মাসরুর আরেফিন পুনরায় সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক

মাসরুর আরেফিন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদে পুনর্নিয়োগ পেয়েছেন। সম্প্রতি ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের পরে বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তী তিন বছরের জন্য তার পুনর্নিয়োগে অনুমতি দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সারের বরাত দিয়ে ব্যাংকের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মাসরুর আরেফিন ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে সিটি ব্যাংকের এমডি ও সিইও হিসেবে প্রথম বারের মত দায়িত্ব পান। দুই মেয়াদে গত ছয় বছরে তিনি ব্যাংকটিকে ভিন্নতর উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। এ সময়কালে ব্যাংকটির বার্ষিক আয় ১ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার কাছে পৌঁছায় এবং পরিচালন মুনাফা ৬৬৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে ব্যাংকের অনীরিক্ষিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ২ হাজার ২৮৭ কোটি টাকায় দাঁড়ায়, অর্থাৎ অতি অল্প সংখ্যক দেশী ব্যাংকের একটি হিসাবে সিটি ব্যাংক ২ হাজার কোটি টাকা মুনাফার ক্লাবে ঢোকে।’ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘একইসঙ্গে গত ছয় বছরে ব্যাংকের আয়-ব্যয়ের অনুপাত ৫৮ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৪২ দশমিক ১ শতাংশে নামে এবং বৈদেশিক বাণিজ্য বার্ষিক ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার থেকে ৭ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। এই সময়কালে ব্যাংকটির আমানত ২১ হাজার কোটি টাকা থেকে ৫২ হাজার কোটিতে এবং ঋণ পোর্টফলিও ২৩ হাজার কোটি থেকে ৪৫ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছায়। এছাড়া, ব্যাংকটির মন্দঋণ অনুপাত ৫ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসে (২০২৩) এবং শ্রেণীকৃত ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ অনুপাত ৭২ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২২ শতাংশে দাঁড়ায়।’ এতে বলা হয়, ‘তার সময়কালে সিটি ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তির এজেন্ডা নিয়ে মূলত একটি শহরভিত্তিক ব্যাংক থেকে দেশের আপামর জনমানুষের ব্যাংক হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি ব্যাংকে ডিজিটাল ন্যানো লোন, এজেন্ট ব্যাংকিং এবং ক্ষুদ্র ও মাইক্রো ফাইন্যান্স বিভাগ চালু করার পাশাপাশি সিটিটাচ ডিজিটাল ব্যাংকিংকে আরও জনপ্রিয় করায় মনোনিবেশ করেন। ২০২৪ সালে সিটিটাচ-এ ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি লেনদেন সম্পন্ন হয়।’ মাসরুর আরেফিন এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে ১৯৯৫ সালে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে যোগ দেন। ৩০ বছরের কর্মজীবনে তিনি এএনজেড ব্যাংক মেলবোর্ন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কাতার, সিটি ব্যাংক এনএ, আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন। তিনি বরিশাল ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেট; আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স; মেলবোর্নের ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ এবং পরে ফ্রান্সের ইনসিয়াড বিজনেস স্কুল থেকে উচ্চতর আর্থিক ব্যবস্থাপনার ওপরে কোর্স শেষ করেন। মাসরুর আরেফিন তার ব্যাংকার পরিচয়ের পাশাপাশি একজন স্বনামধন্য ঔপন্যাসিক, কবি ও অনুবাদক হিসেবেও পরিচিত।

সঞ্চয়পত্র বিক্রি বন্ধে গ্রাহকের ভোগান্তি চরমে

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সার্ভার আপগ্রেডেশনের কাজ চলছে। এতে বন্ধ আছে সব ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি। তবে, গ্রাহকের কাছে কোন তথ্য না থাকায় সঞ্চয়পত্র কিনতে ব্যাংকে ভিড় করছেন গ্রাহকরা। প্রায় পাঁচ দিন ধরে তারা ঘুরছেন, পাচ্ছেন না কোনো তথ্য। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। অধিদপ্তর বলছে, ‘সার্ভার আপগ্রেডেশনের কাজ চলমান থাকায় সাময়িক বন্ধ রয়েছে বিক্রি। মন্ত্রণালয় থেকে কাজ হচ্ছে, যে কোনো সময় সার্ভার চালু হবে, আগের মতোই কিনতে পারবেন গ্রাহকরা।’ এ দিকে, বিগত চার দিনের মতো আজ মঙ্গলবারও (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে দেখা যায় নারীসহ একাধিক গ্রাহককে। তাদের সবাই এসেছেন সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য, কেউ এসেছেন ভাঙানোর জন্য। আবার কেউ এসেছেন তথ্য (কবে ঠিক হবে সার্ভার) জানার জন্য। তাদের অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করছেন। কারণ হেল্পডেস্ক থেকে ফর্ম পূরণে সহায়তা করা হলেও সার্ভার চালুর বিষয়ে কোনো তথ্য নেই কর্মকর্তাদের কাছে। তারা বলছেন, সঞ্চয় অধিদপ্তর সার্ভার চালু করলে আমরা ফরম জমা নিতে পারবো। বাংলাদেশ ব্যাংক মতিঝিল অফিসের এক অতিরিক্ত পরিচালক জানান, গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) থেকে সার্ভার ডাউন। কবে ঠিক হবে, আমরা এ বিষয়ে কোনো কিছু জানি না। সার্ভার ঠিক হলে সবাই সেবা পাবেন। তবে সার্ভার ঠিক না হওয়া পর্যন্ত ফর্ম নিতে পারছেন, জমা হচ্ছে না। কেউ চাইলে কাউন্টারে রেখে দিতে পারেন, সার্ভার ঠিক হলে আমরা জমা করে নেবো। সার্ভার ঠিক হওয়া অধিদপ্তরের কাজ। আতিকুল ইসলাম এসেছেন পুরান ঢাকা থেকে। স্ত্রীর নামে সঞ্চয়পত্র কিনেছেন, এখন জমা দিতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এসেছিলাম কিন্তু জমা দিতে পারিনি। আজ আবার এসেছি, কিন্তু জমা নিচ্ছে না। অফিস থেকে বলা হচ্ছে কাউন্টারে রেখে দিতে পারেন। কিন্তু কার কাছে রাখবো, এখানে তো চেক আছে, আবার কোনো টোকেনও দেওয়া হবে না। আবার কবে সার্ভার ঠিক হবে সেটাও জানাতে পারছে না। এভাবে সময় অপচয়ের মানে হয় না।’ শিমুল খান নামে একজন গ্রাহক বলেন, ‘আমি আগে থেকে কোন বার্তা পাইনি। এর আগেও আমার সঞ্চয়পত্র কেনা রয়েছে। নতুন করে পাঁচ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনেছি কিন্তু জমার দেওয়ার জন্য দুই দিন ধরে ঘুরছি। কোনো তথ্যও পাচ্ছি না কবে নাগাদ সার্ভার ঠিক হবে। ব্যাংকের গ্রাহককে মোবাইলে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হয় কিন্তু অধিদপ্তর আমাদের জানায়নি। এ কারণে গতকালের মতো আজও ঘুরছি।’ আইরিণ মেহজাবিন এসেছেন ফর্ম নিতে। তিনি বলেন, ‘মেয়ে ও ছেলের বউয়ের নামে কিছু সঞ্চয়পত্র কিনবো। গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এসেছিলাম বলেছিল সার্ভার ডাউন, আসলাম বলে সার্ভার ডাউন। কবে সার্ভার ঠিক হবে এটা জানাতে পারছেন না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা, আমরাও আশা নিয়ে আসছি সার্ভার ঠিক হবে বলে।’ এ ব্যাপারে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন ও জনসংযোগ) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সার্ভারের পুরো কাজটা অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের একটা প্রজেক্ট। এটা অর্থ বিভাগের ওই প্রজেক্টের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সেখান থেকে কাজ চলছে।’ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও জনসংযোগ) মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘সার্ভার আপগ্রেডেশনের কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) থেকে কাজ চলছে। কাজ সম্পন্ন হয়েছে, সোমবার দুপুরের পর থেকে চালু হবে। সবাই সেবা নিতে পারবেন বলে আশা করছি।’ এদিকে, চলতি মাস থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়ছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত সঞ্চয় কর্মসূচিগুলোর (স্কিমের ধরন অনুযায়ী) মুনাফার হার বেড়ে হতে যাচ্ছে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ গত মঙ্গলবার বর্ধিত হার নির্ধারণের আদেশ জারি করতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে (আইআরডি) অনুরোধ করেছে। অর্থ বিভাগের তৈরি এ বিষয়ে প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সুপারিশটি এসেছে অর্থসচিবের নেতৃত্বাধীন নগদ ও ঋণ ব্যবস্থাপনা কমিটি (সিডিএমসি) থেকে। যাকে সহায়তা করেছে অর্থ বিভাগের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অণুবিভাগ। মুনাফার এ হার ১২ দশমিক ২৫ থেকে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থাৎ বর্ধিত হারের কারণে কোনো সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ১২ শতাংশের কম হবে না। সবচেয়ে কম মুনাফা (১২.২৫ শতাংশ) পাওয়া যাবে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের বিপরীতে। সবচেয়ে বেশি মুনাফা (১২.৫৫ শতাংশ) পাওয়া যাবে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে। সুদহার পরিবর্তনের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের ধাপেও পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে পাঠানো চিঠিতে। বর্তমানে ১৫ লাখ টাকা; ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা এবং ৩০ লাখ ১ টাকার বেশি, এই তিন ধাপ রয়েছে। প্রতিটি ধাপে আলাদা মুনাফার হার রয়েছে। তবে নতুন নিয়মে দুটি ধাপের কথা বলা হয়েছে। একটি ধাপে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচের বিনিয়োগকারীরা। আর অপর ধাপে ধাপে এর ওপরের বিনিয়োগকারীরা থাকবেন।

বাংলাদেশকে হালাল ফুডের বাজার ধরার প্রস্তুতি নিতে বলল মালয়েশিয়া

বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায় এবং একই সাথে ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য নিশ্চিত করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ শোহাদা অথমানের সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান।সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন।বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে কোরিয়া, জাপান ও সিঙ্গাপুরের সাথে মুক্তি বাণিজ্য চুক্তির লক্ষে আলোচনা শুরু করেছে। মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য দ্রতই আলোচনা শুরু করা দরকার, এতে দুই দেশই উপকৃত হবে।’ বতর্মান প্রেক্ষাপটে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বহুবিধ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার উপযুক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের রিজার্ভের একটি বড় অংশ আসে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স থেকে। দক্ষ জনশক্তির রপ্তাণির মাধ্যমে আমরা সেখানে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে চাই।’ তিনি বাংলাদেশে স্পেশাল ইকনোমিক জোনে আরো বেশি মালয়েশিয়ান বিনিয়োগের আহ্বান জানান। পামওয়েল রপ্তানী বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘রমজান মাসে বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা বেড়ে যায়। দেশে পামওয়েলর চাহিদাও রয়েছে।’ শোহাদা অথমানে বলেন, ‘মালয়েশিয়া ইলেকট্রিক চিপস ও সেমিকন্ডাক্টর খাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। এখাতে সেমি কন্ডাক্টর ডিজাইনারসহ প্রচুর দক্ষ জনবল প্রয়োজন। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের তাদের দেশে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষাদানের মাধ্যমে দক্ষ করে সেখানে কাজের সুযোগ করে দিতে চায়।’ তিনি দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে সহযোগিতা বাড়ানোরও প্রতিশ্রতি দেন। শোহাদা অথমান আরো বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী হালাল ফুডের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। মালয়েশিয়ায় হালাল ফুডের বাজার ১১৩ বিলয়ন ডলার। ২০৩১ সালে বিশ্বে এ বাজারের আকার দাড়াবে ৬ ট্রিলিয়ন ডলারে। মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উচিত হালাল ফুডের বাজার লক্ষ্য করে প্রস্তুতি নেওয়া।’ এ সময় হাইকমিশনার হালাল ফুড প্রস্তুত ও সার্টিফিকেশনে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ২ হাজার ৮৭৮ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মধ্য বাংলাদেশ মালয়েশিয়া হতে ২ হাজার ৫৮৩ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করে এবং ২৯৪ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে।

এনসিসি ব্যাংকে নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসারদের ওরিয়েন্টেশন

এনসিসি ব্যাংকে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ৫৩ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসারের দিনব্যাপী “ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম” অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংকের ট্রেনিং ইন্সিটিটিউটে এ প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম.শামসুল আরেফিন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম, মো. জাকির আনাম, মো. মনিরুল আলম ও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, এসভিপি ও হেড অব হিউম্যান রিসোর্সেস ডিভিশন এএইচএম আবদুস সাদিক খান। উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস ডিভিশনের এফএভিপি ফরহাদ হোসেন পাটোয়ারী ও ট্রেনিং ইন্সিটিটিউটের এফএভিপি ড. সৈয়দ জাভেদ মো. সালেহ্উদ্দিন। বক্তব্যে এম. শামসুল আরেফিন নবাগত অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসারদের কঠোর পরিশ্রম ও উত্তম সেবার মাধ্যমে ব্যাংকের স্বার্থ, সুনাম ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার পরামর্শ দেন। তিনি সততা, পরিশ্রম, ত্যাগ ও নৈতিকতা চর্চার মাধ্যমে আগামী দিনে ব্যাংকিং শিল্পের নেতৃত্ব কাঁধে নেয়ার উপযুক্তকরে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

জানুয়ারির ১১ দিনে এলো ৮৮৩৯ কোটি টাকার রেমিট্যান্স

দেশে চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ১১ দিনে বৈধপথে ৭৩ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। রোববার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ১১ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২০ কোটি ১৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে দেশে এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল এক হাজার ৮০ কোটি মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে এসেছে ১৯৩ কোটি মার্কিন ডলার এবং ডিসেম্বর মাসে এসেছে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আগের অর্থবছর ২০২৩-২৪’-এর জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার, আগস্টে আসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বর মাসে আসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ, অক্টোবরে আসে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার, নভেম্বর মাসে আসে ১৯৩ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ডলার, জানুয়ারিতে আসে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার, মার্চ মাসে আসে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার, এপ্রিলে আসে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার, মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার এবং জুন মাসে এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

বিদেশে টাকা পাঠানো সহজ করল বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ থেকে সেবার বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থ বিদেশে পাঠানো সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে সেবার অর্থ বিদেশে পাঠাতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনুমোদন লাগবে না। ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তে নিয়মিত বৈদেশিক ব্যয় বাবদ অর্থ বিদেশে পাঠাতে পারবে। রোববার (১২ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই সার্কুলারের ফলে বিদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ হল। সার্কুলারে বলা হয়েছে, ‘সেবা খাতের ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে রয়টার্স মনিটর, ব্লুমবার্গ ফি, ব্যাংকার্স আলমনার্ক, ডিউ ডিলিজেন্স রেপোজিটরি ব্যয়, ক্রেডিট রেটিং সার্ভিস ফি, মূল্য যাচাই ফি, প্রভৃতি।’ এছাড়া, ব্যাংকগুলোকে বিদেশ ভ্রমণকারীদের লাউঞ্জ সুবিধার সঙ্গে সম্পর্কিত খরচ পরিশোধের অনুমতি দেওয়া হয়েছে সার্কুলারে। সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, ‘পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান যেমন ব্রোকারেজ ফার্ম, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ইত্যাদি আর্থিক ইনফরমেশন ও কমিউনিকেশন সংক্রান্ত সেবার জন্য বিদেশে ফি পাঠাতে অনুমতির প্রয়োজন হবে না। তবে, বছরে একজন কার্ড হোল্ডার ৫০০ মার্কিন ডলারের বেশি খরচ করতে পারবে না।’

আইএমএফের চাপে নয়, ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে ভ্যাটবৃদ্ধি: প্রেস উইং

আইএমএফের চাপে নয়, ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে সরকার কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন। রোববার (১২ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম বলেন, ‘দেশের মানুষের ভালোর জন্য এবং প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে আমরা চাচ্ছি যে ট্যাক্স এমন একটা জায়গায় যাক যেন আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়। ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত কমে যাওয়া মানে যে ঋণ করা হচ্ছে, তা পরিশোধ করা সম্ভব নাও হতে পারে।’ ‘আমরা বলছি না যে ট্যাক্স বাড়ালে মানুষের ওপর প্রভাব পড়বে না। তবে আমরা মনে করছি সেটা খুবই মিনিমাম হবে।’ আইএমএফের চাপে ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে কিনা, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘আইএমএফের কথা আমরা কেন নেব। আমাদের এখানে অর্থনীতিবিদেরা আছেন। আমাদের ম্যাক্রো ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটি দরকার। স্ট্যাবিলিটি না থাকলে টাকার মান কমে যায়।’ ‘স্ট্যাবিলিটি বাড়ানোর জন্য আমাদের ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে হবে। গত ৫ মাসে আমাদের রাজস্ব ঘাটতি ৪২ হাজার কোটি টাকা। এ ঘাটতি আমাদের মেটাতে হবে।’ শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘দেশের ফিন্যান্সিয়াল হেলথ ভাল হলে মূল্যস্ফীতি কমে আসে। আইএমএফের ঋণটাই মুখ্য নয়। আইএমএফের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হলে ম্যাক্রো ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটির জন্য তারা বেস্ট সাজেশন দেয়। তারা যেখানে ঋণ দেয়, সেখানে বিশ্বব্যাংকসহ বাইরের বিভিন্ন বিনিয়োগ আসা সহজ হয়।’

ব্যবসায় গুটিয়ে নিতে এক্সিট পলিসি চান ব্যবসায়ীরা

চড়া সুদহার, জ্বালানি সংকট, সেই সাথে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম ফের বৃদ্ধির পাঁয়তারার খবরে কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে ব্যবসায়ীদের। তাদের দাবি, দেশে এখন ব্যবসায়ের পরিবেশ নেই। ফলে, গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে ব্যবসায় গুটিয়ে নিতে এক্সিট পলিসি চাইলেন তারা। ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন, ‘এপ্রিলে খেলাপি ঋণের নতুন নিয়ম চালু হলে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। তার উপর নতুন করে ভ্যাট আরোপ, শ্রমিকের বেতন ভাতা বৃদ্ধিকে ব্যবসায়ের অন্তরায় হিসেবে দেখছেন তারা।’ স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও বিনিয়োগবান্ধব হতে পারেনি বাংলাদেশ। এখনও এ দেশে বিনিয়োগ করতে হলে ২৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪১টি ছাড়পত্র নিতে হয় একজন উদ্যোক্তাকে। অন্যদিকে গত ৩ বছরে গ্যাসের দাম বেড়েছে ২৫০ শতাংশ থেকে প্রায় সাড়ে ৪০০ শতাংশ।যদিও ফের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে। সঙ্গে উচ্চ সুদের হার, এলসি জটিলতা, বেতন-বোনাস, উৎপাদন খরচ ও ডলার রেট বৃদ্ধিতে এখন নাজেহাল অবস্থা তাদের।ব্যবসায়ীদের দাবি বর্তমান পরিস্থিতিতে, দেউলিয়া আইনের পরিবর্তন চান তারা। ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘খেলাপি হয়ে জেলে যাওয়ার পরিবর্তে এক্সিট পলিসি অর্থাৎ ব্যবসায় থেকে সম্মান নিয়ে বেরিয়ে যেতে চান তারা।’রোববার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি সংগঠনের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে দেখা করে এমন দবি করেন।বিসিআইয়ের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির দায় অন্য ব্যবসায়ীদের না। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্য ব্যাংকগুলোরও এই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। ক্যাশ ইনসেনটিভ না পেলে ইন্ডাস্ট্রিগুলো মরে যাবে।’বিজিএমইএর প্রশাসক আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘এলসি জটিলতা দূর করতে হবে। পাশাপাশি কমাতে হবে সুদের হারও।’ব্যাংক রিফর্ম কমিটিতে ব্যবসায়ীদের অন্তর্ভুক্তি এবং অ্যাগ্রো প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিকে গুরুত্ব দিয়ে সাপ্লাই চেইন ঠিক করার দাবিও করেন ব্যবসায়ী নেতারা।

‘ব্রান্ডিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেল পূবালী ব্যাংক

ব্রান্ডিং বাংলাদেশ কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখায় পূবালী ব্যাংক পিএলসিকে ‘ব্রান্ডিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ দিয়েছে সেন্টার ফর নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশি (এনআরবি)। শনিবার (১১ জানুয়ারি) “ব্রান্ডিং বাংলাদেশ” শীর্ষক ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজ ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এইঅ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। সেন্টার ফর এনআরবি এ কনফারেন্সের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের নিকট থেকে অ্যাওয়ার্ড নেন পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর আহসান এইচ মনসুর, যুক্তরাজ্যের (টাওয়ার হ্যামলেট) স্পীকার সাইফুদ্দিন খালেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেন্টার ফর এনআরবির চেয়ারপারসন এমএস সেকিল চৌধুরী।

পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক টেকসই করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সাথে বৈঠক করেছে ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) সভাপতি আতিফ ইকরাম শেখের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল। রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তারা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, ভিসা সহজীকরণ,পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা এবং ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক টেকসই করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুই দেদেশের জনসংখ্যার ভলিউম বিবেচনায় বাণিজ্যের পরিমাণ খুব কম। উভয় দেশেরই সুযোগ রয়েছে বাণিজ্যকে বাড়িয়ে নেওয়ার।’ বাণিজ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সাথে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের আরো বেশি ডায়ালগ হওয়া দরকার।’ নিজেদের মধ্য সম্ভাব্য সহযোগিতা উন্মোচন দুই দেশকেই লাভবান হতে সাহায্য করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আতিফ ইকরাম শেখে বলেন, ‘পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে তাদের ব্যবসায়-বাণিজ্য বাড়াতে চায়। ভিসা জটিলতা ও সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় সে দেশের ব্যবসায়ীরা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় তাদের ব্যবসায়-বাণিজ্য বাড়াতে সক্ষম হচ্ছেন না।’ এ সময় তিনি এক্ষেত্রে বিরাজমান জটিলতা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিপনন, শিক্ষা, পর্যটন ও সিরামিক খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাকিস্তান সরকার এক্সপোর্ট ফ্যাসিলিটেশন স্কীম চালু করেছে। এ স্কীমের আওতায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পাকিস্তানে বিনিয়োগ করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তারা। তারা বাংলাদেশে ট্রেড এক্সপো আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেন। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) আমন্ত্রণে ঢাকা সফরে এসেছেন পাকিস্তানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল।

ভারত থেকে এলো ২৭ হাজার টন চাল

ভারত থেকে আমদানি করা ২৬ হাজার ৯৩৫ মেট্রিক টন চাল বাংলাদেশে এসেছে। দেশটির অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া বন্দর থেকে চাল নিয়ে ছেড়ে আসা একটি জাহাজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত সোয়া ৭টায় চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। শনিবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া বন্দর থেকে ২৬ হাজার ৯৩৫ মেট্রিক টন চালের একটি চালান এসেছে। চালবাহী জাহাজটি শনিবার রাত সোয়া ৭টায় চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এটি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ভারত থেকে আমদানি করা চালের দ্বিতীয় চালান। জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা সংগ্রহ করে ভৌত পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের কাজ শুরু হবে। এজন্য এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববাজারে বেড়েছে স্বর্ণের দাম, বাড়তে পারে দেশেও

বিশ্ববাজারে আচানক স্বর্ণের দাম বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে প্রতি আউন্স সোনার দামে ৪৫ ডলারের ওপরে বেড়েছে। বিশ্ববাজারে সোনার এমন দাম বাড়ায় দেশের বাজারেও যে কোন সময় দামি এই ধাতুটির দাম বাড়তে পারে। এখন বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়লেও কিছু দিন আগে বড় দরপতন হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারেও সোনার দাম কমানো হয়। সর্বশেষ গত ৩০ ডিসেম্বর সোনার দাম কমানো হয়। তার আগে ২৪ ডিসেম্বর সোনার দাম আরেক দফা কমানো হয়। দেশের বাজারে টানা দুই দফা সোনার দাম কমানোর পর বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ১০০ ডলার বেড়েছে। দেশের বাজারে যখন সোনার দাম কমানো হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ৫৯৯ টাকা। এখান থেকেই সোনার দাম বাড়ার প্রবণতা শুরু হয়। তবে গত সপ্তাহে দাম বাড়ার প্রবণতা ছিল সব থেকে বেশি। ৩০ ডিসেম্বর যে সোনার আউন্স ২ হাজার ৫৯৯ টাকা ছিল তা গত সপ্তাহের লেনদেন শেষে ২ হাজার ৬৮৫ দশমিক ৬০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৮৬ ডলার। এর মধ্যে গত সপ্তাহেই বেড়েছে ৪৫ ডলার। দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এই বাজুসের দায়িত্বশীল এক সদস্য বলেন, ‘বিশ্ববাজারে যে হারে সোনার দাম বেড়েছে, তাতে দেশের বাজারেও সোনার দাম বাড়ানো হবে। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে। যে কোন সময় দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ার ঘোষণা আসতে পারে।’ এ দিকে, বিশ্ববাজারের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিশ্ববাজারে দফায় দফায় দাম বেড়ে গত ৩০ অক্টোবর প্রতি আউন্স সোনার দাম রেকর্ড ২ হাজার ৭৮৯ ডলারে উঠে। বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ায় বাংলাদেশে ২০, ২৩ ও ৩১ অক্টোবর টানা তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়। ৩১ অক্টোবর সব থেকে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫৭৫ টাকা। এতে ভাল মানের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৬ টাকা। দেশের বাজারে এটিই সোনার সর্বোচ্চ দাম।’ বিশ্ববাজারে রেকর্ড দাম হওয়ার পরের দিন থেকেই অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর থেকে পতনের মধ্যে পড়ে সোনা। কয়েক দফায় দাম কমে ১৪ নভেম্বর প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৫৪৭ দশমিক ১০ ডলারে নেমে যায়। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে দেশের বাজারে যেমন সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে, তেমনি বিশ্ববাজারে দরপতন দেখা দিলে দেশের বাজারেও সোনার দাম কমানো হয়। ৫ থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে চার দফায় দেশের বাজারে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯ হাজার ১৭ টাকা কমানো হয়। এরপর ডিসেম্বরেও কয়েক দফায় দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো বা কমানোর ঘটনা ঘটে। বর্তমানে দেশের বাজারে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর সোনার যে দাম নির্ধারণ করা হয় সেই দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বর সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৮৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৪ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৮৬৩ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৩৫ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ৮৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

‘টপ টেন ব্যাংক অ্যাওয়ার্ড’ পেল ন্যাশনাল ব্যাংক

২০২৪ সালে রেমিট্যান্স সংগ্রহে অনন্য অবদান রাখার জন্য সেন্টার ফর এনআরবির পক্ষ থেকে ‘টপ টেন ব্যাংক অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। শনিবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হওয়া বছরব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজ-২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এই পুরস্কার হস্তান্তর করেন। ন্যাশনাল ব্যাংকের পক্ষ থেকে পুরস্কার নেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) শেখ আকতার উদ্দিন আহমেদ ও ফরেন রেমিট্যান্স বিভাগের প্রধান মিল্টন রায়। সেন্টার ফর এনআরবির চেয়ারপার্সন এমএস সেকিল চৌধুরী ও গণ্যমান্য দেশি ও বিদেশি অতিথি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠিত

‘সংহতি’র বছর: একসাথে গড়ি আগামী’- এই প্রতিপাদ্যে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির বার্ষিক ব্যবসায় সম্মেলন- ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকার র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল আজিজ সম্মেলন উদ্বোধন করেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান একেএম আবদুল আলীম।ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অতিথি ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মদ, কামাল মোস্তফা চৌধুরী, অশোক কুমার সাহা, ফিরোজুর রহমান, এসএএম হোসাইন, মোহাম্মদ শামসুল আলম, গুলজার আহমেদ, মো. জাহেদুল হক, ফেরদৌস আলী খান ও মো. আবুল হোসেন। ব্যাংকের শরি‘আহ্ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ্ ও সদস্য সচিব যুবাইর মোহাম্মদ এহসানুল হক, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ ওপারেটিং অফিসার (সিওও) মো. সিদ্দিকুর রহমান, কোম্পানি সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান এবং ব্যাংকের সব শাখাপ্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও বিভাগীয় প্রধান সম্মেলনে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বিগত বছরে ব্যাংকের অর্জিত সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করে সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি অভিনন্দন জানান। তিনি শরি‘আহ্ পরিপালন ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উত্তম সেবা প্রদানের মাধ্যমে ব্যাংকের উন্নতির ধারা অব্যাহত রেখে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার লক্ষ্যে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। অন্য অতিথিরা সর্বস্তরের নির্বাহী ও কর্মীদেরকে পেশাগত মান উন্নয়ন পূর্বক ২০২৫ সালের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দলগতভাবে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।

রেমিট্যান্স আহরণে ‘গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি বৈদেশিক রেমিট্যান্স সংগ্রহে প্রথম স্থান অর্জন করায় সেন্টার ফর এনআরবি প্রদত্ত ‘টপ টেন রেমিট্যান্স গোল্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর এনআরবির উদ্যোগে আয়োজিত ‘ব্রান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজ ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের কাছ থেকে এ পুরস্কার নেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। সেন্টার ফর এনআরবির চেয়ারপার্সন এমএস সেকিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্যের টাওয়ার হ্যামলেট স্পিকার বাংলাদেশি ব্রিটিশ নাগরিক সাইফুদ্দিন খালেদ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।

দেশের প্রথম ‘অনলাইন বাণিজ্য মেলা’ শুরু রকমারির

অনলাইন বই বিক্রির ফ্ল্যাটফর্ম রকমারি.কম শুরু করেছে দেশের প্রথম ‘অনলাইন বাণিজ্য মেলা’। এখন গ্রাহকরা ঘরে বসেই মেলার অফার, সেরা পণ্য ও আকর্ষণীয় ডিল উপভোগ করতে পারবেন। মেলা চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। শনিবার (১১ জানুয়ারি) রকমারি.কমের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনলাইন ট্রেড ফেয়ারে এক লাখেরও বেশি দেশি-বিদেশি পণ্যে সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে। মেলায় থাকছে ১০০টিরও বেশি বান্ডেল ডিল, ‘একটি কিনলে একটি ফ্রি’ অফার ও নির্দিষ্ট পণ্যে ফ্রি শিপিং।’ প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ইলেকট্রনিক্স, গৃহস্থালি পণ্য, ফ্যাশন ও বইসহ বিভিন্ন বিভাগে আকর্ষণীয় অফার রয়েছে। এছাড়া, প্রতিদিন রিভিউ দেওয়া গ্রাহকদের জন্য থাকছে ৫০০ টাকার বিশেষ গিফট ভাউচার ও ফ্ল্যাশ সেলের মত চমক। এ বিষয়ে রকমারি.কমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খায়রুল আনাম রনি বলেন, ‘দেশের ই-কমার্স খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে আমরা সব সময় উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিতে চেষ্টা করি। প্রথম বারের মত এই অনলাইন ট্রেড ফেয়ার আয়োজনের মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী ও আধুনিক কেনাকাটার সুযোগ তৈরি করেছি।’ ‘আমাদের মেলায় ছয় শতাধিক ব্র্যান্ড রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাতেও নেই। সেই হিসাবে দেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য মেলা আমরাই করছি। আমি বিশ্বাস করি, রকমারি ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষের কেনাকাটার অভ্যাসে অথেনটিক পণ্যর সুযোগ নিশ্চিত করা এবং তার জন্য আমরা কাজ করে চলেছি।’

চার মাস চলার রিজার্ভ আছে, ভয়ের কিছু নেই: গভর্নর

দেশে এখনও চার মাস চলার মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে। তাই এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর। শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেল ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের পর ২ হাজার ৬৫৭ কোটি ডলার থেকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ৪৯০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। এ অবস্থায় রিজার্ভ নিয়ে ভয় না পাওয়ার কথা বললেন গভর্নর। ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেন, দেশে এখনও চার মাস চলার মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে। তাই ভয়ের কিছু নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে। গত পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে তিন বিলিয়ন ডলার। রফতানি বেড়েছে দুই দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার। প্রবাসীদের সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবকে টপকে রেমিট্যান্স পাঠানোয় দুবাই শীর্ষে উঠেছে। এটা ভালো লক্ষণ নয়। কারণ সৌদি আরব থেকে অর্থ প্রথমে দুবাই আসছে। সেখান থেকে বাংলাদেশে আসছে। দুবাইয়ের কিছু প্রতিষ্ঠান এই সুযোগে মুদ্রা বিনিময় হার ম্যানুপুলেট করার চেষ্টা করছে। তিনি জানান, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ায় বছরে সরকারের ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠানোর গুরুত্ব তুলে ধরে ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেন, প্রশিক্ষিত কর্মী বিদেশে পাঠাতে পারলে রেমিট্যান্স বছরে ৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব। প্রশিক্ষিত কর্মী বিদেশে পাঠাতে পারলে এই রেমিট্যান্স অর্জন ‘কঠিন কিছু না’ বলে উল্লেখ করে তিনি। তিনি আরও বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ স্মরণকালের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

৫ মাসে রেমিট‍্যান্স বেড়েছে ৩ বিলিয়ন: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, গত ৫ মাসে রেমিট‍্যান্স বেড়েছে ৩ বিলিয়ন আর রফতানি বেড়েছে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর এনআরবি আয়োজিত ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। গভর্নর বলেন, প্যানিকড হবার মতো কিছু হয়নি, এখনও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ৪ মাসের রিজার্ভ রয়েছে তবে সতর্ক থাকতে বলেন গভর্নর। আরও জানান, টাকা পাচার ও ব‍্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরে আসায় অর্থনীতি মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। প্রবাসে বাংলাদেশীদের রাজনৈতিক পরিচয়ে বিভাজন সবচেয়ে বড় সংকট বলেও মন্তব্য করেন আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, সবাইকে বাংলাদেশের পক্ষে লবিং করতে হবে নয়তো রাজনৈতিকভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো অসম্ভব।

সব ধরনের পোশাকের দাম বাড়ছে

টেইলারিং শপ ও টেইলার্সে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট বাড়িয়েছে সরকার। ফলে পোশাক বানাতে দরজিকে দিতে হবে বাড়তি টাকা। সেই সঙ্গে ব্র্যান্ড ও নন–ব্র্যান্ড সব ধরনের তৈরি পোশাকের দোকানেও ভ্যাট বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। ফলে বাড়ছে সব ধরণের পোশাকের দাম। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এসব পণ্যের মধ্যে পোশাকও রয়েছে। এদিন এ-সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। অধ্যাদেশ দুটি হলো, ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এবং ‘দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’। এই দুটি অধ্যাদেশ জারির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ ওই দিনেই এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। ফলে এই অধ্যাদেশের পরিবর্তনগুলো সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে গেছে। জানা গেছে, এতদিন টেইলারিং শপ ও টেইলার্সে থাকা ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে টেইলারিং শপ ও টেইলার্সে ২ হাজার টাকার একটি পোশাক বানাতে ৩০০ টাকা ভ্যাট দিতে হবে। এতদিন সেটি ছিল ২০০ টাকা। খরচ বেড়েছে ১০০ টাকা। অন্যদিকে, ব্র্যান্ড ও নন–ব্র্যান্ড সব ধরনের তৈরি পোশাকের দোকানেও ভ্যাট বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। আগে এসব দোকানে ভ্যাট ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। এখন সেটি ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। তার মানে পোশাক কেনা কিংবা বানানো উভয় ক্ষেত্রেই ভোক্তার খরচ বাড়ল।

এখনও বেসামাল চালের বাজার

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে বিদেশ থেকে আমদানি বৃদ্ধি, ভর্তুকি মূল্যে বিক্রিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও বেসামাল অবস্থা। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১০টাকা পর্যন্ত। আমনের ভরা মৌসুমেও বাজার অস্থিতিশীল। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৮২ থেকে ৮৫ টাকায়। যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল ৭৫ টাকা। নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ৮৬ টাকা। যা আগে খুচরা পর্যায়ে ৭০ থেকে ৭৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মোটা চালের মধ্যে প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। যা আগে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি মাঝারি আকারের চালের মধ্যে বিআর ২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। যা দুই সপ্তাহ আগেও ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতারা অভিযোগ করছেন, দাম বাড়ার পেছনে মিলারদের দোষ আছে। আর ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গত এক মাসে সরু চালের দাম চার শতাংশ, মাঝারি চালে আড়াই এবং মোটা চালের দর সাত শতাংশ বেড়েছে। তবে এক বছরের ব্যবধানে গড়ে সব ধরনের চালের কেজিতে বেড়েছে ১৬ শতাংশ। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, চলতি আমন মৌসুমে ৫৯ লাখ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। বন্যায় কিছু এলাকার জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে আবাদ সম্ভব হয়নি। আবাদ হওয়া ৫৬ লাখ হেক্টর জমির মধ্যে ৫৩ লাখ হেক্টরের ধান কাটা হয়েছে। এদিকে এখনও বাজারে সংকট বোতলজাত সয়াবিন তেলের। পণ্যের দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকারের নজরদারি বাড়ানোর কথা জানান ভোক্তারা।

রেস্তোরাঁ-ইন্টারনেট ও পানীয়সহ বিভিন্ন পণ্যে শুল্ক-ভ্যাট বৃদ্ধি করে অধ্যাদেশ জারি

হোটেল, রেস্তোরাঁ, টেলিফোন, ইন্টারনেট ও কোমল পানীয়সহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুল্ক-ভ্যাট বৃদ্ধি করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সই করা অধ্যাদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএফএম) শর্ত পরিপালনে কিছু কিছু পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়ানো এবং যৌক্তিকীকরণ করার পরিকল্পনা নেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। উপদেষ্টাদের সভায় এনবিআরের দেওয়া প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছে, যা অনুমোদন দেওয়া হয়।

আ. লীগ আমলের বিএফআইইউ উপ-প্রধানকে এবার প্রধানের দায়িত্ব

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) উপ-প্রধান ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম শাহীনুল ইসলামকে সংস্থাটির প্রধান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম শাহীনুল ইসলামকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকে কর্ম সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ডেপুটি গভর্নর পদ মর্যাদায় বিএফআইইউর প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হলো। যোগদানের তারিখ থেকে তার মেয়াদ হবে ২ বছর। এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে বিএফআইইউয়ের নির্বাহী পরিচালক পদে ছিলেন। এরপর নিয়মিত অবসরে যান। ওই সময়ে বিএফআইইউয়ের প্রধান পদে থাকা মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মাসুদ বিশ্বাস কর্মকর্তাদের চাপে পদত্যাগ করেন। এখন তার সময়ে উপ-প্রধান পদে থাকা ব্যক্তিকে সংস্থাটির প্রধান পদে নিয়োগ দিল অন্তর্বর্তী সরকার।

পূবালী ব্যাংকের সাথে ডিএইচএল এক্সপ্রেস বাংলাদেশের চুক্তি সই

পূবালী ব্যাংক পিএলসি এবং লজিস্টিক্স ও আন্তর্জাতিক শিপিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল এক্সপ্রেস বাংলাদেশ গো-গ্রীন প্লাস শীর্ষক একটি চুক্তি সই করেছে। সম্প্রতি এ চুক্তি সই হয়। পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ আলী এবং ডিএইচএল এক্সপ্রেস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিয়ারুল হক চুক্তিতে সই করেন। এ সময় পবালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, আন্তর্জাতিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক নিশাত মাইসুরা রহমানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন। এই চুক্তির লক্ষ্য হল শিপিং সেবায় কার্বন নিঃসরণ কমানো।কার্যকরভাবে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমিয়ে আনার মাধ্যমে পূবালী ব্যাংকের নেটজিরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গো-গ্রীন প্লাস প্যাকেজ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

আর্থিক খাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পুঁজিবাজার পুরোপুরি ব্যর্থ: ডিএসইর চেয়ারম্যান

পুঁজিবাজার ভীষণভাবে সংকোচিত হয়েছে, আর্থিক খাতে যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল তা রাখতে পুরোপুরি ব্যর্থ। দীর্ঘ দিন ধরে যে অনিয়ম অদক্ষতাকে আমরা লালন করেছি, সেটাই পুঁজিবাজারকে ইতিবাচক হতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা ক্লাবে ডিএসই আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, ‘গত ১০ বছরে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা মূল্যের দুর্বল আইপিও বাজার এসেছে। ভাল কোম্পানি আসছে একেবারেই নগণ্য। বাজারে বিনিয়োগকারী সংখ্যা গত ১০ বছরে অর্ধেকে নেমে এসেছে। সক্রিয় বিনিয়োগকারী আরো অনেক কম।’ তিনি আরো বলেন, ‘পুঁজিবাজারে সক্ষমতা পরিমাপের অন্যতম একক বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ। বর্তমানে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ এক শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। কর্পোরেট বন্ডের পরিমাণ যদিও এক শতাংশ বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে তা শুন্য দশমিক ৫১ শতাংশের বেশি নয়। বাজারে নতুন আইপিও, কর্পোরেট বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ড আমাদের অগ্রাধিকারী রয়েছে।’ মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি আমরা সক্ষম করতে না পারি, তাহলে হয়তো আবারো ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে চলে যাব। প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্ষম করতে হলে কিছুটা সময় আমাদের লাগবে। পুঁজিবাজার লিডিং এবং কোঅর্ডিনেশনের জায়গায়টা হোল্ড করবে। ডিএসইকে সামনে এগিয়ে নিতে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত লোকবল লাগবে। আমরা নেতৃত্ব গুণাবলী সম্পূর্ণ লোকবল নিয়োগ দিচ্ছি। আমরা আশা করছি, বাজারে আস্থা আগের চাইতে ভাল হবে, বিনিয়োগকারীরা আবার ফিরে আসবে। আইটি সিকিউরিটি অডিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিএসই ওয়েব সাইটকে আমরা রিভাইব করছি। বিশেষ করে কিভাবে আইপিওটাকে ডিজিটালাইজড করা যায়। বন্ড মার্কেটও পরিচালনা সমস্যা, আমরা বিএসইসির সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করছি।’ মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নিয়ে কাজ করছি এবং ভবিষ্যতে যেন কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সে কাজও আমরা করছি। ইনসাইডার ট্রেড ও ম্যানুপুলেশন কিভাবে রোধ করা যায় তা নিয়ে কাছ করছি। মার্কেট ডিভলমেন্টের ক্ষেত্রে রিসার্চ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বাজারে রিসার্চের মাত্রা খুবই কম এবং এটা কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে কাজ করছি।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, ‘ডিএসইর সুরক্ষা যদি আইনগত হয় তবে আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারব। সিসিবিএল থাকবে এমনটা আমরা চাই না। বিএসইসি, ডিএসই, সিসিবিএল এ বিষয়ে সকাজ করছে। জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই দক্ষতাকে গুরুত্ব দিচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে সরকারের নজরে থাকলেও পুঁজিবাজার উপেক্ষিত হয়েছে। পুঁজিবাজার কিভাবে সরকারের পাইরোটি লিস্টে আসে তা নিয়ে কাজ করছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পুঁজিবাজার ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছে। আমাদের দেশেও এটা করা সম্ভব।’ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আমাদের কোন কিছু চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে না। আমরা সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করছি।’ ডিবিএর চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পুঁজিবাজারে যে পেশার গ্রুপগুলো হয়েছে। আমাদের দেশে সেগুলো পুরোপুরি কাজ করেছে, এমন কোন ভাল অতীত নেই। তবে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার চাপের ফলে বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপ দেখা গেছে। এটা বাজারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।’ বিকেন্দ্রীকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিকেন্দ্রীকরণের পরিবর্তে সবকিছু এফআইডি নির্ভর করা হচ্ছে। অনেক কিছুই প্রাইমারি রেগুলেটরের হাত থেকে নিয়ে মন্ত্রণালয় কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যার ফলে আমরা বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছি।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘ডিএসই যদি প্রভাব মুক্ত থাকতে পারে, তাহলে পুঁজিবাজার ইতিবাচক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ১৫ বছরের অনিয়মের বিচার বিশ্লেষণ করা দরকার। আপনাদের কাছ থেকে কিছু তথ্য উঠে এসেছে। তবে সামগ্রিকভাবে সব অনিয়মের তথ্য উঠে আসছে না। আপনারা সহযোগিতা করলে; অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া আমাদের জন্য সহজ হয়। আপনারা তুলে নিয়ে আসুন, আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করি।’ সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর পরিচালক মো. শাকিল রিজভী, মো. শাহজাহান, রিচার্ড ডি রোজারিও, বিএম বিএ প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন এবং ডিএসই ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্ত্বিক আহমেদ শাহ উপস্থিত ছিলেন।