আমার এলাকার খবর

ভারতীয় সিগারেট পাচারের সময় বিএনপি নেতাসহ আটক ৪

রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় ভারতীয় অবৈধ সিগারেট পাচারের সময় বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাসহ চার জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। কাউখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সোহাগ জানান, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ভোরে উপজেলার পানছড়ির উগলছড়ি বেতছড়ি এলাকা থেকে ৩১ কার্টন সিগারেটসহ তাদের আটক করা হয়। জব্দ করা সিগারেটের দাম আনুমানিক ৩২ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে কাউখালী থানা পুলিশ। অভিযানে অংশ নেন কাউখালী থানা পুলিশের ওসি সাইফুল ইসলাম সোহাগ। পুলিশ এ সময় বতছড়ি এলাকার একটি বাড়ি থেকে এই অবৈধ সিগারেট উদ্ধারের পর জব্দ করে। আটককৃতরা হলেন– কাউখালী উপজেলা কৃষক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ইসমাইল (৩৮), উপজেলা তাঁতী দলের যুগ্ম সম্পাদক মো. রিপন (৩৫), কাউখালী উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ (৪০), ওই বাড়ির মালিক মো. শামসুদ্দিন। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাঙামাটি জেলার ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিভিন্ন রুট ব্যবহার করে এসব ভারতীয় অবৈধ সিগারেট পাচার করে আসছে পাচারকারী একটি সংঘবদ্ধ চক্র। বৃহস্পতিবার পাচারের লক্ষ্যে ভারতীয় ৩১ কার্টন ওরিশ ও মুন সিগারেট পাচারের জন্য নিয়ে আসে। ভোর হয়ে যাওয়ায় আটককৃতরা বেতছড়ি এলাকার জনৈক শামসুদ্দিনের বাড়িতে লুকিয়ে রাখে। এরই মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে সিগারেটসহ চার জনকে আটক করে। কাউখালী থানার ওসি জানিয়েছেন, অবৈধ ভারতীয় সিগারেট আটকের ঘটনায় কাউখালী থানার এসআই জুলফিকার বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কাউখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আটক চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তারা ছাড়াও যদি কেউ জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কারও অভিযান চালানোর এখতিয়ার নেই’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কারও অভিযান চালানোর কোনো এখতিয়ার নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মব জাস্টিস কমছে না। বাসা-বাড়িতে ঢুকে মব জাস্টিসসহ বিদেশিদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি দ্বিমত করব না হচ্ছে। তবে যেখানে হচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। পুলিশের ওপরেও হামলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে জনগণকে সচেতন করতে হবে। জনগণ এমন উচ্ছৃঙ্খল হয়ে গেলে অনেক সময় কিন্তু সমস্যা হয়। বাহিনী দিয়ে তো সবসময় কন্ট্রোল (নিয়ন্ত্রণ) করা যায় না। তিনি বলেন, আপনাদেরও (সাংবাদিক) একটা বড় ভূমিকা পালন করতে হবে যাতে করে মব জাস্টিসের মতো ঘটনা না ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় তৎপর আছে। যে জায়গায় মব জাস্টিস হচ্ছে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা (মব জাস্টিস) না ঘটে সেজন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাসা-বাড়িতে হুট করে অভিযানের নামে লুটপাটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কোনো অভিযান চালানোর কারও এখতিয়ার নেই। সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি হচ্ছে, সামনে ঈদ। কীভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতে যেন না হয় সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। হাইওয়েতে ডাকাতির রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে রাজশাহী জোনেই ডাকাতির সংখ্যাটা একটু বেশি। টাঙ্গাইলেও বেশি হয়। তবে ডাকাতি যেন না হয় সেজন্য ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ইন্সট্রাকশন দিয়েছি। তারা আগের চেয়ে অনেক তৎপর হচ্ছে। আরেক প্রশ্নে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঈদে চাঁদাবাজি যেন না হয় এবং ছিনতাই যেন না হয় এজন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। ছিনতাইবিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। টুরিস্ট পুলিশে জনবলের অনেক ঘাটতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের জনবলের অনেক ঘাটতি রয়েছে। তাদের নিজেদের কোনো থানার জায়গা নেই। ভাড়া ভবনে থাকে। পাশাপাশি যানবাহনেরও অনেক সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যেই ট্যুরিস্ট পুলিশ ভালো কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের দেশে ট্যুরিস্ট পুলিশ অ্যাক্টিভ (সক্রিয়) হলে বিদেশি ট্যুরিস্ট আমাদের দেশে আসবে এবং অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখবে। তিনি বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের সংখ্যা অনেক কম হলেও স্পট অনেক বেশি। তাই তাদের জনবল বাড়ানো দরকার।

টিসিবির লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ

নাটোরে খোলা বাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রির সময় লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে ক্রেতাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে শহরের বড়হরিশপুর পয়েন্টে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, খোলা বাজারে টিসিবির পণ্য নিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নাটোর শহরের পাঁচটি পয়েন্টে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। পরে দুপুরের দিকে টিসিবির পণ্যবাহী ট্রাক এসে পণ্য বিতরণ করতে থাকে। এ সময় লাইনে দাঁড়ান ওকে কেন্দ্র করে ভোক্তাদের মধ্যে সংঘর্ষের সূচনা ঘটে। এ সময় মারপিটে বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনা সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’ তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি। ‘অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পাবিপ্রবির ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীদের হাতে কোরআন তুলে দিল ছাত্রশিবির

কোরআন শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ৫ শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে পবিত্র আল কোরআন বিতরণ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। ছাত্রশিবিরের পাবনা শহর শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে পাবিপ্রবির প্রধান ফটকের সামনের সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ মাঠে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম শিক্ষার্থীদের হাতে কোরআন তুলে দেন। পাবনা শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফিরোজ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়া এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ছ ম তরীকুল ইসলাম, পাবনা শহর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি গোলাম রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম হেলাল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে সাদিক কায়েম বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট আন্দোলন নিয়ে এখন নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু আমরা এই ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না। ২৪’-এর আন্দোলন ব্যর্থ হলে পুরো প্রজন্ম ব্যর্থ হবে। আমরা অমাদের কোনো ছোটখাটো স্বার্থ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের স্বার্থে এক সঙ্গে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।’

বরিশালে চলন্ত বাসে আগুন

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গ্রীনলাইন পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বাসটিতে তখন ২০ জন যাত্রী ছিলেন। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল উজিরপুর উপজেলার বামরাইলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা বিপুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ২৩ যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আছে গ্রিন লাইন পরিবহনের ওই বাসটি। পথে তিন যাত্রী নেমে যান। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে দক্ষিণ বামরাইল এলাকায় পৌঁছালে বাসটিতে আগুন দেখা যায়। এ সময় বাসে চালক, সহকারী ও সুপারভাইজারসহ ২০ জন আরোহী ছিলেন। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তারা গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় একঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু বাসটির ইঞ্জিন, পেছনের চাকা ও সবগুলো সিট পুড়ে গেছে।’ গৌরনদী মহাসড়ক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে আসে গ্রীনলাইন পরিবহনের একটি এসি বাস। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাসে আগুন ধরে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে চালক বাস মহাসড়কের পাশে রেখে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। তাই কোনো যাত্রীর ক্ষতি হয়নি। তবে বাসটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ ‘আগুন নেভানোর পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’

যুবদল নেতার বিরুদ্ধে ইউএনওর অফিস কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ

যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) দফতরের অ্যাকাউন্ট্যান্ট ক্লার্ক শাহীন আলমকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ইউএনওর দফতরের সামনে শহীদ মিনারে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদের নেতৃত্বে এ হামলা ও মারধরের অভিযোগ ওঠে। তবে হামলা ও মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেছেন মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদ। মণিরামপুর বিএনপির দুই গ্রুপের এক গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ ইকবাল হোসেন। অন্য গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুছা ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু। অভিযুক্ত মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদ মোহাম্মদ মুছা ও আসাদুজ্জামান মিন্টুর অনুসারী। ইউএনওর অফিসের অ্যাকাউন্ট্যান্ট শাহিন আলম বলেন, ‘অফিস শেষে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে ইউএনও অফিসের সামনের শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে সহকর্মী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এ সময় সাইফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল করে মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদ কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে সাইফুল বলে ওঠেন, শাহিন আমার সামনে আছে। তখন মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদ আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সাইফুল আমাকে ফোন ধরিয়ে দেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদকে চিনি। কিন্তু তার সঙ্গে আমার কখনও কথা হয়নি। আমি ফোন ধরতেই তিনি আমাকে গালমন্দ করতে থাকেন। আমি প্রতিবাদ করলে নানা হুমকি দিয়ে তিনি আমার অবস্থান জানতে চান। আমি অফিসের সামনে থাকার কথা বললে তিনি ফোন কেটে দেন। বিষয়টি নিয়ে নিয়ে তাৎক্ষণিক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু ভাইকে কল করি। কথা বলা শুরু করলে দেড় থেকে দুই মিনিটের মধ্যে মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন আমাদের কাছে আসেন। তখন তার সঙ্গে থাকা একজন আমার মাথায় থাপ্পড় মারেন। অন্য কয়েকজন ধাক্কাধাক্কি ও টানাহেঁচড়া করতে থাকেন। আসাদুজ্জামান মিন্টু ভাই মোবাইলে কথা বলার পর তারা চলে যান।’ শাহিন আলম বলেন, ‘বিষয়টি তখনই ইউএনও স্যারকে বলি। তখন স্যার জেলা প্রশাসক স্যারকে জানান। পরে থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে।’ কেন আপনার উপর চড়াও হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কারণ আমি বলতে পারছি না। তবে ধারণা করছি মণিরামপুরে ওএমএসে ডিলার নিয়োগের কার্যক্রম চলছে। রিয়াদ সম্ভবত ডিলার হতে ইচ্ছুক। সম্প্রতি এই বিষয়ে আমি মিন্টু ভাইয়ের (আসাদুজ্জামান মিন্টু) সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনা জানাজানি হলে রাতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু ইউএনও স্যারের বাসায় এসে দেখা করেন। এরপর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুছা, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু ও মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদ আমার কাছে এসে ভুল স্বীকার করেছেন। আমি তাদের বলেছি, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেনেছেন। এই বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।’ মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, ‘উপজেলা চত্বরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে একজন সরকারি কর্মচারীকে মারধর করা হয়েছে। ঘটনা জানার পরপরই জেলা প্রশাসক স্যারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন। এখনও পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত আমরা পাইনি।’

কিশোরগঞ্জ বার নির্বাচনে সভাপতিসহ পাঁচ পদে আওয়ামীপন্থীদের জয়

কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতি পদসহ ৫টি পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী ঘরানার প্রার্থী। আর সাধারণ সম্পাদকসহ ৯টি পদে জয়ী হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থীরা। আওয়ামী ঘরানার কোনো প্যানেল ছিল না। সবাই ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রার্থী হয়েছিলেন। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম মাহবুবুর রহমান। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শহিদুল আলম শহীদ ৪২১ ভোট পেয়ে টানা তৃতীয় বার সভাপতি হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৮০ ভোট। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম রতন ২৯১ ভোট পেয়ে টানা পঞ্চম বার সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শহীদুল ইসলাম হুমায়ুন পেয়েছেন ১৩৪ ভোট। সহ-সভাপতি হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্রার্থী মো. মানিক ও আওয়ামী ঘরানার প্রার্থী মো. আব্দুর রাশিদ ভূঞা। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অন্য বিজয়ীরা হলেন সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে নাদিরা সুলতানা সোমা ও শাহিনূর কলি। লাইব্রেরি সম্পাদক পদে মো. আব্দুল্লাহ আল বোখারী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে এএম সাজ্জাদুল হক, অডিটর পদে আবু বাক্কার সিদ্দিক। কমিটিতে ৫টি সদস্য পদ রয়েছে। সবাই সমঝোতার ভিত্তিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী ঘরানার সদস্য হলেন কফিল উদ্দিন, সারোয়ার জাহান সানি ও সোহাগ মিয়া। জাতীয়তাবাদী প্যানেলের সদস্যরা হলেন আবু তাহের হারুন ও আহসানুজ্জামান নাসির। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৬০৬ জন। ভোট দিয়েছেন ৫৩৭ জন।

বিএনপির কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ বলে তোপের মুখে কনকচাঁপা, ‘সরি’ বলে রক্ষা

সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক একটি কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ বলে নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন কণ্ঠশিল্পী রোমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে আলম চৌরাস্তায় উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সিরাজগঞ্জ-১ কাজীপুর সংসদীয় আসনের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আলোচনা সভায় ওই মন্তব্য করেন কনকচাঁপা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন দলের উপস্থিত নেতাকর্মীরা। পরে ‘সরি’ বলে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে রক্ষা পেয়েছেন কনকচাঁপা। এ সময় অন্য নেতারা মাইক হাতে নিয়ে নেতাকর্মীদের শান্ত করেন। পরে কনকচাঁপা বক্তব্য না দিয়েই মঞ্চে বসে থাকেন। শেষে প্রাইভেটকারে করে সভাস্থল ত্যাগ করার সময়ও, কিছু নেতাকর্মীকে আবারও কনকচাঁপাকে উদ্দেশ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ভিপি শামীম খান বলেন, ‘বক্তব্য চলাকালে কণ্ঠশিল্পী রোমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা একপর্যায়ে বেফাঁস একটি কথা বলেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক কমিটিকে পকেট বলে ফেলেন। এ সময় নেতাকর্মীরা তাকে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেন। পরে নেতাকর্মীদের শান্ত করা হয়।’ সভায় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য মজিবুর রহমান লেবু, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা ও রকিবুল করিম খান পাপ্পুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এবার বঙ্গোপসাগর থেকে ৫৬ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় ছয়টি মাছ ধরা ট্রলারসহ ৫৬ জন বাংলাদেশি জেলেকে মিয়ানমারে ধরে নিয়ে গেছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। স্থানীয়রা জানান, (৫ মার্চ) বুধবার দুপুরে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণের বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় অস্ত্রের মুখে আরাকান আর্মি ট্রলারগুলো নিয়ে যায়। ট্রলারগুলো এখনো ছেড়ে দেয়া হয়নি। ট্রলারে থাকা জেলেরা শাহপরীর দ্বীপ ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন। তিনি জানান, মিয়ানমারে ছয়টি ট্রলারসহ ৫৬ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন তারা আরাকান আর্মির জিম্মায়। তাদেরকে ফেরত আনতে কাজ চলছে বলে জানান ইউএনও।

মসজিদে স্যান্ডেল হারানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মসজিদে স্যান্ডেল হারানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) রাতে উপজেলার গোকুলনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে আধিপত্য নিয়ে দিগনগর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ওয়ার্ড সদস্য মতিয়ার রহমানের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত কয়েক দিন ধরে গ্রামের মসজিদে তারাবীহ নামাজে আব্দুল মালেকের লোকজনের স্যান্ডেল চুরি হয়। বুধবার আবার চুরি হলে উভয় পক্ষের লোকজনের মাঝে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সেতুর রড খুলে নিলেন বিএনপির নেতারা

পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরে বিএনপির তিন নেতার বিরুদ্ধে একটি লোহার সেতুর ছাউনি ভেঙে রড চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৩ মার্চ) গভীর রাতে উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর বানিয়ারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম হেকমত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর ও থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনার জন্য তিনি দায়ী করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও একই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সরদার সাফায়েত হোসেন শাহীনসহ তিনজনকে। অন্যরা হলেন ইউনিয়ন যুবদলের প্রচার সম্পাদক হেদায়েত ইসলাম ও ছাত্রদলের সাবেক নেতা জাহিদুল ইসলাম। অভিযোগে বলা হয়, উত্তর বানিয়ারী গ্রামের রিপন শিকদার বাড়ির সামনের একটি লোহার সেতু রয়েছে। সোমবার গভীর রাতে সেতুটির ছাউনির ঢালাই ভেঙে লক্ষাধিক টাকার লোহার রড চুরি করে নেওয়া হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ওই ব্যক্তিরা। এলাকাবাসী তাদের বাধা দিলে তাদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। বিএনপির নেতা সরদার সাফায়েত হোসেন শাহীন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘তিনি এমন কোনো ঘটনায় জড়িত নন।’ নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদ আল ফরিদ ভূঁইয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। মামলা নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।’ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘এক বছর আগে এডিবির আওতায় ওই সেতুটির ছাউনিটি ঢালাই দেওয়া হয়। এরই মধ্যে এ ঘটনার সংবাদ পেয়েছেন তারা।’

শ্রীপুরে মাগনা তরমুজ না পেয়ে ব্যবসায়ীকে পেটাল ছাত্রদল নেতা

গাজীপুরের শ্রীপুরে জোর করে তরমুজ নিতে বাধা দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে বেদম পিটিয়েছেন এক ছাত্রদল নেতা। মারধরের পর ওই ব্যবসায়ীর কাছে থাকা টাকা লুট করে প্রায় অর্ধশত তরমুজ সড়কে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ধারালো অস্ত্র উঁচিয়ে বাজারজুড়ে মহড়া দেন ওই ছাত্রদল নেতাসহ তাঁর সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার সাতখামাইর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সন্ধ্যার পর বাজারের শতাধিক ব্যবসায়ী বিক্ষোভ করে ওই ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। খবর পেয়ে থানা পুলিশের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে শান্ত হন ব্যবসায়ীরা। মারধরের শিকার ব্যবসায়ীর নাম এনামুল হক মুনসী (৪৮)। তিনি ওই এলাকার মৃত আবদুল কাদির আকন্দের ছেলে। এনামুল সাতখামাইর বাজারের মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী। অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতার নাম রমিজ উদ্দিন সৈকত (৩০)। তিনি একই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। সৈকত গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসম্পাদক। মারধরের শিকার এনামুল হক মুনসী জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে সৈকত তাঁর দোকানে গিয়ে ‘টেস্ট’ করার জন্য একটি তরমুজ চান। তিনি ফ্রিতে তরমুজ দিতে পারবেন না জানালে ক্ষেপে যান সৈকত। তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে প্রায় অর্ধশত তরমুজ সড়কে ছুড়ে ফেলে দেন। এরই মধ্যে তাঁর (সৈকত) আরও ১০ থেকে ১২ সহযোগী সেখানে জড়ো হন। পরে সৈকত তাঁকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে বেদম পেটান। একপর্যায়ে এক সহযোগী এনামুলের পকেট থেকে ফল বিক্রির সাত হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। তাঁর চিৎকারে ব্যবসায়ীরা ছুটে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। সাতখামাইর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি রাসেল আকন্দ জানান, ঘটনার পর সৈকতের নেতৃত্বে তাঁর কয়েকজন সহযোগী ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাজারজুড়ে মহড়া দেন। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ওই দিন সন্ধ্যার পর ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে শ্রীপুর-সাতখামাইর সড়কে বিক্ষোভ করেন। বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী তানজির আকন্দ বাবু জানান, তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রদর্শন করা ধারালো অস্ত্র উদ্ধারসহ সৈকত ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। বরমী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল আকন্দ রনি বলেন, ‘খবর পেয়ে থানা পুলিশের আলাদা তিনটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রদর্শন করা ধারালো অস্ত্র উদ্ধারসহ সৈকতকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে ব্যবসায়ীরা ফের দোকান খোলেন। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত রমিজ উদ্দিন সৈকত সমকালকে বলেন, এলাকার ছাত্রদলের নেতাকর্মী ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি তদারকি করছিলেন। এ সময় এনামুল তাদের গালাগাল শুরু করেন। এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, একটি অভিযোগ করেছেন মারধরের শিকার ফল ব্যবসায়ী। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ছয় ট্রলারসহ ৫৬ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল মিয়ানমার

কক্সবাজারের টেকনাফে ছয়টি মাছ ধরা ট্রলারসহ ৫৬ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। স্থানীয় জেলে ও ট্রলার মালিক সমিতির অভিযোগ, সেন্টমার্টিনের দক্ষিণের বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় অস্ত্রের মুখে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ট্রলারগুলো নিয়ে গেছে। তবে তারা মিয়ানমারের নৌবাহিনী, নাকি আরাকান আর্মি, তা তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গতকাল বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ট্রলারগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবদুল মান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার দুপুরে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগর থেকে ট্রলারগুলো নিয়ে গেছে মিয়ানমার নৌবাহিনী। এর পর তাদের খোঁজখবর পাওয়া যায়নি। শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়ার ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি বশির আহমেদ জানান, সাগর থেকে ফিরে আসা জেলেদের মাধ্যমে ঘটনা জানতে পেরেছি। এর পর বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে জানিয়েছি। আরাকান আর্মি, নাকি নৌবাহিনী তাদের ধরে নিয়ে গেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, মিয়ানমারে ছয়টি ট্রলারসহ ৫৬ জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। কোস্টগার্ড ও বিজিবির সঙ্গে এ বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন। তিনি জানান, জেলেদের ফেরত আনার কাজ চলছে।

গাজীপুরে ঝুট গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৪ ইউনিট

গাজীপুরের কোনাবাড়ির আমবাগ এলাকায় একটি ঝুটের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করছে। বুধবার (৫ মার্চ) রাত পৌনে ১০টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন। তিনি জানান, প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় ভোগড়া মডার্ণ ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট যোগ দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা।

ছিলেন আ. লীগ কর্মী, পট পরিবর্তনে তারা এখন কৃষকদলের নেতা

বিগত সময়ে তারা ছিলেন আওয়ামী লীগের কর্মী। পট পরিবর্তনের পর হয়েছেন জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের একটি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতিসহ বিভিন্ন পদের নেতা। সম্প্রতি পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ঘটেছে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার (৫ মার্চ) কৃষকদলের নব ঘোষিত কমিটি থেকে ১০ জন পদত্যাগ করেছেন। একইসঙ্গে নতুন করে ত্যাগী কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা। সম্প্রতি চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের কৃষকদলের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে উপজেলা কৃষকদল। কমিটিতে সভাপতি পদে ওই ইউনিয়নের কুমারগাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি বাবু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক নটাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মোমিন ও প্রচার সম্পাদক পদে দোদারিয়া গ্রামের আলহাজ হোসেন এর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিলচলন ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক আফছার আলী ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোখলেসুর রহমানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের অভিযোগ কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রচার সম্পাদক বিগত সরকারের সময় আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সভাপতি নজরুল ইসলামের বাড়িতে নৌকার অফিস ছিলো। বিগত ১৬ বছরে তারা কোনদিন বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের কোন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেননি। তারা সবসময় আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেছেন। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কৃষকদলের কমিটি বিলুপ্ত করে আওয়ামী লীগের দমন পীড়নে রাজপথে আন্দোলনে থাকা ত্যাগী কর্মীদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। বিলচলন ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক আফছার আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক মোখলেসুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আলামিন শেখ, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিমুল হোসেনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি ও নেতৃবৃন্দ কৃষকদলের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠনের জন্য পাবনা জেলা কৃষক দলের সভাপতি এবং সম্পাদকসহ উপজেলা কৃষকদলের নেতৃবৃন্দের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে, আওয়ামী লীগ কর্মীদের দিয়ে কৃষকদলের কমিটি গঠন করায় গঠিত নব ঘোষিত কমিটির ১০ জন পদত্যাগ করেছেন। বুধবার তারা পদত্যাগপত্র দিয়েছেন জেলা ও উপজেলা কৃষকদল কমিটির কাছে। পদত্যাগকারী নেতারা হলেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক জনি হোসেন, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মহসিন আলী, সহদপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ইমরান হোসেন, সহশিক্ষা ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক অলিফ হোসেন, সহযোগাযোগ সম্পাদক মিনারুল ইসলাম, সদস্য আমিরুল ইসলাম ও আক্কাস আলী। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নতুন কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, আমি কখনও আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলাম না। আমি ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল করেছি। আমি আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম, এখনো আছি। ভবিষ্যতেও থাকবো। আমার প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করেছে। তারা প্রমাণ করুক আমি আওয়ামী লীগ করি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাটমোহর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আজাদুল ইসলাম জানান, অভিযোগ সত্য নয়। কমিটিতে না আসতে পেরে হয়তো তারা এ ধরণের অভিযোগ করেছে। তারা যদি প্রমাণ করতে পারে, তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্বাচলে অটোচালকদের বিক্ষোভ, পুলিশকে বেধড়ক পিটুনি

রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের কাছে চাঁদা দাবি ও মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ চালকরা বেশ কয়েকটি বিআরটিসি ডাবল ডেকার বাস আটকে যাত্রী নামিয়ে দেয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালালে সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সেখানে এক এসআই ও এক কনস্টেবলকে পিটিয়ে আহত করে বিক্ষুদ্ধ অটোচালকরা। বুধবার (৫ মার্চ) কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কের কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাড়ে এই ঘটনা ঘটে। অটোচালকদের অভিযোগ, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বিআরটিসি বাসের ঠিকাদারদের নিয়োজিত রাকিব ও জাহিদের লোকজন তাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে তিন থেকে চার হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। এতে রাজি না হলে চালকদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বিষয়টি প্রশাসন ও বিআরটিসি কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বুধবার সকাল থেকেই আবারও চাঁদার দাবিতে চালকদের ওপর চড়াও হয় অভিযুক্তরা। একাধিক চালককে মারধর ও তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এর প্রতিবাদে দুপুর ১টার দিকে চালকরা একত্রিত হয়ে কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাড়ে অবস্থান নেয়। তারা সড়কে চলাচলরত বিআরটিসি বাস আটকে যাত্রী নামিয়ে দেয় এবং সব বাস চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে পূর্বাচল চায়না ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। তারা বাসগুলো চালু করতে গেলে বিক্ষুব্ধ চালকরা পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং এসআই আবু ছাইম ও কনস্টেবল বাচ্চুকে মারধর করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পূর্বাচল চায়না ক্যাম্পের ইনচার্জ আবু ছাইম জানান, আমরা যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিলাম। এ সময় ভুল বোঝাবুঝির কারণে চালকরা উত্তেজিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী।

সিলেটে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ৫ গ্রামের মানুষের সংঘর্ষ

সিলেটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাঁচ গ্রামের মানুষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। বুধবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে নগরীর শাহপরাণ এলাকার দাসপাড়ায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল। স্থানীয়রা জানান, আধিপত্যকে কেন্দ্র করে ইফতার আগ মুহূর্তে শাহপরাণ দাসপাড়া, বংশীধর, বালুটিকর ও চকগ্রাম, হালুপাড়ার দুই পক্ষের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ইফতারের পরও দুই পক্ষের মধ্যে থেমে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তবুও দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাঁচ গ্রামের মানুষ ইফতারের আগে থেকে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।

ইফতারে বেঁচে যাওয়া কমলা খাওয়ায় মাদ্রাসাছাত্রকে হাত-পা বেঁধে পেটালেন শিক্ষক

মথুরাপুর আদর্শ ইয়াতিমখানার ওই কিশোরকে বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দল্লাহ আল মামুন। ওই ছাত্রের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, সকালে এতিমখানার ভিতরেই এই নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে এতিমখানা ছেড়ে পালিয়ে যান শিক্ষক হাফেজ ইমরান হাওলাদার। এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আলাউদ্দিন বলেন, “সোমবার এক ব্যক্তি এতিমখানায় শিশু-কিশোরদের জন্য ইফতারের আয়োজন করেন। ইফতার শেষে কয়েকটি কমলা বেচে যায়। সেখান থেকে কিশোর ছাত্র দুই কোয়া কমলা খেয়ে ফেলে। “বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার সকালে শিক্ষক হাফেজ ইমরান হাওলাদার ওই ছাত্রকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করেন। এতিমখানা পরিচালনা কমিটি বিষয়টি জানার পর পরই বৈঠকে বসে। তার আগে শিক্ষক ইমরান পালিয়ে যান। তাকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।” আলাউদ্দিন বলেন, ওই ছাত্রকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সদর থানায় মামলা করেছেন। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাটি জানার পর এলাকাবাসী এতিমখানায় এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা ওই শিক্ষকের বিচারের দাবি জানান। নির্যাতিত ছাত্রের সহপাঠীরা জানায়, তার শরীরে লাঠি দিয়ে পেটানোর কারণে লাল লাল দাগ পড়ে গেছে।

জামাতে নামাজ না পাওয়ায় ইমামের ছেলেকে পেটালেন আ.লীগ নেতা

জামাতে পড়তে না পেরে ইমামের ছেলেকে পিটিয়েছেন ওমর আলী নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা । আহত ইমামের ছেলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। জামাতে পড়তে না পেরে ইমামের ছেলেকে পিটিয়েছেন ওমর আলী নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা (লাল দাগ চিহ্নিত)। আহত ইমামের ছেলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইফতার শেষে মসজিদে মাগরিবের নামাজ জামাতে পড়তে না পেরে ইমামের ছেলেকে পিটিয়েছেন ওমর আলী নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা। এ ঘটনার পরপরই চরবাগডাঙা এলাকায় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) মাগরিবের নামাজের পর সদর উপজেলার চরবাগডাঙা ইউনিয়নের গিধনি পাড়ার মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। ওমর আলী চরবাগডাঙা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। আহত ব্যক্তি চরবাগডাঙা ইউনিয়নের গিধনি পাড়ার সোলেমান বিশ্বাসের ছেলে মো. রুহুল আমিন। তিনি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত রুহুল আমিন বলেন, আমার বাবা গিধনি পাড়ার মসজিদের ইমাম। বৃদ্ধ বাবা অনুপস্থিত থাকায় আমি মাগরিবের আজান দিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে মুসল্লিদের অনুমতি নিয়ে নামাজ পড়ানো শুরু করি। কিন্তু বিলম্বে মসজিদে আসেন আওয়ামী লীগ নেতা ওমর আলী। এসেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করেন। নামাজ শেষে এক পর্যায়ে আমার ওপর হাসুয়া নিয়ে হামলা চালিয়ে মারধর করেন। রুহুল আমিনের ভাই ইমদাদুল হক বলেন, ইফতার শেষে মসজিদের অন্য মুসল্লিদের অনুমতি নিয়েই নামাজ শুরু করা হয়। এরপরও ওমর আলী তার ভাইদের নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমার ভাইয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে। তবে মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে চরবাগডাঙা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর আলী বলেন, ইফতার শেষ করে মসজিদে গিয়ে দেখি নামাজ শেষ হয়ে গেছে। তাই ইমামের ছেলেকে জিজ্ঞেস করেছি কেন এতো আগে নামাজ শেষ হলো। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. মতিউর রহমান বলেন, ওমর আলী এক ইমামের ছেলেকে মারধর করেছে বলে ঘটনাটি শুনেছি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রুহুল আমিন। দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাইকে ঘোষণা দিয়ে আটটি বিলের মাছ লুট

সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলার আটটি বিলের মাছ লুট করে নিয়ে গেছে স্থানীয় হাজারো লোকজনসুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলার আটটি বিলের মাছ লুট করে নিয়ে গেছে স্থানীয় হাজারো লোকজন। সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলার আটটি বিলের মাছ লুট করে নিয়ে গেছে স্থানীয় হাজারো লোকজন। মাইকে ঘোষণা দিয়ে এসব মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। গত পাঁচ দিনে দুই উপজেলার আটটি বিলের মাছ লুট করা হয়েছে। ইজারাদারদের দাবি, বিলগুলো থেকে অন্তত সাত কোটি টাকার মাছ লুট হয়েছে। সবশেষ মঙ্গলবার শাল্লা উপজেলার কাশীপুর শতোয়া বিলের মাছ লুট করে নেওয়া হয়। স্থানীয় লোকজন জানান, বিলের মাছ লুটের ঘোষণা দিয়ে আগের দিন আশপাশের এলাকায় মাইকিং করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এসব বিল বিভিন্ন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি কাগজেপত্রে ইজারা নিলেও বাস্তবে এগুলো ভোগদখল করতেন দিরাই ও শাল্লার আওয়ামী লীগের নেতারা। ফলে এলাকার লোকজন বিল থেকে মাছ ধরার সুযোগ পেতেন না। গত ১৫ বছর ধরে সরকারের কাছ থেকে মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ইজারা নিয়ে বিলগুলো থেকে মাছ মাছ বিক্রি করতেন। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলে এলাকার লোকজন মাছ ধরার সুযোগ পান। গত পাঁচ দিনে বিলগুলো থেকে সব মাছ ধরে নিয়ে যান তারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে দিরাই ও শাল্লা উপজেলার অন্তত ১২টি গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার লোকজন মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে বিলে নেমে পড়েন। তারা ইচ্ছেমতো মাছ লুট করে নিয়ে যান। এ সময় বিলের পাড়ে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা লুটপাটকারীদের বাধা দেয়নি। একই দিনে উপজেলার কাশীপুর গ্রামের কাছের বাইল্লা বিল ও ইয়ারাবাদ গ্রামের ভাটিগাং বিল লুটপাট করা হয়। শতোয়া বিলের ইজারাদার উত্তর জারুলিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের একটি সংগঠন। সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রজেশ দাস বলেন, এমন পরিস্থিতি জীবনেও দেখিনি। আমরা প্রতি বছর ৪৫ লাখ টাকা রাজস্ব দিই। তিন বছর পর পর মাছ ধরা হয়। আগামী বছর মাছ ধরার কথা থাকলেও এলাকার ১০-১৫ হাজার মানুষ দুই দিনে কোটি টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাছ লুটপাট শুরু হয় গত শুক্রবার থেকে। শুক্রবার সকালে দিরাই উপজেলার চরনারচর গ্রামের পাশের কামান-কচমা বিলে জোর করে মাছ ধরে নেন ৫০০ থেকে ৭০০ লোকজন। পরদিন শনিবার আবারও হাজারো মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে করে এসে এই বিলে লুটপাট চালায়। এরপর থেকে প্রতিদিন চলছে লুটপাট। কামান-কচমা, শতোয়া, বাইল্লা, ভাটিগাং বিল ছাড়াও এ পর্যন্ত লুট করা হয় শাল্লার জোয়ারিয়া বিল, দিরাইয়ের আতনি বিল, লাইড়া-দিঘা ও চইনপট্টা বিলের মাছ। দিরাইয়ের কামান-কচমা বিলের ইজারাদার চরনারচর বিএম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুধীর বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা সরকারকে প্রতি বছর ৫০ লাখ টাকার বেশি রাজস্ব দিই। দুই দিনে আমাদের বিলের দুই কোটি টাকার মাছ লুট হয়েছে। ১৫-২০ কেজি ওজনের বোয়াল ও আইড় মাছ নিয়ে গেছে। পুলিশের সামনেই মাছ নিয়ে গেছে তারা। পুলিশের কিছু করারও ছিল না, কারণ পুলিশ ছিল ১০ জন, মাছ ধরতে এসেছিল আট থেকে ১০ হাজার মানুষজন।’ স্থানীয় লোকজন ও ইজারাদাররা জানিয়েছেন, দিরাই-শাল্লা উপজেলার শ্যামারচর, ললোয়ারচর, মাইতি, কার্তিকপুর, নোয়াগাঁও, চিকাডুপি, বল্লভপুর, উজানগাঁও, সোনাকানি, নিজগাঁও, মির্জাপুর, রাহুতলা, শরীফপুর, কাশীপুরসহ আশপাশের গ্রামের লোকজন জলমহালের মাছ লুটের সঙ্গে জড়িত। গত শনিবার ও রবিবার শাল্লার যাত্রাপুর গ্রামের পাশের জোয়ারিয়া বিলের মাছ ধরে নিয়ে যান ছব্বিশা, দামপুর, কান্দিগাঁও, ইয়ারাবাদ, কান্দকলা, রঘুনাথপুর, যাত্রাপুর গ্রামের হাজারখানেক লোকজন। বিলের পাহারাদাররা জলমহালে থাকলেও লুটপাটকারীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বাধা দেওয়ার সুযোগ ছিল না। জোয়ারিয়া বিলের ইজারাদার যাত্রাপুর হিলিপ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি হিমাদ্রী সরকার বলেন, ‘বিলে বাঁশ-কাঠা দেওয়া, পাহারাদার রাখাসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আগামী বছর মাছ ধরার কথা ছিল। কিন্তু গত দুই দিন জোর করে মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ায় আমাদের অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’ রবিবার সকালে দিরাইয়ের মেঘনা-বারঘর বিলের ও একই উপজেলার আতনি বিলের (শাল্লা উপজেলার জয়পুর গ্রামের সামনে) মাছ ধরে নিয়ে যান বিলের আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষজন। সোমবার দিরাই উপজেলার কাশীপুর লাইড়া দীঘা গ্রুপ ফিশারির এলংজুরি ও আলীপুর গ্রামের পেছনের লাইড়া-দীঘা ও চইনপট্টা বিলের পাইলের প্রায় কোটি টাকার মাছ ধরে নিয়ে যান বিলের আশপাশের লোকজন। মাছ লুটের বিষয়ে দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মেঘনা ও কামান বিলের মাছ ধরা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল বলে শুনেছি। এলাকার লোকজন কিছু বিলের মাছ ধরেছে। লাইড়া দীঘা গ্রুপ ফিশারির পাইলের অংশে জোর করে মাছ ধরার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া জোয়ারিয়া বিলে মাছ ধরার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে লোকজনকে সরিয়ে দিয়েছি। হাজার হাজার লোক ভোরে মাছ ধরতে যায়। এসব বিল থানা থেকে অনেক দূরে, তাই পুলিশ যাওয়ার আগেই লোকজন চলে যায়। যাদের ঘটনাস্থলে পেয়েছি তাদের বুঝিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এতো হাজার মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ নয়। বিলের পাহারাদার ও পুলিশের পক্ষে এতো মানুষকে বাধা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এরপরও যারা মাছ ধরে নিয়ে গেছেন তাদের কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছি। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’ সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) জাকির হোসেন বলেন, ‘কয়েকটি বিলের মাছ লুটের অভিযোগ পেয়েছি। লুটপাটকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ স্থানীয় কয়েকজন জেলে জানিয়েছেন, জলমহালগুলো মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে ইজারা নিয়ে বছরের পর বছর আওয়ামী লীগের নেতারা নিয়ন্ত্রণ করতেন। নেতারা পালিয়ে যাওয়ার পর গ্রামের লোকজন জোর করে মাছ ধরে নিয়ে যান। মেঘনা বারোঘর জলমহালের মালিক ছিলেন দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় ও জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। এখানে কাগজেই শুধু মৎস্যজীবী সমাবায় সমিতির নামে ইজারা নিয়ে আসা হয়। বাস্তবে ভোগদখল করেন নেতারা। গত পাঁচ দিনে ঘোষণা দিয়ে আটটি জলমহালের মাছ ধরে নিয়ে যান জলমহালের আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিগুলো বলছে, অন্তত সাত কোটি টাকার মাছ লুট হয়েছে। নবীনগর উত্তর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রীতুষ বর্মণ বলেন, ‘সাত কোটি টাকার মাছ লুট হয়েছে। লিখিতভাবে বিষয়টি সুনামগঞ্জ জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি আমরা।’ এ ব্যাপারে জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, ‘দিরাইয়ের একটি জলমহাল থেকে জোর করে মাছ ধরে নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। এ ছাড়া আর কোনও অভিযোগ পাইনি। তবে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হবে। লুটপাটে জড়িতদের খুঁজে বের করতে বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনার তদন্ত চলছে।’

ঋণের বোঝা এড়াতে চলন্ত ট্রেনের সামনে

ঘড়ির কাঁটায় তখন মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা। ঢাকা থেকে সিলেটগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস তখন ছেড়েছে শমশেরনগর রেলস্টেশন। আউটার সিগনালে ট্রেনটি পৌঁছামাত্র হঠাৎ রেললাইনে ঝাঁপিয়ে পড়েন এক ব্যক্তি। মুহূর্তেই মাথাসহ শরীর কয়েক খণ্ড হয়ে যায়। ওই ব্যক্তির সঙ্গে ছিল একটি মোবাইল ফোন। পাশেই পাওয়া যায় একটি কীটনাশকের বোতল। শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার (জিআরপি) পুলিশ সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে। একপর্যায়ে মৃত ব্যক্তির মোবাইল ফোনে কল আসে। সেই সূত্রে জানা যায় তাঁর পরিচয়। মৃত মহরম আলী (৫৫) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চানগাঁওয়ের বাসিন্দা। স্থানীয় পীরের বাজারে মুদি দোকান রয়েছে তাঁর। পুলিশের কাছে স্বজন জানান, ঋণের চাপে বিপর্যস্ত ছিলেন মহরম। এ কারণেই তিনি চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিতে পারেন। মহরম আলীর তিন ছেলে। তাদের মধ্যে বড় ছেলে প্রবাসী। মেঝো ছেলেটি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ও ছোট ছেলে কেজি স্কুলে পড়ে। তাঁর বড় ভাইয়ের স্ত্রী মালা বেগম জানান, গ্রামের মহাজন ও কয়েকটি এনজিও থেকে নানা সময়ে ঋণ নিয়েছিলেন মহরম আলী। সেই টাকা বাড়তে বাড়তে ২০ লাখ টাকার বেশি হয়ে গেছে। কিছুদিন ধরে কিস্তি বা মূল টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। এ কারণে পাওনাদাররা মহরমকে চাপ দিচ্ছিলেন। হাজীপুর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রাজা মিয়া বলেন, তিনিও জানতে পেরেছেন মুদি ব্যবসায়ী মহরম আলী ঋণগ্রস্ত ছিলেন। ঋণের চাপ সইতে না পেরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে সবার ধারণা। শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার (জিআরপি) উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক সরকার বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত মহরম আলীর লাশ উদ্ধার করে সেদিনই ময়নাতদন্ত করা হয়। মঙ্গলবার রাতেই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

তরুণীর মাথা ছাড়া মরদেহ পড়ে ছিল ভুট্টা ক্ষেতে

লালমনিরহাট সদর উপজেলায় একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর মাথা ছাড়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ভাড়ালদা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ভুট্টার মালিক ক্ষেত দেখতে যান। তখন বোরখা পরা, মাথা ছাড়া তরুণীর মরদেহ দেখতে পান। বিষয়টি তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানান। ওই ইউপি সদস্য পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। বুধবার ভোর রাতের দিকে ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুন্নবী জানান, অজ্ঞাতপরিচয় ওই তরুণীর বয়স আনুমানিক ২০-৩০ বছরের মধ্যে।‌ মরদেহের পাশে একজোড়া স্যান্ডেল ও একটি মানকি ক্যাপ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকারী এগুলো ফেলে রেখে গেছেন। মরদেহের ময়নাতদন্ত ও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মাথা খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

কারাগারে কয়েদীদের সাথে হাতাহাতিতে জড়ালো আ.লীগ নেতারা

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা ও হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য কয়েদীদের সাথে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ আসামিকে শাস্তি স্বরূপ অন্য জেলার কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্ত ৫ জনই আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা। পাবনা জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. ওমর ফারুক বুধবার (০৫ মার্চ) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে অশোভন আচরণ ও কারাগারে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে মঙ্গলবার (০৪ মার্চ) বিকেলে তাদের রাজশাহী ও নঁওগা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালু, গয়েশপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহার হোসেন মুতাই ও আসাদুজ্জামান সুইটসহ অন্য আরেকজন। জেল সুপার মো. ওমর ফারুক জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা ও হামলা মামলায় কারাগারে রয়েছেন এসব আসামিরা। কয়েকদিন ধরেই তারা কারাগারে থাকা অন্য সাধারণ কয়েদীদের সাথে খারাপ আচরণ করছিলেন। সবশেষ গত ৩ মার্চ বিকেলে এ পাঁচ কয়েদী কারাগারের অন্য কয়েদীদের সাথে একইভাবে খারাপ আচরণ করেন এবং বাকবিতন্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে অন্য কয়েদীদের গায়ে হাত তোলেন তারা। পরে শাস্তি স্বরূপ কয়েদী তৌফিক ইমাম, শেখ লালু ও আসাদুজ্জামান সুইটকে রাজশাহী এবং মুতাই ও অন্যজনকে নঁওগা জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। জেল সুপার মো. ওমর ফারুক আরো বলেন, বিগত সময়ে তারা বাইরে যেমন বেপরোয়াভাবে কথাবার্তা বলেছেন ও চলেছেন, কারাগারেও তেমনই বেপরোয়া হয়ে চলছিলেন। ফলে ঝামেলাটা বাঁধে। অন্য কয়েদীদের সাথে অশোভন আচরণ ও কারাগারে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে মঙ্গলবার বিকেলে তাদের রাজশাহী ও নঁওগা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর সহায়তায় দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন ৪ জন

রংপুরে অসহায় ও হতদরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে চক্ষুসেবা ক্যাম্পেইন কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬৬ পদাতিক ডিভিশন। ক্যাম্পেইনে প্রথম ধাপে বাছাই করা ১৭ জন রোগীর মধ্যে চারজনের ছানি অপারেশন করা হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে রংপুর সেনানিবাসে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এসব রোগীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তাদের খোঁজখবর নেন ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি রংপুর এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ কামরুল হাসান। এ সময় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে গত মঙ্গলবার রংপুরের হারাগাছের আক্কাস আলী (৬২), শ্যামপুরের ইয়াছুব আলী (৬৫), মিঠাপুকুর জায়গীরহাটের মেহেরুন নাহার (৬০) এবং লালমনিরহাট হাতীবান্ধার এলাকার আবতার আলীর (৬০) চোখের ছানি অপারেশন করা হয়। সেই সাথে তাদেরকে চশমাসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদান করা হয়েছে। চোখের দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেয়ে সেনাবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা। রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের কমান্ডেন্ট কর্নেল একে এম জহির হোসেন খান জানান, 'গত ২০ ফেব্রুয়ারি রংপুর শীতল ক্যান্টনমেন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চক্ষুসেবা ক্যাম্পেইন শুরু হয়। এতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ৩৩৬ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি ওষুধ বিতরণ এবং ৪৫ জনকে চশমা প্রদান করা হয়। এছাড়াও প্রথম ধাপে বাছাই করা ১৭ জন রোগীর মধ্যে চারজনের ছানি অপারেশন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও চিকিৎসা সেবাসহ অপারেশনের ব্যবস্থা করা হবে।'