মাইকেল চাকমাকে ৭ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট দিতে নির্দেশ

উনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমাকে সাত দিনের মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। যিনি গত সরকারের আমলে দীর্ঘদিন ‘আয়নাঘরে’ বন্দি ছিলেন বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) তার করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি জানান, নিয়ম অনুসারে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন মাইকেল চাকমা। কিন্তু ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে মাইকেল চাকমাকে পাসপোর্ট দিতে বলেছেন। একইসঙ্গে রুল জারি করেছেন। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের এপ্রিলে মাইকেল চাকমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তার পরিবার ও দল অভিযোগ করে। এরপর থেকে তার কোনো হদিস মেলেনি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের দুদিন পর ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের একটি স্থানে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়। গত ১৮ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দেন মাইকেল চাকমা। তখন বলেন, ‘আমি কী গ্রহণ করব, না করব এর অধিকার আছে। মূলত শেখ হাসিনা যে খুন গুম করে মানুষের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য, আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য এগুলো করেছেন। ’ তবে কারা গুম করেছিল, তাদের পরিচয়, চেহারা জানতে পারেননি। প্রশ্ন করাও বারণ ছিল বলে জানান তিনি। গুম করার ঘটনা বর্ণনা করে মাইকেল চাকমা বলেন, ঢাকার কল্যাণপুরে একটা জায়গায় গিয়েছিলেন। সেখানে পেছন থেকে একজন তার নাম ধরে ডাকেন। তিনি তাকাতেই কয়েকজন মিলে তার জামার কলার, কোমরের বেল্ট ও হাত ধরে ফেলেন। তাৎক্ষণিক একজন মোবাইল ফোনে গাড়ি ডাকেন। দ্রুত গাড়ি চলে আসে এবং তাকে ওই গাড়িতে (মাইক্রোবাসে) তোলা হয়। গাড়িতে তুলেই হাতে হাতকড়া এবং চোখ কালো কাপড়ে বাঁধা হয় জানিয়ে মাইকেল বলেন, চোখ বাঁধার আগে চালকের পাশের আসনে একটি ওয়াকিটকি তিনি দেখেছিলেন। পেছনের আসনে কয়েকটি বাটন মোবাইলও দেখেন। পরে ঘণ্টাখানেক যাত্রা করে তাকে একটি স্থানে নেওয়া হয়। সেখানে এক রাত রেখে আরেক জায়গায় নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি পাঁচ বছর তিন মাস ২৭ দিন ছিলেন বলেও জানান।

রিসিভার নয়, নিজস্ব তত্ত্বাবধানে চলবে বেক্সিমকো গ্রুপ: হাইকোর্ট

বেক্সিমকো গ্রুপে ‘রিসিভার’ নিয়োগে আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্য নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেক্সিমকো গ্রুপের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সঠিকভাবে নজরদারি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বুধবার সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায়ের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। এই রায়ে ৯টি পর্যবেক্ষণ দিয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, বেক্সিমকোর হাজার হাজার কর্মীর স্বার্থে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের দ্বারাই পরিচালিত হওয়া উচিৎ। তবে এরই মধ্যে নিয়োগ দেওয়া রিসিভার কর্তৃক যেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে তা বৈধ বলে গণ্য হবে। আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস ও আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনীরুজ্জামান। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র ল আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও আইনজীবী আনিসুল হাসান। রিটের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান ও ব্যারিস্টার ফাতেমা এস সোবহান। আদেশের পর ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপের মোট ১৮৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে ১৬৯টি নিবন্ধিত। গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে জনস্বার্থে করা এক রিটের প্রেক্ষিতে ৫ সেপ্টেম্বর বেক্সিমকো গ্রুপের সকল প্রতিষ্ঠানে রিসিভার নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে বেক্সিমকো ফার্মা আপিলে যায়। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশটি মডিফাই করে শুধুমাত্র বেক্সিমকো ফার্মাকে রিসিভারের বাইরে নিজস্ব ভাবে পরিচালনার অনুমতি দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংক বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোতে রিসিভার নিয়োগ করেছিল। তবে শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্ট নয়টি পর্যবেক্ষণসহ রুলটি নিষ্পত্তি করেছেন। রুল নিষ্পত্তির কারণে বেক্সিমকো গ্রুপের কোন প্রতিষ্ঠানেই রিসিভার আর থাকল না। তাই বেক্সিমকো কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা তারা নিজেরা করবেন। তবে আদালত বলেছেন এসব প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রেগুলেটরি বডির সুপারভিশন ও মনিটরিং আইন অনুযায়ী থাকবে। গত ২৫ বছরে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ সংশ্লিষ্ট গ্রুপের অন্য সব ব্যবসার ঋণের বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করাসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান আবেদনকারী হয়ে ৪ সেপ্টেম্বর রিট করেন। ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন। আদেশে বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি দেখভাল করার জন্য রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ছয় মাসের জন্য গ্রুপটির সকল সম্পত্তি সংযুক্ত (অ্যাটাচ) করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একপর্যায়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ গত ১২ নভেম্বর শুধু বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ক্ষেত্রে ‘রিসিভার’ নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেন। সেই সাথে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ-সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। সে রুলের ওপর শুনানি আজ শেষে রায় হাইকোর্ট।

হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সারের জামিন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেন্দ্রিক রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার জামিন বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম ইব্রাহিম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালতে শমী কায়সারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জিসান হায়দার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম ইব্রাহিম খলিল। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম ইব্রাহিম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শমী কায়সারের জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর শমী কায়সারকে ৩ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার জামিন স্থগিত করে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। গত বছরের ৯ নভেম্বর শমী কায়সারকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠান আদালত। এর আগে ৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে উত্তরার ৪নং সেক্টরের ৬নং রোডের ৫৩নং বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীসহ অন্যরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। উত্তরা পূর্ব থানা এলাকার ৪নং সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। এসময় ইশতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় কৌশিক হোসেন তাপস ৯ নম্বর ও শমী কায়সার ২৪ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি।

স্ত্রীসহ বাহাউদ্দিনের ফ্ল্যাট জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ.ক.ম বাহাউদ্দিন ও তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছার নামে ঢাকার উত্তরায় থাকা দুইটি ফ্ল্যাট এবং তাদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা চারটি হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব ব্যাংক হিসাবে ৩৯ লাখ ৯৫ হাজার ২৬৭ টাকা জমা রয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। এদিন এসব স্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন। দুদকের আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রাখার দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, আসামি তার নামীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে নিম্নবর্ণিত সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। এজন্য উল্লিখিত স্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া প্রয়োজন।

কথা বললেই মামলার সংখ্যা বাড়ে: পলক

দুদকের মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে এসে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘কথা বললেই মামলার সংখ্যা বাড়ে। পেছনে হ্যান্ডকাফ দিয়ে রাখে। কথা বলে কী লাভ?’ সোমবার (১০ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় হাজিরা দিতে এসে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি। এদিন বেলা ১টা ৫০ মিনিটের দিকে তাকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত করে হাজতখানায় রাখা হয়। এসময় পলকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম বলেন, জুনাইদ আহমেদ পলককে নিয়মিতই বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে আনা হচ্ছে। এতে তিনি ভীষণ কষ্ট পাচ্ছেন। এছাড়াও তার দুই হাত পিছমোড়া করে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে আনা হচ্ছে। এগুলো সাধারণত দাগি আসামিদের ক্ষেত্রে করা হয়। পলকের বিরুদ্ধে হওয়া দুদকের মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন। মামলায় বলা হয়, অভিযুক্ত জুনাইদ আহমেদ পলক অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৮ কোটি ৭৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪২ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রেখেছেন। একইসাথে নিজ নামে ২৫টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৩২ কোটি ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩১৪ টাকা জমা এবং ২৯ কোটি ৮৪ লক্ষ ৭২ হাজার ৯৫ টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অস্বাভাবিক লেনদেন করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ সংঘটন করেছেন। মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ১৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এরপর থেকে বিভিন্ন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতি হিসেবে আছেন।

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ

মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। রোববার (৯ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন। তিনি শিশুটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আর্জি জানান। পরে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটির ছবি যারা প্রকাশ করছেন তারা আইন ভাঙছেন। এটা অন্যায়। ছবি নির্ধারিত সময়ে না সরালে নতুন আদেশ দেওয়া হবে। এদিকে ধর্ষণের ঘটনার তিন দিন পর ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে গতকাল মাগুরা সদর থানায় মামলা করেছেন। এতে আসামি করা হয়েছে চারজনকে। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলো– শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব শেখ, সজিবের ভাই রাতুল শেখ, বাবা হিটু শেখ ও মা জাবেদা বেগম। এজাহারে বলা হয়েছে, আট বছরের শিশুটিকে ধর্ষণ করে তার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ। মামলার এজাহারে শিশুটির মা উল্লেখ করেন, ওই দিন রাতে বড় মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা হিটু শেখ শিশুটিকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি হিটুর স্ত্রী ও আরেক ছেলেও জানতেন। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা করে। এজাহারে আরও বলা হয়, চার মাস আগে বড় মেয়ের সঙ্গে সজিবের বিয়ে হয়। এর পর থেকে বড় মেয়েকে তার শ্বশুর অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি ওই পরিবারের সবাই জানলেও প্রতিবাদ কেউ করেনি। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চার মাস আগে মাগুরা পৌর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে শিশুটির বড় বোনের বিয়ে হয়। ওই বাড়িতে বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুর থাকতেন। বিয়ের পর থেকে বড় মেয়েকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন তার শ্বশুর। বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যরা জানতেন। এ নিয়ে ঝগড়াও হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ১ মার্চ বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায় আট বছরের শিশুটি। এজাহারে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাদী উল্লেখ করেন, গত বুধবার (৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে বড় বোন ও তার স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমায় শিশুটি। দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বড় বোন ঘুম থেকে জেগে দেখেন, ছোট বোন পাশে নেই, মেঝেতে পড়ে আছে। তখন শিশুটি বড় বোনকে জানায়, তার যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া হচ্ছে। কিন্তু বড় বোন মনে করে, শিশুটি ঘুমের মধ্যে আবোল-তাবোল বকছে। এরপর সকাল ছয়টার দিকে শিশুটি আবার বোনকে যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়ার কথা বলে। কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে বোনকে জানায়, রাতে দুলাভাই (বোনের স্বামী) দরজা খুলে দিলে তার বাবা (শ্বশুর) তার মুখ চেপে ধরে তার কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সে চিৎকার করতে গেলে তার গলা চেপে ধরা হয়। পরে তাকে আবার বোনের কক্ষের মেঝেতে ফেলে রেখে যায়। বোন বিষয়টি মোবাইল ফোনে তার মাকে জানাতে গেলে সজীব ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করেন। ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেন। পরে দুই বোনকে দুই কক্ষে আটকে রাখা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে সজিবের মা মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান তিনি। মেয়েটির বড় বোন সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার ২০ দিন আগে সন্ধ্যায় বাড়িতে কেউ ছিল না। তিনি ঘরে আলো জ্বালিয়ে টয়লেটে যান। সেখান থেকে ফিরে দেখেন ঘরে আলো বন্ধ। এসময় হঠাৎ একজন পেছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরে। উচ্চতা ও অন্যান্য বিষয় দেখে তিনি বুঝতে পারেন, জড়িয়ে ধরা ব্যক্তি তার শ্বশুর হিটু শেখ। বিষয়টি স্বামী সজিবকে তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি। পরে বাবার বাড়ি চলে যান। আর স্বামীর বাড়ি ফিরতে চাইছিলেন না। বাবা-মা বুঝিয়ে ছোট বোনকে সঙ্গে করে পাঠিয়ে দেন শ্বশুর বাড়ি। পরিবার জানায়, আট বছরের শিশুটিকে গত বুধবার ধর্ষণের শিকার হয়। প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও তার অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গতকাল শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে বিকেল ৫টার দিকে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।

ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি অপসারণের নির্দেশ

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিটিআরসি কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। সোমবার (৯ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন। তিনি শিশুটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান। আদালত এ বিষয়ে আজকেই আদেশ দেবেন বলে জানান আইনজীবী। শিশুটির মা ঢাকা থেকে স্বামী ও বড় মেয়েকে দিয়ে মাগুরা সদর থানায় এজাহার পাঠান। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ওই দিন রাতে বড় মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা হিটু শেখ শিশুটিকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি হিটুর স্ত্রী ও আরেক ছেলেও জানতেন। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা করে। এজাহারে আরও বলা হয়, চার মাস আগে বড় মেয়ের সঙ্গে সজিবের বিয়ে হয়। এর পর থেকে বড় মেয়েকে তার শ্বশুর অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি ওই পরিবারের সবাই জানলেও প্রতিবাদ কেউ করেনি। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চার মাস আগে মাগুরা পৌর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে শিশুটির বড় বোনের বিয়ে হয়। ওই বাড়িতে বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুর থাকতেন। বিয়ের পর থেকে বড় মেয়েকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন তার শ্বশুর। বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যরা জানতেন। এ নিয়ে ঝগড়াও হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ১ মার্চ বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায় আট বছরের শিশুটি। এজাহারে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাদী উল্লেখ করেন, গত বুধবার (৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে বড় বোন ও তার স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমায় শিশুটি। দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বড় বোন ঘুম থেকে জেগে দেখেন, ছোট বোন পাশে নেই, মেঝেতে পড়ে আছে। তখন শিশুটি বড় বোনকে জানায়, তার যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া হচ্ছে। কিন্তু বড় বোন মনে করে, শিশুটি ঘুমের মধ্যে আবোল-তাবোল বকছে। এরপর সকাল ছয়টার দিকে শিশুটি আবার বোনকে যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়ার কথা বলে। কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে বোনকে জানায়, রাতে দুলাভাই (বোনের স্বামী) দরজা খুলে দিলে তার বাবা (শ্বশুর) তার মুখ চেপে ধরে তার কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সে চিৎকার করতে গেলে তার গলা চেপে ধরা হয়। পরে তাকে আবার বোনের কক্ষের মেঝেতে ফেলে রেখে যায়। বোন বিষয়টি মোবাইল ফোনে তার মাকে জানাতে গেলে সজীব ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করেন। ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেন। পরে দুই বোনকে দুই কক্ষে আটকে রাখা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে সজিবের মা মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান তিনি। মেয়েটির বড় বোন সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার ২০ দিন আগে সন্ধ্যায় বাড়িতে কেউ ছিল না। তিনি ঘরে আলো জ্বালিয়ে টয়লেটে যান। সেখান থেকে ফিরে দেখেন ঘরে আলো বন্ধ। এসময় হঠাৎ একজন পেছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরে। উচ্চতা ও অন্যান্য বিষয় দেখে তিনি বুঝতে পারেন, জড়িয়ে ধরা ব্যক্তি তার শ্বশুর হিটু শেখ। বিষয়টি স্বামী সজিবকে তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি। পরে বাবার বাড়ি চলে যান। আর স্বামীর বাড়ি ফিরতে চাইছিলেন না। বাবা-মা বুঝিয়ে ছোট বোনকে সঙ্গে করে পাঠিয়ে দেন শ্বশুর বাড়ি। পরিবার জানায়, আট বছরের শিশুটিকে গত বুধবার ধর্ষণের শিকার হয়। প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও তার অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গতকাল শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে বিকেল ৫টার দিকে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।

হিযবুত তাহরীরের ৩ সদস্য রিমান্ডে

রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর তিন সদস্যের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (৭ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জোনাইদের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মনিরুল ইসলাম (৪০), মোহতাসিন বিল্লাহ (৪০) এবং মাহমুদুল হাসান (২১)। এদের মধ্যে মনিরুল ইসলামকে দুই দিন, মোহতাসিন বিল্লাহ ও মাহমুদুল হাসানকে একদিনের রিমান্ড দেয়া হয়েছে। উত্তরা পশ্চিম থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার সূত্রে জানা গেছে, হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য এবং জনসাধারণের ভেতর আতঙ্ক সৃষ্টি, উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচারের মাধ্যমে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ও নাশকতা ঘটানোর উদ্দেশে ৭ই মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে মার্চ ফর খেলাফতের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এজন্য উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১১ নং সেক্টরস্থ ১৬ নম্বর রোডের ৪৬ নম্বর বাসার ২য় তলায় আসামি মোহতাসিন বিল্লাহর বাসায় একত্রিত হয়ে শলাপরামর্শ করে। অভিযান চালিয়ে ৬ মার্চ দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে দুইজনকে আটক করা হয়। অন্যান্য আসামিরা কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে ১২ টায় উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১২ নং সেক্টরস্থ ১/এ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর বাসার ৪ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে আসামি মাহমুদুল হাসানকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর সক্রিয় সদস্য বলে জানায়।

হিযবুত তাহরীরের ৩ সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর

ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেফতার নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর তিন সদস্যের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (৭ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জোনাইদের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন মনিরুল ইসলাম (৪০), মোহতাসিন বিল্লাহ (৪০) ও মাহমুদুল হাসান (২১)। এদের মধ্যে মনিরুল ইসলামকে দুই দিন, মোহতাসিন বিল্লাহ ও মাহমুদুল হাসানকে এক দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য এবং জনসাধারণের ভেতর আতঙ্ক সৃষ্টি, উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচারের মাধ্যমে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ও নাশকতা ঘটানোর উদ্দেশে শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে মার্চ ফর খেলাফতে কর্মসূচি ঘোষণা করে। এ জন্য উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১১ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর রোডের ৪৬ নম্বর বাসার দ্বিতীয় তলায় আসামি মোহতাসিন বিল্লাহর বাসায় একত্রিত হয়ে শলাপরামর্শ করে। অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে দুইজনকে আটক করা হয়। অন্য আসামিরা কৌশলে পালিয়ে যায়। রাতে সাড়ে ১২ টায় উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১২ নম্বরের সেক্টরের ১/এ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর বাসার ৪ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে আসামি মাহমুদুল হাসানকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর সক্রিয় সদস্য বলে জানায়। এ ঘটনায় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাব-ইন্সপেক্টর আলমগীর কবির মামলা দায়ের করেন।

নাসা গ্রুপের নজরুলের ৩৯৫ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধসহ প্লট ও জমি জব্দের আদেশ

এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদারের ৫৫ কোম্পানির ৩৯৫ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া তার ছয়টি বাড়ি ও পূর্বাচলের আটটি প্লট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব সম্পদের মূল্য ১৮৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ক্রোক ও অবরুদ্ধ সম্পদের মোট মূল্য ৫৮০ কোটি ৫০ লাখ ২ হাজার ২২৪ টাকা। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। জব্দ হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গুলশান মডেল টাউন আবাসিক এলাকার গুলশান দক্ষিণ বাণিজ্যিক ৪৭ নং প্লট ও প্লটস্থিত ১৪তলা বিল্ডিং। যার বাজার মূল্য ৫০ কোটি টাকা। গুলশান মডেল টাউন আবাসিক এলাকার এসই(ডি) ব্লকের ৩ নং প্লট ও প্লটস্থিত ১৪তলা বিল্ডিং। যার বাজার মূল্য ৭০ কোটি টাকা। মহাখালীতে ৪ কোটি মূল্যের দুই তলা বাড়ি, একই এলাকায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের চার তলা বাড়ি, মহাখালীতে আরেকটি ৪ কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি, তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ৫০ কোটি টাকা মূল্যের তিন তলা ভবন রয়েছে। পূর্বাচল আবাসিক এলাকার আটটি প্লট; যার মূল্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অন্যদিকে নজরুল ইসলাম মজুমদারের ৫৫টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এসব কোম্পানিতে ৫৬ কোটি ছয় লাখ ৫৮ হাজার শেয়ার রয়েছে। এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৭৮১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪৫৪ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

নিরাপত্তা নির্দেশিকায় প্রধান বিচারপতিকে অসম্মান, স্বরাষ্ট্র সচিবকে তলব

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকায় প্রধান বিচারপতিসসহ বিচার বিভাগকে হেয় ও অসম্মান করায় সিনিয়র স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনিকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৮ মার্চ তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে গত রোববার (২ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি রুল জারি করেছেন আদালত।এদিকে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকায় প্রধান বিচারপতিসসহ বিচার বিভাগকে হেয় ও অসম্মান করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।গত রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকা আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।তিনি আদালতকে বলেন, ‘এই নির্দেশিকায় প্রধান বিচারপতিসহ সব বিচারপতিদের আন্ডারলাইন করা হয়েছে। এই নির্দেশিকায় প্রধান বিচারপতিকে স্বরাষ্ট্র সচিব, রেঞ্জ ডিআইজির সমমর্যাদায় নিচে আনা হয়েছে। অথচ রাষ্ট্রীয় পদ মর্যাদাক্রমে প্রধান বিচারপতির স্থান অনেক উপরে। শুনানি শেষে আদালত রুলসহ আদেশ দেন।’এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ শুনানিতে সময় নেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এদিন শুনানির দিন ধার্য ছিল।ওই দিন তার পক্ষের আইনজীবী ২ সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করেন। পরে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে শুনানির কথা থাকলেও সময় আবেদনের কারণে তা আর হয়নি। এদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেলরাও তাদের পদমর্যাদা বাড়াতে আবেদন করেছিলেন যার শুনানিও একই সঙ্গে এদিন হয়।আদালতে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের রিভিউ আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবির। আর মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। আর রিভিউ আবেদনে পক্ষভুক্ত হওয়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম. আবদুল কাইয়ূম।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়। তবে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সাংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে বলে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিটটি করেন।২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ৮ দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করা হয়। সেই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ রায়ে হাইকোর্টের দেয়া ৮ দফা নির্দেশনার কিছুটা সংশোধন করে তিন দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। সেগুলো হল যেহেতু সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, তাই বিরোধপূর্ণ প্রিসিডেন্সে সাংবিধানিক পদধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন; জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমপদমর্যাদাসম্পন্নরা সরকারের সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বরে অবস্থান করবেন এবং জেলা জজদের পরেই অতিরিক্ত সচিবরা ১৭ নম্বর ক্রমিকে থাকবেন।

জবাই তো দেবেন, একটু সময় দেন: সোলাইমান সেলিম

রাজধানীর লালবাগ থানায় করা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সাংম সোলাইমান সেলিমকে। আদালতের এজলাসে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে সোলাইমান সেলিম বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক ভুয়া নিউজ করেন। এসব ভুয়া নিউজ করে আমাদের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে।’ এ সময় কাঠগড়ার পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে বারণ করেন। তখন সোলাইমান সেলিম পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জবাই তো দেবেন, একটু সময় দেন।’ বুধবার (৫ মার্চ) আদালতে আনা হলে এসব কথা বলেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে লালবাগ থানার এক হত্যা মামলায় বুধবার তাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম। পরে আদালতের কাঠগড়া থেকে নামিয়ে হাজতখানায় ঢোকানোর সময় নেতিয়ে পড়েন সোলাইমান সেলিম। এ সময় তার দুই পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা তার দুই হাত ধরে ধীরে হাজতখানায় ঢোকান। এর আগে বুধবার সকাল ১০টা ৮ মিনিটের দিকে আদালতে সোলাইমান সেলিমসহ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ও এমপিকে হাতে হাতকড়া, গায়ে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরিয়ে হাজির করা হয়। এরপর সবাইকে কাঠগড়ায় রাখা হয়। এ সময় সোলাইমান সেলিম এক আইনজীবীকে ডেকে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে থাকেন। কথা বলার সময় সেই আইনজীবী সোলাইমান সেলিমের কাছে কারাগারে কেমন জীবন কাটাচ্ছেন তা জানতে চান। এ সময় সোলাইমান সেলিম বলেন, ‘রোজা আছি। বই পড়ি। পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলা যায়। সেহরি ও ইফতারে খাবার নরমাল দেয়। দেখছেন না সবার মুখ কেমন শুকনো।’ কিছুক্ষণ পরেই এজলাসে আসেন বিচারক। এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে সোলাইমান সেলিম বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক ভুয়া নিউজ করেন। তারা লিখেছেন শাহজাহান খানসহ অনেকে নাকি কারাগারে ভালো খাবার খাচ্ছেন। এসব ভুয়া নিউজ করে আমাদের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে।’ এ সময় কাঠগড়ার পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে বারণ করেন। তখন সোলাইমান সেলিম পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জবাই তো দেবেন, একটু সময় দেন।’ এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করে সোলাইমান সেলিম আইনজীবীকে বলেন, ‘যে কোনো সময় ফাঁসির আদেশ আসতে পারে। এতে আমি অবাক হবো না। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি যেভাবে ভাঙা হয়েছে, বোঝা শেষ।’ পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন বিচারক। এর কিছু সময় পর কাঠগড়া থেকে নামিয়ে হাজতখানার দিকে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দুই রাষ্ট্রদূত

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দুই রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম ও জন ড্যানিলোভিজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করেছেন। বুধবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টার কিছুক্ষণ আগে তারা ট্রাইব্যুনালে আসেন। এ সময় তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে স্বাগতম জানান চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম। পরে তারা তাজুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে প্রায় সোয়া ১ ঘণ্টা পর দুপুর ১২টার দিকে মার্কিন সাবেক দুই রাষ্ট্রদূত ট্রাইব্যুনাল ত্যাগ করেন। প্রসঙ্গত, উইলিয়াম বি মাইলাম ১৯৯০ সালের আগস্ট থেকে ১৯৯৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। বাংলাদেশে কাজ শেষে ১৯৯৮-২০০১ পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানেও দায়িত্ব পালন করেন। অন্যদিকে, জন ড্যানিলোভিজ ২০০৭ ও ২০০৮ সালে সামরিক-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক শাসনামলে ঢাকায় বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে দোয়া চাইলেন শাহজাহান খান

কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও আগামী জাতীয় নির্বাচনে যেন অংশ নিতে পারেন, এ জন্য দোয়া চেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। কারাগারে থেকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিরাপদে আছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বুধবার (৫ মার্চ) সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির আগে আদালতে তোলার আগে এসব কথা বলেন শাজাহান খান। বুধবার সকাল ১০টা ৬ মিনিটে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয় আনিসুল হক, শাজাহান খান, কামাল মজুমদার, আতিকুল ইসলাম ও সোলায়মান সেলিমসহ অন্য আসামিদের। এ সময় হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও পেছনে হাত রেখে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে হাজতখানা থেকে বের করা হয় তাদের। হাজতখানা থেকে আদালতে নেওয়ার পথে শাজাহান খানের কাছে কেমন আছেন জানতে চান এক সাংবাদিক। উত্তরে তিনি বলেন, ‘আছি তোমাদের দোয়ায়। দোয়া করবা আমার জন্য।’ তখন ওই সাংবাদিক বলেন, ‘কী দোয়া করব?’ উত্তরে শাজাহান খান বলেন, ‘দোয়া করবা যেন তাড়াতাড়ি মুক্তি পেয়ে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা কিভাবে ফিরিয়ে আনা এবং আগামী নির্বাচনে কিভাবে অংশগ্রহণ করতে পারি.. এ সমস্ত বিষয়ে দোয়া করবা।’ তখন ওই সাংবাদিক আবার বলেন, ‘সবাই বলছে, আপনারা দেশের বারোটা বাজিয়েছেন।’ তখন শাজাহান খান বলেন, ‘আমরা বারোটা বাজিয়েছি না কারা বাজিয়েছে এটা সামনে প্রমাণিত হবে।’ পরে তাদের কাঠগড়ায় ওঠানো হয়। এ সময় তাদের হাতে হ্যান্ডকাফ, মাথার হেলমেট খুলে দেওয়া হয়। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে বিচারক এজলাসে উঠলে তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শুরু হয়। পরে আদালত এক এক করে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তাদের আদালত থেকে নামিয়ে সিএমএম আদালতের হাজতখানার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়। তখন আরেক সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, আপনি এত হাসেন কেন। তখন শাজাহান খান বলেন, ‘আমি সব সময় হাসি, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হাসতে থাকব।’ কারাগারে কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করলে বলেন, ‘খুব ভালো আছি। কারাগারে থেকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিরাপদে আছি।’ এরপর তাকে এজলাস থেকে অন্যান্য আসামির সঙ্গে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের ৩৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ৩৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব বুধবার (৫ মার্চ) এ আদেশ দেন। আবেদনে বলা হয়, ‘সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে তিনি এসব অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেন। তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে তার এসব সম্পত্তি অবরুদ্ধের আদেশ দান একান্ত প্রয়োজন।’ এসব ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ২৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জমা রয়েছে বলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেছেন। এর আগে, গত ১২ আগস্ট সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার স্ত্রী ইউসিবির চেয়ারম্যান রুকমিলা জামানের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সে সময় ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা পাঠিয়ে এ দম্পতির পাশাপাশি তাদের সন্তান এবং তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানির লেনদেন ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করতে বলা হয়।

এস আলম পরিবারের ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

চট্টগ্রামভিত্তিক বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১১ ব্যক্তির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন বেলাল আহমেদ, ফসিহল আলম, সাজেদা বেগম, মাহমুদুল আলম, মো. মোস্তান বিল্লাহ আদিল, আতিকুর জেনি, লুৎফুন নাহার, আলহাজ চেমন আরা বেগম, মায়মুনা খানম, বদরুননেসা আলম ও শারমিন ফাতেমা। দুদকের আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দুদকের পক্ষে এ আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।’ আবেদনে বলা হয়, ‘এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানকালে জানা যায়, অভিযোগ-সংশ্লিষ্টরা যে কোনো সময় দেশ থেকে পালিয়ে বিদেশে অবস্থান নেবেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা না গেলে অভিযোগ প্রমাণ দুরূহ হয়ে পড়বে। এজন্য অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।’

সাবেক বিচারপতি মানিক ফের রিমান্ডে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার গুলশান থানার হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (৫ মার্চ) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই গুলশান থানাধীন প্রগতি সরণি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন শিক্ষার্থী মো. আবু যর শেখ। পরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ জুলাই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় তার মা মোসা. ছবি গত বছরের ১৬ নভেম্বর গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। গত বছরের ২৪ আগস্ট সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতে পালানোর সময় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেফতার করা হয়। পরে একাধিক হত্যা মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড হয় তার।

অব্যাহতি পেলেন তারেক রহমানের সাবেক পিএস অপু

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গুলশান থানার চাঁদাবাজির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সহকারী (পিএস) মিয়া নূরউদ্দিন অপু অব্যাহতি পেয়েছেন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মেহেদী হাসান মামলাটির চার্জগঠন শুনানির পর্যায় থেকে আসামি অপুকে অব্যাহতি দেন। আদেশে আদালত বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪১-এ ধারায় আসামি মিয়া নূরউদ্দিন অপুকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৮ মার্চ বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার একান্ত সহকারী মিয়া নূরউদ্দিন অপুকে আসামি করে ১ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন। দ্রুত বিচার আইনে গুলশান থানায় এ মামলাটি করা হয়। পরে মামলাটির কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন তারেক রহমান। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর চাঁদাবাজির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গুলশান থানার এ মামলার কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্ট রায় দেন। পরে গত ৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগ হাইকোর্টের এ রায় বহাল রাখেন। অন্যদিকে মামলাটিতে আসামি থাকা মিয়া নূরউদ্দিন অপুর বিরুদ্ধে চার্জগঠন না করে অব্যাহতি দেন আদালত।

সাদেক এগ্রোর ইমরান কারাগারে

১৩৩ কোটি টাকা পাচারে মোহাম্মদপুর থানার মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় সাদেক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন ইমরান হোসেনকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. ছায়েদুর রহমান কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামি নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। গতকাল ৩ মার্চ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও বিধি অনুযায়ী ১৩৩ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন, তৌহিদুল আলম জেনিথ ও অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সাদিক এগ্রোসহ অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৭ জনের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের উপপরিদর্শক মো. জোনাঈদ হোসেন। এ মামলায় সোমবার (৩ মার্চ) তাকে গ্রেফতার করে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) পুলিশ। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ২০১৭ সালে ১২ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট পর্যন্ত ইমরান হোসেন, তৌহিদুল আলম জেনিথ ও অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সাদিক এগ্রো লিমিটেড সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রের মাধ্যমে চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতি করে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি ও সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বিদেশে প্রায় ৮৬ লাখ টাকা পাচার করে। টেকনাফ ও উখিয়া, কক্সবাজার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার হতে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু ও মহিষ বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রয় এবং ভুটান ও নেপাল হতে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু বাংলাদেশে নিয়ে এসে বিক্রি করে। প্রতারণার মাধ্যমে দেশীয় গরু/ছাগলকে বিদেশি ও বংশীয় গরু-ছাগল বলে প্রচার করে উচ্চমূল্যে তা কোরবানির পশুর হাটে বিক্রি করে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রায় ১২১ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার ১৪৪ টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে। ঢাকার কাস্টমস হাউজ আটক করা এবং সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে থাকা ১৫টি ব্রাহমা জাতের গরু সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক জবাই করে ন্যায্যমূল্যে মাংস বিক্রয়ের কথা থাকলেও জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্রে সেগুলো জবাই দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তা জবাই না করে কৌশলে তা হাতিয়ে নিয়ে অনুমোদনহীনভাবে জোরপূর্বক মোহাম্মদপুর থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকায় রামচন্দ্রপুর সরকারি খাল ভরাট ও জবর দখল করে। অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডের নামে এফডিআর খুলে ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা বিনিয়োগ করে রূপান্তর করেছে। অর্থাৎ অভিযুক্তরাসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জন সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রের মাধ্যমে চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতি করে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি, কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া, সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু ও মহিষ এবং ভুটান ও নেপাল হতে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রয়, প্রতারণার মাধ্যমে দেশি গরু/ছাগল বিদেশি বলে প্রচার করে উচ্চমূল্যে কোরবানির পশু বিক্রয়, কাস্টমস হাউজ আটককৃত এবং কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামার, সাভার, ঢাকার হেফাজতে থাকা ১৫টি ব্রাহমা জাতের গরু সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক জবাই করে ন্যায্যমূল্যে মাংস বিক্রয়ের কথা থাকলেও জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্রে সেগুল্যে জবাই দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তা জবাই না করে কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে। অনুমোদনহীনভাবে জোরপূর্বক মোহাম্মাদপুর থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকায় রামচন্দ্রপুর সরকারি খাল ভরাট ও জবরদখল করে এবং সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বিদেশে অর্থ পাচার করে ও অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করে সর্বমোট প্রায় ১৩৩ কোটি ৫৫ লাখ ৬ হাজার ৩৪৪ টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে। গত বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের কাছে ১৫ লাখ টাকার ছাগল বিক্রি নিয়ে বিতর্কের পর সাদিক অ্যাগ্রোর সমালোচনা শুরু হয়। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অনিয়মের তদন্ত শুরু করে।

আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হবে না: সারজিস

আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে চব্বিশের অভ্যুত্থানের শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন ও কবর জিয়ারত শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের এই মুখ্য সংগঠক বলেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো মানুষ, কোনো রাজনৈতিক দল ভুল করেও যেন নির্বাচনের কথা না বলে। তিনি আরও বলেন, খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে হবে। সে বিচারের মঞ্চে দাঁড়াবে, ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়াবে। যে হাসিনার নির্দেশে এতগুলো হত্যা করা হলো সেই খুনের বিচার না দেখা পর্যন্ত কীভাবে এ দেশের মানুষ ভিন্ন কিছু চিন্তা করে? তিনি বলেন, যতদিন না আমরা খুনি হাসিনাকে ওই ফাঁসির মঞ্চে না দেখছি, এই বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আমরা রাজপথে ছিলাম। আমার যে ভাইয়েরা রাজপথে জীবন দিয়েছে, আমাদের যে মায়েদের চোখ দিয়ে এখনও কান্না ঝরছে, পানি পড়ছে আমরা যেন মরার আগে অন্তত খুনি হাসিনার বিচারটা দেখে মরতে পারি। তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ করতে পারি। আমরা আমাদের জায়গা থেকে মায়েদের পাশে থাকার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করবো। এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি : প্রধান বিচারপতি

দেশের বিচার ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা এবং বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে নিজের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সোমবার (৩ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে 'আপহোল্ডিং এনভায়রনমেন্টাল জাস্টিস : দ্য রুল অব জাজেজ ফর এ সাসটেইনেবল ফিউচার' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা কেবল মাত্র পরিবেশগত সংকটের দর্শক নই; বরং আমরা ন্যায়বিচারের প্রহরী। যাদের দায়িত্ব হচ্ছে এমন এক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, যা পরিবেশ রক্ষার জন্য একটি শক্তিশালী রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত, কিন্তু বর্তমানে পরিবেশগত ঝুঁকির মুখোমুখি। নদী সুরক্ষা, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশ আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আদালত অনেক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে, যা আমাদের প্রতিশ্রুতির সাক্ষ্য বহন করে। সুন্দরবনের প্রসঙ্গ তুলে প্রধান বিচারপতি বলেন, যদি আমরা এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নেই, তবে অমূল্য এই সম্পদ হারিয়ে যেতে পারে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটি সংরক্ষণ করা আমাদের নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব। সুতরাং, কঠোর আইনি কাঠামো, টেকসই নীতিমালা ও সক্রিয় বিচারিক তদারকি নিশ্চিত করতে হবে। সেমিনারে তিনি আরও বলেন, আমাদের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ মূলত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এই অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করা হয়, যা বিচার বিভাগের স্বায়ত্তশাসন সংকুচিত করে এবং পৃথক ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করে। আমি এই প্রেক্ষাপটে বিচার বিভাগের স্বায়ত্তশাসন পুনরুদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছি। আমার প্রচেষ্টা হলো বিচার ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা। বিচার বিভাগের সংস্কার ও পরিবেশগত ন্যায়বিচার এই দুটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত উল্লেখ করে সেমিনারে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগ শুধু আইন ব্যাখ্যা করবে না বরং পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য দৃঢ় অবস্থান নেবে। সূত্র- বাসস

সাবেক আইজিপি শহীদুলের আক্ষেপ- কী না করেছি পুলিশের জন্য!

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর কাফরুল থানার আতিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক আইজি শহীদুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে প্রিজন ভ্যানে করে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। প্রথমে তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে সকাল ১০টার দিকে অন্যান্য আসামির সঙ্গে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালতে নেওয়া হয়। এসময় শহীদুল হক কাঠগড়ার এক পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাকে কিছুটা অস্থির দেখা যায়। বারবার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি। তবে কাঠগড়ার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে কথা বলতে দেননি। তারা আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে বলেন। এরপরও আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন শহীদুল হক। এরই মধ্যে ১০টা ৭ মিনিটের দিকে বিচারক এজলাসে ওঠেন। তিনি শহীদুলসহ ৬ আসামিকে আতিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। ১০টা ১৬ মিনিটে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন। এরপর শহীদুল হক আবারও তার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকে বাধা দেন। তারা বলেন, ‘যার সঙ্গেই কথা বলেন না কেন আদালতের অনুমতি নিতে হবে। পরে শহীদুল হক আক্ষেপের সুরে বলেন- ‘কী না করেছি পুলিশের জন্য!’। এরপর তাকেসহ অন্যদের সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই বিকেলে রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকার বিআরটিএ অফিসের পেছনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন আতিকুল ইসলাম। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী আহসান হাবীব রাজধানীর কাফরুল থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় শহীদুল হক ২৭ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

সাবেক মেয়র তাহসীন বাহারের জমি-ফ্ল্যাটসহ ৩ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহারের উত্তরা আবাসিক এলাকার ১টি জমিসহ ফ্ল্যাট জব্দ ও ৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ৩ কোটি ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬৩৫ টাকার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৩ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহীম মিয়া দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের পক্ষে তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস রহমান জব্দ ও অবরুদ্ধের আবেদন করেন। স্থাবর সম্পদ হলো- রাজধানীর উত্তরা আবাসিক এলাকার ১৪শ ৭৪ দশমিক ৫৪ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। যার মূল্য ধরা হয়েছে ৩২ লাখ টাকা। দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার কুমিল্লার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক দুর্নীতির মাধ্যমে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৭০ টাকা মূল্যর সম্পদের মালিকানায় অসাধু উপায়ে অর্জনপূর্বক দখলে রেখে এবং তার নামীয় ১৬টি ব্যাংক হিসাবে জাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৭৩ হাজার ১৯৩ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা, তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তকালে আসামি তাহসীন বাহার অর্জিত সব সম্পদ সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তার সম্পদ যাতে তিনি অন্যত্র হস্তান্তর ও স্থানান্তর করতে না পারেন, সে জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর ১৮ বিধি এবং মানিলভারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৪ ধারা মোতাবেক নিম্নবর্ণিত স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগে বাধা নেই

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগের কার্যক্রম বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে তাদের নিয়োগ দিতে বাধা রইলো না। সোমবার (০৩ মার্চ) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এর আগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল গত ২২ এপ্রিল প্রকাশিত হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। আর এই লিখিত পরীক্ষা গত ২৯ মার্চ (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়। গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার ফলাফল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ৫৩১ জন। এর মধ্যে কক্সবাজারে ১৮৫ জন, কুমিল্লায় ৬৪১ জন, চট্টগ্রামে ৮১২ জন, চাঁদপুরে ৩৫৮ জন, নোয়াখালীতে ৩২৮ জন, ফেনীতে ১৩৭ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৪৯ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩২৭ জন, কিশোরগঞ্জে ২৮৮ জন, গাজীপুরে ২৪১ জন, গোপালগঞ্জে ২৫৪ জন, টাঙ্গাইলে ৫৯৭ জন, ঢাকায় ৩০৯ জন, নরসিংদীতে ২৬০ জন, নারায়ণগঞ্জে ১৮৪ জন, ফরিদপুরে ২২৭ জন, মাদারীপুরে ২০৮ জন, মানিকগঞ্জে ৩০১ জন, মুন্সীগঞ্জে ২২২ জন, রাজবাড়ী ১০৪ জন, শরীয়তপুরে ১৯৯ জন উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯ নভেম্বর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের নিয়োগ দেওয়ায় আদালত এ আদেশ দেন। পাশাপাশি আদালত রুল জারি করেন।