আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৫:১৭ পিএম, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন-২০২৫ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ার শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও ফরমান আর চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় পর্ষদের পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদু, মো. শাহীন উল ইসলাম, এম আবু ইউসুফ ও মোহাম্মদ আশরাফুল হাছান উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাফাত উল্লা খান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাদিম, মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. ফজলুর রহমান চৌধুরী, মো. আসাদুজ্জামান ভূঁঞা, মো. আমিনুল ইসলাম ভূঁঞা, মোহাম্মদ হোসেন, কাজী মাহমুদ করিম, এসএম আবু জাফর, ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীগণ, জোনাল হেডগণ ও ২২৬টি শাখার ব্যবস্থাপক অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে ব্যাংকের সার্বিক ব্যবসায় পরিস্থিতি নিয়ে পরিচালক পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাজা শাহরিয়ার বলেন, ‘গ্রাহকের আস্থা ও বিশ্বাসের কারণেই আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক দেশের অন্যতম সেরা ব্যাংক। ব্যাংকের আধুনিকায়ন, কর্মক্ষতা বৃদ্ধি, ব্রান্ডিং, ডিজিটাল ইনোভেশন ও অটোমেশন এবং নতুন নতুন প্রোডাক্টের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা আমরা গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সচেষ্ট। সুশাসন, জবাবদিহিতা ও দায়িত্ববোধকে আরো সুসংহত করে আমরা টেকসই উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে চাই।’
তিনি ব্যাংকের খেলাপি বিনিয়োগ আদায় ও কমিয়ে আনতে শাখা ব্যবস্থাপকরে বিশেষ নির্শেনা দেন।
ফরমান আর চৌধুরী শাখা ব্যবস্থাপকগণকে ব্যবসায়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে টার্গেট অর্জনের প্রতি আরও মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘আমানত ও মান সম্পন্ন বিনিয়োগ বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।’
ফরমান আর চৌধুরী গ্রাহক সেবায় শাখাগুলোকে আরও আন্তরিক হওয়ার মাধ্যমে উন্নত ও দ্রুত সেবা প্রদানের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
‘আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে গ্রাহকদের সর্বাধুনিক ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে।’
উল্লেখ্য, অনিরীক্ষিত তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সাল শেষে ব্যাংকের মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা। এ সময় আমদানি ও রপ্তানির পরিমান ছিলো যথাক্রমে ৩৪ হাজার ৩৮২ কোটি এবং ২৫ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। এ সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ হাজার ১৪ কোটি টাকা।