
ডলারের দাম বাজারমুখী করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ডলারের দাম আরও বাজারমুখী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের অনুমোদিত ব্যাংক শাখাগুলো (এডি ব্রাঞ্চ) তাদের গ্রাহক ও ডিলারদের কাছে নিজেরা আলোচনার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার দাম নির্ধারণ করতে পারবে।গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নতুন বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের অনুমোদিত শাখাগুলো (এডি শাখা) থেকে প্রতিদিন দুইবার বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংককে পাঠাতে হবে। এক লাখ ডলারের বেশি কেনাবেচার তথ্য বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে জানাতে হবে। এছাড়া বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার পুরো তথ্য বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে জানাতে হবে। নির্ধারিত ছকে বাংলাদেশ ব্যাংককে এসব তথ্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এতে আরও বলা হয়েছে, ১২ জানুয়ারি থেকে বৈদেশিক মুদ্রার কেনাবেচার তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিদিনের একটি ভিত্তিমূল্য বা রেফারেন্স প্রাইস প্রকাশ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে এ ভিত্তিমূল্য প্রকাশ করা হবে।এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে হস্তক্ষেপ বিষয়ক একটি নীতিমালা প্রকাশের ঘোষণাও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সব বৈদেশিক মুদ্রার দাম বাজারভিত্তিক রাখতে এই নীতিমালা হয়েছে। যাতে বাজারভিত্তিক দামের সুবিধা নিয়ে মুদ্রা বাজারকে কেউ অস্থিতিশীল করতে না পারে।প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের মধ্যে ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করার পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। চলতি বছরের মধ্যে ডলারের দাম পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে ডলারের দাম আরও কিছুটা বাজারমুখী করতে নতুন প্রজ্ঞাপন দেওয়া হলো।

ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য লিটারে কমল এক টাকা
ডিজেল ও কেরোসিন তেলের মূল্য লিটারে এক টাকা কমেছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মধ্যরাত (১ জানুয়ারি) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। ডিজেল ও কেরোসিনের লিটার ১০৫ টাকা থেকে এক টাকা কমিয়ে ১০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, প্রতি লিটার অকটেন ১২৫ টাকা ও পেট্রোল ১২১ টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণের লক্ষ্যে প্রাইসিং ফর্মুলার আলোকে নভেম্বর মাসের জন্য তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিতে জ্বালানি তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত ১ নভেম্বর থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৫০ পয়সা কমিয়েছিল সরকার।

আবদুল আলীম স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত
একেএম আব্দুল আলীম স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার (২৯ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৪০৪তম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাকে নির্বাচিত করা হয়। তিনি ব্যাংকের অডিট কমিটির সদস্য ও শরি‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির পর্যবেক্ষক। ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান, তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুল আলীম স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও চেয়ারম্যান এবং ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ আবদুল আজিজের একমাত্র পুত্র। সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট ও আন্তর্জাতিক ব্যাবসায়ে দক্ষ, বৈশ্বিক অর্থনীতি বিষয়ে বিশেষ উৎসাহী আব্দুল আলীম স্কুল স্কলাস্টিকা থেকে ‘ও’ এবং ’এ’ লেভেল পাশ করার পর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ ও পরবর্তী যুক্তরাজ্যের বেডফোর্ডশায়ার ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন।বর্তমানে তিনি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও স্ট্যান্ডার্ড এক্সপ্রেস ইউএসএরপরিচালক, ম্যাস কর্পোরেশনের প্রোপ্রাইটর, মিডল্যান্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের পরিচালক এবং গ্লোবাল লেদার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। সমাজসেবী আব্দুল আলীম গুলশান সোসাইটির আজীবন সদস্য, লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনালের সদস্য, গুলশান নর্থ ক্লাব লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য। তিনি ভ্রমণ ও কাজের প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, স্কটল্যান্ড, চীন, হংকং, সংযুক্ত আরবআমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারত ও নেপালসহ বহু দেশে ভ্রমণ করেছেন।

খুলনায় এনসিসি ব্যাংকের নতুন উপশাখার উদ্বোধন
খুলনায় এনসিসি ব্যাংকের কেডিএ এভিনিউ উপশাখা সম্প্রতি আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এস এম হাসান রেজা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শাখাটির কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এনসিসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সচিব মোঃ মনিরুল আলমের সভাপতিত্বে খুলনা বিশ্বাবদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধ্যাপক মেহেদী হাসান মোঃ হেফজুর রহমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক এসকে. শাহরিয়ার রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।এসময়, এনসিসি ব্যাংকের দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রবীর কুমার সাহা, যশোর শাখার ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম, খুলনা শাখার ব্যবস্থাপক ফারুক আহমেদ এবং কেডিএ এভিনিউ উপশাখার ইনচার্জ শামসুন নাহারসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।প্রধান অতিথির ভাষণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এস এম হাসান রেজা খুলনার কেডিএ এভিনিউতে এনসিসি ব্যাংকের উপশাখা উদ্বোধনের কার্যক্রমকে স্বাগত জানান। শাখাটি অত্র এলাকার গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি এলাকার ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের এই উপশাখা হতে এনসিসি ব্যাংকের সেবাসমূহ গ্রহণের আহ্বান জানান।সভাপতির বক্তব্যে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সচিব মোঃ মনিরুল আলম বলেন, বর্তমান এই প্রতিযোগিতামূলক ব্যাংকিং ব্যবসায় এনসিসি ব্যাংক গ্রাহকদের বর্ধিত চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এর শাখা ও উপ-শাখার বিস্তৃতি ঘটিয়ে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শিল্প, বন্দর ও সুন্দরবনকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠা খুলনার নগর উন্নয়নকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতেই কেডিএ এভিনিউতে উপশাখার কার্যক্রম শুরু করেছে। অত্র এলাকার শিক্ষা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং এসএমই ও রিটেইল ব্যবসা এবং রেমিট্যান্স এর ক্ষেত্রে এনসিসি ব্যাংকের কেডিএ এভিনিউ উপশাখাটি প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খুলনা বিশ্বাবদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধ্যাপক মেহেদী হাসান মোঃ হেফজুর রহমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক এসকে. শাহরিয়ার রহমান, এনসিসি ব্যাংকের কেডিএ এভিনিউ উপশাখা খোলার জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষদের এনসিসি ব্যাংকের এই উপশাখায় ব্যাংকিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-উবারের মধ্যে চুক্তি সই: বাণিজ্য মেলা শুরু আগামীকাল
কাল বুধবার (১ জানুয়ারি) পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হচ্ছে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৫। সকাল দশটায় মেলার উদ্বোধন করেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে মেলার প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, রপ্তাণি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্য উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় যাত্রী পরিবহনে বিশেষ ছাড় দিতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও অ্যাপসভিত্তিক সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ওবারের মধ্যে এমওইউ সই হয়। পরে বাণিজ্য উপদেষ্টা ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রবেশের ই টিকেটিং অ্যাপসের উদ্বোধন করেন। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের বাণিজ্য মেলায় প্রথম বারের মত অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল/প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় প্রথম বারের মতো ই-টিকেটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিসের পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে বিশেষ ছাড়ে উবার সার্ভিস। মেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সম্মানার্থে তৈরি করা হয়েছে জুলাই চত্বর ও ছত্রিশ চত্বর। সঙ্গে দেশের তরুণ সমাজকে রপ্তানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধকরণার্থে তৈরি করা হয়েছে ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন। মেলায় সম্ভাবনাময় সেক্টর/পণ্যভিত্তিক সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিদেশী উদ্যোক্তা/প্রতিষ্ঠানের সুবিধার্থে থাকছে স্বতন্ত্র সোর্সিং কর্নার, ইলেক্ট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোন। বয়সভিত্তিক দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে প্রযুক্তি কর্নার, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সিটিং কর্নার। শিশুদের নির্মল চিত্তবিনোদনের জন্য মেলায় থাকছে শিশু পার্কও। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, চতুর্থ বারের মত বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পূর্বাচলস্থ বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে। মেলার লে-আউট প্ল্যান অনুযায়ী, বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৬১টি প্যাভিলিয়ন/স্টল/রেস্টুরেন্ট দেশীয় উৎপাদক-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে শতভাগ স্বচ্ছতায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দেশিয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স এ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্সস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ সামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ,প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল,টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শন ও বিক্রি হবে। বাংলাদেশ ব্যতীত সাতটি দেশের মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হল ভারত, পাকিস্থান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া। এক্সিবিশন সেন্টারের দক্ষিণ-পূর্ব পার্শ্বে জুলাই চত্বর, দক্ষিণ-পশ্চিম পার্শ্বে কালচারাল সেন্টার, টেকনোলজি কর্ণার, রিক্রিয়েশন কর্নার এবং সেন্টারের উত্তর-পূর্ব (ছয় একর) পার্শ্বে শিশু পার্ক ও উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে ছত্রিশ চত্বর ও নামাজ ঘর স্থাপন করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তা এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মেলার প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রাঙ্গণের বাইরে ও নিয়মিত টহল দল থাকবে। নিরাপত্তা অগ্রাধিকার বিবেচনায় মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, প্রবেশ গেইট, পার্কিং এরিয়া ও সংশ্লিষ্ট সব এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। এবারের মেলায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়েছে। এক্সিবিশন হলে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আলাদা টয়লেটের পাশাপাশি এক্সিবিশন হলের বাইরেও পর্যাপ্ত সংখ্যক টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলায় খাদ্যদ্রব্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ গঠিত টিম মেলা চলাকালীন প্রতিদিন ভেজাল বিরোধী মোবাইল কোর্ট চালাবে। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও পেশেন্ট কেয়ার এটেনডেন্ট উপস্থিত থেকে ফ্রি প্রাথমিক চিকিৎসা ও চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করবে। মেলার থাকবে পর্যাপ্ত কার পার্কিং এর সুবিধা। ৫ শতাধিক গাড়ি পার্কিং সুবিধা সংবলিত দ্বিতল কার পার্কিং বিল্ডিং ছাড়াও এক্সিবিশন হলের বাইরে ৬ একর জমিতে পার্কিং এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেলার সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং এর জন্য মেলায় স্থাপন করা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম ও দর্শনার্থীদের সকল প্রকার তথ্য প্রদানের জন্য একটি তথ্য কেন্দ্র। ব্যাংকিং সার্ভিসের জন্য মেলায় থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক ব্যাংক বুথ। মা ও শিশুদের জন্য মেলায় থাকবে মা ও শিশু কেন্দ্র। দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য আরামদায়ক ও শোভন চেয়ার/বেঞ্চ, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সিটিং কর্ণার ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পূর্বের ন্যায় মেলাটি মাসব্যাপী সকাল ১০.০০ টা হতে রাত ৯.০০ টা পর্যন্ত চলবে (সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০:০০ টা পর্যন্ত)।

আইসিএবি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির এজিএম ও নির্বাচন সম্পন্ন
দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি আইসিএবি-সিআরসির কনফারেন্স হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভায় তৃষিত চৌধুরী চেয়ারম্যান ও নাজনিন সুলতানা পুনঃ সেক্রেটারি এবং মো. আবুল কাশেম, মোহাম্মদ আরিফ ও মো. মনিরুজ্জামান সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তৃষিত চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পর মের্সাস দাশ চৌধুরী দত্ত এন্ড কোং চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস থেকে সিএ কোর্স শেষ করেন ও উত্তীর্ণ হন। ইতিমধ্যে তিনি বিভিন্ন সিএ ফার্ম ও দেশী বিদেশী প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি মের্সাস দাশ চৌধুরী দত্ত এন্ড কোং চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টসের সিনিয়র কনস্যালট্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কর্মসূত্রে তিনি জাপান, সিঙ্গাপুর, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ও ভারতসহ অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করেন। তিনি বিভিন্ন সংগঠন তথা বাংলাদেশ একাউন্টিং এসোসিয়েশন, হিসাব বিজ্ঞান সমিতি, চট্টগ্রাম কর আইনজীবি সমিতি, চট্টগ্রাম মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বোট ক্লাব ও গলফ এন্ড কান্ট্রি ক্লাব অব কক্সবাজারের দাতা ও আজীবন সদস্য।অন্য দিকে, নাজনিন সুলতানা আইসিএবির একজন ফেলো সদস্য। তিনি কেপিএমজি রহমান রহমান হক থেকে সিএ আর্টিকেলশীপ সম্পন্ন করে এবং ২০১২ সালে সিএ পাস করেন। তিনি স্নাতকে মেধা তালিকায় নবম স্থান অধিকার করেন। তিনি একজন কর আইনজীবী ও চট্টগ্রাম ট্যাক্সেসবার এসোসিয়েশনের মেম্বার। তিনি মিরসরাই এডুকেশন সোস্যাইটির একজন উপদেষ্টা। নাজনিন সুলতানা চট্টগ্রাম সঙ্গীত পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি এশিয়ান ওমেন ইউনিভার্সিটির ফাইন্যান্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্সের পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া, নাজনিন সুলতানা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পরিষদের একজন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রথম সারির এনজিও এবং বিভিন্ন কোম্পানিতে ১৫ বছরের বেশি সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ঢাকা বাণিজ্য মেলা ২০২৫: ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আকর্ষণে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসরের পর্দা উঠছে বুধবার (১ জানুয়ারি)। স্টল-প্যাভিলিয়নগুলো সারছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বাণিজ্য উপদেষ্টা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকছে এক হাজারের বেশি নিরাপত্তাকর্মী। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের স্মরণে থাকছে জুলাই চত্বর, ৩৬ চত্বর ও তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন। অংশগ্রহণ করবে সাতটি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠান। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে থাকবে বিআরটিসির ২০০ বাস। চলছে শেষ মুহূর্তের হাক ঢাক, ব্যস্ততা। স্টল-প্যাভিলিয়ন তৈরি শেষে কেউ সাজসজ্জায় ব্যস্ত। কেউ ঠুকছেন শেষ পেরেক। কেউ ব্যস্ত জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের চিত্র তোলার নানা আয়োজনে; সব মিলে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চলছে শেষ মুহূর্তের কর্মযজ্ঞ।২৯তম বাণিজ্য মেলার পর্দা উঠবে বুধবার। উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তাই, এক দিন আগে কড়াকড়ি করা হয়েছে নিরাপত্তা। ই-টিকিটের ব্যবস্থা থাকায় প্রবেশ পথে রয়েছে ভিন্ন ব্যবস্থা।মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দীন জানান, বিশ্বের সাতটি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠানসহ মেলায় থাকছে ৩৬২টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন। জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানকে প্রাধান্য দিয়ে হবে জুলাই চত্বর, ছত্রিশ চত্বর ও তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন।আর শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানান, চেষ্টা চলছে মেলাকে দীর্ঘমেয়াদে আন্তর্জাতিক মানের তৈরি করার। নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকছে এক হাজারের বেশি নিরাপত্তাকর্মী। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের স্মরণে থাকছে জুলাই চত্বর, ৩৬ চত্বর ও তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের বাণিজ্য মেলায় প্রথম বারের মত অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল বা প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় প্রথম বারের মত ই-টিকেটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিসের পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে বিশেষ ছাড়ে উবার সার্ভিস।এছাড়া মেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সম্মানার্থে তৈরি করা হয়েছে জুলাই চত্বর ও ছত্রিশ চত্বর। সঙ্গে দেশের তরুণ সমাজকে রফতানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধকরণে তৈরি করা হয়েছে ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন।মেলায় সম্ভাবনাময় সেক্টর বা পণ্যভিত্তিক সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এ বছর। বিদেশি উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানের সুবিধার্থে থাকছে স্বতন্ত্র সোর্সিং কর্নার, ইলেক্ট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোন। বয়সভিত্তিক দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে প্রযুক্তি কর্নার, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সিটিং কর্নার। শিশুদের নির্মল চিত্তবিনোদনের জন্য মেলায় থাকছে শিশু পার্কও। প্রসঙ্গত, মেলা মাসব্যাপী সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।

৫ দিন বন্ধ থাকবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লেনদেন
পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম। তবে ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের লেনদেন চালু থাকবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, নতুন কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারে মাইগ্রেশনের কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কোর ব্যাংকিং সার্ভিসেস ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সাময়িকভাবে বিরত রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসি। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিসেস সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে চায় ব্যাংকটি। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এই আবেদনে সম্মতি জ্ঞাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ ব্যাংকটির কোর ব্যাংকিং সার্ভিসেস পাঁচদিন ও এজেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিসেস সাতদিন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে এ সম্মতি জ্ঞাপন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ থাকবে ব্যাংকটির কোর ব্যাংকিং সার্ভিসেস। আর গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে ডাচ্-বাংলার এজেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিস। এদিকে কোর ব্যাংকিং সিস্টেম (সিবিএস) মাইগ্রেশনের জন্য মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) থেকে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যা অব্যাহত থাকবে আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আজ বন্ধ ব্যাংক লেনদেন
ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোনো লেনদেন হবে না। বন্ধ থাকবে দেশের প্রধান দুই শেয়ারবাজার ডিএসই ও সিএসইও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ছুটির তালিকা অনুযায়ী প্রতি বছরের ১ জুলাই ও ৩১ ডিসেম্বর দুদিন ‘ব্যাংক হলিডে’। আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার জন্য বার্ষিক হিসাবনিকাশ শেষ করতে প্রতি বছর এই দু’দিন ‘ব্যাংক হলিডে’ পালন করা হয়। প্রথানুযায়ী অর্থবছরের প্রথম দিন ১ জুলাই এবং পঞ্জিকা বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাকলেও শুধু ব্যাংকের নিজস্ব দাপ্তরিক কার্যক্রম চলে। আর্থিক হিসাব মেলাতে সব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাকবে। তবে ব্যাংক কিংবা গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাকলেও সেখানে কোনো ধরনের লেনদেন সম্পন্ন হয় না। ব্যাংক হলিডেগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংক, কোনো ব্যাংক থেকে ব্যাংক বা ব্যাংক গ্রাহকদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন পরিচালনা করা হয় না। এ সময়ে গ্রাহক চাইলে কার্ডের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও র্যাডিসন ব্লু ঢাকার মধ্যে চুক্তি সই
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক (এআইবি) পিএলসি এবং দেশের শীর্ষ স্থানীয় পাঁচ তারকা হোটেল র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের মধ্যে বাই ওয়ান গেট ওয়ান (বোগো) চুক্তি সই হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ চুক্তি সই হয়। ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফজলুর রহমান চৌধুরী ও হোটেলের সেলস এন্ড মার্কেটিং পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম চুক্তিতে সই করেন।অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ আরিফ হাসান, হোটেলের ফিন্যান্স ডিরেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।চুক্তি অনুসারে আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের প্লাটিনাম কার্ডহোল্ডাররা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাই ওয়ান গেট ওয়ান অফার পাবেন।

পূবালী ব্যাংকের কলাবাগান উপশাখার উদ্বোধন
গ্রাহকদের অত্যাধুনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানের প্রত্যয় নিয়ে পূবালী ব্যাংক পিএলসি ঢাকার কলাবাগানে উপশাখার কার্যক্রম শুরু করেছে।সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) উপশাখাটি উদ্বোধন করেন পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা কেন্দ্রীয় অঞ্চল প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক আবু লাইছ মো. শামসুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন পান্থপথ শাখা প্রধান ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. খোসদার আলী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পূবালী ব্যাংক অতি দ্রুত সময়ে সর্বোত্তম ও আধুনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য গ্রাহকদের নিকট প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যাংকের আধুনিক সেবা পৌঁছে দিতে কলাবাগান উপশাখাটি উদ্বোধন করা হয়েছে।’ কলাবাগান উপশাখা এই এলাকার ব্যবসায়-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যবসায়ীগণ ও পূবালী ব্যাংকের ঊর্দ্ধতন নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বকেয়া ঋণ আদায়ে ফের এস আলমের সম্পত্তি নিলামে তুলল জনতা ব্যাংক
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জনতা ব্যাংক বকেয়া ঋণের টাকা আদায়ে জন্য ফের এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি নিলামে তুলেছে। এবার নিলামে তোলা হচ্ছে এস আলম গ্রুপের কম্পানি এস আলম সুগার রিফাইন ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের দুই হাজার ৯৭১ শতাংশ জমি। এস আলম সুগার রিফাইন ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের কাছে ব্যাংকটির পাওনা একে হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা।চট্টগ্রামের সাধারণ বিমা করপোরেট শাখায় এই ঋণ রয়েছে। সেই ঋণের দায়ে এই জমি নিলামের তোলার বিষয়টি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে জনতা ব্যাংক। এর আগেও জনতা ব্যাংক খেলাপি ঋণ আদায়ে এস আলম গ্রুপের জমি নিলামে তুলেছে। এক হাজার ৮৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য গেল ২০ নভেম্বর এক হাজার ৮৬০ শতাংশ জমি নিলামে তোলা হয়। গ্রুপটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেডের কাছে এই টাকা অনাদায়ী ছিল। জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রামের সাধারণ বীমা ভবন করপোরেট শাখা থেকে এই ঋণ নেওয়া হয়। সে শাখাতেই নিলাম ডাকা হয়। সূত্র জানায়, জনতা ব্যাংক থেকে নেওয়া এস আলম গ্রুপের দশ হাজার কোটি টাকার ঋণের প্রায় পুরোটাই খেলাপি হয়ে গেছে। ফলে, প্রতিটি ঋণের বিপরীতে যে জমি বন্ধক দেওয়া আছে, তা একের পর এক নিলামে তুলছে জনতা ব্যাংক। ব্যাংকিং আইন অনুসারে, প্রথমে জমি নিলামে তোলা হবে, তা না হলে অন্য প্রক্রিয়ায় এই অর্থ তুলে নেওয়া হবে। জনতা ব্যাংক সূত্রে জানায়, এস আলম গ্রুপ ২০০৪ সাল থেকে জনতা ব্যাংকের গ্রাহক। ব্যাংকটির চট্টগ্রামের সাধারণ বীমা ভবন করপোরেট শাখার দেওয়া ঋণের ৮০ শতাংশের বেশি নিয়েছে গ্রুপটি। এসব ঋণের বিপরীতে যে জমি ও স্থাপনা বন্ধক দেওয়া আছে, তা বিক্রি করেও টাকা তুলতে পারবে না জনতা ব্যাংক। দশ হাজার ১০০ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটিতে বন্ধক আছে দুই হাজার ৭৪৯ কোটি টাকার জমি ও স্থাপনা।

ছয় কারণে ডলারের দামে অস্থিরতা
দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে বা ডলারের দামে সম্প্রতি অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর পেছনে ছয়টি কারণ মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করেছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ডিসেম্বর বছরের শেষ মাস। এ কারণে নানাবিধ ঋণ পরিশোধের ভ্যালু ডেট (পেমেন্ট শিডিউল) এই মাসেই বিধায় বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আইএমএফের লক্ষ্যপূরণ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক সাম্প্রতিক সময়ে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে, যা আন্তঃব্যাংক ও বাজারে ডলারের যোগান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখেনি। হুসনে আরা শিখা জানান, বাংলাদেশের রেটিং অবনমনের কারণে বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর করেসপন্ডেন্ট রিলেশনশিপ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ফলে, ইউপাস এলসি খোলা (আমদানিকৃত পণ্যের পাওনা পরিশোধে সময় থাকে ২৭০ দিন) বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। পেমেন্টের ম্যাচুরিটি ডেফার্ড করা সম্ভব হয়নি ও অফশোর ব্যাংকিং ঋণের আন্তঃপ্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বৈদেশিক দেনা পরিশোধ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার বাজারে চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। রেমিট্যান্স আহরণে অ্যাগ্রিগেটরদের একচেটিয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ভূমিকা বাজারে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারকে অস্থিতিশীল করেছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ইনফ্লো-আউটফ্লো মিস ম্যাচের কারণেও ডলার বাজারে অস্থিতিশীলতা পরিলক্ষিত হয়েছে। তিনি আরও জানান, বৈদেশিক মুদ্রা বাজার অস্থিরতা রোধ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে রেমিট্যান্স আহরণের বিনিময় হার প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা (ক্রস কারেন্সি হলে তা ক্রস ক্যালকুলেশন করে প্রতি ডলার ১২৩ টাকা, এর ঊর্ধ্বে হবে না) নির্ধারণ করেছে। এছাড়া, ড্যাশবোর্ড, ডাটা মনিটরিং ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

রমজানে বাজার স্বাভাবিক রাখতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
আসন্ন রমজানে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ও নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চারটি বিভাগের ৩১টি জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হয়ে এই নির্দেশ দেন তিনি।কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, কৃষি পণ্য সংরক্ষণ, সার সরবরাহ ও শিল্প এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সামনেই রমজান আসছে। রমজানকে কেন্দ্র করে বাজার মূল্যের দিকে আপনারা বিশেষভাবে নজর রাখবেন। শুধু বাজার মূল্য নয়, জিনিসপত্র আনা-নেয়া কীভাবে আরও সহজ করা যায় সে বিষয়েও কাজ করতে হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার যে ১৫টি কমিশন গঠন করেছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি কমিশন খুব শিগগিরই তাদের রিপোর্ট দেবেন। এসব প্রতিবেদনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে, নাগরিকদের সঙ্গেও আলোচনা হবে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে নির্বাচনের একটি আবহও তৈরি হবে।’ রিপোর্টের প্রতিক্রিয়া কি হবে, সে বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশও দেন প্রধান উপদেষ্টা। যাতে করে শান্তিপূর্ণভাবে সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করা যায়। মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এটা আমার জন্য প্রথম সুযোগ ছিল আপনাদের সঙ্গে কথা বলার। অনেক কিছু শিখলাম, অনেক বিষয়ে নিজেকে অবহিত করলাম। এটা আমাদের কাজে সহায়ক হবে।’ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কর্মকর্তারা এই ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন। কনফারেন্সে ১৯ জন বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ পুলিশ প্রধান, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পর্যায়ের কর্মকর্তা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদের সচিব শেখ আব্দুর রশিদ। শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টা বাকি চার বিভাগের ৩৩টি জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে একই ধরনের ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেবেন।

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ৪১২তম পর্ষদ সভা
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৪১২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) পর্ষদের চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে সভায় ব্যাংকের সার্বিক ব্যবসা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয় এবং বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।সভায় পর্ষদের পরিচালক মো. শাহীন উল ইসলাম, মো. আব্দুল ওয়াদুদ, অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ, মোহাম্মদ আশরাফুল হাছান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফরমান আর চৌধুরী, ব্যাংকের কোম্পানি সচিব মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁঞা এবং সংশ্লিষ্ট নির্বাহী উপস্থিত ছিলেন।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির ৩৮তম সভা অনুষ্ঠিত
শরিয়াহ্ ভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি. এর রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির ৩৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ডরুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ। সভায় অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, এস. এ. এম. হোসাইন, আলহাজ্ব মোহাম্মদ শামসুল আলম এবং মো. জাহেদুল হক।সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. হাবিবুর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান, এফসিএস।

এনআরবিসি ব্যাংকের নতুন শাখার উদ্বোধন
এনআরবিসি ব্যাংক ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় শুরু করেছে ব্যাংকিং কার্যক্রম। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যাংকের ১০৯তম কাঠালিয়া শাখার উদ্বোধন করেন ব্যাংকের পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমান।অনুষ্ঠানে কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এস এম দেলোয়ার হোসেন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মো. রাজিব, কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, ব্যাংকের বরিশাল এরিয়া ইনচার্জ সৈয়দ জাহিদুর রহমান, বরিশাল শাখার ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ মো: আব্দুল হালিম, বরগুনা শাখার ব্যবস্থাপক মো: দেলোয়ার হোসেন, কাঠালিয়া শাখার ব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গ্রাহকরা, ব্যবসায়ী, গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের সম্মৃদ্ধি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।প্রধান অতিথি একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এনআরবিসি ব্যাংক যারা ব্যাংকিং সুবিধা থেকে এখনও বঞ্চিত, তাদের জন্যই প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করছে। উদ্যোক্তা তৈরিতে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করছে। কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নয়নে কাজ করছে।উল্লেখ্য, সারাদেশের মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে মানুষের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবা নিয়ে যাচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। ইতোমধ্যে দেশের সহাস্রধিক এলাকায় সেবা দেয়া হচ্ছে। প্রথাগত ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি শরীয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং সেবাও দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক।

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এতে সভাপতিত্ব করেন।সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ ওমর ফারুক খান, মোঃ আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার এবং কোম্পানি সেক্রেটারি (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

পাঁচ মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯১ শতাংশ
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) বৈদেশিক ঋণ প্রতিশ্রুতি ও বিতরণ উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। যদিও একই সময়ে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। যা দেশের আর্থিক পরিস্থিতিতে আরও চাপ তৈরি করেছে। চলতি অর্থ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে বৈদেশিক ঋণ পাওয়ার চেয়ে বেশি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) এমন তথ্য প্রকাশ করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। তথ্যানুযায়ী, আলোচ্য সময়ে ঋণ প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯১ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ। গত বছরের তুলনায় একই সময়ে ঋণ বিতরণ কমেছে ২৭ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ। তবে এ সময়ে ঋণ পরিশোধ ২৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি দেশের আর্থিক সম্পদের ওপর চাপ বাড়ানোর প্রতিফলন। চলতি অর্থ বছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে বাংলাদেশ ঋণ পরিশোধ করেছে ১৭১ দশমিক এক কোটি ডলার। এ সময়ে বৈদেশিক প্রতিশ্রুতি এসেছে ১৫৪ দশমিক ৩ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে উন্নয়ন অংশীদাররা মাত্র ৫২ দশমিক ২৬ কোটি ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৮ দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে ঋণ বিতরণও কমেছে, দুই দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার থেকে হয়েছে এক দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বাংলাদেশ এক দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার মূলধন এবং সুদ পরিশোধ করেছে। গত বছর যা ছিল এক দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। বিষয়টি উদ্বেগের জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘আগামী উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বৈদেশিক অর্থায়ন নিশ্চিত করা কঠিন হতে পারে। ঋণ প্রতিশ্রুতি ও বিতরণ কমে যাওয়া বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কারণে হতে পারে। এছাড়া, ঋণ পরিশোধের খরচ বৃদ্ধির ফলে সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ খাতে যেমন অবকাঠামো ও সামাজিক কর্মসূচিতে বিনিয়োগ সীমিত করতে হতে পারে।’ ইআরডির কর্মকর্তারা বলছেন, ‘জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়েছে। ফলে বিতরণ কমেছে। বৈদেশিক ঋণের তহবিলে নেওয়া অনেক প্রকল্প স্থগিত হয়ে গেছে। কারণ, বিদেশি পরামর্শক ও কর্মীরা অনুপস্থিত ছিলেন। সরকার বর্তমানে ঋণ প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করছে, যা নতুন ঋণ চুক্তির জন্য সাময়িক স্থগিত হয়েছে।’ পর্যালোচনা শেষ হলে সরকার ঋণ আবেদন প্রক্রিয়া শুরুর পরিকল্পনা করছে এবং তার লক্ষ্য পূরণের জন্য চেষ্টা করবে। বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি) উন্নয়ন অংশীদারেরা বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন করতে সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার বৈদেশিক অর্থায়নে নেওয়া প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো অগ্রাধিকার দিচ্ছে। একই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বিদেশি ঋণনির্ভর অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো। সংস্থাগুলোকে বৈদেশিক ঋণ বরাদ্দের জন্য অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইআরডি। চলতি অর্থ বছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে সর্বোচ্চ ঋণ বিতরণকারী অংশীদার এডিবি। সংস্থাটি ৩১৮ মিলিয়ন ডলার ঋণ বিতরণ করেছে। এর পরে রয়েছে জাপান, বিতরণ করেছে ৩০৮ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া, রাশিয়া ২৪৫ মিলিয়ন ডলার, বিশ্ব ব্যাংক ২০৫ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন ডলার ও ভারত ৬৩ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ডলার ঋণ বিতরণ করেছে। বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জহিদ হোসেন বলেন, ‘যদি দেশের রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি না পায় এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উন্নত না হয়, তবে ঋণ পরিশোধের বাড়তি চাপ একটি অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি করতে পারে।’ তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ ও বঙ্গবন্ধু টানেলের মত বড় প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।

আরও কমল স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে আরেক দফা স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে এক হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৩৮ হাজার ২৮৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।’ নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে এক লাখ ৩৮ হাজার ২৮৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৩২ হাজার ১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ১৩ হাজার ১৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ৮৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত পাঁচ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ছয় শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে, গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। এর আগে, সবশেষ গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে এক হাজার ২৪৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৩৯ হাজার ৩৩৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৩৩ হাজার পাঁচ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ১৪ হাজার চার টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে।প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার। স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৫৭৮ টাকায়। এছাড়া, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি দুই হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি দুই হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫৮৬ টাকায়।

ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাদ মুসা গ্রুপের কর্ণধার ও সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মহসিন এবং ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএফএম শরীফুল ইসলামসহ ২৯ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নামে বেনামে কোম্পানি খুলে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে পাঁচ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা হয়েছে।ইতোমধ্যে ৪৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ প্রমাণিত হয়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়ে বা অন্যদের লাভবান করে প্রতারণা, জাল- জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ঋণের অর্থ অন্য কাজে ব্যবহার করে, ঋণ অর্থ জ্ঞাতসারে অবহেলাপূর্বক সঠিকভাবে মনিটরিং না করে অ্যাকমোডেশন বিল বা কাগুজে বিলের মাধ্যমে ঋণের অর্থ ব্যয় দেখিয়ে, বিআরপিডি সার্কুলার অমান্য করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঋণ প্রস্তাব দ্রুততম সময়ে অনুমোদন করে ন্যাশনাল ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার গ্রাহক সাদ মুসা হোমটেক্স অ্যান্ড ক্লথিং লিমিটেডের মালিক মোহাম্মাদ মোহসিন কর্তৃক ৪৫৯ কোটি ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করায় তাদের ২৯ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৮- ৪৭১/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭’-এর ৫ (২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২’এর ৪ (২) ধারায় মামলা করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন মোহাম্মদ মোহসিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাদ মুসা হোমটেক্স এন্ড ক্লথিং লিমিটেড, ২৪৫ হাটহাজারী রোড, বিবিরহাট, চট্টগ্রাম কর্ণধার, সাদ মুসা গ্রুপ ও সাবেক পরিচালক, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড; নিজাম আহমেদ, এসইভিপি ও ম্যানেজার ন্যাশনাল ব্যাংক; ইসতিয়াক হাসান, এসভিপি ও ম্যানেজার ন্যাশনাল ব্যাংক; এএসএম হেলাল উদ্দিন, এসএভিপি ও অপারেশন ম্যানেজার, ন্যাশনাল ব্যাংক; মো. আবু বক্কর রাসেল, প্রিন্সিপাল অফিসার, ন্যাশনাল ব্যাংক; মোহাম্মদ মহসিন চৌধুরী, এসএভিপি ন্যাশনাল ব্যাংক; মো. আখতার হোসেন, এভিপি ও হিসাব ইনচাজ ন্যাশনাল ব্যাংক; মো. আলমগীর হোসেন, এভিপি ও আমদানি ইনচার্জ ন্যাশনাল ব্যাংক; মোহাম্মদ নুরুন্নবী, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার; হাছিনা সুলতানা, এসএভিপি, ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন-১ ন্যাশনাল ব্যাংক; শেখ ফরিদ আহমেদ, প্রিন্সিপাল অফিসার, ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন-১ ন্যাশনাল ব্যাংক; মোহাম্মদ আবু রাশেদ নোয়াব, ভিপি, ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন-১ ন্যাশনাল ব্যাংক; অরুণ কুমার হালদার, ইভিপি ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য ন্যাশনাল ব্যাংক; ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, এসইভিপি ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য ন্যাশনাল ব্যাংক; এএসএম বুলবুল, ডিএমডি ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য ন্যাশনাল ব্যাংক; মো. বদিউল আলম, সাবেক এএমডি ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য ন্যাশনাল ব্যাংক; চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, এএমডি, ক্রেডিট কমিটির সদস্য ন্যাশনাল ব্যাংক; এএফএম শরীফুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ন্যাশনাল ব্যাংক; জাকারিয়া তাহের, পরিচালক; মাবরুর হোসেন, পরিচালক; মো: আনোয়ার হোসেন, পরিচালক; খলিলুর রহমান, পরিচালক; মো. নাজমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তা, পরিচালক; মোয়াজোশ হোসেন, পরিচালক; মনোয়ারা শিকদার, পরিচালক; পারভীন হক শিকদার পরিচালক; রিক হক সিকদার (২৮) রণ হক শিকদার, পরিচালক এবং একেএম এনামুল হক শামীম পরিচালক ন্যাশনাল ব্যাংক।

ডিসেম্বরে রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া: ২৮ দিনে এল ২৪২ কোটি ডলার
চলতি মাসের প্রথম ২৮ দিনে দেশে এসেছে ২৪২ কোটি পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে আট কোটি ৬৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২৮ দিনে দেশে এসেছে ২৪২ কোটি পাঁচ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত নভেম্বর ও অক্টোবরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ২০৫ কোটি ২৪ লাখ ও ২১৬ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। অক্টোবর ও নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরের প্রথম চার সপ্তাহে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।’এর আগে ২০২০ সালের জুলাইতে এসেছিল বিগত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। সে মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। ডিসেম্বরের প্রথম চার সপ্তাহে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৮ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৬৩ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৯ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, ২২-২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৪১ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। ১৫-২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৬২ কোটি ৫৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ৮-১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৭৬ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ৬১ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।এর আগে, গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল। তবে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এছাড়া গত সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। আর সবশেষ নভেম্বরে এসেছে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

পাওয়ার সল্যুশনের সমৃদ্ধিতে নয়া সম্ভাবনা তৈরি করবে এনার্জিপ্যাক ও পারকিন্স
বাংলাদেশি গ্রাহকদের জন্য সর্বাধুনিক পাওয়ার সল্যুশনের নতুন সম্ভাবনা তৈরি ও জেনুইন স্পেয়ার পার্টস ব্যবহারের সুযোগ বাড়াতে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি ও পারকিন্স ডিজেল ইঞ্জিন ইউজার টিমের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবসায়ের সুযোগ বৃদ্ধি ও সহযোগিতার নানা খাত অনুসন্ধানের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটির তেজগাঁওয়ে অবস্থিত এনার্জি পয়েন্ট বিল্ডিংয়ে সম্প্রতি এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন রশীদ এবং চিফ বিজনেস অফিসার মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মাসুম পারভেজ। এতে টেকনিক্যাল স্লাইড উপস্থাপন করেন পারকিন্স কি অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার ফর সার্ভিস অ্যান্ড স্পেয়ার্স ইঞ্জিনিয়ার আসিফ আহমেদ। সভা থেকে পাওয়ার জেনারেশন সল্যুশনের উদ্ভাবনী উপায় ও কার্যকরভাবে কার্যক্রম পরিচালনার নানা বিষয় উঠে আসে। এ সময়, দুই পক্ষই জ্বালানি খাতে ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্বের নতুন দিক উন্মোচনের বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা করে। এই আয়োজনের মাধ্যমে গ্রাহকের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপন ও দেশজুড়ে সর্বাধুনিক এনার্জি সল্যুশন নিশ্চিত করতে এনার্জিপ্যাকের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির বিষয়টি উঠে আসে। বাংলাদেশে পারকিন্স জেনুইন স্পেয়ার্স অ্যান্ড সার্ভিসের একমাত্র পরিবেশক হিসেবে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন এর গ্রাহকদের জন্য কার্যকর সহযোগিতা এবং প্রিমিয়াম সেবা ও সমাধান নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

ব্যাংকখাতে ব্যর্থতার দায় কমবেশি সবার: ড. আহসান এইচ মুনসুর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেছেন, ব্যাংকখাতে ব্যর্থতার জন্য শুধু একক কোন গোষ্ঠী দায়ী নয়, এক্ষেত্রে সবারই কমবেশি দায় আছে।রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) গোল্ডেন জুবিলি উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তিনি এ কথা বলেন। ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেন, ব্যাংকখাতে অর্জন যেমন আছে, তেমনি ব্যর্থতাও আছে। এই ব্যর্থতার জন্য শুধু একক কোন গোষ্ঠী দায়ী নয়, এক্ষেত্রে সবারই কমবেশি দায় আছে। আমানতকারী এবং বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং খাত দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াবে। এ খাত বিকশিত হবে। সেক্ষেত্রে আমানতকারী এবং বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এর আগে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হচ্ছে। প্রথম দিকে বলেছিলাম ১০টি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে। কিন্তু সেগুলো এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকখাতের ধস নিয়ে অনেকেই চিন্তিত ছিলেন। সেখান থেকে ব্যাংকগুলো যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেটাই বড় বিষয়। এখন আর এগুলো পড়ে যাবে না। একটিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতি আগাতে পারবে না। রাষ্ট্রের অর্থনীতি পুনর্গঠন করতে হলে এই ব্যাংকখাত পুনর্গঠন করতে হবে জানিয়ে গভর্নর আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে কতগুলো সংকট ছিল। বৈশ্বিক বাণিজ্যে আমাদের বিশাল ঘাটতি ছিল। রিজার্ভের পতন হচ্ছিল। এই জায়গা থেকে আমরা অনেকটুকু বের হয়ে এসেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ আর কমছে না। গত আগস্ট মাসের পর ব্যাংক কোনো ডলার বিক্রি করেনি। কাজেই আমাদের রিজার্ভ কমবে না, বাড়বেই।