এখনও বেসামাল চালের বাজার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৩:১৮ পিএম, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে বিদেশ থেকে আমদানি বৃদ্ধি, ভর্তুকি মূল্যে বিক্রিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও বেসামাল অবস্থা। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১০টাকা পর্যন্ত। আমনের ভরা মৌসুমেও বাজার অস্থিতিশীল।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৮২ থেকে ৮৫ টাকায়। যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল ৭৫ টাকা। নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ৮৬ টাকা। যা আগে খুচরা পর্যায়ে ৭০ থেকে ৭৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মোটা চালের মধ্যে প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। যা আগে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি মাঝারি আকারের চালের মধ্যে বিআর ২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। যা দুই সপ্তাহ আগেও ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বিক্রেতারা অভিযোগ করছেন, দাম বাড়ার পেছনে মিলারদের দোষ আছে। আর ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গত এক মাসে সরু চালের দাম চার শতাংশ, মাঝারি চালে আড়াই এবং মোটা চালের দর সাত শতাংশ বেড়েছে। তবে এক বছরের ব্যবধানে গড়ে সব ধরনের চালের কেজিতে বেড়েছে ১৬ শতাংশ।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, চলতি আমন মৌসুমে ৫৯ লাখ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। বন্যায় কিছু এলাকার জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে আবাদ সম্ভব হয়নি। আবাদ হওয়া ৫৬ লাখ হেক্টর জমির মধ্যে ৫৩ লাখ হেক্টরের ধান কাটা হয়েছে।
এদিকে এখনও বাজারে সংকট বোতলজাত সয়াবিন তেলের। পণ্যের দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকারের নজরদারি বাড়ানোর কথা জানান ভোক্তারা।