৭-রাউন্ড গুলি রাখা যায়, যা দিয়ে অনেকক্ষণ শুট করা যায়। বিশেষায়িত পিস্তলটি তৈরি হয় ব্রাজিলের সাও পাওলোর কারখানায়। এ ছাড়া গুলির পাশে প্রাপ্ত ছয়টি গুলির খোসার পেছনের অংশে ইংরেজিতে এনআর বিপি ২০২০ লেখা আছে। সেদিনের ঘটনার বিষয়ে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ৩ মার্চ রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে আবু ছালেক ও মো. নেজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা ১৪-১৫ জন অস্ত্রধারী হেলমেট পরিহিত অবস্থায় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে ৬-৭টি সিএনজিযোগে ছনখোলা পশ্চিম পাড়া বাজারে ঘোরাফেরা করে। স্থানীয় লোকজন ডাকাত সন্দেহে আসামিদের ধাওয়া করলে আসামিরা তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করতে করতে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনকে আটক করে। আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে এওচিয়ার ছনখোলা ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওবায়দুল (২০), নাছির (৩৫), আব্বাস (৩০), মামুন (৪০), সাইদ (২৪) গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। স্থানীয় লোকজন আহত হওয়ার কারণে উপস্থিত লোকজনদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর উত্তেজিত জনতা আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এবং আসামিদের ফেলে যাওয়া সিএনজিটি ভাঙচুর করে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। উত্তেজিত জনতার মারধরের ফলে ঘটনাস্থলে আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে এজাহারনামীয় ১-৬ নম্বর আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ১৪-১৫ জন কৌশলে গুলি বর্ষণ করতে করতে ঘটনাস্থল থেকে সিএনজিযোগে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যাওয়ার সময় এজাহারনামীয় ৬ নম্বর আসামির চালিত অজ্ঞাত নম্বরের সিএনজি এবং তাদের ব্যবহৃত জব্দ করা আগ্নেয়াস্ত্রটি ঘটনাস্থলে ফেলে যায়। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, স্থানীয়ভাবে তদন্তকালে জানা যায়, এজাহারনামীয় আসামিদের স্বভাব-চরিত্র ভালো নয় এবং তারা মৃত আবু ছালেক ও মৃত মো. নেজাম উদ্দিনের সহযোগী মর্মে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে। আসামিরা ইতোপূর্বেও ঘটনাস্থল এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের নিমিত্তে সশস্ত্র মহড়া দিয়েছে বলে জানা যায়। মৃত আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে এজাহারনামীয় ১ থেকে ৬ নম্বর আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা ১৪-১৫ জন আসামি পরস্পর যোগসাজশে ও জ্ঞাতসারে অস্ত্রশস্ত্র নিজেদের হেফাজতে রেখে ‘দ্য আর্মস অ্যাক্ট ১৮৭৮’-এর ‘১৯এ’ ধারার অপরাধ করেছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম সানতু নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, গণপিটুনির ঘটনায় অনেকে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কথা বলছেন। ঘটনার সময় বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের কোনো ব্যক্তি বা চেয়ারম্যানের উপস্থিতি ছিল কি না, প্রশ্ন তুলেছেন। আসলে আমরা এ ধরনের কারো উপস্থিতি খুঁজে পাইনি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে খুন হন নেজাম ও ছালেক। ঘটনার দিন তারা সাতটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে সেখানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের অস্ত্র প্রদর্শন করেছিলেন। তারা চাঁদার জন্য নিয়মিত সেখানে যেতেন বলে পুলিশ তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে। ৪-৫ দিন আগেও তারা সেখানে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের এক ওয়ার্ড সদস্যের স্ত্রীকে থাপ্পড় মেরেছিলেন। যে কারণে জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, ‘সাতকানিয়ায় মারা গেছেন নেজাম ও ছালেক। ছালেকের বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে, তার মধ্যে দুইটি হত্যা। এ ছাড়া চুরি ও বিস্ফোরক আইনেও মামলা আছে। নেজামের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে। তাদের গতিবিধি যদি আমরা পর্যবেক্ষণ করি, বিগত তিন মাসে ওই এলাকায় তারা বিভিন্ন কাজে গিয়েছেন অন্তত আট বার। ঘটনার দিন তারা সাতটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা যোগে গিয়েছিলেন। সেখানকার দোকানদারদের অস্ত্র প্রদর্শন করেছেন।

মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দুলাভাই-তালই আটক

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৫০) ও তার স্বামী সজীব শেখকে (১৮) আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ মার্চ) ভোরের দিকে সজীব শেখ ও বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে হিটু শেখকে আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এরইমধ্যে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল এবং হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে। শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হিটু শেখ ও সজিব শেখকে আটক করা হয়েছে।’ ‘মাগুরা জেলা পুলিশ অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ পুলিশ জানায়, মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার বাসিন্দা ধর্ষণের শিকার শিশু। সে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। রমজান ও ঈদের ছুটিতে স্কুল বন্ধ থাকায় কয়েক দিন আগে বড় বোনের বাড়ি মাগুরা শহরে বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশে তাকে রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। পরে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। শিশুটির ছোট চাচা বলেন, ‘চার-পাঁচ মাস আগে বড় ভাতিজিকে বিয়ে দেওয়া হয়। সুযোগ পেলে তার শ্বশুর হিটু শেখ তাকেও বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতেন বলে শুনেছি। যে কারণে বড় ভাতিজি বাপের বাড়িতে চলে এসেছিল। পরে তাকে বুঝিয়ে আবার শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’ মাগুরা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনি ওয়ার্ডের ডাক্তার শিরিন সুলতানা বলেন, ‘শিশুটির অবস্থা ভালো নয়। তার শরীরে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।’

সম্পত্তির জন্য পিতা-মাতাকে কুপিয়ে জখম, ছেলে আটক

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে বৃদ্ধ বাবা-মাকে কুপিয়ে জখম করেছেন মাদকাসক্ত ছেলে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের ক্যাম্পটিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন আব্দুর রহিম (৭০) ও তার স্ত্রী আমেনা বেগম (৬০)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে আবুল কালাম কালনকে (৩৮) আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, দীর্ঘ দিন ধরেই সম্পত্তির ভাগ চেয়ে মা-বাবার ওপর মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন ছেলে আবুল কালাম। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড়িতে ফিরে আবারও সম্পত্তির ভাগ-ভাটোয়ারা চেয়ে মা-বাবার টাকার জন্য চাপ দেন। তারা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন আবুল কালাম। এ সময় আহতদের চিৎকারে স্বজনসহ প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। পরে সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তফিকুল ইসলাম তৌফিক বলেন, ‘এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।’

এক বছর ধরে কিশোরীর ওপর অমানবিক নির্যাতন, মামা-মামি আটক

১৬ বছর বয়সী কিশোরী রোজিনা আক্তার। প্রায় এক বছর ধরে মামার বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করছে। আর পুরো এ সময়টা পরিবার থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয় রোজিনাকে। বাসায় থাকার নামে তার ওপর দিনের পর দিন চলে নির্যাতন। সারা শরীরে জখমের চিহ্ন। থেঁতলে ফেলা হয়েছে সামনের দুই পায়ের আঙুল। হাত-পা-পিঠে কাটা দাগ ও আগুনের ছেঁকা। রোজিনার শরীরের ক্ষতচিহৃ দেখে যে কারও গা শিউরে উঠবে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী মাদরাসা রোড এলাকার একটি ভবনের চারতলা থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন রোজিনাকে। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে সেই অমানবিক নির্যাতনের বর্ণনা দেয় ওই কিশোরী। রোজিনা চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের চৌরাস্তা এলাকার আহমদ ভূইয়ার মেয়ে। স্থানীয় যুবক মোরশেদ আলম, হেলাল ও বেলাল জানান, মাদরাসা রোডে ৪-৫ মাস ধরে ভাড়া থাকছেন রোকেয়া-রুবেল দম্পতি। তাদের দুই সন্তান। একজন প্রতিবন্ধী। মূলত তাদের দেখাশোনা ও বাড়ির কাজ করার জন্য আপন ভাগিনিকে নিয়ে আসেন রুবেল। কিন্তু রুবেল ও তার স্ত্রী মেয়েটাকে দিনের পর দিন অমানবিক নির্যাতন করে গেছেন। তারা আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্যাতন থেকে বাঁচতে দরজা খুলে পালিয়ে যায় ওই কিশোরী। পরে স্থানীয় এক খালা তাকে দেখতে পেয়ে বাসায় নিয়ে যান। পরবর্তী এলাকার লোকজন ওই ভবনে ঢুকে তালা লাগিয়ে দেন। ওই সময় বাসায় শুধু রুবেল ছিলেন। তার স্ত্রী ছিলেন বাইরে। আমরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে তার স্ত্রী থানায় এলে তাকেও আটক করা হয়।’ এদিকে এক বছর পর মেয়ে রোজিনার শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখে থানার মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন বাবা আহমদ ভূইয়া। পাশাপাশি মেয়েও কান্নায় ভেঙে পড়ে। কিশোরীর বাবা আহমদ ভূইয়া বলেন, ‘আমার মেয়েকে আমার আপন শ্যালক এক বছর আগে নিয়ে এসেছে। এই এক বছরে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি। আমার মেয়েকে বাড়িতে আনার কথা বললে রুবেল আজকাল বলে এক বছর পার করে দেয়। আমার মেয়েকে এভাবে দেখতে হবে জীবনে কল্পনাও করিনি। তারা আমার মেয়েকে শেষ করে ফেলেছে। মেয়ের পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন। আমি এর বিচার চাই।’ নির্যাতনের শিকার কিশোরী জানায়, মামা-মামি প্রতিদিন নির্যাতন করতেন। দা, ছুরিসহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে শরীরে আঘাত করতেন। ব্লেড ও দা দিয়ে পিঠ কেটে ফেলেন। মাঝে মধ্যে গরম খুন্তি দিয়ে ছেঁকা দিতেন। পায়ের আঙুলগুলো থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। পেটানোর কারণে দুই হাত ফুলে গেছে। ঠিকমতো খাবারও দিতেন না। কিছু হলেই নির্যাতন করা হতো। রোজিনা বলে, ‘আজকে (বৃহস্পতিবারি) মামি বাসায় ছিল না। তাই মামাকে ফাঁকি দিয়ে দরজা খুলে বের হয়ে যাই। আমার মামি আমার সঙ্গে যা করেছে, তার বিচার চাই।’ চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, `অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ‘ধর্ষণের শিকার’ শিশু, আটক দুই

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ৮ বছরের এক শিশু ‘ধর্ষণের শিকার’ হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির বোন জামাই ও বোনের শ্বশুরকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথম অচেতন অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ওই অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ সকালে শিশুটিকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শিশুটির মা জানান, বোনের বাড়িতে মেয়েকে ঘরের মধ্যে একা পেয়ে কেউ একজন ধর্ষণ করেছে। যেহেতু ওই সময় বাড়িতে সে একা ছিল আর এখনও মেয়ের জ্ঞান ফেরেনি তাই তাকে কে ধর্ষণ করেছে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুবাস রঞ্জন হালদার বলেন, ‘তাকে প্রথমে শ্বাসকষ্টের রোগী হিসেবে শিশুটিকে নিয়ে আসা হয়। পরে মেডিসিন বিভাগে নিয়ে গেলে ধর্ষণ আর হত্যা চেষ্টার আলামত পাওয়া যায়। মেয়েটির অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়। সে কারণে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আয়ুব আলী বলেন, ‘৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে শিশুটির বোন জামাই ও বোনের শ্বশুরকে আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’ এদিকে শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তার অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার ফরিদপুর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।

মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের অভিযোগে এএসআই বরখাস্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের অভিযোগে ফিরোজ রানা নামের পুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এএসআই) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। ফিরোজ রানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। এর আগে বুধবার (৫ মার্চ) দিনগত গভীর রাতে উপজেলার ঝিমিল ইউনিয়নের হোসেন ডাইং এলাকায় এএসআই ফিরোজ দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে একটি মোটরসাইলেক ছিনতাই করেন বলে জানান স্থানীয়রা। গ্রামবাসী জানতে পেরে তাদের ধাওয়া করে। এ সময় এএসআই ফিরোজের সঙ্গে থাকা দুই ব্যক্তি পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও জনতার হাতে ধরা পড়েন ফিরোজ। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে ফিরোজকে উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসে পুলিশ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জেনেছি, তিনজন সোর্সসহ মাদক উদ্ধারে গিয়েছিলেন এএসআই ফিরোজ। এ সময় মোটরসাইকেল থামাতে বললে তিনি ছিনতাইকারী বলে চিৎকার দেন। এ সময় এলাকাবাসী ধাওয়া করলে সোর্সরা পালিয়ে যায় কিন্তু নতুন হওয়ায় ফিরোজ পুলিশের পরিচয় দিয়ে সেখানে অবস্থান করেন ‘ তিনি আরও জানান, ১০-১২ দিন আগে ফিরোজ ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদান করেন। তবে অনুমতি ছাড়া এবং সাদা পোশাকে মাদক অভিযানে যাওয়ার কারণে তাকে সাময়িক বরখান্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ‘এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

যুবককে অপহরণ করে অশ্লীল ভিডিও ধারণ, গ্রেপ্তার চার

রংপুর সিটিতে এক যুবককে অপহরণের পর সমকামে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। সেই ভিডিও ধারণ করে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করা হয়। এসব অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে কিশোর গ্যাংয়ের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। এ ঘটনায় বিকেলে সিটির কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী যুবক। গ্রেপ্তার চারজন হলে শুভ (১৮), নাইম (১৯), জিহাদ (১৮) ও কাদের (১৮)। অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (৩ মার্চ) রাতে রংপুর সিটির অভিরাম এলাকা থেকে স্থানীয় কিশোর গ্যাং ও দুর্বৃত্তের একটি দল ২৫ বছরের ওই যুবককে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তারা মোবাইল ফোন ও ঘড়ি ছিনিয়ে নেয়ার পর মুক্তিপণ হিসেবে ২ লাখ টাকা দাবি করে। ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে ২৫ হাজার ৫০০ টাকাও নেয়। পুরো মুক্তিপণ না পাওয়ায় নাইম ও জিহাদ ভুক্তভোগীকে সমকামিতায় বাধ্য করে এবং সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। পরে তারা হুমকি দেয়, বাকি টাকা না পেলে ভিডিওটি অনলাইনে ছেড়ে দেয়া হবে। এর কিছুক্ষণ পর ভুক্তভোগীকে ছেড়ে দেয় দলটি। পরে স্থানীয় থানায় ও সেনাক্যাম্পে অভিযোগ করেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর রেফায়েত ওসমানের নেতৃত্বে সেনা ও পুলিশের যৌথ দল রংপুরের জুম্মাপাড়া সুইপার কলোনি এলাকা থেকে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেড এলাকার একটি গার্মেন্টস কারখানার ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের লোকজন প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং ছয়টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, আদমজী ইপিজেডে অবস্থিত ইউনিভার্সেল নামের একটি গার্মেন্টস কারখানার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর ও স্থানীয় বিএনপি নেতা রুহুল আমিন গ্রুপের মধ্যে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে ছয়টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা চরম আতঙ্কে রয়েছে এবং গার্মেন্টস এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং প্রশাসন সার্বিক পরিস্থিতির ওপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে।

মবের হাত থেকে বাঁচাতে পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

নাটোরে সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বাড়িতে টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ব্যানার। পুলিশের দাবি, উত্তেজিত জনতা তথা মবের ভাঙচুর থেকে ভবনটি বাঁচাতে এ কৌশল নেয়া হয়। ব্যানার টাঙানোর একটি ছবি বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, অন্ধকারে দুই যুবক সিংড়া পৌরসভার গোড়াউনপাড়ায় পলকের তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে একটি ব্যানারের দড়ি বাঁধছেন। ওই ব্যানারে লেখা ‘অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, সিংড়া থানা, নাটোর’। স্থানীয়রা জানায়, পলকের এই বাড়ি থেকে হেঁটে সিংড়া থানা ৫ মিনিটের ও সহকারী পুলিশ সুপারের (সিংড়া সার্কেল) কার্যালয় ১০ মিনিটের পথ। গতকাল বুধবার রাত ৭টার পর সিংড়া থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে দুই যুবক বাড়িটিতে ব্যানার লাগিয়ে চলে যান। কিছুক্ষণ পর ঘটনাটি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন জড়ো হন। তবে বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে ব্যানারটি দেখা যায়নি। স্থানীয়রা আরও জানায়, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ওই দিনই পলকের এই বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর থেকে বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। পলক প্রতিমন্ত্রী থাকার সময় বাড়িটির নিচতলার একটি কক্ষ তার প্রটোকলে থাকা পুলিশ সদস্যদের বিশ্রামের জন্য বরাদ্দ ছিল। এই কক্ষকে অনেকেই পুলিশ ক্যাম্প হিসেবে জানতেন তখন থেকে। কক্ষের বারান্দায় পতাকা স্ট্যান্ডও ছিল। এ ব্যাপারে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, আমাদের কাছে খবর ছিল মবের মাধ্যমে একদল জনতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের বাড়িটি ভাঙচুর করবে। যেহেতু ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি ভাঙচুর করা হয়েছে, তা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে সিংড়ার এই বাড়ি ভাঙচুর করা হতে পারে। তবে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প লেখার কারণে কেউ বাড়িটি ভাঙচুর করতে আসেনি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ব্যানারটি খুলে ফেলা হয়েছে। এখন এসে দেখতে পারেন, ব্যানারটি আর নেই।

দাউদকান্দিতে পুলিশ পরিচয়ে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় পুলিশ পরিচয়ে প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে উপজেলার জিংলাতলী গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় মুকবুল হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা নগদ ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, তিন হাজার দুবাইয়ের দিরহামসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে বলে দাবি পরিবারের। পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ২টার দিকে মুকবুলের বাড়িতে কয়েকজন গিয়ে পুলিশ পরিচয়ে দরজা খুলতে বলে। মুকবুল দরজা খুললে অস্ত্রধারী মুখোশ পরা ডাকাত দল তার দুবাই প্রবাসী ছেলে সাকিলসহ পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে ডাকাত দল ঘরের আলমারি থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, বিদেশি মুদ্রাসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সাইদুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শৈলকুপায় মসজিদে স্যান্ডেল হারানো নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০

মসজিদে তারাবির জামাত থেকে স্যান্ডেল হারানো নিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের গোকুলনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। যদিও পুলিশ ধারণা করছে, খেলার ছলে কোনো কুকুর মসজিদের বারান্দা থেকে স্যান্ডেল নিয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, গোকুলনগরে আধিপত্য বিস্তারসহ নানা বিষয় নিয়ে আব্দুল মালেকের লোকজনের সঙ্গে আমজাদ হোসেনের পক্ষের বিরোধ চলছে। গ্রামের মসজিদে উভয় পক্ষের লোকেরাই তারাবির নামাজ পড়েন। গত কয়েকদিনে মালেকের সমর্থকদের স্যান্ডেল নামাজ পড়ার সময় মসজিদের সিঁড়ি থেকে হারিয়ে যায়। বুধবার রাতেও তাদের কয়েকজনের স্যান্ডেল হারিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে নামাজের পর মালেকের সমর্থকদের সঙ্গে আমজাদের পক্ষের তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ১০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, গোকুলনগর গ্রামে তারাবির নামাজের সময় সম্ভবত কুকুর খেলার ছলে স্যান্ডেল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গ্রামের এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করতে থাকে। বিষয়টি এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওড়না ঠিক করে পরতে বলায় যুবককে গ্রেফতার ভালো লক্ষণ নয়: রেজাউল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘রমজান মাসের মূল শিক্ষা হলো আল্লাহ-ভীতি অর্জন করা। মানুষের জীবনের সব ক্ষেত্রে আল্লাহ-ভীতি অর্জন করতে পারলে এ ধরনের মানুষ দ্বারাই কেবল দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব। মানুষের মধ্যে আল্লাহর ভয় না থাকায় দেশের সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছে। যে ব্যক্তির অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকে সে কখনও রাষ্ট্রের সম্পদ কুক্ষিগত করতে পারে না। কোনও প্রকার পাপ কাজে জড়াতে পারে না। সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহভীরু শাসক প্রতিষ্ঠিত হলে দেশ দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব।’ মুফতি রেজাউল করীম বলেন, ‘হিজাব নিয়ে নতুনভাবে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। প্রকাশ্যে ধূমপান দেশের আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ এ কথা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্মরণ করিয়ে দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে নাস্তিক্যবাদী শাহবাগীরা মাঠে নেমেছে। রমজান মাসে প্রকাশ্যে ধূমপান করা ইসলামের বিধি-বিধানের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। অপরদিকে ওড়না ঠিক করে পরতে বলায় যুবককে গ্রেফতার। এসব খুব ভালো লক্ষণ নয়। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে ইসলাম বিদ্বেষীদের দ্বারা ফেল করানোর হুমকি দিয়ে ছাত্রীদের হিজাব খুলতে বাধ্য করা, শ্রেণিকক্ষে শত শিক্ষার্থীর সামনে পর্দার কারণে মেয়েদের হয়রানি করা, ভাইভা বোর্ড থেকে পর্দাশীল প্রার্থীদের গালি দিয়ে কাঁদিয়ে বের করে দেওয়ার মতো অসংখ্য ঘটনায় কোনও প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি কথিত এসব নারী স্বাধীনতাকামীদের। তাহলে পর্দা করতে বললে দোষ হবে কেন? রমজানের প্রতি ন্যূনতম সম্মানবোধ তো নেই-ই, এখন তথাকথিত নারীরা ইসলামের বিধানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করছে।’ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বরিশালের চরমোনাই মাদ্রাসা ময়দানে পবিত্র রমজান উপলক্ষে ১৫ দিনব্যাপী তালিম-তারবিয়াতের কার্যক্রমে জোহরের নামাজের পর আলোচনায় চরমোনাই পীর এসব কথা বলেন। আলোচনায় পীর সাহেব চরমোনাই ছাড়াও নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম, মাদ্রাসার শিক্ষক এবং চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীম অংশ নেন। চরমোনাই পীর বলেন, ‘রাষ্ট্রের সর্বত্র অশান্তি বিরাজ করছে। মানুষ মানুষকে হত্যা করছে। এ অবস্থায় রমজানের শিক্ষা গ্রহণ করে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ নেতা বহিষ্কার

সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা মহানগরের ৪ নেতাকে সাংগঠনিক পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন- যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুর রহমান, যুগ্ম সদস্যসচিব সৈয়েদ আবদুল্লাহ, যুগ্ম সদস্য সচিব রাকিব হাসান সুজন ও সংগঠক সাফওয়ান ইফাজ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা মহানগরের আহ্বায়ক আল শাহরিয়ার ও সদস্যসচিব জহুরুল তানভীর বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে কোনোরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। পরবর্তীতে তাদের কোনো কার্যক্রমের দায়ভার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা মহানগর নেবে না। সংগঠনের আহ্বায়ক আল শাহরিয়ার, সদস্যসচিব জহুরুল তানভীর ও মুখপাত্র আয়মান আহাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সাংবাদিকদের সম্মানে লক্ষ্মীপুরে ছাত্রশিবিরের ইফতার মাহফিল

সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে লক্ষ্মীপুর শহর ছাত্রশিবির। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আবদুল আউয়াল হামদুর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ফারুক হোসাইন নুরনবী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল, সাবেক সভাপতি আ.হ.ম মোশতাকুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক সেলিম উদ্দিন নিজামী, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ, জামায়াত নেতা আবদুল আউয়াল রাসেল ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেলসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা। সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অতীতেও সাংবাদিকরা দেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা কোনো চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নেই। অতীতে সংগঠনের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। শুধুমাত্র ছাত্রদের মানোন্নয়নেই কাজ করে শিবির। পরে ইফতারের আগে দেশ ও জাতীর কল্যাণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

সনদ জালিয়াতি করে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী (হারবার) আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও অভিজ্ঞতার ভুয়া সনদ দিয়ে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে গত পাঁচ বছর বন্দরে চাকরি সুবাদে নানা অনিয়ম করে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তাকে বন্দর থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঢাকা কার্যালয়ে বদলি করা হয়। বর্তমানে এখানে কর্মরত আছেন। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার অ্যান্ড মেরিন শাখা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে আবুল কালাম আজাদ সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) এবং নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) পদে আবেদন করেন। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার থেকে পাস করায় সহকারী প্রকৌশলী এবং নির্বাহী প্রকৌশলী পদে তার আবেদনের কোনও সুযোগ ছিল না। কিন্তু তৎকালীন সরকারদলীয় নেতাদের তদবিরে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সনদ না থাকা সত্ত্বেও সনদ জালিয়াতি করে চাকরি নেন তিনি। বন্দর কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পায়রা বন্দরে নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) পদে নিয়োগের যোগ্যতা হিসেবে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) ডিগ্রি এবং সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে সংশ্লিষ্ট কাজে কমপক্ষে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে মর্মে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল। কিন্তু আবুল কালাম আজাদ ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী হওয়ায় আবেদনের সুবিধার্থে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির নামে একটি জাল সনদ তৈরি করেন। ওই সনদ তৈরিতে তাকে ছাত্রলীগের একজন সাবেক সভাপতি সহযোগিতা করেছেন। অথচ আবুল কালাম স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হননি। তার আবেদনে উল্লেখ করেন, ২০০২ সালে একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার) হিসেবে কাজ শুরু করেন। বন্দরের এই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, সনদ জালিয়াতি করে চাকরি নেওয়ার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় তার চাকরি নেওয়া এবং পাসের তারিখ দেখলে। অর্ধাৎ পাস করার আগেই সনদ জমা দিয়েছেন। ২০০৯ সালের ৪ নভেম্বর ওই ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান তাকে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি দেয় এবং সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে ওই পদে ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। অর্থাৎ ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে চার বছর কর্মরত ছিলেন; যা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত অভিজ্ঞতা থেকে এক বছর কম। এ ছাড়া জাল সনদ অনুযায়ী, তিনি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছেন ২০১০ সালের এপ্রিলে। অথচ পাস করার প্রায় ছয় মাস আগে অর্থাৎ ২০০৯ সালের ৪ নভেম্বর তিনি সহকারী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পেয়েছেন মর্মে তার আবেদনে উল্লেখ করেন। এই হিসেবে তার বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সনদ ও অভিজ্ঞতার সনদ ভুয়া বলে প্রতীয়মান হয়। ভুয়া সনদ অনুযায়ী অভিজ্ঞতা পাঁচ বছরের কম থাকা সত্ত্বেও অবৈধ পন্থায় তাকে নিয়োগ দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের কর্মকর্তাদের প্রথম বেসিক প্রফেশনাল ট্রেইনিং কোর্সের সুভেনিয়র বইতে তার এসব যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার বিষয়টি উল্লেখ আছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, নিয়োগ পাওয়ার পর বন্দরের সব ধরনের উন্নয়নকাজের নিয়ন্ত্রণ নিতে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন গঠন করেন। অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে বন্দরের কাজ করাতেন তিনি। পরবর্তীতে রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও ম্যন্টেইন্যান্স ড্রেজিং প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক হওয়ার জন্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও নৌপরিবহন মন্ত্রীকে দিয়ে তদবির করান। তাদের তদবিরে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আজাদকে ক্যাপিটাল ও ম্যন্টেইন্যান্স ড্রেজিং প্রকল্পের উপপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেন। এ সুযোগে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। এ নিয়ে অভিযোগ উঠলে তাকে সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পায়রা বন্দর থেকে ২০২৩ সালে বিআইডব্লিউটিতে বদলি করা হয়। অভিযোগ আছে, বন্দরে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার শান্তিনগরে ১৫৫০ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট কিনেছেন; যার একটিতে নিজে থাকেন এবং অন্যটি ভাড়া দিয়েছেন। পায়রা বন্দর এলাকায় কয়েক কোটি টাকার জমি কিনেছেন। ঢাকার রামপুরা এলাকায় একটি প্লট ও একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি এখন পায়রা বন্দরে নেই। বর্তমানে ঢাকায় বিআইডব্লিউটিতে কর্মরত আছি। আর এসব অভিযোগের বিষয়ে আমার কাছে প্রশ্ন করে কোনও লাভ নেই। যারা অভিযোগ করেছে তাদের বলেন, তথ্য-প্রমাণসহ আমার মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে। তখন মন্ত্রণালয় তদন্ত করে অনিয়ম-দুর্নীতি পেলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’

ছাত্র-জনতার নামে সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্য চলছে: আইজিপি

ছাত্র-জনতার নাম করে সন্ত্রাসীরা নৈরাজ্য চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় মিলনায়তনে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ কর্মশালায় তিনি বলেন, ‘শক্ত হাতে নৈরাজ্য রুখে দেওয়া হবে।’ আইজিপি আরও বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যা-নির্যাতনে জড়িত অপরাধী পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বাহিনীর গৌরব ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’ কর্মশালায় অংশ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গত ১৬ বছর ফরমায়েশি রায় দিয়েছেন বিচারকরা।’ এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘এই সংস্কৃতি বাংলাদেশে ফিরে আসতে দেওয়া হবে না।’ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত সময়ে বাংলাদেশকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, জড়িতদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আয়নাঘরসহ অপরাধে জড়িতদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’ কর্মশালায় রংপুর বিভাগের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচারবিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেন। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মো. মাহবুবুর রহমান। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন অসুবিধার কথা তুলে ধরেন এবং তার প্রতিকার চান। বিশেষ করে চার্জশিট দেওয়ার পর আসামি খালাসের বিষয়ে কথা বলেন পুলিশ ও বিচারকরা।

ডিলারের ট্রলি থামিয়ে চাল লুট, বিএনপি নেতার পদ স্থগিত

যশোরের শার্শায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এক ডিলারের ১৫৫ বস্তা চাল লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার জন্য উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস ও তার ভাই ইবাদুল ইসলাম কালুকে দায়ী করেন ভুক্তভোগী। গতকাল বুধবার (৫ মার্চ) এ ঘটনার পর প্রশাসনের চাপে চাল ফেরত দেন তারা। তবে রাতেই যশোর জেলা বিএনপি রুহুল কুদ্দুসের দলীয় পদ স্থগিত করে। অভিযোগকারী শাহজাহান কবির কায়বা ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের ডিলার। তার ভাষ্য, বুধবার সকালে বাগআঁচড়া খাদ্যগুদাম থেকে চাল নিয়ে কয়েকটি ট্রলি তার ডিলার পয়েন্টের উদ্দেশে পাঠান। পথে বাগআঁচড়া বকুলতলায় পৌঁছালে বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে তার ভাই ইবাদুল ইসলাম কালু ট্রলিগুলোর গতিরোধ করেন। তারা চালককে জিম্মি করে ১৫৫ বস্তা চাল নিজেদের গুদামে নামিয়ে রাখেন। এ বিষয়ে জানতে তিনি রুহুল কুদ্দুসের নম্বরে কল দিলে তিনি (রুহুল) পাল্টা গালাগাল ও হুমকি-ধমকি দেন। বিষয়টি তিনি প্রশাসনকে জানান। তাদের চাপে দেড় ঘণ্টার পর চাল ফেরত পেয়েছেন। ইবাদুল ইসলাম কালু দাবি করেন, তিনি ডিলার শাহজাহান কবিরের কাছে টাকা পাবেন। তাই ট্রলি আটকে চাল নামিয়ে রেখেছেন। তবে ডিলার শাহজাহান কবির বলেন, ইবাদুলের দাবির কোনো ভিত্তি নেই। বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুসের ভাষ্য, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি কোনো চাল লুট করিনি। আমার ভাই ডিলারের কাছে টাকা পাবে। তাই ট্রলি আটকে রেখেছিল। পরে চাল ফেরত দেওয়া হয়েছে। শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম রবিউল ইসলাম বলেন, তাঁকে ইউএনও চাল উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এর পরপরই জানতে পারেন, চালের ট্রলিগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শার্শার ইউএনও কাজী নাজিব হাসান জানান, বিষয়টি শুনেই তিনি শার্শা থানার ওসিকে চাল উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এদিকে চাল লুটের অভিযোগ ওঠার পর রুহুল কুদ্দুসের দলীয় পদ স্থগিত করে বিএনপি। বুধবার রাতে যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ‘ধর্ষণের শিকার’ শিশু

মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়ি বেড়াতে এনে এক শিশু ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ এসেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন মাগুরা সদর থানার ওসি আয়ুব আলী। আট বছর বয়সি শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে আনা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফদিরপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বড় মেয়ের বরাতে শিশুটির মা বলেন, তার ছোট মেয়ে বড় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। ঘটনার সময় শিশুটি ছাড়া কেউ ঘরে কেউ ছিল না। এই সুযোগে কেউ একজন ঘরে ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরে বড় মেয়ে বাড়ি এসে তার ছোটবোনকে অচেতন অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। তখন দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। শিশুটির জ্ঞান না ফেরায় বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছে। মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুবাস রঞ্জন হালদার বলেন, “তাকে প্রথমে শ্বাসকষ্টের রোগী হিসেবে নিয়ে আসা হয়। পরে মেডিসিন বিভাগে নিয়ে গেলে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার আলামত পাওয়া যায়। মেয়েটির অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়।” মাগুরা সদর থানার ওসি আয়ুব আলী বলেন, মাগুরা শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নিজনান্দুয়ালী এলাকায় শিশুকে ধর্ষণের মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।

হাঁসে পাড়া কালো ডিমে এলাকায় চাঞ্চল্য

সোনার ডিম পাড়া হাঁসের গল্প শুনে যে কৌতুহল জনমনে, সেই কৌতুহল নিয়েই পাতি হাঁসের পাড়া কালো ডিম নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। একটি দেশি পাতি হাঁস কালো রঙের কয়েকটি ডিম পেড়েছে এমন খবরে এলাকায় তৈরি হয়েছে কৌতুহল। ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া এলাকার সরদার ডাঙ্গী গ্রামের মো. ইয়াছিন সরদারের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে। পরিবার থেকে জানা যায়, এক বছর আগে পাশের বাড়ি থেকে ছয়টি হাঁসের বাচ্চা কিনেছিলেন ইয়াছিন সরদারের স্ত্রী হামিদা আক্তার। সবগুলো হাঁস স্বাভাবিক রঙের ডিম দিলেও গত কয়েক মাস আগে থেকে একটি হাঁস হঠাৎ করে কালো রঙের ডিম পাড়া শুরু করে। প্রথমে এই ডিম দেখে তারা অবাক হয়ে যান। সাপ অথবা অন্য প্রাণির ডিম ভেবে কাউকে না জানিয়ে রেখে দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হয়। স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, পাতিহাঁসের কালো ডিম দেখতে ওই বাড়িতে প্রতিদিন দূর-দুরন্ত থেকে আগত লোকজনের সমাগম ঘটছে। গৃহবধূ স্ত্রী হামিদা আক্তার জানান, প্রায় এক বছর আগে পাশের বাড়ির এক ভাবীর কাছ থেকে ছয়টি হাঁসের বাচ্চা কিনেছিলাম। এর মধ্যে একটি হাঁস কয়েক মাস আগে ৩/৪ টি কালো রঙেয়ের ডিম পাড়ে। ডিমের রঙ গাঢ় কালো দেখে মনে করি এটা অন্যকোন প্রজাতির ডিম। গত কয়েকদিন আগে আবার পরপর ৪/৫টি ডিম পাড়ে। তখন ডিমগুলো মানুষদের দেখালে এলাকায় আশপাশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে হামিদার স্বামী ইয়াছিন সরদার জানান, কালো রঙয়ের ডিম দেখে প্রথমে অবাক হয়েছি। হাঁসটি কালো রঙয়ের ডিম ছাড়া সাদা ডিমও পাড়ে। এক বছর বয়সী হাঁসটি সাদা রঙয়ের ডিমের পাশাপাশি গত কয়েক মাসে মোট ৮/৯টি ডিম পেড়েছে। ডিম নিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার স্মরণাপন্ন হলে তিনি বলেন এটি খাওয়া যাবে এবং এর গুণগত মান স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান। পরে একটি ডিম রেখে সবগুলো খেয়ে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী মজুমদার জানান, প্রাণিদেহের বিলিভার্ডিন কম-বেশি হওয়ার কারণে ডিমের খোলসের রঙ নীলচে বা সবুজাভ হয়ে থাকে। এ ছাড়া জরায়ুতে ডিমের খোলসটি পরিণত হওয়ার সময়ে গাঢ় সবুজ রঙের পিত্তরস বেশি থাকতে পারে। ওই দুটি উপাদান জরায়ুতে বেশি থাকলে তা থেকে ডিমটির রঙ কালো হতে পারে। তিনি আরও বলেন, কালো রংয়ের এ ডিম খেতে কোনো সমস্যা নেই। জেনেটিক কারণে হাঁসের ডিমের রঙ কালো হতে পারে।

কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে ৫ গরু চুরি, ভিডিও আলোচনায়

গভীর রাতে খামারের কর্মচারীদের বেঁধে পাঁচটি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে চোরের দল। গরু চুরির ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের বসন্তপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ভিডিওটি ভাইরাল হতে থাকে। পরে বিষয়টি সবার নজরে আসে। এ ঘটনায় খামারের মালিক হানিফ মিয়া বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেছেন। হানিফ মিয়া চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বসন্তপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি একজন মাংস ব্যবসায়ী। ভাইরাল ওই সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, গামছা দিয়ে মাথা বাঁধা এক চোর প্রথমে খামারটিতে প্রবেশ করে একটি গরু টেনে বের করছে। এ সময় খামারে প্রবেশ করে গামছা দিয়ে মুখ ঢাকা আরও দুই চোর। খামারের ডান পাশের খাটের ওপর মশারির নিচ থেকে বৃদ্ধ লোক বের হতে চেষ্টা করলে তাকে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে চোর চক্র। দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখে খাটে। পরে একে একে আরও চারটি গরু নিয়ে পালিয়ে যায় চক্রটি। এ ঘটনার পরদিন চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেছেন খামারের মালিক হানিফ। খামারটির মালিক জানান, খামারে গরুগুলো রেখে বসন্তপুর বাজারে জবাই করে মাংস বিক্রি করেন। রোজার আগের দিন ১ মার্চ রাতে তার খামারের দুই কর্মচারী ইদ্রিস ও রানা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৩টার দিকে একদল চোর খামারে প্রবেশ করে খাটে শুয়ে থাকা খামারের দুই কর্মচারী ইদ্রিস ও রানার হাত-পা বেঁধে ফেলে। খামারে থাকা ৭টি গরুর মধ্যে একে একে তারা ৫টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। গরুগুলোর মূল্য সাড়ে ৮ লাখ টাকা। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন বলেন, ‘খামারের মালিক মামলা করেছেন। পুলিশ তদন্ত করছে। চোরচক্রকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর চেষ্টা চলছে।’

ছিনতাইয়ের অভিযোগে স্থানীয়দের হাতে আটক পুলিশ কর্মকর্তা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছিনতাইয়ের অভিযোগে ফিরোজ রানা নামে পুলিশের এক সহকারি উপ-পরিদর্শককে দুই ঘণ্টা আটকে রাখে স্থানীয় জনতা। পরে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠায় ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের হোসেনডাইং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত ফিরোজ রানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিল। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) ওয়াসিম ফিরোজ বিষিয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানায়, বুধবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এএসআই ফিরোজসহ আরও তিনজন পুলিশ সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে হোসেনডাইং এলাকায় একটি মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। এ সময় ওই মোটরসাইকেল চালক পালিয়ে এসে গ্রামের লোকজনকে জানায়। পরে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে ফিরোজসহ তিনজনকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। তবে বাকিরা পালিয়ে গেলেও ফিরোজ রানাকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। এদিকে, স্থানীয়দের ধারণ করা ওই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে সদর মডেল থানার ওসি মতিউর রহমানকে তার পরিচয় নিশ্চিত করে উত্তেজিত জনতার সামনে বলেতে শোনা যায়, তাকে ছিনতাইকারি হিসেবেই গ্রেপ্তার করা হলো। হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর যারা পালিয়ে গেছে তারা যেই হোক তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। এটা আমার লজ্জা, আমার ইউনিফর্মের লজ্জা। অপরদিকে, ঝিলিম ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম মনি জানান, সাদা পোশাকে ছিলেন এএসআই ফিরোজ। স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে ফেলার পর নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দেন এবং সঙ্গে থাকা পরিচয়পত্র দেখান। পরে খবর পেয়ে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা এসে রাত সোয়া ১১টার দিকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ইউপি সদস্য মনিরুল আরও জানান, এর আগেও হোসেনডাইং এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। তাই স্থানীয় জনতা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ ছিলেন। মুহূর্তের মধ্যেই ঘটনাস্থলে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) ওয়াসিম ফিরোজ জানান, বুধবার রাতে ফিরোজ রানা সদর পুলিশ ফাঁড়িতে ডিউটি অফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। ডিউটি অফিসার থাকা অবস্থায় কোনো অভিযানে যাওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও তিনি (ফিরোজ রানা) দাবি করেছেন যে সোর্স নিয়ে মাদক উদ্ধারে গিয়েছিলেন। তবে মাদক উদ্ধারে যাওয়ার আগে তিনি ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাননি। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, তার বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠায় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার তদন্তের জন্য একটি তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগে এএসআই ফিরোজ রানা ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদান করেন।

উদ্ধার হওয়া অস্ত্রটি সিএমপি’র কোতোয়ালী থানা থেকে লুট করা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ‘গণপিটুনিতে’ জামায়াতের দুই কর্মী হত্যার পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তলটি নগরীর কোতোয়ালী থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সনতু। তিনি বলেছেন, 'সেখানে একই ধরনের আরও অনেক অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। পুলিশের অনেক অস্ত্র খোয়া গেছে। এ অস্ত্রগুলো কীভাবে কাদের কাছে গেল, সেগুলো অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।' সোমবার রাতে সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা চূড়ামনি গ্রামে ‘ডাকাত সন্দেহে’ দুই জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছিল পাঁচজন। নিহতরা হলেন- পাশের কাঞ্চনা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. নেজাম উদ্দিন ও আবু সালেক; যাদেরকে নিজেদের কর্মী দাবি করে জামায়াত ইসলামী বলছে, হত্যাকাণ্ডটি ছিল ‘পরিকল্পিত’। পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বলেন, 'আধিপত্য বিস্তারে অভ্যন্তরীণ বিরোধে খুন হয় নেজাম ও সালেক। ঘটনার দিন তারা সাতটি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে সেখানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের অস্ত্র প্রদর্শন করেছিলেন।' ঘটনার দিনসহ নিহতরা সেখানে গত তিন মাসে নয়বার গিয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, 'তারা চাঁদার জন্য নিয়মিত সেখানে যেতেন বলে পুলিশ তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে। চার-পাঁচ দিন আগেও তারা সেখানে গিয়ে এক মেম্বারের স্ত্রীকে থাপ্পড় মেরেছিলেন; যার কারণে জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।' সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি জায়েদ হোসেন মঙ্গলবার বলেন, “নিহত দুজনই ওই এলাকার পরিচিত ব্যক্তি। তাদের না চিনে গণপিটুন দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। সালিশী বিচারের নামে ফন্দি করে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।” জামায়াত নেতা জায়েদের ভাষ্য, ফ্যাসিস্টদের চক্রান্তে জেনেশুনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটনানো হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা কাউকে সেখানে যেতে দেয়নি। সড়কে গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছিল। পরে মারধর করে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর মাইকে ডাকাত হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সনতু বলেন, অনেকেই অনেক রাজনৈতিক কথা বলছেন। বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের কোনো ব্যক্তি বা চেয়ারম্যানের উপস্থিতি ছিল কি না… আসলে আমরা কিন্তু এ ধরনের কোনো ব্যক্তি বা চেয়ারম্যানের উপস্থিতি খুঁজে পাইনি। এমনকি সেখানে তাদের কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের শক্ত অবস্থানও আমরা খুঁজে পাইনি। পুলিশ সুপারের ভাষ্য, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্যদের ধরতে পুলিশ নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। সেখানে তাদের থাকার কোনো সুযোগ নেই। ‘ঘটনার দিন গুলি ছুঁড়েছিল নেজাম’ পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার দিন নেজাম সেখানে গিয়ে অস্ত্র ওপেন করেছিল। হত্যাকাণ্ডের পর সেখান থেকে যে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছিল, সেটি সিএমপি’র কোতোয়ালী থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র। সেখানে অনেক অস্ত্র প্রদর্শিত হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছিল, সব একই ধরনের পিস্তল। “আমাদের পুলিশের অনেক অস্ত্র খোয়া গেছে। এ অস্ত্রগুলো কীভাবে কাদের কাছে গেল, সেগুলো অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়। এগুলো আমাদের খুঁজতে হচ্ছে এবং এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।” পুলিশ সুপার বলেন, “কোনো অবস্থাতে ভাবার সুযোগ নেই- প্রশাসন নির্বিকার হয়ে গেছে। আমরা আমাদের মত প্রকৃত সত্য ঘটনা উদঘাটনের জন্য যা কিছু দরকার, সবগুলো করব। সেজন্য একটু সময় নিচ্ছি। প্রকৃত ঘটনা কী, সেটা আমাদের উদঘাটন করা দরকার।” মামলা হয়নি তিন দিনেও এদিকে হত্যাকাণ্ডের তিন দিনেও কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় দুইটি পক্ষ আছে। “একটা পক্ষ যারা আহত হয়েছেন এবং আরেকটি পক্ষ যারা মারা গেছে। কোনো পক্ষ থেকেই কোনো মামলা হয়নি। যেহেতু সেখানে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, সিআরপিসি ও পিআরবি অনুযায়ী পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অস্ত্র মামলা করা হয়েছে।” স্থানীয়ভাবে জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা নেজাম ৫ অগাস্ট পরবর্তী সময়ে দেশে আসেন। সাতকানিয়ার কাঞ্চনা ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন তিনি। এওচিয়ার সাবেক এক চেয়ারম্যানের মাছের খামার ও ইটভাটা লুটের অভিযোগও আছে নেজামের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময়ে দখল-বেদখলের সঙ্গে জড়িত ছিল বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ। স্থানীয়দের ভাষ্য, ঘটনার দিন কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে নেজাম ও সালেক দলবল নিয়ে সোমবার রাতে ছনখোলা গ্রামে প্রবেশ করে। এসময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায় এবং মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার পর সাতকানিয়ার ওসি জাহেদুল ইসলামও জানিয়েছিলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা, একটি পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলির খোসা জব্দ করেছেন তারা। নিহত সালেকের বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা, বিস্ফোরকসহ পাঁচটি ও নেজামের বিরুদ্ধে একটি মামলা আছে বলে পুলিশের ভাষ্য।

ব্রিজের রড চুরির অভিযোগে বিএনপির তিন নেতাকে বহিষ্কার

পিরোজপুরের নাজিরপুরে ব্রিজের ছাউনি ভেঙে রড চুরির অভিযোগে তিন নেতাকে দলীয় পদ থেকে বহিস্কার করেছেন জেলা বিএনপি। বুধবার রাতে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব গাজী অহিদুজ্জামান লাভলু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিস্কারের কথা জানানো হয়। তারা হলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সরদার সাফায়েত হোসেন শাহীন, ওই ইউনিয়ন যুবদলের প্রচার সম্পাদক মো. হেদায়েত খান (৫০) এবং একই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (৪৫) । প্রেস বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, দলীয়শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিদেশ এবং পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব ধরনের দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। জানা গেছে, সোমবার গভীর রাতে উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর বানিয়ারী গ্রামে লোহার ব্রিজের ছাউনির ঢালাই ভেঙে প্রায় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের লোহার রড চুরি করে নেন অভিযুক্তরা। স্থানীয়রা এ সময় ভাঙায় বাধা দিলে অভিযুক্তরা তাদের হত্যার হুমকি দিয়ে ব্রিজে থাকা লোহার রড নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম হেকমত বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা সরদার সাফায়েত হোসেন শাহীনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, এক বছর আগে এডিবির আওতায় ওই সেতুটির ছাউনিটি ঢালাই দেওয়া হয়।