ব্যবসায় গুটিয়ে নিতে এক্সিট পলিসি চান ব্যবসায়ীরা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:৩৯ পিএম, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

চড়া সুদহার, জ্বালানি সংকট, সেই সাথে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম ফের বৃদ্ধির পাঁয়তারার খবরে কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে ব্যবসায়ীদের। তাদের দাবি, দেশে এখন ব্যবসায়ের পরিবেশ নেই। ফলে, গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে ব্যবসায় গুটিয়ে নিতে এক্সিট পলিসি চাইলেন তারা। ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন, ‘এপ্রিলে খেলাপি ঋণের নতুন নিয়ম চালু হলে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। তার উপর নতুন করে ভ্যাট আরোপ, শ্রমিকের বেতন ভাতা বৃদ্ধিকে ব্যবসায়ের অন্তরায় হিসেবে দেখছেন তারা।’
স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও বিনিয়োগবান্ধব হতে পারেনি বাংলাদেশ। এখনও এ দেশে বিনিয়োগ করতে হলে ২৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪১টি ছাড়পত্র নিতে হয় একজন উদ্যোক্তাকে। অন্যদিকে গত ৩ বছরে গ্যাসের দাম বেড়েছে ২৫০ শতাংশ থেকে প্রায় সাড়ে ৪০০ শতাংশ।
যদিও ফের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে। সঙ্গে উচ্চ সুদের হার, এলসি জটিলতা, বেতন-বোনাস, উৎপাদন খরচ ও ডলার রেট বৃদ্ধিতে এখন নাজেহাল অবস্থা তাদের।
ব্যবসায়ীদের দাবি বর্তমান পরিস্থিতিতে, দেউলিয়া আইনের পরিবর্তন চান তারা। ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘খেলাপি হয়ে জেলে যাওয়ার পরিবর্তে এক্সিট পলিসি অর্থাৎ ব্যবসায় থেকে সম্মান নিয়ে বেরিয়ে যেতে চান তারা।’
রোববার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি সংগঠনের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে দেখা করে এমন দবি করেন।
বিসিআইয়ের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির দায় অন্য ব্যবসায়ীদের না। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্য ব্যাংকগুলোরও এই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। ক্যাশ ইনসেনটিভ না পেলে ইন্ডাস্ট্রিগুলো মরে যাবে।’
বিজিএমইএর প্রশাসক আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘এলসি জটিলতা দূর করতে হবে। পাশাপাশি কমাতে হবে সুদের হারও।’
ব্যাংক রিফর্ম কমিটিতে ব্যবসায়ীদের অন্তর্ভুক্তি এবং অ্যাগ্রো প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিকে গুরুত্ব দিয়ে সাপ্লাই চেইন ঠিক করার দাবিও করেন ব্যবসায়ী নেতারা।