বাড্ডায় গণপিটুনিতে রেনু হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

ছেলে ধরা সন্দেহে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড আর ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুরশিদ আহম্মেদের আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।২০১৯ সালের ২০ জুলাই উত্তর বাড্ডায় ছেলে ধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে আহত করে বিক্ষুব্ধ জনতা। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওইদিন বাড্ডা থানায় ৪০০-৫০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন রেনুর ভাগ্নে নাসির উদ্দিন।২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতিমা ইমরোজ ক্ষনিকা ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় ৩৬ সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ও মহিন উদ্দিন।এছাড়া আসামি জাফর হোসেন পাটোয়ারী ও ওয়াসিম আহমেদ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়েছে। তাদের বিচার শিশু আদালতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শপথ নিলেন হাইকোর্টের নতুন ২৩ বিচারপতি

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৩ অতিরিক্ত বিচারপতি শপথ গ্রহণ করেছেন।বুধবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল আজিজ আহমেদ।এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।আইন সচিব মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান-এর ৯৮ অনুচ্ছেদ-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নবর্ণিত (ক)-(ব) ক্রমিকে উল্লেখকৃত ২৩ জন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগদান করেছেন। তারা হলেন– মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন, মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

হাইকোর্টে নতুন ২৩ বিচারপতি নিয়োগ

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ২৩ জনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।আইন সচিব মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান-এর ৯৮ অনুচ্ছেদ-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নবর্ণিত (ক)-(ব) ক্রমিকে উল্লেখকৃত ২৩ জন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগদান করেছেন। তারা হলেন– মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন,মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে। সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানায়, বুধবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিদের শপথ পাঠ করাবেন।

চার মামলায় জামিন পেলেন সাবের হোসেন চৌধুরী

রাজধানীর খিলগাঁও থানার চার মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এর মধ্যে দুটি হত্যা ও দুটি হত্যাচেষ্টার মামলা.মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এসব মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।এর আগে, রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে ডিবির একটি টিম সাবের হোসেন চৌধুরীর গুলশানের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।গতকাল সোমবার তাকে বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যা মামলার শুনানির জন্য ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। সেখানে তার ওপর পচা ডিম নিক্ষেপ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এছাড়া, আদালতে পুলিশের প্রটোকল ভেঙে তার ওপর হামলা করা হয়।সাবের হোসেন চৌধুরী রাজধানীর খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তাকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।এক সময় তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

বরখাস্ত হওয়া সেই ম্যাজিস্ট্রেটকে আদালতে হাজির হতে সমন

ফেসবুকে বিতর্কিত স্ট্যাটাসের জেরে বরখাস্ত হওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ২৮ নভেম্বর তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন বিচারক।মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালত এই আদেশ দেন।এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের সামনে বুক পেতে দিয়ে শহীদ আবু সাঈদসহ অন্য শহীদদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানিরমামলার আবেদন করেনগণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫ অক্টোবর আসামি ঊর্মি শুধু শহীদ আবু সাঈদ নয়, সরকারের দায়িত্বশীল পদে থাকা সত্ত্বেও ছাত্র-গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকার ও সরকারপ্রধান নোবেল বিজয়ী প্রধান উপদেষ্টা জনাব ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধেও অবমাননাকর বক্তব্য ফেসবুক লিখেন। যার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেফারেন্সের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে গঠিত একটি সরকার প্রধান সম্পর্কে বিষদ্গার করা হয়েছে এবং সরকার উৎখাতের হুমকি দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে।গতকাল সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে ঊর্মিকে বরখাস্ত করার কথা জানানো হয়। তার আগের দিন রোববার উর্মিকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। আলোচিত এই ম্যাজিস্ট্রেটের দুটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে। গত শনিবার (৫ অক্টোবর) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি ফেসবুক পোস্টে লেখেন- ‘মানে কত বড় বোকার স্বর্গে আছি এইটা শুধু চিন্তা করি। আবু সাইদ! বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী, সন্ত্রাসী একটা ছেলে যে কী না বিশৃংখলা করতে গিয়ে নিজের দলের লোকের হাতেই মারা পড়লো সে নাকি শহীদ! এটাও এখন মানা লাগবে! আর এই আইন ভঙ্গকারী সন্ত্রাসী র জন্য দেশের অথর্ব অতি প্রগতিশীল সমাজ কেঁদেকেটে বুক ভাসিয়েছে। তখন যাকেই বলার চেষ্টা করেছি পুরো ঘটনা তদন্তসাপেক্ষ, সেই দশটা কথা শুনিয়ে দিয়েছে। প্রশাসনে থেকে সরকারের দা লাল হয়ে গিয়েছি একথা বুঝানোর তো বাকিই রাখনি।’এছাড়া আরেক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’

এবার সেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেওয়া ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে কটূক্তি এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করে সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মির বিরুদ্ধে মানহানির মামলার আবেদন করা হয়েছে।মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বাদী হয়ে এ আবেদন করেন।বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড শেষে এ বিষয়ে আদেশ পরে হবে বলে জানান আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. খাদেমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫ অক্টোবর আসামি উর্মি শুধু শহীদ আবু সাঈদ নয়, সরকারের দায়িত্বশীল পদে থাকা সত্বেও ছাত্র-গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকার ও সরকার প্রধান নোবেল বিজয়ী প্রধান উপদেষ্টা জনাব ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধেও অবমাননাকর বক্তব্য ফেসবুক লিখেন। যার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেফারেন্সের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে গঠিত একটি সরকার প্রধান সম্পর্কে বিষদগার করা হয়েছে এবং সরকার উৎখাতের হুমকি দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে।

ফের ৫ দিনের রিমান্ডে সালমান-দীপু মনি-পলক-মামুন

রাজধানীর বাড্ডা থানার একটি হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের একটি আদালত এ আদেশ দেন।এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমানের দিনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, নিউমার্কেট, রমনা, ও মোহাম্মাদপুর থানার মোট নয়টি হত্যা মামলায় আসামিদের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এস আলম পরিবারের

নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন- সাইফুল আলমের ছেলে আশরাফুল আলম, আহসানুল আলম, ভাই মোরশেদুল আলম, সহিদুল আলম, রাশেদুল আলম, আবদুস সামাদ, আবদুস সামাদের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌস, ভাই ওসমান গণি, ওসমান গণির স্ত্রী ফারজানা বেগম, ভাই মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান ও অজ্ঞাত মিশকাত আহমেদ।

হত্যা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি গ্রেফতার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপপরিদর্শক মো. ময়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে ইমাম হাসান তাইমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।সোমবার (৭ অক্টোবর) আবুল হাসানকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর ররহমান তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। শুনানিকালে আবুল হাসান এজলাসে ছিলেন।গত ২০ আগস্ট নিহত ইমাম হাসান তাইমের মা পারভীন আক্তার ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই কারফিউ জারি করে সরকার। ওই দিন দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। ওই সময় নারায়ণগঞ্জ সরকারি আদমজী নগর এম ডব্লিউ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাইম তার দুই বন্ধুর সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় চা খেতে যায়। সেখানে কিছু আন্দোলনকারী বিক্ষোভ করছিল। তখন পুলিশ সদস্য ইকবাল হোসেন, শামীম ও তানজিল আহমেদের নির্দেশে জাকির হোসেন ও তার সঙ্গীয়রা বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও গুলি চালায়। প্রাণভয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা এলোপাতাড়ি ছোটাছুটি করতে থাকে। তাইম ও তার দুই বন্ধু লিটন চা স্টোরের ভেতর ঢুকে দোকানের শাটার টেনে দেয়। কিন্তু শাটারের নিচের দিকে আধা হাত খোলা থাকায় তাদের পুলিশ দেখে টেনে বের করে। তখন গুলি থেকে বাঁচতে চাইলে দৌড় দিতে বলেন জাকির হোসেন। তাইম সবার আগে দৌড় দেয়। জাকির তাকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই তাইম মারা যায়।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমিলা জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।সোমবার (৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমির হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।আজ দুদকের উপপরিচালক রাম প্রসাদ মন্ডল তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে জানা যায় যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাইফুজ্জামান চৌধুরী অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করে তার নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে যুক্তরাজ্যে ৩৫০টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২২৮টি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৯টিসহ অন্যান্য দেশেও বাড়ি বা এপার্টমেন্টসহ অন্যান্য সম্পদ অর্জন করেছেন।এছাড়া সাইফুজ্জামান চৌধুরী অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ দ্বারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও সম্পদ অর্জন করেছেন বলে রেকর্ডপত্রের আলোকে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।বিশ্বস্ত সূত্রের প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমিলা জামান দেশত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।

এস আলম পরিবারের ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম, স্ত্রী ফারজানা পারভীনসহ তার পরিবারের ১২ সদস্যের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।সোমবার (৭ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন- সাইফুল আলমের ছেলে আশরাফুল আলম, আহসানুল আলম, ভাই মোরশেদুল আলম, সহিদুল আলম, রাশেদুল আলম, আবদুস সামাদ, আবদুস সামাদের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌস, ভাই ওসমান গণি, ওসমান গণির স্ত্রী ফারজানা বেগম, ভাই মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান ও অজ্ঞাত মিশকাত আহমেদ। ওদিন দুদকের মো. নূর ই আলম তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

নতুন হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার হাজী সেলিম-সৈকত-মানিক

প্লাস্টিক কারখানার কর্মচারী রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও সাবেক কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিককেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মোরাদুল ইসলাম তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান তিনজনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। শুনানির সময় তাদের এজলাসে তোলা হয়।জানা যায়, ১৬ বছরের কিশোর রাকিব হাওলাদার চকবাজারের হোসনী দালান এলাকায় কাজল প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করতেন। ৫ আগস্ট দুপুরে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি চানখারপুল পৌঁছালে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলে গুলিবর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হন রাকিব। তাকে মিডফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।এ ঘটনায় তার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন মামলা দায়ের করেন। মামলায় হাজী সেলিম এক নম্বর, সৈকত ও মানিক এজাহারনামীয় আসামি।

সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এবং ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন আদালত।রোববার (৬ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন এ আদেশ দেন।দুদকের উপপরিচালক মো. আনোয়ারুল হক তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমির হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আব্দুর রহমান ফরিদপুর-১ আসনে নৌকা নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তাকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলে অন্য মন্ত্রী-এমপিদের মতো লাপাত্তা হয়ে যান আব্দুর রহমান। এখন পর্যন্ত তিনি কোথায় আছেন জানা যায়নি।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপসহ নানা অভিযোগ আছে।

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: ১৪ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেনসহ ১৪ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।বুধবার (২ অক্টোবর) এই রংপুর মহানগর আমলী আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।ডিআইজি আব্দুল বাতেন ছাড়া বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া বাকি আসামিরা হলেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বেরোবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, দফতর সম্পাদক বাবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার টগর, তাজহাট থানার সাবেক ওসি রবিউল ইসলাম, বেরোবি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ, বেরোবির সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল, সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান, প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রবিউল হাসান রাসেল, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার আল ইমরান হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুজ্জামান ও বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া।প্রসঙ্গত, আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে মোট ১৭ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এই হত্যা মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) তদন্তাধীন আছে।ইতোমধ্যে এ হত্যা মামলায় উল্লেখিত ১৭ জন আসামির মধ্যে এএসআই আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় গ্রেফতার হয়েছেন। এছাড়াও অন্য মামলায় গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে।

জামিন পেলেন সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।তার আইনজীবী তানভীর আহমেদ আল-আমিন বলেন, মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে আজ আমরা আপিল করেছি। আদালত আপিল আবেদন গ্রহণ করেন। এরপর আমরা মাহমুদুর রহমানের জামিন চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এ ক্ষেত্রে তার কারামুক্ত হতে আর কোনো আইনগত বাধা থাকলো না।মাহমুদুর রহমান গত রোববার এ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওইদিন মামলাটিতে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।জানা যায়, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৫ জনের পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন— জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুইয়া।আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও একমাসের কারাভোগের আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া একই আইনে ১২০-খ ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসাথে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।এদিকে গত ২২ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মাহমুদুর রহমান কারাগারে যাওয়ার পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে এ মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শর্তে আত্মসমর্পণ করেন শফিক রেহমান। শুনানি শেষে বিচারক তার বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন। একইসঙ্গে সাজা পরোয়ানা স্থগিত করেন।

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এনবিআরের ৬৬৬ কোটি টাকা কর দাবির রায় প্রত্যাহার

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণের কাছ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দাবি করা ৬৬৬ কোটি টাকা দিতে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই রায় স্ব-প্রণোদিতভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আদালত।বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতির কাছে এ মামলার নথি পাঠানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।গত ৪ আগস্ট নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণের এনবিআরের ৬৬৬ কোটি টাকা কর দাবির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।এতে করে ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা সরকারকে পরিশোধ করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা।এ বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে ৪ আগস্ট বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।এর আগে, ১১ মার্চ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণের ৬৬৬ কোটি টাকা কর দাবির মামলা তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

ডা. শাহাদাতকে চসিকের মেয়র ঘোষণা

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ফলাফল বাতিল চেয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের দায়ের করা মামলায় তাকে মেয়র ঘোষণা করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত এ রায় দেন।বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আরশাদ হোসেন আসাদ জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কারচুপির হওয়ায় ফলাফল বাতিল চেয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের দায়ের করা মামলায় তাকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। যদিও ওই সময় ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ করেছিলেন বিএনপির প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি ফলাফল বাতিল চেয়ে মামলা করেছিলেন বিএনপির এ নেতা।যদিও নির্বাচনের পর মেয়র পদে বসেন রেজাউল করিম। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের পতন হলে ৫ আগস্ট থেকে গা ঢাকা দেন তিনি। পরে ১৯ আগস্ট রেজাউলকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

সাগর-রুনি হত্যা মামলা:  তদন্ত থেকে সরানো হলো র‍্যাবকে

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে এই টাস্কফোর্স গঠন করতে বলা হয়েছে। টাস্কফোর্স গঠনের পর ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বহুল আলোচিত এ হত্যা মামলার তদন্ত থেকে র‌্যাবকে সরিয়ে দিয়ে আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। মামলাতে বাদীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ শুনানি করেন।এর আগে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত থেকে র‌্যাবকে সরিয়ে দিতে সম্পূরক আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়।এর আগে গতকাল সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলায় নতুন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। বিশিষ্ট ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরকে আলোচিত এ মামলার আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রোববার সাগর-রুনি হত্যা মামলার বাদী নওশের রোমান বলেন, এখন থেকে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাগর-রুনি হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনে আইনি লড়াই করবেন।আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আমরা সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করব। এর অংশ হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে খুবই দ্রুত মিটিং করব। একইসঙ্গে হত্যার রহস্য উন্মোচনে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে আইনি লড়াই করব।সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ পর্যন্ত ১১৩ বার সময় বাড়ানো হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য রয়েছে।২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।তাদের একমাত্র ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ (৫) সেসময় বাড়িতে ছিল। হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন।মামলা দায়েরের পর শেরেবাংলা নগর থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিন দিন পর মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের ব্যর্থতার পর মামলাটি র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল।মামলায় গ্রেপ্তার আট জনের মধ্যে দুজন জামিন পেয়েছেন। বাকিরা কারাগারে আছেন। র‌্যাবের অতিরিক্ত এসপি খন্দকার মো. শফিকুল আলম মামলার সপ্তম তদন্ত কর্মকর্তা। ২০১৯ সালের ৭ জুলাই তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সাংবাদিক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেছেন আদালত।সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে এ মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শর্তে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন। একইসঙ্গে সাজা পরোয়ানা রিকল করেছেন।এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসেন শফিক রেহমান।তার পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এ মামলায় আপিল দায়েরের জন্য নকল এবং তার বিরুদ্ধে দেওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার ও সাজা পরোয়ানার রিকলের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করেন।এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এজন্য আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিল দায়েরের শর্তে এ সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।জানা যায়, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচ জনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন– জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুইয়া।আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও একমাসের কারাভোগ করতে হবে। এ ছাড়া একই আইনে ১২০-খ ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আত্মসমর্পণ করেছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিক শফিক রেহমান সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শর্তে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসেন তিনি। এসময় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।জানা যায়, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচ জনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন– জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুইয়া।আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও একমাসের কারাভোগ করতে হবে। এ ছাড়া একই আইনে ১২০-খ ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বিগত সরকারের সব বিতর্কিত আইন  বাতিল করা হবে: আসিফ নজরুল

বিগত সরকারের করা সব বিতর্কিত আইন সংশোধন কিংবা বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। বলেন, অরাজকতার জঘন্য উদাহারণ সৃষ্টি করে তথ্য অধিকার বিনাশ করা হয়েছিল। এমন পরিস্থিতি যেন আর ফিরে না আসে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এই কথা বলেন আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, অধিকার নিয়ে সচেতনতার অভাব আছে। নিপীড়নের বড় হাতিয়ার তথ্য গোপন করা। তাই গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলতে হবে।এ সময় তথ্য অধিকার নিশ্চিতে সুপারিশ অনুযায়ী তথ্য অধিকার কমিশন পুনর্গঠনের আহ্বান জানান টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। নাগরিক সমাজের সুপারিশ অনুযায়ী তথ্য অধিকার আইন সংস্কারের কথাও বলেন তিনি।

আমার দেশ সম্পাদকের আত্মসমপর্ণ, চাইবেন জামিন

আদালতে আত্মসমপর্ণ করলেন ‘দৈনিক আমার দেশ’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় জামিন চাইবেন তিনি। মাহমুদুর রহমানের অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার পর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হন তিনি। আদালতে আত্মসমর্পণের পর আপিল শর্তে জামিন আবেদন করবেন তিনি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, আদালতে তার জামিন শুনানি চলছে।এর আগে পলাতক দেখিয়ে মাহমুদুর রহমানের অনুপস্থিতিতে এ মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেয় বিচারিক আদালত। দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকার পর গত শুক্রবার দেশে ফেরেন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত এই সম্পাদক।এদিকে মাহমুদুর রহমানের আত্মসমর্পণকে ঘিরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আদালতের প্রধান গেটের বাইরে রয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া আদালত ভবনের বাইরেও সর্তকতায় রয়েছেন সেনা ও পুলিশ সদস্যরা।

২৮৫ প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে প্রাথমিকের শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের রায় প্রকাশ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০ এ ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে ২৮৫ প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। ১৭ পৃষ্ঠার প্রকাশিত এ রায়ের কথা মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তিনি জানান, ৯০ দিনের মধ্যে তাদের নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে।চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি চারটি পৃথক রিটে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ।রিট আবেদনকারীরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকাশিত ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। পরে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়, যেখানে কোনো প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। অথচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ এর ৮ এর ২ বিধিতে বলা হয়েছে, ‘উপবিধি (২) এর দফা (গ) তে উল্লিখিত নারী, পোষ্য ও পুরুষ কোটা পূরণের ক্ষেত্রে আপাতত বলবৎ অন্য কোনো বিধি বা সরকারি সিদ্ধান্তে কোনো বিশেষ শ্রেণির কোটা নির্ধারিত থাকিলে উক্ত কোটা সংক্রান্ত বিধান অনুযায়ী নিয়োগ করিতে হইবে’ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ধারা ৩৫ এর ১ এ বলা হয়েছে, ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী উপযোগী কোনো কর্মে নিযুক্ত হইতে কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে বঞ্চিত বা তাহার প্রতি বৈষম্য করা বা তাহাকে বাধাগ্রস্ত করা যাইবে না’।এ কারণে ২৮৫ জন প্রার্থী হাইকোর্টে পৃথক চারটি রিট করেন। ওইসব রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট চলতি বছরের শুরুতে রুল জারি করেন। রুলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০ এর প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলে ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে রিটকারী প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ না দেওয়া কেন অবৈধ হবে না এবং ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে রিটকারী প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন।চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১৪ জানুয়ারি রায় দেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরো তিনটি হত্যা মামলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হত্যার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয়েছে ঢাকায়। অন্যটি নারায়ণগঞ্জে। এছাড়া সোমবার ঢাকার সিএমএম আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি হত্যা মামলা নেওয়ার আবেদন জমা পড়েছে। এ–সংক্রান্ত মামলা হয়েছে কি না, আদালত সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে সোমবার পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে ১৯৭টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৭৬টি হত্যা মামলা। এসব মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।বাড্ডায় দোকানের কর্মচারীকে হত্যারাজধানীর বাড্ডায় রফিকুল ইসলাম নামের এক ফার্নিচার দোকানের কর্মচারীকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঢাকার সিএমএম আদালতে রফিকুল ইসলামের মামা মুহাম্মদ লুৎফর রহমান বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা করেন।মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াকিল উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে।মিরপুরে গুলিবিদ্ধ তরুণের মৃত্যুরাজধানীর মিরপুরে আশরাফুল ইসলাম নামের এক তরুণকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৯৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার রাজধানীর মিরপুর থানায় এ মামলা রেকর্ড হয়। মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার, ইলিয়াস মোল্লাকে আসামি করা হয়েছে।নারায়ণগঞ্জে গুলিবিদ্ধ স্কুলছাত্রের মৃত্যুআরাফাত হোসেন (১৬) নামের এক কিশোরকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সোমবার এ মামলা করেন আরাফাতের বাবা আকরাম হোসেন। মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে আসামি করা হয়েছে।