কমলগঞ্জে বার্ষিক ক্যাম্প, কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে যথাযোগ্য মর্যাদা কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চার মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ৫ দিন ব্যাপী বাষিক ক্যাম্প ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের শ্রীনাথপুর মবশ্বির আলী চৌধুরী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে বিদ্যালয় মাঠে ৫ দিন ব্যাপী বার্ষিক ক্যাম্প ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। মবশ্বির আলী চৌধুরী বালক উচ্চ বিদ্যালয় এর সহকারী শিক্ষক মনিরাজ সিনহার সঞ্চালনায় ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমদ সিরাজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্টানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল কুমার দাস, কমলগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সমেরেন্দু সেনগুপ্ত বুলবুল, ম্যানেজিন কমিটির সদস্য রাসেল হাসান বখ্ত, সমাজ সেবক মুক্তার চৌধুরী, সাংবাদিক সালাহউদ্দিন শুভ, পারভেজ আহমেদ, জাহেদ আহমেদ প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: মশিউর রহমান চৌধুরী, শিক্ষক মোমিনা ইয়াসমিন রুজি, হামিদা চৌধুরী, সুমাইয়া চৌধুরী, তারিন সুলতানা, নিপুণ শর্মা, শম্পা রাণী শীল, কলেজ শিক্ষার্থী ফারিহা চৌধুরী সহ অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। মবশ্বির আলী চৌধুরী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমদ সিরাজ জানান, খেলাধুলা, সাধারণ জ্ঞান চর্চা, প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োজনীয় কাজ, প্রাথমিক চিকিৎসা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনাসহ নানা কাজের মধ্য দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও পাঁচ দিনব্যাপী বার্ষিক ক্যাম্পে ৪৪জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সফলতার সাথে আমাদের বাচ্চারা বাষিক ক্যাম্প শেষ করে। যা আগামীতে অব্যাহত থাকবে। অনুষ্টান শেষে অতিথিরা বার্ষিক ক্যাম্প ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়।
ফুল দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষে জড়াল বিএনপির দুই গ্রুপ, আহত ১২
কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় বিজয়স্তম্ভে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে ভূরুঙ্গামারী বাসস্ট্যান্ডের বিজয় স্তম্ভে ফুল দেওয়ার সময় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, সোমবার সকালে বাসস্ট্যান্ডের বিজয় স্তম্ভে প্রথমে ফুল দেয় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তফা গ্রুপ। এরপর বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শাহিন শিকদারের লোকজন ফুল দিতে গেলে মোস্তফা গ্রুপের লোকজন বাধা দেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরই জেরে সোমবার সকাল দশটার দিকে শাহিন শিকদারের পক্ষের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয়পক্ষের নয়জন আহত হন। পরে মোস্তফা গ্রুপের সমর্থকরা শাহীন গ্রুপের উপজেলা অফিসের সাইনবোর্ড নামিয়ে তালা লাগিয়ে দেন। পরে বিকাল চাারটার দিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শহরের সাদ্দাম মোড়ে শাহিন শিকদারের বাড়িতে ভাঙচুর করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় দশটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এতে আহত হন তিনজন। কচাকাটা-ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এসএম মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশ মোতায়েন আছে। তবে, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি।
উৎসবমুখর পরিবেশে চট্টগ্রামে বিজয় দিবস উদযাপিত
চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে ৫৪ বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপিত হয়েছে। দিবসের কর্মসূচি শুরু হয় সোমবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ডিসি পার্কের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে। তোপধ্বনি শেষে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র শাহাদাত হোসেন প্রথমে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান তাদের নিজ কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে সব সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সোমবার সকাল আটটায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার সিটির সার্কিট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় সিএমপির কমিশনার, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। লক্ষ প্রাণের তাজা রক্ত ও মা, বোনের সম্ভ্রমহানির মাধ্যমে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা হয়েছিল। যে লক্ষ্য নিয়ে ৭১ সালে বিজয় অর্জিত হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতা আমরা রক্ষা করতে পারিনি। যার কারণে গণতন্ত্রের স্বাধীন যাত্রাপথে বার বার আমরা হোঁচট খেয়েছি, এখনো খাচ্ছি। বিজয়ের ৫৩ বছর পার হয়েছে। তবুও, দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে এখনো সংগ্রাম করতে হচ্ছে। সে সংগ্রামের ফসল হচ্ছে, ২০২৪ সালে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান। সুতরাং, সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশিত বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত এবং সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে রূপান্তর করব- এই হোক আজকের প্রত্যাশা।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, ‘বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আজকের এই বিজয় অর্জিত হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বৈষম্যমুক্ত চেতনায় ২০২৪ সালের এ গণঅভ্যুত্থান। সুতরাং, বৈষম্য ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়া আজকের এ দিনে আমাদের প্রত্যাশা।’
জনক্ষোভে পালালেন ইউএনও
বিজয় দিবসে জনক্ষোভের শিকার হয়ে পালিয়ে গেছেন ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উছেন মে। তিনি শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ না করেই গাড়িতে করে পালিয়ে যান। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, বিজয় দিবসে সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টায় তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হয়। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন না ইউএনও। পরে সকাল আটটায় শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণের কথা থাকলেও তিনি আসেন নয়টায়। এ ছাড়াও, শহীদ বেদী চত্বর ছিল অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন। এসব কারণে সকালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে আসা লোকজনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ইউএনও উছেন মে গাড়িযোগে সকাল নয়টায় পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে আসলে অপেক্ষামাণ লোকজন তার গাড়ি ঘেরাও করে তাকে ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ না করেই তিনি পালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার অভিযোগ আনেন স্থানীয়রা। পরে বিক্ষুব্ধরা চলে গেলে শেষে সকাল দশটার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী নিয়ে উছেন মে শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ নিয়ে ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতে রাজি হননি উচেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই নেতা আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খান ঝালু এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপজেলা সভাপতি প্রভাষক মশিউর রহমান বাবুকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে নাচোল থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করে। নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, বিস্ফোরক ও চাঁদাবাজির মামলায় আব্দুর রশিদ খান ঝালু এবং মশিউর রহমান বাবুকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর দুইজন পলাতক ছিলেন। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগ মনে করে জাতীয় নাগরিক কমিটির সভায় হামলা!
বরিশাল মহানগর জাতীয় নাগরিক কমিটির বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে কৃষকদলের হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল দশটার দিকে সোহেল চত্বরস্থ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় দিবস উপলক্ষে সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান চলাকালীন আওয়ামী লীগ মনে করে কৃষকদলের নেতাকর্মীরা এই হামলায় ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা। জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব ডাক্তার মাহমুদা মিতু জানান, তারা বিজয় দিবসের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছিলেন। এ সময় কৃষকদলের নেতাকর্মীরা এসে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের মধ্যে একজন যুবদলের আখতারুজ্জামান শাওনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দাবি তার। এ সময় ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে চেয়ার ভাঙচুর করে তারা। তার দাবি, সভা করার অনুমতি পত্র দেখালেও তারা থামেনি। হামলার ঘটনায় আহত চারজন বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। আহতরা হলেন নবগ্রাম রোডের রুমানা বেগম, হাঞ্জালা মৃধা, নবগ্রাম রোডের মেহেদী হাসান, সদর রোডের ডাক্তার মাহমুদা মিতু। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে নাগরিক কমিটি। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। লিখিত পেলে তারা ব্যাপারটি খতিয়ে দেখে আইনানুগ পদক্ষেপ নেবেন।
ভালুকায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহের ভালুকায় উপজেলা প্রশাসন, বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সকালে ভালুকা সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলীনূর খান। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে ভালুকা সরকারি কলেজ মাঠে বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সশস্ত্র সালাম প্রদর্শন করেন। এর আগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির দিয়ে বিজয় দিবসের দিনটি শুরু হয়। এরপরে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড বিজয় র্যালী নিয়ে প্রথমে দলীয় কার্যালয়ে আসেন পরে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আলহাজ্ব মুহাম্মদ মোর্শেদ আলমের নেতৃত্বে বিশাল এক বিজয় র্যালি দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন দিক পদক্ষিন শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আলহাজ্ব মোর্শেদ আলম, যুগ্ম আহবায়ক মজিবুর রহমান মজু। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হামিদ ক্বারী, যুগ্ম আহবায়ক রুহুল আমিন, সারুয়ার জাহান এমরান প্রমূখ। এ ছাড়াও নিজস্ব নেতাকর্মীদের নিয়ে আলাদা আলাদা করে বিজয় র্যালি করেন, পৌর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব হাতেম খান, উপজেলা যুবদলের সভাপতি তারেক উল্লাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রকিবুল হাসান খান রাসেল, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সৌমিক হাসান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ সুজন, পৌর শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাবুল মোল্লা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আসাদ উল্লাহ চৌধুরী ধ্রুব, হবিরবাড়ী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া। উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্নআহবায়ক মোঃ শরিফ হাসান, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের উপজেলা সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
ইজতেমা: সাদ ও জুবায়েরঅনুসারীদের দ্বন্দ্ব চরমে, পাল্টাপাল্টি মামলা
থামছেই না আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র মাওলানা সাদ ও জুবায়েরঅনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে সাদপন্থিরা ইজতেমা ময়দানে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করতে চান। তবে, সরকারের অনুমোদন না থাকায় এ ইজতেমায় বিরোধিতা করছেন জুবায়েরপন্থিরা। জোড় ইজতেমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এবার সাদপন্থিদের শীর্ষ মুরুব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেছেন শুরায়ে নেজামের (জুবায়েরপন্থি) মোহাম্মদ হোসেন নামের এক সাথি। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) মামলাটি করা হয়। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) শুরায়ে নিজামের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় আসামিরা হলেন সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম (৭০), মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর (৫৫), মাওলানা মোয়াজ বিন নুর (৪০), মাওলানা জিয়া বিন কাসেম (৪৫), মুফতি আজিমুদ্দিন (৪৫), মুফতি ওসামা ইসলাম (৪২), মুফতি সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ (৪৫), মুফতি সফিউল্লাহ (৪৫), মাওলানা আনাস (৪৫), হাজী বসির শিকদার (৫৫), মোহাম্মদ মনির হোসেন তুষার উরফে হাজী মনির (৪০), মুহিবুল্লাহ (৭০), রেজা আরিফ (৫২), আতাউর রহমান (৫০), ও ফরিদ (৪৫)। মামলার বিবরণে বলা হয়, ‘টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের পার্শ্ববর্তী স্টেশন রোড মোড়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান ধর্মঘট চলছিল। এ সময় শুরায়ে নেজামের তত্ত্বাবধানে তাবলিগের সাথি ও তৌহিদী ছাত্র-জনতার ওপর গাড়ি তুলে দিয়ে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়। সাঈদ আহমদ (২০) নামের একজনকে চাপা দিতে চাইলে তিনি দ্রুত সরে পড়ার সময় গাড়ির সামনের ধারালো স্টিলের আঘাতে মারাত্মক আঘাত পান।’ এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে জুবায়েরপন্থিরা ২০১৮ সালে ইজতেমায় দুই মুসল্লি নিহতের ঘটনায় সাদপন্থিদের অভিযুক্ত করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সাদপন্থিরা স্টেশন রোড অতিক্রম করার সময় হামলার ঘটনা ঘটলে পাঁচজন আহত হন। এ ঘটনায় ৩৪ জনকে শনাক্ত করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় ৩৪ জনের নামে মামলা করেন সাদপন্থিরা। এ নিয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘দুই পক্ষের দুইটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম পর্ব এবং ৭-৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। ৩ ডিসেম্বর শুরায়ে নেজামের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রস্তুতি হিসেবে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা শেষ হয়েছে। আগামী ২০ ডিসেম্বর সাদপন্থিরা জোড় ইজতেমা করতে চাইলে বিরোধিতা করছেন জুবায়েরপন্থিরা। এ অবস্থায় উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে। এতে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিজয় দিবসে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত দশ
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলায় বিজয় দিবসে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত দশজন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ মো. রেজাউল করিম ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন বিজয় দিবসে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুই গ্রুপকে আলাদা সময় নির্ধারণ করে দেয়। তবে, তারা একই সময় শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত দশজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা বিএনপির নেতা মামুন, আব্দুল আলী, সোলায়মান, কবির হোসেন, মাসুদ মিয়া। তাৎক্ষণিক বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে জানতে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি। এ ব্যাপারে মো. রেজাউল করিম জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করছিলাম। তখন মান্নানের লোকজন আমার লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ নিয়ৈ সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, ‘বিএনপির দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ইটের আঘাতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দিতে আসেনি।’ সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা রহমান জানান, উপজেলা পরিষদের চত্বরে কোন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। যে ঘটনা ঘটেছে, তা বিচ্ছিন্ন। এ ব্যাপারে কোন পক্ষই অভিযোগ দেননি।
বিজয় দিবসে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এপিক হেলথ কেয়ারের
বিজয় দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। দিনটি বিশেষভাবে স্মরণ করতে এপিক হেলথ কেয়ারের উদ্যোগে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শিশুদের জন্য সৃজনশীল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘তোমার চোখে বিজয়’ শীর্ষক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ২০২৪ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে দুই ক্যাটাগরিতে শিশুরা তাদের বিজয়কে কল্পনার রঙ্গে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী মানব সম্পদ বিভাগের ডিরেক্টর তহমিনা মরিয়ম বলেন, ’আমাদের পরিবারের শিশুদের জন্য ভিন্নধর্মী আয়োজন করতে পেরে আনন্দিত। বিজয় দিবসের চেতনা হল আত্মসম্মান ও ঐক্য। আশা করি, আমরা এভাবেই এগিয়ে যাব।’ সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর টিএম হান্নান বলেন, ‘প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হল শিশুদের মধ্যে সৃজনশীলতা ও জাতীয়তাবোধ তুলে ধরা। আশা করি, আমরা সক্ষম হয়েছি।’ প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী সব শিশুদের দেয়া হয় বিশেষ পুরস্কার। অনুষ্ঠানে সব শাখার উর্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এবার সারদায় প্রশিক্ষণরত ২৫ এএসপিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহীর সারদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ৪০তম বিসিএসের ২৫ সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) শোকজ করা হয়েছে। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে প্রশিক্ষণরত এই ২৫ এএসপিকে চিঠি দেওয়া হয়। সারদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (বেসিক ট্রেনিং-২) মো. তানভীর সালেহীন ইমন এই ২৫টি চিঠিতে সই করেন। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সারদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ৪০তম বিসিএসের ২৫ জন এএসপিকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’ ব্যাখ্যার চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনি এএসপি (পুলিশ) ব্যাচের একজন প্রশিক্ষণার্থী হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত রয়েছেন। গেল ২৬ নভেম্বর সাপ্তাহিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুযায়ী বিকালের সেশনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্যারেড চালু হওয়ার পর কোম্পানির দায়িত্বপ্রাপ্ত সিএএসআই কেন্দ্রীয় কমান্ডের অংশ হিসেবে দৌড়ের নির্দেশ দিলে আপনি আরো কয়েকজনের সঙ্গে যোগসাজশ করে দৌড় না দিয়ে এলোমেলোভাবে হেঁটে হেঁটে চলা শুরু করেন।’ ‘আপনাদের কারণে মাঠের অন্যান্য প্রশিক্ষণার্থীর সঠিকভাবে দৌড়াতে পারছিল না। আপনাকে বার বার দৌড়ানোর কথা বলা হলেও আপনি তার কথায় কোন কর্ণপাত না করে বিভিন্ন ধরনের কটূক্তিমূলক কথা বলা শুরু করেন। আপনিসহ আপনার অন্যান্য সহযোগীদের এমন কর্মকাণ্ডের ফলে মাঠে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। একজন প্রশিক্ষণরত এএসপি (প্রবেশনার) হিসেবে আপনার এমন আচরণ ও কার্যকলাপ মাঠের সার্বিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে চরমভাবে ব্যাহত করে এবং মাঠের অন্যান্য প্রশিক্ষণার্থীদেরকে শৃঙ্খলাভঙ্গে উৎসাহিত করে।’ চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘এ অবস্থায়, আপনার এমন কার্যকলাপ ও আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর কেন পাঠানো হবে না, তার কারণ ব্যাখ্যাপূর্বক নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে আপনার লিখিত বক্তব্য নিম্নসইকারীর কাছে দাখিল করার জন্য আদিষ্ট হয়ে নির্দেশ দেয়া হল।’
মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা ছাত্রদলের সাত নেতাকর্মী
বিদ্যালয়ের পুকুর থেকে মাছ চুরি করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা ছাত্রদলের সাত নেতাকর্মী। এ সময় মাছ ধরার জাল ও ব্যাটারি চালিত অটোভ্যানও জব্দ করেছে পুলিশ। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার পারকোল উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।গ্রেফতাররা হলেন বনপাড়া ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা, বনপাড়া পৌর ছাত্রদলের সদস্য আলমগীর হোসেন (২৫), কৌশিক আহমেদ, জামিল হোসেন, রাজু আহমেদ, তুষার হোসেন, সুমন আলী ও আমজেল হোসেন।বিদ্যালয়টির অভিভাবক প্রতিনিধি ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘পারকোল উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজস্ব পুকুরে প্রায় পাঁছ লাখ টাকার মাছ আছে। এই মাছ চুরি করতে ১০-১২ জন মাছ পরিবহনের ট্রাক, ভ্যান, জাল নিয়ে পুকুরে যায়। স্কুলের নাইটগার্ড আমজাদ হোসেন বিষয়টি দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করলে গ্রামবাসী দলবদ্ধভাবে তাদেরকে ঘিরে ফেলে। এ সময় জাল, মাছ ও ভ্যান ফেলে অধিকাংশরা পালিয়ে গেলেও সাতজনকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’এ ঘটনায় ইব্রাহিম বাদী হয়ে ১১ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনের নামে থানায় মামলা করেন।এ নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবাহান বক্তব্য দিতের রাজি হননি।বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ভ্যান জব্দ করে আটকদের থানায় নিয়ে আসে। পরে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা নেয়া হয়েছে। গ্রেফতারদের রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’তদন্ত করে ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।
মিষ্টি উপহার দিয়ে সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের শুভেচ্ছা বিনিময়
বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের ২৮৫ নম্বর মেইন পিলারের ১১ নম্বর সাবপিলার সংলগ্ন চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখায় দুই বাহিনীর মধ্যে এ মিষ্টি বিনিময় হয়। বিএসএফের ৭৯ ব্যাটালিয়নের ইন্সপেক্টর এসএন চৌবের হাতে চার প্যাকেট মিষ্টি তুলে দিয়ে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান ২০ বিজিবির হিলি আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার শাহাদাৎ হোসেন। এসময় বিএসএফের পক্ষ থেকেও বিজিবিকে মিষ্টি উপহার দিয়ে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে তারা একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন। এসময় সেখানে বিজিবি ও বিএসএফের নারী ও পুরুষ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিজিবির হিলি আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সীমান্তে দায়িত্বরত দুই বাহিনীর মাঝে বিরাজমান সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে দীর্ঘদিন ধরেই হিলি সীমান্তে দুদেশের বিভিন্ন জাতীয় ও ধর্মীয় উৎসবগুলোতে আমরা তাদের মিষ্টিসহ বিভিন্ন সামগ্রী উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমাদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। এসময় তারাও আমাদের মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
সোনারগাঁয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মিলল নারীর মরদেহ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারীর (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মৃতের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। সোনারগাঁ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আল ইসলাম জানান, কে বা কারা কেন ওই নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান জানা যায়নি। মৃত্যুর পর ওই নারীকে ছাড়া অন্য কাউকে পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আমাদের জানানোর পর আমরা মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আমরা নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করছি।
কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ নিহত ৫
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কাভার্ডভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে তিন নারীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০ টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জগন্নাথপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর কাভার্ডভ্যানের চালক পালিয়ে যান। নিহত পাঁচজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- অটোরিকশার চালক শাহিন, আরেকজন যাত্রী রাজন। তাদের বাড়ি নরসিংদীর পিরিজকান্দি। আর বাকি তিন নারীর পরিচয় এখনো পাওয়া যাইনি। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে নরসিংদীর নিলকুটি থেকে দুটি কাভার্ডভ্যান ভৈরবের উদ্দেশ্যে আসছিল। এসময় অটোরিকশাও ভৈরবের দিকে যাচ্ছিল। কাভার্ডভ্যান দুটি যখন ভৈরবের জগন্নাথপুর ব্রিজ পার হয়, তখন অটোরিকশাটি ওভারটেক করতে গিয়ে দেখে বিপরীত দিক থেকে আরেকটি গাড়ি আসছে। তখন অটোরিকশা দুই কাভার্ডভ্যানের মাঝখানে পড়ে সামনের ভ্যানের ধাক্কা দেয়। এরপর পেছন থাকা অপর ভ্যানটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার দুই পুরুষ ও তিন নারীর মৃত্যু হয়। ভৈরব হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজু মিয়া জানান, অটোরিকশা ও কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যান দুটি আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। তবে চালক দুজন পলাতক। নিহতদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টানা ২ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় বরাবরই শীতের প্রকোপ একটু বেশি পঞ্চগড়ে। গতকয়েকদিন ধরে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা আজ আরও তাপমাত্রা কমে ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এর তিন ঘণ্টা আগে সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যেবক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, পৌষ মাসের শুরুতেই কনকনে ঠান্ডা ও কুয়াশায় আবৃত হয়ে পড়েছে চারদিক। শীতার্ত মানুষেরা তীব্র কষ্টে দিন পার করছেন। বর্তমানে রোদেরও দেখা মিললেও তেমন তাপ নেই। দিনমজুর, চা ও পাথর শ্রমিক শ্রেণির এই মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাজও করতে পারছে না। ফলে আয় কমেছে তাদের। এইসব কারণে এ জেলার শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষের রাত কাটে এখন অসহনীয় দুর্ভোগে। শীতের একেকটি রাত যেন তাদের কাছে দুঃস্বপ্ন। প্রাকৃতিক এই বৈরিতা থেকে বাঁচতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সাহায্যের আবেদন অসহায়মুখগুলোর। এদিকে তীব্র শীত আর একটানা কুয়াশার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রতিনিয়তই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, আজ সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসে আদ্রতা পরিমাণ ৭৮%। এর তিন ঘন্টা আগে সকাল ৬ টায় ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে। যা গতকাল সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। হিমেল হাওয়ায় মৃদু শৈত্য প্রবাহে শীত অব্যহত রয়েছে। এছাড়াও গত কয়েকদিন ধরে সকালে ও সন্ধ্যার পর কুয়াশা নামে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও পারে।
চট্টগ্রামে শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় আঞ্চলিক তথ্য অফিস চট্টগ্রামের সম্মেলন কক্ষেরোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক সাইদ হাসানের সভাপতিত্বে সভায় চট্টগ্রাম আবাসন পরিদপ্তরের উপপরিচালক মুনতাসীর জাহান মুখ্য বক্তা ছিলেন। সভায় জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের সহকারী পরিচালক মাহেন্দ্র চাকমা, জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক ওয়াহিদুর রহমান, সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী, মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার পার্বতী রানী মিত্র, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে সাইদ হাসান মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় সহিংসতা কী? কোন কোন আচরণে শিশুরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও বাসা-বাড়িতে কীভাবে শিশুরা সহিংসতার শিকার হয় এবং কীভাবে শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব হবে, সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। সভায় মুনতাসীর জাহান বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে তাল মিলাতে পরিবারগুলো প্রতিনিয়ত অসম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছে। পরিবারগুলো এ অসম প্রতিযোগিতা শিশুদের সুস্থ ও স্বাভাবিক মনোবিকাশে মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলে। আর এর বলি হচ্ছে দেশের লাখ লাখ শিশু। সুতরাং, শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে এবং শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নতুন প্রজন্মকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি পারিবারিক ও ধর্মীয় শিক্ষায় আরো বেশি শিক্ষিত করে তুলতে হবে।’
প্রকৃতি ঠিক রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাস্তবমূখী পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে
বাস্তুতন্ত্র, প্রকৃতি ও পরিবেশ অবস্থান সঠিক রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের টেকসই উন্নয়নে বাস্তবমূখী পরিবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপদ্রীপ চাকমা। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার অফিস কক্ষে ইউএনডিপির ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার ইয়্যুগেস প্রধানাংয়ের নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতের সময় তিনি এ আহ্বান জানান। পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউএনডিপি কর্তৃক প্রস্তাবিত ‘ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন এন্ড রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট ইন সিএইচটি’ শীর্ষক প্রকল্পের টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট প্রোপোজাল (টিএপিপি) প্রণয়নে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্টদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয় এবং প্রকল্পে অন্যান্য বিষয়াবলী অন্তর্ভুক্ত নিয়ে প্রাথমিক দিক নির্দেশনামূলক আলোচনা ছিল এটি। এ বিষয়ে আগামি ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে আরেকটি সভা আহ্বান করার কথা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিষয়ে সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের অপার সৌন্দর্য্যকে অক্ষুন্ন রাখতে হবে। প্রকল্পের উন্নয়নের নামে প্রকৃতি ও পরিবেশের কোন বিরূপ কিছু না ঘটিয়ে পাহাড়ের ঝোপ-ঝাড়, বন-জঙ্গল ও প্রাণিকূলের পরিবেশকে অক্ষুণ্ন রেখে বাঁশ, বেত-ঝোপ ঝাড়ের ন্যায় বৃক্ষ রোপণ বাড়াতে হবে।’ পার্বত্য চট্টগ্রামে পানির লেয়ার বিনষ্ট না করে ডিপ টিউবওয়েলের পরিবর্তে গ্রাউন্ড সারফেইসের পানি ব্যবহার করতে সংশ্লিষ্টদের বলেছেন উপদেষ্টা। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এ প্রকল্পে সম্পৃক্ত রাখার জন্যও সংশ্লিষ্টদের প্রতি পরামর্শ দেন। পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সমাজের গতিশীলতা আনতে পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা পদ্ধতিগুলোয় উদ্ভাবনী জ্ঞানকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কোয়ালিটি এডুকেশন গড়ে তোলা জরুরি হয়ে পড়েছে। একটি টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্ভাবনী শিক্ষার পদ্ধতিগুলি খুবই প্রয়োজন। কোয়ালিটি এডুকেশন পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে পৃথিবীর আধুনিক মানুষের সাথে চিন্তা চেতনার সমন্বয় করানো সম্ভব হবে।’ তিনি বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলের প্রকৃতি ও পরিবেশকে তার স্বকীয়তা বজায় রেখে ‘যেখানে যেমন, সেখানে তেমন’ উপায়ে সাজাতে হবে। পানির উৎস হল পাহাড়। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড়ের পরিবেশকে সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে হবে। পাহাড় টিকিয়ে রাখতে হলে বন-জঙ্গল, ঝিরি, ঝরণা, বাঁশ ঝাড়ের চাষ বাড়াতে হবে।’ উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় বাঁশ খুবই কার্যকরী উপাদান। কাপ্তাই লেকের পানি সংরক্ষণ ও ব্যবহারে আমাদের আরও যত্নশীল হতে হবে। নদী-নালা-ঝিরির পানি সঠিক পদ্ধতিতে ধরে রাখা ও ব্যবহারে আরও উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া আমাদের বের করতে হবে।’ সুপ্রদীপ চাকমা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে তুলা চাষ, ইক্ষু চাষ, বাঁশ চাষ, আম, কলা, আনারস চাষ, কফি ও কাজু বাদাম ফলনের প্রতি বেশি গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলের বৈরি ও প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও দেশের টেকসই উন্নয়নে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ সমান অংশীদার হতে চায়।’ এ সময় ইয়্যূগেস প্রধানাংয়ের নেতৃত্বে ইউএনডিপির ফরেস্ট এন্ড ওয়াটারসেড ব্যবস্থাপনার চিফ টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ রাম শর্মা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্মসচিব কংকন চাকমা ও উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব সুভাশীষ চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
বিদেশ থেকে আসা স্বামীকে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা, স্ত্রী গ্রেফতার
কুড়িগ্রাম জেলায় সিঙ্গাপুর থেকে আসা প্রবাসী স্বামীকে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় স্ত্রী সোমা আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর পালিয়ে গেলেও শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাগভান্ডার গ্রামে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার সোমা ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের তালুক মশালডাঙা গ্রামের উমর আলীর মেয়ে। অন্য দিকে, ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যাচেষ্টায় আহত মইনুদ্দিন উপজেলার ভোটহাট গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। দীর্ঘ দিন ধরে সিঙ্গাপুর প্রবাসী মইনুদ্দিন চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফেরেন। বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা গেছে, পরকীয়ায় আসক্ত স্ত্রীকে বোঝাতে সম্প্রতি সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসেন মইনুদ্দিন। পরে বিষয়টি নিয়ে ঝগড়া ও হাতাহাতির এক পর্যায়ে স্বামী মইনুদ্দিনকে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন স্ত্রী সোমা। এ ঘটনায় ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা করেছেন আহত মইনুদ্দিনের মা মনোয়ারা বেগম। এলাকাবাসী জানায়, প্রায় চার বছর আগে মইনুদ্দিন ও সোমার বিয়ে হয়। এর এক বছরের মাথায় উন্নত জীবনের আশায় স্ত্রীকে রেখে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান মইনুদ্দিন। এ দিকে, স্বামীর অনুপস্থিতিতে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন সোমা। পরে বিষয়টি পরিবারের সামনে এলে স্বজনরা তাকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে এরপরও সোমা পরকীয়া থেকে না ফিরলে বিষয়টি মইনুদ্দিনকে জানানো হয়। পরবর্তী স্ত্রীকে বোঝাতে গেল ৪ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন মইনুদ্দিন। তবে, দেশে আসার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চলছিল। স্বজনরা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীসহ মইনুদ্দিন সোমার বড় বোনের বাড়ি বাগভান্ডার গ্রামে বেড়াতে যান। সেখানে গিয়েও পরকীয়ার বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এর এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরবর্তী নতুন ব্লেড দিয়ে স্বামীর গলা কেটে পালিয়ে যান সোমা। সবশেষ শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে ওই এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ দিকে, ঘটনার পর পরিবারের লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় মইনুদ্দিনকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তবে, অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেখান থেকে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মইনুদ্দিন। ওসি মুনিরুল ইসলাম জানান, সংবাদ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অন্য দিকে, শনিবার রাতে অভিযুক্ত সোমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত মইনুদ্দিনের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে পুত্রবধূ সোমার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন। আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।
তাবলিগ জামাতের সাদপন্থিদের ৩৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম
গাজীপুর জেলার টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমার অনুমতি ও মাওলানা সাদকে আসার নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবিতে সচেতন ছাত্রসমাজের ব্যানারে গাজীপুর পুলিশ কমিশনারের (জিএমপি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন সাদপন্থিরা। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ১২টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল নয়টা থেকে জিএমপির সদর দপ্তরের সামনে এ ধর্মঘট শুরু হয়। ধর্মঘট চলাকালে সাদপন্থিরা বলেন, ‘জুলাই ২৪ বিপ্লবে হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশে সব ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের এক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। আমরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী ‘সচেতন ছাত্রসমাজ’ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মত একজন বিশ্ববরেণ্য ও সমাদৃত ব্যক্তির নেতৃত্বে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে এবং সব ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবে।’ ‘দীর্ঘ দিন থেকে আমরা সচেতন ছাত্রসমাজ নিবিড়ভাবে লক্ষ্য করছি যে, তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের ভেতরে একটা সুস্পষ্ট বিভেদ দেখা যাচ্ছে এবং এর ফলে দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।’ তারা আরো বলেন, ‘তাবলিগের অপরপক্ষ প্রতি বছর তাদের সর্বোচ্চ মুরুব্বিদের নিয়ে জোড় ও ইজতেমা করার সুযোগ পাচ্ছে। এই বছরও তারা টঙ্গীর ময়দানে তাদের সব মুরুব্বিদের (ভারত ও পাকিস্তান) নিয়ে পাঁচ দিনের জোড় করেছে। ন্যায্যতা ও ইনসাফের দাবি অনুসারে আমরা মাওলানা সাদসহ সর্বোচ্চ মুরুব্বিকে বাংলাদেশে এনে ২০-২৪ ডিসেম্বর পাঁচ দিনের জোড় করার দাবি জানাচ্ছি। ন্যায্যতা ও ইনসাফ হিসেবে এ ব্যাপারটি নিয়ে আর কোন ধরনের অস্থিতিশীলতা আমরা সচেতন ছাত্রসমাজ দেখতে চাই না।’ ‘আমরা বৈষম্য দূরীকরণ, দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে কাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার জোরালো দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায়, আগামী মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সারা দেশ থেকে লক্ষাধিক সচেতন ছাত্র প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
চৌদ্দগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে বাসের ধাক্কা, নিহত তিন
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দশজন। রোববার (১৫ ডিসম্বের) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম জগন্নাথ দিঘী ইউনিয়নের ঘাংড়া নামের এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ সুপার মো. খায়রুল আলম। খায়রুল আলম জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা হানিফ সুপার পরিবহনের বাসটি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথ দীঘি ইউনিয়নের ঘাংরা এলাকায় পৌঁছালে চালক বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ সময় রাস্তার পাশে একটি গাছের সঙ্গে বাসটির ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে বাসের তিন যাত্রী নিহত হন। তিনি আরও জানান, নিহত তিনজনই পুরুষ। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। এ ছাড়া, দুর্ঘটনায় অন্তত দশজন যাত্রী আহত হয়েছে। আহতদের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ। তিন যাত্রীর লাশ চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হাতে হাতকড়া নিয়েই বাবার জানাজায় যুবলীগ নেতা
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আবুল কালাম আজাদ (৪৫) নামের এক যুবলীগ নেতা তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার জানাজায় অংশ নেন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে রাত ৮টার দিকে জানাজায় অংশ নেন তিনি। এ সময় তিনি হাতকড়া পরানো অবস্থায় ছিলেন। জানা গেছে, আবুল কালাম আজাদের বাড়ি উপজেলার বাঘার আড়ানী পৌর এলাকার শাহাপুর গ্রামে। তিনি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। এর আগে গত বুধবার সকালে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে বাঘা থানার পুলিশ। গ্রেপ্তারের দুই দিন পরই তার বাবা আজাহার আলী (৭০) মারা যান। আবুল কালাম প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর তাকে কড়া পুলিশ পাহারায় বাঘার আড়ানী ঈদগাহ ময়দনে আনা হয়। এরপর জানাজা শেষে তার বাবার দাফন সম্পন্ন হলে আবার তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আবুল কালাম আজাদের পক্ষে জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন রাজশাহীর জজকোর্টের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র সহকারী কমিশনার রিয়াকত সালমান জুডিশিয়াল শাখা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্রের মাধ্যমে তিন ঘণ্টার জন্য তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। বাঘা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পরে নিয়ম তান্ত্রিকভাবে তাকে সব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তাকে তার বাবার জানাজায় নিয়ে আসা হয়। জানাজা শেষে আবার তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।
তাহেরিকে গ্রেফতার করতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে একটি মামলার আসামি হিসেবে আলোচিত ইসলামি বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরিকে গ্রেফতার করতে গিয়ে তার সমর্থকদের দ্বারা হামলা শিকার হয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। গতকাল শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চরইসলামপুর ইউনিয়নের নাজিরাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা পুলিশের তিনটি গাড়িও ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় তাহেরির ছয়জন সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ। বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সম্প্রতি আখাউড়া থানায় তাহেরির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নাজিরাবাড়ি এলাকায় তাহেরির উপস্থিতির খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে গেলে তিনি পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে ঢুকে পড়েন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যান। এসময় তাহেরির সমর্থকরা গ্রেফতার অভিযানে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এবং পুলিশের তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এর আগে, গত শুক্রবার আখাউড়া উপজেলায় বিনা অনুমতিতে গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরির একটি মাহফিলের আয়োজন করা হয়। পুলিশ গিয়ে দ্রুত মাহফিল শেষ করার কথা বললে তাহেরির সমর্থকরা হামলা করে এক পুলিশ সদস্যের মাথা ফাটিয়ে দেয়। এছাড়া মাহফিল থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ারও অভিযোগ উঠে। ওই ঘটনায় তাহেরিসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করে।
কুষ্টিয়ায় ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা
কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া পৌরসভা প্রাঙ্গণে এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের কুষ্টিয়া পৌরসভা চত্বরে পিঠা উৎসবে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক সায়াদ ইসলাম শ্রেষ্ঠ, হুমাইরা কবির সাদিয়া, মুখ্য সংগঠক এম ডি বেলাল হোসেন বাঁধনসহ কয়েকজন। এ সময় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মী ও কিশোর গ্যাং বাহিনীর সদস্যরা অতর্কিত হামলা চালান তাদের। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীদের হাতে অস্ত্র ছিল। হামলা করে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের মধ্যে আমির হামজা, স্যামসাদী, প্রেমসহ অন্যান্য ছাত্রলীগের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান বলেন, ‘সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছাত্রলীগের কর্মীরা ও কিশোর গ্যাং বাহিনীর সদস্যরা মুস্তাফিজ, শ্রেষ্ঠ, বাঁধন ও হুমাইরা কবিরের ওপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা করে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।’