.jpeg)
শেখ হাসিনার সকল অপরাধের সহযোগী ছিলেন মন্ত্রী-এমপিরা: তাজুল ইসলাম
গত ১৫ বছরের শাসনামলে শেখ হাসিনার যেসব অপরাধ করেছেন, মন্ত্রী-এমপিরা তার সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকতে শেখ হাসিনা এমন কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ নেই যা করেননি। আর তার এসব অপরাধের সহযোগী ছিলেন মন্ত্রী-এমপিরা।জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক নয় মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে সোমবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করার পর শুনানিতে এসব কথা বলেন তাজুল ইসলাম।চিফ প্রসিকিউটর বলেন, গত ১৫ বছরের শাসনামলে এমন কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ নেই যেটা শেখ হাসিনা করেননি। ক্ষমতায় এসে পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিয়ে শুরু হয় শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধ। ব্লাকআউট করে শাপলা চত্বরে হেফাজতের ওপর গণহত্যাসহ আওয়ামী লীগের শাসনামলে সব মানবতাবিরোধী অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন শেখ হাসিনা। আর উপস্থিত আসামিরা এসব অপরাধ সংগঠনে সহযোগিতা করেছেন। সর্বশেষ জুলাই আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেড় হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা, অঙ্গহানিসহ ২৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। গণহত্যার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন ক্ষমতা প্রলম্বিত করতে।শুনানির সময় ১৩ আসামি এজলাসে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এর আগে বেলা ১১টার দিকে ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। তার আগে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে গারদখানা থেকে তাদের এজলাসে তোলা হয়।শুনানির জন্য সকাল ১০টার দিকে তাদের প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয়। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা ৪৬ জনের মধ্যে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে তোলা হলো।যাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে তারা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ড. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, শাজাহান খান, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাককে ট্রাইব্যুনালে আনার কথা থাকলেও অন্য মামলায় রিমান্ডে থাকায় তাকে হাজির করা হয়নি।এর আগে গত ২৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল তাদের ট্র্যাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের পৃথক দুটি আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।ওইদিন আলাদা আরেক আবেদনে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ ছয় জনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। আবেদনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম ও বি এম সুলতান মাহমুদসহ অন্য প্রসিকিউটররা।গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে অর্ধশতাধিক অভিযোগ জমা পড়ে।গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

গণহত্যা মামলা: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১৮ নভেম্বর) গণহত্যার মামলার শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। এদিকে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুনানি শুরু হয়েছে। এদিন সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে গারদখানা থেকে আসামিদের এজলাসে তোলা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি শুরু হয়। এর আগে সকাল ১০টার দিকে তাদের প্রিজন ভ্যানে করে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা ৪৬ জনের মধ্যে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাদের ট্রাইব্যুনালে তোলা হলো। সোমবার গণহত্যার ঘটনায় করা মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ ১৪ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনার কথা থাকলেও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, শাহজাহান খান, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। তবে অন্য একটি মামলায় রিমান্ডে থাকায় আব্দুর রাজ্জাককে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি। এছাড়া শাহজাহান খান অসুস্থ থাকায় প্রথমে আনতে না চাইলেও পরে সবার সঙ্গে তাকেও ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গত ২৭ অক্টোবর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ তাদের হাজির করার আদেশ দেন।

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে
জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে। এসব আসামি হলেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ৯ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিব। এর আগে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় তাদের। সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাককে ট্রাইব্যুনালে আনার কথা থাকলেও অন্য মামলায় রিমান্ডে থাকায় তাকে হাজির করা হয়নি। তারা হলেন-সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ড. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, শাজাহান খান, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। গত ২৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল তাদের ট্র্যাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের পৃথক দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন-বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ওইদিন আলাদা আরেক আবেদনে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ ছয় জনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। আবেদনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম ও বি এম সুলতান মাহমুদসহ অন্য প্রসিকিউটররা। গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে অর্ধশতাধিক অভিযোগ জমা পড়ে।

জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিবসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা ৪৬ জনের মধ্যে এই ১৩ জনকে প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে তোলা হয়। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় পুরাতন হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তাদের হাজির করা হয়। এসময় ট্রাইব্যুনালের আশেপাশে পুলিশসহ শসস্ত্র বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। ট্রাইব্যুনালের ভেতরে সাংবাদিক ও আইনজীবী বিভিন্ন সংস্থার লোক ব্যাতিত কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। যাদেরকে হাজির করা হয় তারা হলেন আনিসুল হক, ফারুক খান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, তৌফিক এলাহী, দিপু মনি, সালমান এফ রহমান, আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম। গত ১৭ অক্টোবর পৃথক দুই আবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ওই আদেশ দেন। অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

দেশ টিভির ব্যবস্থপনা পরিচালক ২ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় দায়ের হওয়া হত্যাচেষ্টা মামলায় দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসানের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তাকে হাজির করে ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু-সাঈদ। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজার আদালত তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে, শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আরিফ হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই ভুক্তভোগী মো. সজীব স্কলাস্টিকা স্কুলের সামনে থেকে গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় গত ১৭ নভেম্বর সজীবের পিতা বিমানবন্দর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সন্দেহভাজন আসামি আরিফ হাসানকে জিজ্ঞেসাবাদে এলোমেলো তথ্য প্রদান করায় সত্য উদঘাটনে ৩ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ।উল্লেখ্য, আরিফ হাসান দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্স-অ্যাটকোর নেতা। ইতোপূর্বে তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে।

সাবেক প্রধান বিচারপতির মৃত্যুতে আসিফ নজরুলের শোক
সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ১৬ নভেম্বর রাত ৪ টা ৪৩ মিনিটে রাজধানীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম (৮১) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন)।তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার মৃত্যুতে ড. আসিফ নজরুল এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, দুপুর দেড়টায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। মরহুমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রোববার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে অফিসসমূহ যথারীতি খোলা থাকবে। ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি হন তিনি। একই সালের ২৯ সেপ্টেম্বর অবসরে যান ফজলুল করিম।

সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিমের ইন্তেকাল
দেশের ১৮তম প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম (৮১) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন)। শনিবার (১৬ নভেম্বর) ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। আইনজীবীদের কাছে পাঠানো সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এক বার্তায় বলা হয়েছে, সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ইন্তেকাল করেছেন। তার নামাজে জানাজা বাদ যোহর ১টা ৪৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। বিচারপতি ফজলুল করিম ১৯৪৩ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সুচক্রদণ্ডি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আহমেদ কবীর। তিনি আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদের বংশধর। ফজলুল করিম ১৯৫৮ সালে পটিয়ার কাজেম আলী হাইস্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। এরপর তিনি ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি নেওয়ার পর ১৯৬৯ লন্ডনের লিংকনস ইন থেকে বার অ্যাট ল’ হন। ১৯৬৫ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে চট্টগ্রাম বারে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ১৯৭০ সালে হাইকোর্টে এবং ১৯৭৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। বিচারপতি করিম ১৯৮২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর তিনি হাইকোর্টের অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। দুই বছর পর স্থায়ী হন তিনি। ২০০১ সালের ১৫ মে তিনি আপিল বিভাগে যোগ দেন। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি হন। একই সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান।

আদালতে সাবেক ভূমন্ত্রীর ওপর ডিম নিক্ষেপ, ফাঁসির দাবি
খুলনায় আদালত চত্বরে সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ওপর ডিম নিক্ষেপ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও ক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতে উঠানো হলে খুলনার মহানগর হাকিম মো. রাকিবুল ইসলাম এ আদেশ দেন। পরে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।খুলনার ডুমুরিয়ায় এক নারীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় সহযোগিতা করার অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তার সহযোগী এমরান হোসেন গাজীকেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এ মামলায়। দায়ের করা মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও খুলনা-৫ আসনের সাবেক এ সংসদ সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।এর আগে দুপুর ১টার দিকে তাকে আদালতে উঠানোর সময় বিক্ষুব্ধ জনতা নানা স্লোগান দেয় এবং মিছিল করে। একপর্যায়ে তারা নারায়ণ চন্দ্রের গায়ে ডিম ছুড়ে মারে। বেশ কয়েকটি ডিম তার গায়ে লাগে। পরে আদালত থেকে কারাগারে নেয়ার সময়ও তারা ডিম নিক্ষেপ করে। এ মামলার আরেক আসামি ইমরান হোসাইনকে আদালতে হাজির করা হলে তাকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।আদালত সূত্র জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ। গত ২৭ জানুয়ারি রাতে ওই নারীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরেরদিন হাসপাতালের ওসিসির (ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) সামনে থেকে কয়েকজন লোক তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান।বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোমিনুল ইসলাম জানান, বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচার হলে ওই রাতে তাকে সোনাডাঙ্গা থানায় হাজির করে অপহরণ হয়নি বলে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়। থানা থেকে বের হওয়ার পর আবার তাকে অপহরণ করে ডুমুরিয়ার একটি বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ উদ্ধার করে ধর্ষণ হয়নি বলে মিথ্যা জবানবন্দি আদায় করে। এসব কাজে এজাজকে সহযোগিতা করেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র।তিনি আরও বলেন, আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় বাদী এতদিন বিচার পাননি। তবে দেশে বর্তমানে আইনের শাসন কায়েম হওয়ায় নির্যাতিত নারী সঠিক বিচার পাবেন বলে আশা করছি।উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় নারায়ণ চন্দ্রকে আটক করেছিল বিজিবি।

কোনো অজুহাতেই জঙ্গিবাদ অ্যালাও করতে পারি না: আইন উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, কোনো অজুহাতে বা কোনো মোড়কে জঙ্গিবাদ বা উগ্রবাদকে অ্যালাও করতে পারি না। ২০০৫ সালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত জেলা জজ আদালতের দুই বিচারক জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহমেদ স্মরণে আয়োজিত সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সাব্বির ফয়েজ বক্তব্য রাখেন। প্রয়াত দুই বিচারককে স্মরণ করে ড. আসিফ নজরুল বলেন, জঙ্গিবাদ কত ভয়াবহ। এখানে আমাদের দুইটা শিক্ষা আছে। জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ কী ভয়ংকর জিনিস। মানুষকে কত যুক্তিহীন অমানুষ ও নিষ্ঠুরে পরিণত করে। আমার মনে হয় না পৃথিবীতে অন্য কোনো কিছু মানুষকে এতটা নিষ্ঠুর মরিয়া বেপরোয়া করতে পারে জঙ্গিবাদ। যে কোনো ধর্মের হতে পারে। ... এটা আমাদের শিক্ষা দেয় আমরা কোনোভাবেই জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদকে অ্যালাউ করতে পারি না। কোনো অজুহাতেই না। কোনো মোড়কেই না। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের চারপাশে তো বন্ধুভাবাপন্ন দেশ নেই। তাদের সব সময় চেষ্টা থাকে বাংলাদেশকে হেয় করা, একটা ঘটনা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখা, এটা নিয়ে ষড়যন্ত্র করা। আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা যদি দেশের ভালো চাই, মানুষের ভালো চাই, সমাজের ভালো চাই বন্ধুদের ভালো চাই, সন্তানদের ভালো চাই, আমাদের দেশকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে চাই, বাংলাদেশকে আর কোনো ফ্যাসিবাদ বা ষড়যন্ত্রের মুখ থেকে রক্ষা করতে চাই, আমাদের অবশ্যই জঙ্গিবাদ মৌলবাদ থেকে নিজের দেশকে রক্ষা করতে হবে যে কোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে এর সুযোগ নিয়ে আমাদের দেশের সম্ভাবনাকে আমাদের অগ্রযাত্রাকে যেন কেউ ব্যাহত করতে না পারে। দেশি বা বিদেশি শক্তি। ২০০৫ সালের এ দিনে বিচারকদের বহনকারী মাইক্রোবাসে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন জেলা জজ আদালতের দুই বিচারক জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহমেদ। ঘটনার দিন ১৪ নভেম্বর, বিচারক সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ে নিজ বাসভবন থেকে বেরিয়ে অপেক্ষমাণ মাইক্রোবাসে ওঠেন। এরপর অন্য এক বিচারককে নিতে মাইক্রোবাসটি থামে কোয়ার্টারের সামনে। চালক তাদের গাড়িতে রেখে ওই বিচারককে আনতে যান। এ সময় সেখানে অপেক্ষমাণ জেএমবির সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য ইফতেখার হাসান মামুন আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ সোহেল আহমেদ এবং বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ের। আহত অবস্থায় ধরা পড়েন হামলাকারী জেএমবির সদস্য ইফতেখার হাসান মামুন। এরপর দেশব্যাপী তুমুল আলোড়ন তৈরি হলে একে একে আটক হন জেএমবির শীর্ষনেতারা। ওই মামলায় আদালত ২০০৬ সালের ২৯ মে ৭ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। দেশের বিভিন্ন কারাগারে ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ৬ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।

সব বিদ্যুৎকেন্দ্র দ্রুত চালু করার নির্দেশ হাইকোর্টের
সব বিদ্যুৎকেন্দ্র দ্রুত চালু করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, সরকার চাইলে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে পারবে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) কুইক রেন্টালের দায়মুক্তি আইন অবৈধ ঘোষণা করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী রুল জারি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করা আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক সাংবাদিকদের বলেন, আদালত মন্তব্য করেছেন যে, দায়মুক্তি দিয়ে তৈরি করা আইন অবৈধ এবং এককভাবে কোনো ব্যক্তির কাছে ক্রয় সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা গণতান্ত্রিক দেশে থাকতে পারে না, যা সংবিধানের পরিপন্থি। তিনি আরো বলেন, কুইক রেন্টাল আইন ছিল একটি "লুটপাটের বিশেষ বিধান", যা বিদ্যুৎ সরবরাহ না করেও চুক্তির পুরো টাকা পেতে সুবিধা দিয়েছিল। ২০১০ সালের কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী, বিদ্যুৎ সরবরাহ না করলেও কোম্পানিগুলো সম্পূর্ণ টাকা পেয়ে যেত, যা আইনগতভাবে লুটপাটকে সমর্থন করেছিল। হাইকোর্ট সরকারের কাছে নির্দেশ দিয়েছে, যেন বন্ধ থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দ্রুত চালু করা হয়, যাতে জনগণ বিদ্যুৎ সুবিধা পেতে পারে। এর পাশাপাশি, সরকার যদি চায়, তবে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে পারবে। এছাড়া, গত ২ সেপ্টেম্বর কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত আইন এবং দায়মুক্তি বিষয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। এর আগে, কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি এবং ক্রয় সংক্রান্ত ৬(২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী রিট আবেদন করেছিলেন।

হাজী সেলিমের ছেলে সোলাইমান সেলিম কারাগারে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক প্ল্যাস্টিক কারখানার কর্মচারী রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সোলাইমান সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালত এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে রিমান্ড ও জামিন শুনানির জন্য নথি প্রাপ্তি সাপেক্ষে দিন ধার্য করবেন আদালত। এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের তার ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। এসময় আসামিপক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে এ মামলার মূল নথি না থাকায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জানা যায়, ১৬ বছরের কিশোর রাকিব হাওলাদার চকবাজারের হোসনী দালানস্থ কাজল প্ল্যাস্টিক কারখানায় কাজ করতো। ৫ আগস্ট দুপুরে সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে অংশ গ্রহণ করে। মিছিলটি চানখারপুল পৌঁছালে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলে গুলি বর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয় রাকিব। তাকে মিডফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন মামলাটি দায়ের করেন।

অর্থপাচার মামলায় ফালুসহ ৩ জনকে অব্যাহতি
১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ তিনজনকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ এসএম জিয়াউর রহমানের আদালত এই আদেশ দেন।অব্যাহতি পাওয়া বাকি দুই আসামি হলেন– আরএকে সিরামিকস লিমিটেডের ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এ কে ইকরামুজ্জামান এবং স্টার সিরামিকস প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান।এদিন আসামিদের পক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার তাঁদের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে মীর আহাম্মদ আলী সালাম আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতির আদেশ দেন আদালত।সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরিফুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি আরও বলেন, আসামিদের মধ্যে ইকরামুজ্জামান ও আনোয়ারুজ্জামান জামিনে আছেন। মোসাদ্দেক আলী ফালু পলাতক থাকায় আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি এ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।দুবাইয়ে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৩ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় ফালুসহ ৩ জনের নামে বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফালু ও অন্য ৩ ব্যবসায়ী আরএকে সিরামিকস ও রাখেন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির এমডি এস এ কে একরামুজ্জামান, স্টার সিরামিকস লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান এবং পরিচালক ম. আমির হোসাইন দুবাইতে ২০১০ সালে আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ট্রাই স্টার লিমিটেড ও ডেভেলপমেন্ট ইইউই নামে তিনটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে তাঁরা অবৈধভাবে দেশটি থেকে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচার করেন।২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

ভোলার সাবেক এমপি মুকুলকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর মিরপুরে নাহিদুল ইসলাম হত্যা মামলায় তোফায়েল আহমদের ভাতিজা ও ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আল-আমীন তালুকদার তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এসময় তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুর এলাকায় গুলিতে নিহত হন নাহিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় তার ভগ্নিপতি মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সেলিমপুত্র সাবেক এমপি সোলায়মানের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
রাজধানীর চকবাজার থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিমের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করতে যাচ্ছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ রিমান্ড আবেদন করবেন বলে পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে। সূত্রটি জানিয়েছে, মামলার ‘সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে’ সোলায়মান সেলিমকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। এ দিন তাকে পুলিশ হেফাজত থেকে আদালতে উপস্থিত করা হবে। এরপর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। গতরাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে সোলায়মান সেলিমকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এরপর তাকে কোতোয়ালি থানা হাজতে রাখা হয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ওসি এনামুল হাসান জানান, আজ তাকে চকবাজার থানা পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হবে। যেহেতু চকবাজার থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে সেই মামলায় তার রিমান্ড চাওয়া হবে। ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে আত্মগোপনে চলে যান আওয়ামী লীগের নেতারা। অনেকে বিদেশে পালিয়ে গেলেও দেশে অবস্থান করা নেতারা আছেন আত্মগোপনে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। এখনো গা ঢাকা দিয়ে আছেন অনেকে। হাসিনা সরকারের পতনের পর হাজি সেলিমপুত্র সোলায়মান সেলিম গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলেন। অবশেষে গতরাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সোলায়মান সেলিম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগের টিকিটে ভোট করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর গত ১ সেপ্টেম্বর লালবাগ থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার হন সোলায়মানের বাবা হাজি সেলিম। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগের টিকিট না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন হাজি সেলিম। নৌকার প্রার্থী মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে হারিয়ে এমপি হওয়ার পর সংসদের ১৬ জন স্বতন্ত্র সদস্যকে নিয়ে জোট গঠন করেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হন হাজি সেলিম। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাজি সেলিম প্রার্থী না হলে ভোট করে আসনটি নিজের করে নেন তারই বড় ছেলে সোলায়মান সেলিম।

কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট
কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারার অধীনে কোনো কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না এবং ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রহিত করা হলো। এখন সরকার চাইলে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে পারবে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আদালত বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে করা আইন অবৈধ এবং ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো ব্যক্তির একক ক্ষমতা গণতান্ত্রিক দেশে থাকতে পারে না। এটি সংবিধানের পরিপন্থি। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। এর আগে গত ৭ নভেম্বর কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলের শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে রায়ের জন্য ১৪ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন। সে সময় আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সিনথিয়া ফরিদ। গত ২ সেপ্টেম্বর কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর আগে কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি এবং ক্রয় সংক্রান্ত ৬ (২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন। এ আইনটি সংবিধানের ৭, ২১, ২৬, ২৭, ৩১, ৪২, ৪৪, ৪৬, ১৪৩ ও ১৪৫ এর লঙ্ঘন বলে রিটে উল্লেখ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ‘আদালত, ইত্যাদির এখতিয়ার রহিতকরণ’ সংক্রান্ত ৯ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন কৃত, বা কৃত বলিয়া বিবেচিত কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের কাছে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না। ৬ (২) ধারার বলা হয়েছে, উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীর সম্মতি গ্রহণক্রমে যেকোনো ক্রয়, বিনিয়োগ পরিকল্পনা বা প্রস্তাব ধারা ৫ এ বর্ণিত প্রক্রিয়াকরণ কমিটি সীমিত সংখ্যক অথবা একক কোনো প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগাযোগ ও দরকষাকষির মাধ্যমে উক্ত কাজের জন্য মনোনীত করিয়া ধারা ৭ এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণে অর্থনৈতিক বিষয় বা সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রেরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ড্রাফটিং বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব,পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে। আইনের ৬(২) এবং ৯ ধারা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

এ্যানি চৌধুরীর বিরুদ্ধে ছয় মামলা বাতিল
২০১০ সালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে করা ছয়টি মামলার কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এসব মামলা বাতিলে রুল শুনানি শেষে বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভুঁইয়া। পরে আইনজীবী মো. কামাল হোসেন জানান, ২০১০ সালে রাজধানীর শাহবাগ থানায় পাঁচটি ও ধানমন্ডি থানায় একটি মা পরে এসব মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদনের পর রুল জারি করা হয়। বুধবার রুলের শুনানি শেষে ছয়টি মামলার কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।

খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলা বাতিল
২০১৬ সালে চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া এবং জাতির জনককে অবমাননার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। ওই মামলার আসামি চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর আবেদনে বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইশতিয়াক আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া। ২০১৬ সালে বিএনপির সাবেক নেতা চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে ইরাদ আহমেদের নামে খোলা একটি ফেসবুক পেজ থেকে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। তার আগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক ছবিও প্রকাশ করা হয় ওই ফেইসবুক পেজে। এ ঘটনায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের সুজন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে এ অভিযোগ করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর (সংশোধিত ২০১৩) ৫৭ ধারায় অভিযোগটি করা হয়। আদালত বাদীর বক্তব্য শুনে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে বোয়ালখালী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। এতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ইরাদ সিদ্দিকীকে আসামি করা হয়। পরে ইরাদ সিদ্দিকী এই মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন।

৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক মেয়র আতিক
রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।একই মামলায় এ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদীরও ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাদের এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে, গত ৭ নভেম্বর মোহাম্মদপুর থানার পৃথক তিনটি হত্যা মামলায় আতিকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দিয়েছিলেন।শিক্ষার্থী রফিক হাসান হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মোহাম্মদপুর থানার আরও দুই হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়।উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে ডিএনসিসি’র সাবেক মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।এদিকে, জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস শহীদ ও সাদেক খানসহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকেও আজ আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।

বিদুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট
বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিকে ‘স্বার্থবিরোধী ও অসম’ আখ্যায়িত করে তা বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট আবেদন করেছেন একজন আইনজীবী।বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে এটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল কাউয়ুম।রিটকারী আইনজীবী বলেন, বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এটি শুনানি করা হবে।এই আইনজীবী বলেন, আমাদের প্রেরিত লিগ্যাল নোটিশে বেঁধে দেওয়া সময় পেরিয়ে যাওয়ায় আজ আমরা পিডিবি (সরকার) ও আদানি গ্রুপের মধ্যকার সম্পাদিত অসম, অন্যায্য ও দেশের স্বার্থপরিপন্থী বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট পিটিশন দায়ের করি। ওই পিটিশনে আদানি গ্রুপের সাথে সম্পাদিত অসম, অন্যায্য ও দেশের স্বার্থপরিপন্থী চুক্তির শর্তসমূহ সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সংশোধন করতে আদানি গ্রুপ রাজি না হলে তা বাতিল করতে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়েছি।ভারতের বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের আদানি গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার। ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ও আদানি পাওয়ার (ঝাড়খণ্ড) লিমিটেডের (এপিজেএল) মধ্যে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি হয়। ২৫ বছরের জন্য এক হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) স্বাক্ষর করে তারা। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিতে ভারতের ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে আদানি পাওয়ার। এখনো সেখান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে ঢাকা।আদানির সঙ্গে চুক্তি সই করে আওয়ামী লীগ সরকার। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন হয় আদানি গ্রুপের। বকেয়ার দাবিতে গ্রুপটি বারবার তাগাদা দেয় এবং আলটিমেটাম দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে গ্রুপটি বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ অর্ধেকের বেশি কমিয়ে দিয়েছে। শুরু থেকেই আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে সমালোচনা ছিল। তাছাড়া তাদের বিদ্যুৎ না পেলেও খুব একটা সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিলেন ট্রাইব্যুনাল
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।ট্রাইব্যুনালে আবেদনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম, বিএম সুলতান মাহমুদ।এদিকে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পা হারানো লিমন সাবেক সামরিক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক র্যাব কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউট কার্যালয়ে লিমন নিজে এসে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ন্যায়বিচার পাইনি। ন্যায়বিচারের আশা নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করলাম।তাজুল ইসলাম বলেন, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক সেনাবাহিনী থেকে সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ এসেছে। তদন্ত সংস্থা অসংখ্য হত্যাকাণ্ড ও গুমের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে বলে জানান তিনি। জিয়াউল আহসান এর মধ্যে ট্রাইব্যুনালের আদেশে গ্রেফতার আছেন। তাকে এক দিনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালতের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল এবং আদালত অনুমতি দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে আইজিপিকে চিঠি
শেখ হাসিনাসহ জুলাই-অগাস্টের গণহত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলামকে চিঠিটি পাঠান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতা। একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুবনাল গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এখন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো দমন পীড়নকে গণহত্যা বিবেচনা করে এ আদালতে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে সারা দেশে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অর্ধশতাধিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং আরেক মামলায় তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই আছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কয়েকজন গ্রেফতার হলেও অধিকাংশেই এখনও আত্মগোপনে আছেন।গত ১০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করার জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার আসামি শেখ হাসিনাসহ সব পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে সরকার। পলাতক আসামিদের বিচারের মুখোমুখি করতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।তিনি বলেছিলেন, খুব দ্রুতই ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হবে। পলাতক ফ্যাসিস্ট চক্র পৃথিবীর যে দেশেই থাকুক তাদের ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে আমির হোসেন আমু
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ছয় দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমান তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।এর আগে বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আমুকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা তার এ মামলায় ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে নিউমার্কেট থানার নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ মারা যান। এ ঘটনায় তার শ্যালক আব্দুর রব নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনকে আসামি করা হয়।

সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ৬ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ৬ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রে শরীফুর রহমান শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিপ তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার ৬ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।এর আগে সোমবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাঁকে গ্রেপ্তার করে।জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে নিউমার্কেট থানাধীন নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ মারা যান। এ ঘটনায় তাঁর শ্যালক আব্দুর রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
.jpeg)
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে রেড নোটিশ জারি করছে সরকার
শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে সরকার রেড নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) দেওয়া আওয়ামী লীগের অভিযোগ সরকার আমলে নিচ্ছে না জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতেই সরকারের বিরুদ্ধে আইসিসিতে অভিযোগ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। অভিযোগটি কোনোভাবেই গৃহীত হওয়ার কারণ নেই।’বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গেল জুলাই ও আগস্ট মাসে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে বিচার কাজও শুরু হয়েছে।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ ৬০টির বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে আত্মগোপনে চলে যান দলটির শীর্ষ নেতারা। অনেকে দেশে লুকিয়ে থাকলেও আবার কেউ কেউ পালিয়ে বিদেশ গেছেন। যাদের অনেকের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা পড়েছে।স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর ২০১০ সালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ। সেখানে অনেক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে জামায়াতের কয়েকজন শীর্ষ নেতারা ফাঁসির দণ্ড কার্যকরও করা হয়।ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পট পরিবর্তন হলে নিজেদের গঠন করা ট্রাইব্যুনালেই আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার হচ্ছে।