জুলাই-আগস্ট গণহত্যার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১২:৪০ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারপতিরা বিচারকাজ শুরু করবেন।
এদিন আসামিদের বিরুদ্ধে কয়েকটি আবেদনও করবে রাষ্ট্রপক্ষ। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ আবেদনগুলো করবেন বলে জানা গেছে। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গণহত্যার ঘটনায় করা মামলার বিচার করতে নিয়োগ পাওয়া ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারপতি যোগ দিয়েছেন।
এদিকে, ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ আ.লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইবে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম। বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরও ট্রাইব্যুনালে গ্রেফতার দেখানো হবে বলেও জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারপতিরা বিচারকাজ শুরু করবেন।
এদিন আসামিদের বিরুদ্ধে কয়েকটি আবেদনও করবে রাষ্ট্রপক্ষ। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ আবেদনগুলো করবেন বলে জানা গেছে। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গণহত্যার ঘটনায় করা মামলার বিচার করতে নিয়োগ পাওয়া ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারপতি যোগ দিয়েছেন।
এদিকে, ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ আ.লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইবে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম। বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরও ট্রাইব্যুনালে গ্রেফতার দেখানো হবে বলেও জানানো হয়।
এর আগে, গত ১৫ অক্টোবর তাজুল ইসলাম বলেছিলেন, আমরা বিচারের শুরুর দিন কয়েকটি আবেদন করব। সে বিষয়ে এখনই ডিসক্লজ করছি না। এটি গোপন রাখাই ভালো।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। সেই ট্রাইব্যুনাল জামায়াত-বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হয় এবং তা কার্যকরও হয়। মাঝখানে ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ অনেক দিন বন্ধ ছিল। এর মধ্যেই গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে। ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। সেই ট্রাইব্যুনাল জামায়াত-বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হয় এবং তা কার্যকরও হয়। মাঝখানে ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ অনেক দিন বন্ধ ছিল। এর মধ্যেই গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে। ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে গঠিত এ ট্রাইব্যুনালেও পরিবর্তন আনা হয়। গতকাল বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে প্রধান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল পুনর্গঠনের অনুমোদন দেয় আইন মন্ত্রণালয়। ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে বিচারিক কাজে যোগ দেন।
ছাত্র আন্দোলনের সময় কয়েকশ মৃত্যুর ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের কয়েক ডজন মানুষের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে এরইমধ্যে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে।
বিচারকাজ শুরু হলে সেগুলোর ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শুরু হলে শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইবে প্রসিকিউটর টিম।
ছাত্র আন্দোলনের সময় কয়েকশ মৃত্যুর ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের কয়েক ডজন মানুষের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে এরইমধ্যে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে।
বিচারকাজ শুরু হলে সেগুলোর ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শুরু হলে শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইবে প্রসিকিউটর টিম।