ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০ জন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ফুটবল খেলা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পৌরশহরের শান্তিনগর ও শ্যামনগর গ্রামের মানুষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- আলমাস মিয়া (৪৮), সালাউদ্দিন (৪০), রানা (১৭), রায়হান (২৫), গোলাপ মিয়া (৪৫), বাদশা মিয়া (৫৫), খোকন মিয়া (২২), আমজাদ (৩০), জাহানারা (৫২) ও জোসনা (৩২)। আহতদের মধ্যে আলমাস, সালাউদ্দিন ও রানার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে আখাউড়া পুরঃসরের শান্তিনগর পাটের অফিস এলাকায় বালু মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কালু মিয়া ও খোকন মিয়ার দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর সূত্র ধরে সন্ধ্যায় দুইদল গ্রামবাসী দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি।
খুনি হাসিনাকে ফাঁসির মঞ্চে দেখতে চান সারজিস আলম
দেশের মাটিতে খুনি হাসিনাকে ফাঁসির মঞ্চে দেখতে চান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, ‘বিজয় দিবস, স্বাধীনতা, সংবিধান ও রাষ্ট্র- এটা কোন দিন একজন ব্যক্তির হতে পারে না, কোন পরিবারের হতে পারে না। খুনি হাসিনা রাষ্ট্রকে ব্যক্তি ও পরিবারে পরিণত করেছিলেন। এ কারণে তার এমন বিদায় হয়েছে, যা পৃথিবীর কোন রাষ্ট্র প্রধানের হয়নি। ভবিষ্যতে কোন রাষ্ট্র প্রধানের হবে কি না সন্দেহ আছে।’ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের ফাইভ স্টার মাঠে বিজয় দিবস ও জুলাই- আগস্ট গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, রচনা ও কবিতা আবৃত্তি মত বিনিময় এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সারজিস আলম এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ‘এখনও যদি এ দেশে নির্বাচনের আগের রাতে পকেটে কয়েক শত কিংবা কয়েক হাজার টাকা পকেটে ঢুকিয়ে ভোট নেওয়া যায়, তাহলে ওই রাষ্ট্রের ভাল কিছু আশা করা যায় না। জনগণ যদি এখনও টাকার বিনিময় ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে এমপি-মন্ত্রী যেই হবে না কেন, তারা দেশের মানুষকে শোষণ করবেন।’ ভারতকে উদ্দেশ্য করে সারজিস আলম বলেন, ‘সম্পর্ক হবে দেশের সঙ্গে দেশের। ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির কিংবা দলের সঙ্গে দলের নয়। বাংলাদেশের মানুষ ভারতবিরোধী নয়, বাংলাদেশে মানুষ ভারতের জনগণবিরোধী নয়। কিন্তু বাংলাদেশে মানুষ উগ্র সাম্প্রদায়িক মোদিবিরোধী। যে উগ্র সাম্প্রদায়িক মোদি মুসলমাদের রক্তের ওপর উঠে ভারতে ক্ষমতায় এসেছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের বিষয়ে যদি কোন দল বা কোন মানুষ বিন্দুমাত্র প্রশ্ন করার সাহস করে তাহলে জীবনের বিনিময় হলেও প্রতিহত করব।’ লড়াই এখনও শেষ হয়নি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক বিভাজন থাকলে দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিবেকবোধকে কেউ দল বা গোষ্ঠীর কাছে যেন বেচে না দেয়। কোন নেতা যদি প্রত্যাশা করেন, শেখ হাসিনার অন্ধ ভক্ত হই, তাহলে দুইটা বিষয় হবে, একটি ওই নেতার উদ্দেশ্য ভাল নয়, দুই ওই নেতা নিজের পায়ে কুড়াল মারছেন।’ সৈয়দপুরকে পূর্ণাঙ্গ জেলা ঘোষণার ব্যাপারে বক্তব্যের শেষে তিনি উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্র প্রতিনিধি জাবেদ আত্তারি। বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক রেদওয়ান ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই আলম সিদ্দিকী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম, সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুর সরকার, শহর জামায়াতের আমির শরফুদ্দিন খান, শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের বাবা আলমগীর হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছাত্র প্রতিনিধি সাকিব খান। সব শেষে ৩৬ জুলাইয়ে বিজয়ীর হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।
বিজয় দিবস উপলক্ষে আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছে আদর্শ ডিগ্রি কলেজ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার খাহ্রা-চুড়াইন আদর্শ ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ছাত্রীদের জন্য ব্যাটমিন্টন ও ছাত্রদের জন্য ভলিবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল ও দাতা সদস্য গাজী শফিউদ্দিন আহম্মেদ। এর আগে কলেজের অধ্যক্ষ মো. আজিজুল ইসলাম সদস্যদের সাথে শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন।
সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র দখল-পাল্টা দখল নিয়ে সংঘর্ষ
ঢাকা জেলার সাভার উপজেলায় গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল দখল-পাল্টা দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল দশটার দিকে একটি পক্ষ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দখল নিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে হাসপাতালের কর্মী, চিকিৎসক ও রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, সাবেক ট্রাস্টি নাজিম উদ্দিন ও তার সঙ্গীরা মঙ্গলবার সকালে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল দখল করতে আসে। এ সময় কর্তব্যরত কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে। পরে কর্মীরা সংঘবদ্ধ হলে মুখোমুখি অবস্থার তৈরি হয়। কর্তব্যরত কর্মীরা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘তারা হঠাৎ এসে আমাদের ওপর আক্রমণ চালায়। আমরা বাঁধা দিতে গেলে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয়। আমাদের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। এ ধরনের ঘটনার কারণে আমাদের রোগী ও চিকিৎসকরা ভীতসন্ত্রস্ত। আমরা চাই, দ্রুত পরিস্থিতির সমাধান হোক।’ এ দিকে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়। এ সময় ট্রাস্টি নাজিম উদ্দিন ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যান। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলে এসে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, বর্তমানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পুলিশের পাহারায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হাসপাতালের কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ায় রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এ দিকে, এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন কর্মসূচিও পালিত হয়েছে।
অভিবাসীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও ভাষা শিক্ষায় ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে ‘শিখো’র কোর্স
বাংলাদেশী অভিবাসীদের অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজ করার লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘আমি প্রবাসী’ এবং দেশের অন্যতম বৃহৎ ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ‘শিখো’ একত্রে কাজ শুরু করেছে। দক্ষতা বৃদ্ধি ও জ্ঞান অর্জনের জন্য এখন থেকে শিখোর প্লাটফর্মে বিশেষ কোর্স করার সুযোগ পাবেন অভিবাসন প্রত্যাশী ও প্রবাসী কর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় আমি প্রবাসী প্ল্যাটফর্মে আরবি ও অন্যান্য ভাষা শিক্ষার কোর্স, বিমানে ভ্রমণের শিষ্টাচার, এয়ারপোর্ট প্রশিক্ষণ ও প্রবাসীদের জন্য উপযোগী সব গুরুত্বপূর্ণ কোর্স অন্তর্ভুক্ত করা হবে। শিখোর অন্যান্য কোর্স ও প্রশিক্ষণমূলক ভিডিও আমি প্রবাসীর অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে পাবেন ব্যবহারকারীরা। এই উদ্যোগের ফলে অভিবাসন প্রক্রিয়া আধুনিকায়নের মাধ্যমে খরচ কমানো ও দক্ষ অভিবাসী তৈরির পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ‘আমি প্রবাসী’। ব্যবহারকারীরা যাতে বৈশ্বিক চাকরির বাজারে নিজেদের আরও প্রতিযোগিতামূলক করে গড়ে তুলতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও, ‘আমি প্রবাসী’ তাদের প্ল্যাটফর্মে নতুন একটি সিভি বিল্ডার ফিচার চালু করেছে, যার মাধ্যমে মাত্র ৫-৭ মিনিটেই তৈরি করা যাবে পেশাদার সিভি। ব্যবহারকারীরা ফিচারটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। ‘শিখো’র সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব নিয়ে ‘আমি প্রবাসী’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নামির আহমেদ নুরি বলেন, ‘শিখোর সঙ্গে এই পথচলা প্রবাসী কর্মীদের দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। আমরা শুধুমাত্র সুযোগ তৈরি করছি না, বরং একটি সেতু গড়ে তুলছি, যা তাদেরকে পেশাগত ও ব্যক্তিজীবনে সফল হতে সাহায্য করবে। অভিবাসন প্রক্রিয়াকে আরও সহজলভ্য এবং স্বচ্ছ করতে আমি প্রবাসী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বন্ধ করা হল পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরো উৎপাদন
বন্ধ করে দেয়া হয়েছে পটুয়াখালী জেলার পায়রা এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরো উৎপাদন। পাশের আরএনপিএল বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আসার লক্ষে সঞ্চালন লাইন সংস্থাপনের জন্য পিডিপির নির্দেশনায় এ কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে বন্ধ করা পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন। এর আগে গেল ৯ নভেম্বর থেকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। তাই, এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন এখন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।কেন্দ্রটির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব জানান, পায়রার পাশে নতুন নির্মিত আরএনপিএল এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আসার লক্ষ্যে সঞ্চালন লাইন সংস্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। এ জন্য পায়রা-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন শাটডাউন (বন্ধ) করা হয়েছে। যার কারণে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিপি) নির্দেশনায় এ কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করা হয়। আগামী সাত দিন পর পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলেও জানান। পায়রা থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার উত্তরে রামনাবাদ নদীর তীরে পটুয়াখালী আরএনপিএল এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নামের আরও একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। জানুয়ারি মাসে পরীক্ষামূলকভাবে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনে আসবে।
বেগমগঞ্জে ছুরিকাঘাতে ভাবিকে হত্যা করলো দেবর
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক গৃহবধূকে সড়কে পথ আটকে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দূর সম্পর্কের এক দেবর। এ সময় গৃহবধূর সঙ্গে থাকা শ্বশুর রেজাউল হককেও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয়। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর এলাকার মাইল্যা বাদশা মিয়ার বাড়ির সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহনাজ আক্তার পিংকি (৩৫) উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর হাজীপুর এলাকার নোয়াবাড়ির কুয়েত প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ওরফে খালেদ (৩০) একই বাড়ির ডিশ লিটনের ছেলে। নিহতের বড় বোন ফারজানা আক্তার সুমি বলেন, পারিবারিকভাবে ১৬ বছর আগে পিংকির বিয়ে হয়। ঘাতক খালেদ পিংকির দূর সম্পর্কের চাচাতো দেবর হয় এবং একই বাড়ির বাসিন্দা। বছরখানেক আগে পিংকির ব্যবহৃত মোবাইল নষ্ট হয়ে যায়। স্বামী প্রবাসে থাকায় তার বড় ছেলের মাধ্যমে সেটি বাজার থেকে ঠিক করে আনতে দেয় খালেদকে। ওই সময় খালেদ মোবাইল থেকে পিংকির স্বামীকে পাঠানো ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নিজের মুঠোফোনে নিয়ে নেয়। তিনি আরও বলেন, ওইসব ছবি ও ভিডিও দিয়ে পিংকিকে ব্ল্যাকমেইল করে সাত লাখ টাকা আদায় করে। একই কায়দায় পরকীয়া ও শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা চালায়। এরপর সে আরও টাকা দাবি করে এবং পরকীয়ায় ব্যর্থ হয়ে পিংকিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। কিছু দিন আগে এ নিয়ে আদালতে মামলা করে পিংকি। গত দুই মাস আগে পিংকির স্বামী দেশে এলে এসব বিষয় নিয়ে তার ওপর হামলা করে খালেদ। নিহতের বোনের জামাই বাবর হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে স্বামীর বাড়ি থেকে শ্বশুর রেজাউল হকের (৭২) সঙ্গে চৌমুহনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন পিংকি। ওই সময় তারা চৌমুহনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাদশা মিয়ার বাড়ির সামনের সড়কে পৌঁছলে খালেদ তাদের গতিরোধ করে। সেখানে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে পিংকিকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে খালেদ। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তিনি আরও বলেন, ছেলের বউকে বাঁচাতে চেষ্টা করলে শ্বশুর রেজাউল হককেও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে স্থানীয়রা পিংকি ও তার শ্বশুরকে উদ্ধার করে চৌমুহনী লাইফ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পিংকিকে মৃত ঘোষণা করেন। চৌমুহনী লাইফ কেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক আবু তালেব বলেন, পিংকিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার পরনে বোরকা ছিল, এজন্য শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা হয়নি। পরে নিহতের স্বজনরা মরদেহ নিয়ে যায়। বেগমগঞ্জ থানার ওসি লিটন দেওয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত গৃহবধূর পরিবারের সঙ্গে খালেদের পরিবারের আগে থেকে দ্বন্দ্ব ছিল। অনেক আগে দেবর-ভাবীর মধ্যে সম্পর্ক ছিল বলেও জানা গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রামের ১২টি রোটারি ক্লাবের প্রেসিডেন্টের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ
চট্টগ্রামে ১২টি রোটারি ক্লাবের প্রেসিডেন্টের উদ্যোগে সিটির বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) মধ্য রাতে গোল পাহাড় মোড় থেকে শুরু হয় এই শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম। ক্লাবের প্রেসিডেন্টরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মোড়, চকবাজার, মিসকিন শাহ মাজার, জামাল খান, চেরাগির মোড়, কাজের দেউড়ী ওয়াসা, জিইসি, দুই নম্বর গেইট এলাকায় ভাসমান লোকদের কাছে কম্বল তুলে দেন। রোটারি ক্লাব অব চিটাগাং এরিস্টোক্রেট, চিটাগাং এলায়েন্স, চিটাগাং পার্ল, চিটাগাং ইম্পেরিয়াল, চিটাগাং আন্দরকিল্লা, চিটাগাং নর্থ, চিটাগাং পিস, চিটাগাং সুপ্রিম, চিটাগাং বেঙ্গল সিটি, চিটাগাং সাউথ, চট্টগ্রাম হারবার, চট্টগ্রাম স্মাইলের প্রেসিডেন্টদের যৌথ উদ্যোগে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এ নিয়ে রোটারি ক্লাব অফ চিটাগাং এরিস্টেক্রেটের প্রেসিডেন্ট এসএম মুহিবুর রহমান বলেন, ‘রোটারি ক্লাবগুলো তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিভিন্ন সেবামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। শীতার্ত মানুষের কল্যাণে এবার আমরা ১২টি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট যৌথভাবে শীতবস্ত্র কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছি। এর ফলে, দরিদ্র মানুষ উপকৃত হবে।’ ‘রোটারি ক্লাবের এসব মানবিক কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রোটারি ক্লাব চট্টগ্রাম এরিস্টোক্রেটের চার্টার প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আশরাফুল ইসলাম আলভী, ইমিডিয়েট পাস্ট প্রেসিডেন্ট সাদমান সাইকা সেফা, সেক্রেটারি একেএম শহিদুল্লাহ চৌধুরী, চিটাগং আন্দরকিল্লার প্রেসিডেন্ট মো. ইকবাল, চিটাগাং এলায়েন্সের প্রেসিডেন্ট শহিদুল ইসলাম মামুন, চিটাগাং পিসের প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর আলম মিয়া, চিটাগাং পার্লের প্রেসিডেন্ট সুমন বড়ুয়া, চিটাগাং ইম্পেরিয়ালের চার্টার প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম নান্টু, ক্লাবের সেক্রেটারি উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া, পিপি আব্দুল হাকিম, চট্টগ্রাম স্মাইলের প্রেসিডেন্ট শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী।
কালিয়াকৈরে পুলিশ ফাঁড়ির পাশে হত্যা: গ্রেপ্তার ৬
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ির পাশে শিহান হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৬ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছিনতাই হওয়া মালামাল ও হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শিহান কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক জামতলা এলাকার তানভির হোসেন নান্নু মিয়ার ছেলে তাজবির হোসেন শিহান (২৬)। তিনি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. রবিউল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, সোমবার রাতে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তাররা হলেন, ময়মনসিংহের ধোবাউরা থানার হালিম উদ্দিনের ছেলে বাসচালক মো. সরওয়ার হোসেন শারু (২৮), কুড়িগ্রামের রৌমারী থানার আলী আজগরের ছেলে সিএনজি চালিত অটোরিকশাচালক নাজিম উদ্দিন নয়ন (৩৫), একই জেলার উলিপুর থানার আজগর আলীর ছেলে অটোরিকশাচালক মো. ছাইফুল ইসলাম (৪২), লক্ষীপুর সদর থানা এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে বাসের হেলপার মো. জুয়েল (২৪), জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানা এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে বাসের স্টাফ মো. মিলন (২৭) ও ভোলার চরফ্যাশন থানা এলাকার মৃত সুলতান বয়াতীর ছেলে চা দোকানি মো. আনোয়ার হোসেন (৩৫)। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকার উত্তরায় একটি কল সেন্টারে চাকরি করতেন শিহান। ১২ ডিসেম্বর ভোর সোয়া ৫টার দিকে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে মৌচাক বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন। পরে মাজার রোডের সামনে থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ৫ জন যুবক তাকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির পশ্চিম পাশে হানিফ স্পিনিং মিলের সামনে এসে তাকে ধরে ফেলে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিহানকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর নিহতের পিতা তানভির হোসেন নান্নু মিয়া বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ ওই ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সুপার (অপরাধ) আমিনুল ইসলাম, কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াদ হোসেন, মৌচাক পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
আবাসিক হোটেল থেকে নারীসহ আওয়ামী লীগের নেতা আটক
সিলেট নগরীর বন্দরবাজারের একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক নারীসহ আওয়ামী লীগের নেতা আজমল হোসেন সেলিমকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকাল তিনিটার দিকে লালবাজার এলাকার হোটেল আল-জালাল থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আটককৃত আজমল হোসেন সেলিম সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেলিম ওই নারীকে নিয়ে হোটেল আল-জালালের একটি রুম ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন। মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে হোটেলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদেরকে আটক করে। মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘আমরা আজমল হোসেন সেলিম নামের এক ব্যক্তিকে নারীসহ বন্দরবাজারের একটি হোটেল থেকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে থানায় নেয়া হয়েছে। হোটেলে তিনি ওই নারীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে উঠেছিলেন। সেলিমের নামে কোন মামলা আছে, কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
স্বদেশ আবৃত্তি সংগঠনের গৌরবময় বিজয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন
স্বদেশ আবৃত্তি সংগঠনের আয়োজনে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর উপলক্ষে ‘গৌরবময় বিজয়’ শিরোনামে কথামালা ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিটির চট্টগ্রাম সিটির হালিশহর কে ব্লকের প্রেরণা অটিজম স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মানবাধিকার সংগঠন ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট এন্ড হিউম্যান রাইট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত আবৃত্তি জোট চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী মুজাহিদুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী মো. জামাল উদ্দিন, প্রেরণা অটিজম স্কুলের অধ্যক্ষ মীর মিসকাতুন নুর সেফু, ডেলফোনিয়াম ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুলের পরিচালক দেলোয়ারা খাতুন শিলা, লিটল বিস ইংলিশ স্কুলের অধ্যক্ষ জারিন তাসমিন, স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার ব্যুরো চিফ হিরা হান্নান, উন্নয়ন কর্মী সৈয়দা সাহেদা ফাতেমা লিপি, ইজি আর্ট স্কুলের পরিচালক ইমন বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সহ সভাপতি নাসির আহমেদ। আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পীদের মধ্যে আবৃত্তি করেন উদিরন আবৃত্তির নীড়ের দলপ্রধান মাহফুজা হক স্নিগ্ধা। স্বদেশ আবৃত্তি সংগঠনের শিল্লীদের মধ্যে আবৃত্তি করেন সারা, নিয়নতা, জেবা, রোজা, আলমুহিদ, আসফা, নায়রা, আফিফা, রায়ান, নাজিফ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সহ সভাপতি মৌসুমী সুলতানা পান্না।
ভারত সীমান্তের কাঁটাতারের পাশে পড়ে ছিল বৃদ্ধের মৃতদেহ
জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলায় ভারত সীমান্তের কাঁটাতারের পাশ থেকে শ্যাম চরণ পাহান (৬৩) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের তাজপুর সীমান্ত এলাকার ভারত সীমান্তের কাঁটাতারের প্রায় ২০০ গজের কাছ থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরের আলুক্ষেত থেকে ওই বৃদ্ধের মৃতমদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শ্যাম চরণ পাহান উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের উত্তর তাজপুর গ্রামের মৃত জিতু পাহানের ছেলে। পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে সীমান্তবর্তী তাজপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষক মাঠে কাজ করতে গিয়ে আলুক্ষেতে শ্যাম চরণের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তারা পুলিশে খবর দেন। নিহত শ্যাম চরণ পাহানের ছেলে প্রণব পাহান বলেন, ‘আমার বাবা প্রায় দীর্ঘ দিন থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী, তিনি বাড়িতেই থাকেন। বাবা দিনের বেলায় বাহিরে যেন বের হয়ে না যান, সেজন্য মাঝেমধ্যে তাকে পায়ে শিকল দিয়েও বেঁধে রাখা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে পায়ের শিকল খুলে দিয়ে বাবাকে ঘরে শুয়ে দিয়ে আমরাও সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে বাহিরে বের হয়ে দেখি বাবা আর ঘরে নেই। তখন পরিবারের সবাই রাতেই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বহু খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাইনি। তবে, মঙ্গলবার সকালে লোকজনের মুখে জানতে পারি, সীমন্তের পাশে একটি আলুক্ষেতে বাবার মরদেহ পাওয়া গেছে।’ কড়িয়া বিওপি বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কোমান্ডার সুবেদার মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘ভারত সীমান্তের কাঁটাতার থেকে প্রায় ২০০ গজ আগে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আলুক্ষেতে একজনের মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। স্থানীয় ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।’ পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাওসার আলী মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
মধ্যরাতে বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলিবর্ষণ
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বিএনপির নেতা আব্দুর রশিদ চৌধুরীর বাড়িতে মধ্যরাতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ওই বাড়ি থেকে পিস্তলের দুই রাউন্ড তাজা গুলি ও ৭ রাউন খালি খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ১ টার দিকে উপজেলার জয়ন্তিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাগাতিপাড়া মডেল থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) অমিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আব্দুর রশিদ চৌধুরী উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং ওই এলাকার মৃত বদিয়ার রহমানের ছেলে। বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ চৌধুরী জানান, রাতে আমরা পরিবারের চার সদস্য সবাই ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ রাত ১টার দিকে বিকট গুলির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম থেকে উঠে বের হলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। গুলিতে বাড়ির জানালার থাই গ্লাস, ওয়াল ফুটো হয় এবং জানালার গ্রিল বাকা হয়ে যায়। পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। (ওসি) অমিনুল হক বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। বাড়ি থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অপরাধীদের আটকে পুলিশ কাজ করছে।
সাবেক এমপি আকরাম আর নেই
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আকরাম ইন্তেকাল করেছেন। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। আকরামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগরিক ঐক্যের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল কবির। আকরাম এই নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা ছিলেন। ইকবাল কবির জানান, এস এম আকরাম দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, ডায়াবেটিকসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। কয়েক দিন ধরে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার রাতে গুলশান আজাদ মসজিদে আকরামের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের থানা পুকুরপাড় এলাকায় দ্বিতীয় এবং দুপুর ২টায় বন্দর উপজেলার আলীনগর ঈদগাহে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সাবেক আমলা আকরাম জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কও ছিলেন। পরে দলত্যাগ করে নাগরিক ঐক্যে যোগ দেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন আকরাম।
মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাবু পঞ্চগড়
টানা চার দিন ধরে চলা মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাবু পঞ্চগড় জেলা। হিমালয় থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা বাতাস আর কুয়াশার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন।আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ছয়টায় পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গতকাল সোমবার সকাল নয়টায় তাপমাত্রা ছিল ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সরেজমিন দেখা যায়, কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়া যোগ হওয়ায় শীতের তীব্রতা কয়েকগুণ বেড়েছে। মাঘের এই শীতে নাকাল হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে যানবাহনগুলোকে। সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। কনকনে শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে অনেকেই বাড়ির আঙিনা ও ফুটপাতসহ চায়ের দোকানের চুলায় বসে আগুন পোহাচ্ছেন। মঙ্গলবার সকালে শহরের রৌশনাবাগ এলাকার রাজমিস্ত্রী আক্তার হোসেন বলেন, রাত থেকে প্রচণ্ড শীত আর ঠান্ডা বাতাস বইছে। সকালে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তীব্র ঠান্ডায় হাত একদম বরফ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু উপায় তো নেই। কাজ না করতে পারলে কী খাব। তাই পরিবারের কথা ভেবে কষ্ট সহ্য করে হলেও কাজে যেতে হচ্ছে। উপজেলা সদরের ভ্যানচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, সকালে ভ্যান নিয়ে বের হওয়া কঠিন হয়ে গেছে। উত্তরে কনকনে হিমেল বাতাসের কারণে খুব শীত লাগছে। ভ্যান চালানো যাচ্ছে না। এদিকে তীব্র শীত ও টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, সকাল ছয়টায় তেঁতুলিয়ায় ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
দুই সতিনের ঝগড়া থামাতে গিয়ে স্বামীর মৃত্যু
ঝিনাইদহ শহরে দুই সতিনের ঝগড়া থামাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে স্বামী আব্দুল জব্বারের (৫৫)। ঝিনাইদহ শহরের কলাবাগান ৪ রাস্তার মোড় এলাকায় সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর কারণ সন্দেহজনক হওয়ায় ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শাখা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বড় স্ত্রী মিষ্টি খাতুনকে নিয়ে শহরের আরাপপুরে বসবাস করেন। করোনাকালীন সাথী নামে এক স্কুলশিক্ষককে বিয়ে করেন তিনি। শহরের কলাবাগান এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন সাথী। রোববার রাতে ছোট বউয়ের বাসায় আসেন আব্দুল জব্বার। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সোমবার সকালে ছোট বউয়ের বাসায় চলে আসেন বড় বউ। সকাল থেকে দু’জনের মাঝে শুরু হয় ঝগড়া বিবাদ। দুপুরের দিকে তাদের দুজনের মাঝে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ইবির ওই কর্মকর্তা। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আব্দুল জব্বারের মৃত্যু হলে দুই স্ত্রীকে আটক করে রাখে এলাকাবাসী। পরে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আঘাত জনিত কারণ নাকি স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে এর সঠিক তদন্তের দাবি স্বজনদের। ওই ইবি কর্মকর্তার মামাতো ভাই অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক সাগর বলেন, শুনেছি আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। যদি মৃত্যুর কারণ আঘাত হয়ে থাকে তাহলে এর সঙ্গে যে বা যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আর যদি স্ট্রোকে মৃত্যু হয় তাহলে আমরা সেটাও জানতে চাই। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আব্দুল জব্বারের মৃত্যুর কারণে নিয়ে কিছুটা সন্দেহ আছে তাই আমরা মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট এলেই সঠিক কারণ বেরিয়ে আসবে। যদি আঘাত জনিত কারণে মৃত্যু হয় তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আব্দুল জব্বারের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের হরিহরা গ্রামে।
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তুলে নিয়ে ধর্ষণ-নির্যাতন, মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যু
ময়মনসিংহের নান্দাইলে প্রেমে রাজি না হওয়ায় তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতনে অসুস্থ মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয় বলে নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. ফরিদ আহমেদ জানান। এদিকে, অপহরণের পর ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে গত ৯ সেপ্টেম্বর মেয়েটির বাবা ময়মনসিংহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নালিশি মামলা করেন। এলাকাবাসী মোহাম্মদ হোসাইন (২২) নামে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, তার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেন উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের কচুরি গ্রামের মোহাম্মদ হোসাইন। কিন্তু হোসাইনের প্রস্তাবে রাজি না হলে গত ১ জুন ১৪ বছর বয়সি মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, দুই মাস নারায়ণগঞ্জের একটি এলাকায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে ডান চোখ ক্ষত করে দেওয়ার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর মেয়েটিকে বাড়ির পাশের সড়কে ফেলে যায় অপহরণকারী। নিহতের বাবা বলেন, আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মেয়েকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চোখের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার আগারগাঁও চক্ষু হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলেন চিকিৎসকরা। ১৫ দিন চিকিৎসা শেষে মেয়ের ডান চোখ বাঁচাতে কর্ণিয়া তুলে ফেলা হয়। সেই কর্ণিয়া স্বজনরা ফ্রিজের মধ্যে রেখে দেন পরে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে প্রতিস্থাপনের জন্য। এ অবস্থায় তারা তাদের মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসেন। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মেয়েটি মারা যায়। তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েটিকে নির্মমভাবে অত্যাচার করে হত্যা করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। হোসাইনকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, ছাত্রীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।আগে যে মামলাটি হয়েছিল সেটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হলে সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেনাবাহিনীর হাতে আটক বিএনপির ৭ নেতা-কর্মী, মুচলেকা দিয়ে মুক্তি
সিগন্যাল না মানার অভিযোগে ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ বিএনপির সাত নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে সেনাবাহিনী। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর আমিনবাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে তাদেরকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। পর মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন তারা। আটকদের মধ্যে ছিলেন ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুস সাত্তার, ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন পাটোয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম সবুজ, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদুল ইসলাম রাহাত, মো. কাশেম বাচ্চু, জাকের হোসেন ও মো. সাইফ উদ্দিন। পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর আমিনবাজার এলাকায় বিজয় দিবস উপলক্ষে মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন দেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে আমিনবাজার সেনাবাহিনীর ক্যাম্প অতিক্রম করার সময় সিগন্যাল না মানায় সাতজনকে আটক করে সেনাবাহিনী। সোমবার সন্ধ্যায় ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুস সাত্তারসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আটক হওয়ার সাত নেতা-কর্মীকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. টিপু সুলাইমান জানান, রোববার রাতে আমিনবাজার এলাকায় বিজয় দিবস উপলক্ষে র্যালিসহ মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন দেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আমিনবাজার ক্যাম্প অতিক্রমের সময় সিগন্যাল না মানায় সাতজনকে আটক করে সেনাবাহিনী। বিমানবন্দর সেনা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন সাকিব বলেন, ‘তাদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। থানা থেকে তথ্য নিতে পারেন।’ এ নিয়ে অন্য কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। ফেনী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আটক বিএনপির নেতা-কর্মীদের সন্ধ্যায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
মাইকে শেখ মুজিবের ভাষণ বাজানোর অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে পাবনায় মাইকে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বাজানো ও নেতাকর্মীদের নিয়ে বনভোজনের আয়োজন করার অভিযোগে মোস্তফা আলী খান ওরফে মোস্তবালি (৪৫) নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের টাটিপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মোস্তফা আলী খান চরতারাপুর ইউনিয়নের টাটিপাড়া গ্রামের চয়েন আলী খানের ছেলে। তিনি চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান থেকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি। থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার দিবাগত রাতে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ইউনিয়নের টাটিপাড়া মুজিব বাঁধের উপর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের জন্য খিচুড়ি রান্না করা হয়। সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণও বাজানো হয়। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ আসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নেতাকর্মীরা দ্রুত চলে যান। এরপর সোমবার দুপুরের দিকে অভিযান চালিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানকে আটক করে পুলিশ। গত ৪ আগস্ট পাবনা শহরে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি করে দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার বিকেলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, রাতে মাইকে শেখ মুজিবের ভাষণ বাজানো হচ্ছিল। বেশ কিছু আওয়ামী লীগের লোকজন দলীয় প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিল। এমন অভিযোগে আমরা তাকে আটক করি। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
প্রশাসনের সংবর্ধনায় মুক্তিযোদ্ধার ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান
কিশোরগঞ্জে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা ছিল। সেখানে আলোচক হিসেবে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়া তার বক্তব্য শেষ করেন ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে। এ সময় মিলনায়তনে উপস্থিত অন্য মুক্তিযোদ্ধারা করতালি দেন।বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ আবু সাঈদের ছবি দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রচারিত পোস্টারের সমালোচনা করেন ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘একাত্তর আর ২৪’-এর আগস্ট এক নয়। ৫ আগস্ট ক্ষমতার হাতবদল হয়েছে। আর একাত্তরে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। পোস্টারে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি দেওয়া যেত।’ এ সময় অন্য মুক্তিযোদ্ধারা করতালি দিয়ে সমর্থন ব্যক্ত করেন। এর পর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক দুই কমান্ডার কেএম মাহবুবুল আলম ও মিজানুর রহমানও তাদের বক্তৃতায় ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়ার বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান। তবে মাহবুবুল আলম বলেন, ‘একাত্তরে হয়েছিল বিপ্লব, আর ৫ আগস্ট হয়েছে গণঅভ্যুত্থান। গত ১৬ বছর এই অনুষ্ঠানে আমরা মন খুলে কথা বলতে পারিনি। নির্দেশনা দেওয়া থাকত, কী বলা যাবে আর কী বলা যাবে না।’ অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, ‘আমাদের একাত্তরের চেতনা ধারণ করতে হবে। একাত্তরের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।’ তিনি একাত্তরের শহীদ ও নির্যাতিত মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, সাবেক জেলা কমান্ডার এবি সিদ্দিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ফারুকী। অনুষ্ঠানের শুরুতে একাত্তরের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
কমলগঞ্জে বার্ষিক ক্যাম্প, কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে যথাযোগ্য মর্যাদা কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চার মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ৫ দিন ব্যাপী বাষিক ক্যাম্প ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের শ্রীনাথপুর মবশ্বির আলী চৌধুরী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে বিদ্যালয় মাঠে ৫ দিন ব্যাপী বার্ষিক ক্যাম্প ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। মবশ্বির আলী চৌধুরী বালক উচ্চ বিদ্যালয় এর সহকারী শিক্ষক মনিরাজ সিনহার সঞ্চালনায় ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমদ সিরাজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্টানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল কুমার দাস, কমলগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সমেরেন্দু সেনগুপ্ত বুলবুল, ম্যানেজিন কমিটির সদস্য রাসেল হাসান বখ্ত, সমাজ সেবক মুক্তার চৌধুরী, সাংবাদিক সালাহউদ্দিন শুভ, পারভেজ আহমেদ, জাহেদ আহমেদ প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: মশিউর রহমান চৌধুরী, শিক্ষক মোমিনা ইয়াসমিন রুজি, হামিদা চৌধুরী, সুমাইয়া চৌধুরী, তারিন সুলতানা, নিপুণ শর্মা, শম্পা রাণী শীল, কলেজ শিক্ষার্থী ফারিহা চৌধুরী সহ অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। মবশ্বির আলী চৌধুরী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমদ সিরাজ জানান, খেলাধুলা, সাধারণ জ্ঞান চর্চা, প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োজনীয় কাজ, প্রাথমিক চিকিৎসা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনাসহ নানা কাজের মধ্য দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও পাঁচ দিনব্যাপী বার্ষিক ক্যাম্পে ৪৪জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সফলতার সাথে আমাদের বাচ্চারা বাষিক ক্যাম্প শেষ করে। যা আগামীতে অব্যাহত থাকবে। অনুষ্টান শেষে অতিথিরা বার্ষিক ক্যাম্প ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়।
ফুল দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষে জড়াল বিএনপির দুই গ্রুপ, আহত ১২
কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় বিজয়স্তম্ভে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে ভূরুঙ্গামারী বাসস্ট্যান্ডের বিজয় স্তম্ভে ফুল দেওয়ার সময় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, সোমবার সকালে বাসস্ট্যান্ডের বিজয় স্তম্ভে প্রথমে ফুল দেয় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তফা গ্রুপ। এরপর বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শাহিন শিকদারের লোকজন ফুল দিতে গেলে মোস্তফা গ্রুপের লোকজন বাধা দেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরই জেরে সোমবার সকাল দশটার দিকে শাহিন শিকদারের পক্ষের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয়পক্ষের নয়জন আহত হন। পরে মোস্তফা গ্রুপের সমর্থকরা শাহীন গ্রুপের উপজেলা অফিসের সাইনবোর্ড নামিয়ে তালা লাগিয়ে দেন। পরে বিকাল চাারটার দিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শহরের সাদ্দাম মোড়ে শাহিন শিকদারের বাড়িতে ভাঙচুর করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় দশটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এতে আহত হন তিনজন। কচাকাটা-ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এসএম মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশ মোতায়েন আছে। তবে, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি।
উৎসবমুখর পরিবেশে চট্টগ্রামে বিজয় দিবস উদযাপিত
চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে ৫৪ বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপিত হয়েছে। দিবসের কর্মসূচি শুরু হয় সোমবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ডিসি পার্কের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে। তোপধ্বনি শেষে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র শাহাদাত হোসেন প্রথমে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান তাদের নিজ কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে সব সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সোমবার সকাল আটটায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার সিটির সার্কিট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় সিএমপির কমিশনার, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। লক্ষ প্রাণের তাজা রক্ত ও মা, বোনের সম্ভ্রমহানির মাধ্যমে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা হয়েছিল। যে লক্ষ্য নিয়ে ৭১ সালে বিজয় অর্জিত হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতা আমরা রক্ষা করতে পারিনি। যার কারণে গণতন্ত্রের স্বাধীন যাত্রাপথে বার বার আমরা হোঁচট খেয়েছি, এখনো খাচ্ছি। বিজয়ের ৫৩ বছর পার হয়েছে। তবুও, দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে এখনো সংগ্রাম করতে হচ্ছে। সে সংগ্রামের ফসল হচ্ছে, ২০২৪ সালে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান। সুতরাং, সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশিত বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত এবং সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে রূপান্তর করব- এই হোক আজকের প্রত্যাশা।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, ‘বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আজকের এই বিজয় অর্জিত হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বৈষম্যমুক্ত চেতনায় ২০২৪ সালের এ গণঅভ্যুত্থান। সুতরাং, বৈষম্য ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়া আজকের এ দিনে আমাদের প্রত্যাশা।’
জনক্ষোভে পালালেন ইউএনও
বিজয় দিবসে জনক্ষোভের শিকার হয়ে পালিয়ে গেছেন ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উছেন মে। তিনি শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ না করেই গাড়িতে করে পালিয়ে যান। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, বিজয় দিবসে সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টায় তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হয়। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন না ইউএনও। পরে সকাল আটটায় শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণের কথা থাকলেও তিনি আসেন নয়টায়। এ ছাড়াও, শহীদ বেদী চত্বর ছিল অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন। এসব কারণে সকালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে আসা লোকজনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ইউএনও উছেন মে গাড়িযোগে সকাল নয়টায় পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে আসলে অপেক্ষামাণ লোকজন তার গাড়ি ঘেরাও করে তাকে ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ না করেই তিনি পালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার অভিযোগ আনেন স্থানীয়রা। পরে বিক্ষুব্ধরা চলে গেলে শেষে সকাল দশটার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী নিয়ে উছেন মে শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ নিয়ে ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতে রাজি হননি উচেন।