স্ত্রী-বোনসহ সাঈদ খোকনের বিও হিসাব অবরুদ্ধ

ঢাকা-৬ আসনের সাবেক সাংসদ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন, তার স্ত্রী ও ছোট বোনের পরিচালিত বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ রাখতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) নির্দেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্তদের নামে পরিচালিত ব‌্যাংক হিসাবগুলোতে অস্বাভাকি লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের পরিচালিত বিও হিসাবের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ বা অবরুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিএসইসিকে অনুসন্ধানের স্বার্থে বিও হিসাবের লেনদেন অবরুদ্ধকরণ বা স্থগিতকরণ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে দুদক। যাদের বিও হিসাব স্থগিত করা হয়েছে তারা হলেন সাঈদ খোকন, তার স্ত্রী ফারহানা সাঈদ ও তার বোন শাহানা হানিফ। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এতদ্বারা জানানো যাচ্ছে যে, উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন‌্য উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক আসাদ্দুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল ইসলামের সমন্বয়ে তিন সদস‌্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।’ ‘শাহানা হানিফ ও ফারহানা সাঈদের নামে পরিচালিত ব‌্যাংক হিসাবগুলোতে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে উল্লিখিত ব্যক্তির নামে সিডিবিএলের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানের সাথে সাঈদ খোকন, তার স্ত্রী ফারহানা সাঈদ ও তার বোন শাহানা হানিফের থাকা বিও হিসাবের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ বা অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন। এ অবস্থায়, অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে অর্থের স্থানান্তর রোধে উল্লিখিত ব‌্যক্তির নামে সব বিও হিসাবের লেনদেন অবরুদ্ধ করার প্রয়োজনীয় ব‌্যবস্থা গ্রহণে আপনাকে (বিএসইসি) বিশেষভাবে অনুরোধ করা হল।’ এ দিকে, সিডিবিএলকে দেওয়া বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘উপযুক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আদালত/বিএফআইইউ/সুদক/আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক প্রেরিত আদেশের চাহিদা অনুযায়ী সূত্রে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গের বিষয়ে প্রযোজ্য ক্ষেত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসিকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।’ বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই তিনজনের ব্যাংক হিসাব ও বিও হিসাবে সন্দেহজনক লেনদেন খতিয়ে দেখতে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালার সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া যেসব বিও হিসাব স্থগিত করা হয়েছে, সেগুলোর সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ফরম ও হিসাব খোলার তারিখ থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণীর তথ‌্য চাইতে পারে দুদক। সাঈদ খোকনের বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ারে বিনিয়োগ: গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন সাঈদ খোকন। নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ‌্যে ব্যবসায়ী উল্লেখ করে সাঈদ খোকন হলফনামায় লিখেন, ২০১৫ সালে ডিএসসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাঈদ খোকনের কাছে নগদ ছিল এক কোটি ১০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এবার তার নগদ রয়েছে দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা। ওই সময় তার স্ত্রীর হাতে ৩০ লাখ টাকা নগদ থাকলেও এখন রয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ টাকা। এছাড়া, সাঈদ খোকনের বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ারে বিনিয়োগ রয়েছে ৬৫ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর আগে গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাঈদ খোকন ও তার মা শাহানা হানিফ, স্ত্রী ফারহানা সাঈদ ও জাবেদ আহমেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

দেশে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের ওপরে: গভর্নর

দেশে এখন ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপর রিজার্ভ রয়েছে। এর মধ্যে গত পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে তিন বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, আগস্ট মাসের পর আর কোন ডলার বিক্রি হয়নি। ফলে রিজার্ভ কমছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলা অডিটোরিয়ামে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ৪০০তম শাখা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘প্রথম দিকে বলেছিলাম, দশটি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে। কিন্তু, সেগুলো এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংক খাতের ধস নিয়ে অনেকেই চিন্তিত ছিলেন। সেখান থেকে ব্যাংকগুলো যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেটাই বড় বিষয়। এখন আর এগুলো পড়ে যাবে না। একটিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতি আগাতে পারবে না। রাষ্ট্রের অর্থনীতি পুনর্গঠন করতে হলে এই ব্যাংক খাত পুনর্গঠন করতে হবে।’ গভর্নর বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে কতগুলো সংকট ছিল। বৈশ্বিক বাণিজ্যে আমাদের বিশাল ঘাটতি ছিল। রিজার্ভের পতন হচ্ছিল। এই জায়গা থেকে আমরা অনেকটুকু বের হয়ে এসেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ আর কমছে না। গত আগস্ট মাসের পর ব্যাংক কোন ডলার বিক্রি করেনি। কাজেই আমাদের রিজার্ভ কমবে না, বাড়বেই। রেমিট্যান্সের বিরাট প্রবাহ পরিবর্তন হয়েছে। গত পাঁচ মাসে আমাদের তিন বিলিয়ন অতিরিক্ত রেমিট্যান্স এসেছে।’ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, ইনডিপেন্ডেন্ট ডাইরেক্টর মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্ট মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।

এরিয়া৭১ ভেঞ্চারের ‘অপর্চুনিটি স্কেলআপ সামিট ২০২৪’ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশের প্রথম আমাজন এসপিএন পার্টনার এরিয়া৭১ ভেঞ্চার লিমিটেড গত দশ বছর ধরে আমাজন মার্কটপ্লেসে সফলতার সাথে বিসনেজ করে যাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হল দেশের মানুষকে আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়ার অনুপ্রেরণা দেওয়া। আর তাই বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের জন্য এরিয়া৭১ ভেঞ্চার করেছে ‘অপর্চুনিটি স্কেলআপ সামিট ২০২৪’। যা চট্টগ্রাম সিটির থিয়েটার ইনস্টিটিউটে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে।উদ্যোক্তা, ই-কমার্স পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীদের একত্রিত করতে এই সামিট গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। ইভেন্টটিতে ছিল বিশিষ্ট বক্তাদের সেশন, নেটওয়ার্কিং সুযোগ ও বিভিন্ন কার্যক্রম; যা অংশগ্রহণকারীদের ব্যবসায় বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এরিয়া৭১ ভেঞ্চারসের সিইও মো. আহসান হাবিব, সিওও মো. ইফতেখারুল ইসলাম, প্রোকিউরমেন্ট ও সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞ মাসরুর আনোয়ার চৌধুরী। মো. আহসান হাবিব বলেন, ‘অপর্চুনিটি স্কেলআপ সামিট ২০২৪’ উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করার পাশাপাশি তাদের ব্যবসায়ের পরবর্তী ধাপে উন্নীত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ ‘উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের জন্য এটি ছিল অনন্য সুযোগ; যা তাদের ব্যবসায়ের গতি বাড়াবে।’

এনসিসি ব্যাংকের কালীগঞ্জ শাখার উদ্বোধন

গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় এনসিসি ব্যাংকের ১২৯তম শাখা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজ শাখাটির কার্যক্রমউদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চাকলাদার। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্যাংকের কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, ব্যবসায়ী মো. মইনুল হাসান, সাবেক মেয়র লুতফুররহমান উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মো. নূরুন নেওয়াজ সেলিম বলেন, ‘গ্রাহকদের বর্ধিত চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে আধুনিক ব্যাংকিং ও উন্নততর গ্রাহক সেবা প্রদানের প্রত্যয়ে এনসিসি ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অর্থনৈতিক তথা সামগ্রিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে এনসিসি ব্যাংক ব্যবসায়-বাণিজ্যে সমৃদ্ধ এবং কৃষিখাতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য গাজীপুরের কালীগঞ্জে শাখা উদ্বোধন করেছে।’তিনি এলাকার সকলকে বিশেষ করে তাঁত, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, কৃষিজীবী, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের এই শাখা হতে সেবাহ গ্রহণের আহ্বান জানান। খায়রুল আলম চাকলাদার বলেন, ‘এনসিসি ব্যাংক শুধু মুনাফার জন্যই ব্যবসায় করে না বরং বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়-বাণিজ্য ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সেই কারণে সিএসআরের পাশাপাশি রিটেইল এবং এসএমই, ইসলামিক ব্যাংকিং, নারী ব্যাংকিং ও সাসটেইনেবল ব্যাংকিং কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার গ্রাহকদের তাদের চাহিদা মোতাবেক সেবা দিয়ে আসছে।’ এ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ কালীগঞ্জ শাখার মাধ্যমে উপকৃত হবেন বলে তিন আশা প্রকাশ করেন। এম শামসুল আরেফিন বলেন, ‘বিশ্বায়নের এই যুগে আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নততর গ্রাহক সেবা প্রদানে এনসিসি ব্যাংক অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। ভারী শিল্প, গার্মেন্টস, বিদ্যুৎ ও অবকাঠমো নির্মাণ থেকে শুরু করে অর্থনীতির প্রতিটি খাতে এনসিসি ব্যাংকের অবদান রয়েছে।’ এসএমই, কৃষি ও আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যসহ সব শ্রেণীর ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী এ শাখার মাধ্যমে সেবা নিতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ন্যাশনাল ব্যাংকের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সম্মেলন (চট্টগ্রাম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম সিটির আগ্রাবাদের বেস্ট ওয়েস্টার্ন হোটেলের ঝিনুক হলে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। সম্মেলনে পরিচালনা পর্ষদের পরিচালনা পর্ষদের অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার সরকার, স্বতন্ত্র পরিচালক মেলিতা মেহজাবিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল আলম খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আকতার উদ্দিন আহমেদ ও মো আব্দুল মতিন, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক এএসএইচ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৩৮টি শাখার ব্যবস্থাপক ও অপারেশন্স ম্যানেজার ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের নয়টি উপশাখার ব্যবস্থাপক অংশ নেন।সম্মেলনে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে ন্যাশনাল ব্যাংক একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছে। ব্যাংকটি গার্মেন্টস, কৃষি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে ধারাবাহিকভাবে অবদান রেখে চলেছে।’ শাখা ব্যবস্থাপকদের প্রতি তিনি খেলাপী ঋণ পুনরুদ্ধার, নতুন আমানত সংযোজন ও গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি, গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় ডিপোজিট পণ্য বাজারে আনার ক্ষেত্রে উদ্যম দেখানোর ওপর আবদুল আউয়াল মিন্টু জোর দেন। তার মতে, গ্রাহক আস্থা ও সন্তুষ্টি প্রতিষ্ঠানের টেকসই উন্নয়নের মূল ভিত্তি।মো. তৌহিদুল আলম খান চট্টগ্রাম অঞ্চলের বড় বড় ঋণ খেলাপীদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ের জন্য আইনগত ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানান।

দুর্বল ব্যাংককে সবল করতে গিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

দুর্বল ব্যাংককে সবল করতে গিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টিতে ঋণ সহায়তা দিয়েও তাদের তারল্য সংকট মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। এখন ব্যাংকগুলো আরও তারল্য সহায়তা চাচ্ছে। দুর্বল ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য কমে যাচ্ছে। আমানত সংগ্রহ বাড়ানো যাচ্ছে না। চড়া দামে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করে এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। এদিকে আছে আইএমএফের চাপ। তারা খেলাপি ঋণ কমাতে, খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা আরও কঠোর করতে চাপ দিচ্ছে। প্রচলিত সংজ্ঞায় খেলাপি ঋণ বেড়ে ২ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। আগামী এপ্রিল থেকে খেলাপি ঋণের আন্তর্জাতিক মানের সংজ্ঞা কার্যকর হবে। তখন জুন প্রান্তিকে গিয়ে খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে যাবে। এরমধ্যে গত সরকারের আমলে লুটপাট হওয়া ব্যাংকগুলোতেই খেলাপি ঋণ বেশি বাড়ছে। কারণ, লুটপাট হওয়া টাকা আদায় হচ্ছে না। ওইগুলোর বড় অংশ বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ওইসব ঋণ এখন মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর খেলাপি করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলোর প্রায় সব সূচকে অবনতি ঘটেছে। আমানত কমেছে, তারল্য কমেছে আগের চেয়ে বেশি। গত তিন মাসে ব্যাংকগুলোর তারল্য কমেছে ৯৮ শতাংশ। এ অবস্থার জন্য ব্যাংকগুলোতে সুশাসনের অভাব ও অনিয়মকে দায়ী করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিবেদন বলা হয়, দুর্বল ব্যাংকগুলো বর্তমানে যে তারল্য সংকট মোকাবিলা করছে তার অন্যতম কারণ হচ্ছে, ব্যাংকগুলোতে ঘটে যাওয়া কিছু অনিয়ম ও সুশাসনের অভাব। সুতরাং দুর্বল ব্যাংকগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। এটি করা হলে ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বাড়বে। তখন বিদ্যমান সংকট মোকাবিলা করাও সহজ হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে ব্যাংকগুলোকে মনোযোগী হতে পরামর্শ দিয়েছে। প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত জুনে দুর্বল ব্যাংকগুলোর আমানতের স্থিতি ছিল ৪৪ হাজার ৩১ কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা। তিন মাসের ব্যবধানে আমানত কমেছে ৮ হাজার ৪২ কোটি টাকা বা প্রায় ২ শতাংশ। বিনিয়োগের স্থিতি বেড়েছে মাত্র দশমিক ৪২ শতাংশ। আগে আরও বেশি হারে বাড়ত। বিনিয়োগ কমায় আমানত ও বিনিয়োগের অনুপাত কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত জুনে অতিরিক্ত তারল্য ছিল ১০ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৬১ কোটি টাকা। তিন মাসে অতিরিক্ত তারল্য কমেছে ১০ হাজার ২২৯ কোটি টাকা বা সাড়ে ৯৮ শতাংশ। তবে রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স ও আমদানি বেড়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো বৈদেশিক বাণিজ্যে ভালো করছে। বাড়তি দামে ডলার কেনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর তদারকির আওতায় পড়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি সবল ব্যাংকও রয়েছে। এদিকে আর্থিক দুর্বলতার কারণে শরিয়াহভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংকগুলো প্রচলিত ব্যাংকগুলোর তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে। এসব ব্যাংকের বেশির ভাগই দুর্বল ব্যাংকের আওতায় পড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছয়টি অতি দুর্বল ব্যাংককে ছাপানো টাকায় সহায়তা দিয়েছে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা। এসব ব্যাংক চড়া সুদে আমানত সংগ্রহ করছে, তারপরেও সংকট মেটাতে পারছে না।এখন ব্যাংকগুলো ঋণ আদায়ে বেশি জোর দিয়েছে। ঋণ আদায় ছাড়া বিদ্যমান সংকট থেকে বের হওয়ার বিকল্প কোনো পথ পাওয়া যাচ্ছে না। ঋণ আদায় করে পরিস্থিতির উন্নয়নও কঠিন। কারণ, ব্যাংকগুলো কিছু ঋণ আদায় করতে পেরেছে, বিশেষ করে যেসব টাকা ও উদ্যোক্তা দেশে রয়েছেন। যেসব টাকা পাচার হয়েছে বা উদ্যোক্তা পালিয়ে গেছেন ওইসব টাকা আদায় কঠিন ও সময় সাপেক্ষ। এ ছাড়া আইন সংশোধন করে খেলাপিদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা এবং পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এতদিন দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টিকিয়ে রাখা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য বড় চ্যালেঞ্জিং। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন আইন করতে যাচ্ছে, ব্যাংক ভালোভাবে না চালালে বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধানের আওতায় সূচকের উন্নতি না হলে সেগুলোকে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করে দেবে। এদিকে ব্যাংক একীভূত করার বিষয়ের ক্ষেত্রেও ভালো অভিজ্ঞতা নেই। কারণ, এর আগের সরকারের সময়ে নির্দিষ্ট কয়েকটি ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা দেওয়ার ফলে গ্রাহকদের আমানত তুলে নেওয়ার হিড়িক পড়ে যায়।এতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো আরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে। আগামী বছরের শুরু থেকে দুর্বল ব্যাংকগুলোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক চালু করতে যাচ্ছে ‘প্রমোট কারেক্ট্র অ্যাকশন প্ল্যান’। ২০০৩ সালের শেষ দিকে এ বিষয়ে নীতিমালা জারি করা হয়েছে। এর আওতায় যেসব ব্যাংক নির্ধারিত সূচকে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে না তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। এর মধ্যে ঋণ বিতরণ বন্ধ করা, আমানত সংগ্রহ কমিয়ে দেওয়া উল্লে­খযোগ্য। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জনসমাগমের মধ্য দিয়ে শেষ হলো পাঁচ দিনের রিহ্যাব ফেয়ার

বিপুল জনসমাগমের মধ্য দিয়ে শেষ হলো রিহ্যাব ফেয়ার ২০২৪।সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া পাঁচ দিন ব্যাপী মেলা শেষ হয় শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর)। এবছর প্রথম গবেষণার জন্য রিহ্যাব ফেয়ারে রিয়েল এস্টেট এর তথ্য সংগ্রহের জন্য রিয়েল এস্টেট রিসার্চ স্ট্যান্ডিং কমিটির পক্ষ থেকে একটি বুথ স্থাপন করা হয়। মেলায় অংশ নেয়া প্রায় ১ হাজার ক্রেতা রিসার্চ ফরম পুরণের মাধ্যমে আবাসন খাতের উপর তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। রিয়েল এস্টেট রিসার্চ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ড. মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন,মেলায় আগত ক্রেতা দর্শনার্থীরা যেভাবে মতামত দিয়েছেন তার উপর ভিত্তি করে রিয়েল এস্টেট সেক্টরের ভবিষ্যৎ অগ্রগতি নিরাপন করা সহজ হবে।এবারের রিহ্যাব ফেয়ারে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ৪০৩ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার ফ্ল্যাট, প্লট এবং বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি এবং বুকিং হয়েছে। এর মধ্যে ফ্ল্যাট বিক্রি এবং বুকিং হয়েছে ২৩০ কোটি টাকা। প্লট-৯৬ কোটি এবং বাণিজ্যিক স্পেস ৭৭ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার বুকিং এবং বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংক কমিটমেন্ট এসেছে প্রায় এক হাজার নব্বই কোটি টাকা। মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছে ১৭ হাজার ৭২৯জন।রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ মনে করেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে মেলার আয়োজন করা হয় সেটা সফল হয়েছে। এই কয়েক দিনে ঢাকাবাসীর ব্যাপক সাড়া আবাসন খাতকে উৎসাহিত করেছে। মেলায় বিক্রির চেয়ে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান আসে ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য। তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো মেলায় আসা ক্রেতাদের কাছে তাদের পণ্যের মান সম্পর্কে তুলে ধরেছেন। তারা ক্রেতা-দর্শনার্থীদের নার্সিং করবেন আর ক্রেতারা যে প্রডাক্ট দেখে গেলেন তা যাচাই বাছাই করবেন এবং পরবর্তীতে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিবেন। এক সঙ্গে অনেকগুলো ক্রেতা পাওয়া একমাত্র রিহ্যাব ফেয়ারেই সম্ভব।

শীর্ষ খেলাপিদের তথ্য প্রকাশ করলো অগ্রণী ব্যাংক

শীর্ষ খেলাপিদের তথ্য প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক। ব্যাংকটি খেলাপি ঋণ কমাতে আদায় জোরদার করেছে। ব্যাংকটির মোট খেলাপি ঋণ ২৬ হাজার ৮৯১ কোটি টাকার মধ্যে আট হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা বা ৩৩ শতাংশ আটকে আছে শীর্ষ ১৮ খেলাপি গ্রাহকের কাছে। আবার এসব খেলাপির কাছ থেকে অর্থ আদায়ের হারও নগণ্য। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাস (জানুয়ারি-জুন) শীর্ষ এসব ঋণ খেলাপির কাছ থেকে মাত্র ২৮ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব হয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকের রিকভারি অ্যান্ড এনপিএ ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঋণের নামে এসব অর্থ বের করে নেয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত জামানত না থাকায় এসব খেলাপির কাছ থেকে অর্থ আদায়ও করা যাচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর মামলা চললেও বাস্তব অগ্রগতি তেমন নেই। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অগ্রণী ব্যাংকে জাকিয়া গ্রুপরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ২১০ কোটি টাকা। জজ ভূঞা গ্রুপটির ৬টি ঋণ হিসাবে ১ হাজার ৮৯ কোটি টাকার খেলাপি রয়েছে। এছাড়া ব্যাংকটিতে তানাকা গ্রুপের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯২৬ কোটি টাকা, সাত্তার গ্রুপের খেলাপি ৫৫০ কোটি টাকা এবং মুন গ্রুপের খেলাপি ঋণ ৫২৪ কোটি টাকা। শীর্ষ এই পাঁচ গ্রুপের কাছেই অগ্রণীর ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া অগ্রণী ব্যাংকে সোনালী গ্রুপের খেলাপি ঋণ ৫২২ কোটি টাকা। অ্যারোস্টোকেট গ্রুপের খেলাপি ৪৬২ কোটি টাকা, ঢাকা হাইড অ্যান্ড স্কিনের ৪৫৭ কোটি টাকা, প্যাসিফিক গ্রুপের ৪৪৩ কোটি টাকা এবং সাদ মূসা ফেব্রিক্সের ৪১০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ। প্রতিবেদনের তথ্যে আরও দেখা যায়, ব্যাংকটিতে সাহাবা ইয়ার্নের খেলাপি ৩৭৪ কোটি টাকা, নাভানা ফার্নিচারের ২৭২ কোটি টাকা, অ্যাডভান্স কম্পোজিট মিলসের ৩১৮ কোটি টাকা, প্রাইম কম্পোজিট মিলসের ৩১২ কোটি টাকা, লিউ ফ্যাশনের ২২৯ কোটি টাকা, আর্থ অ্যাগ্রো ফার্মসের ২২৩ কোটি টাকা, জুলিয়া সোয়েটার কম্পোজিট এবং আর সোয়েটার কম্পোজিটের ২১৯ কোটি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ২৬ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাস (জানুয়ারি-জুন) শীর্ষ ২০ খেলাপির কাছ থেকে মাত্র ২৮ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব হয়েছে টাকা। তথ্য বলছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর অগ্রণী ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের স্থিতি ছিল ৬৯ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ২৬ হাজার ৮৯১ কোটি ৭১ লাখ টাকা; যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৩৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। অপরদিকে সেপ্টেম্বর শেষে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। আলোচিত সময়ে ব্যাংকটির প্রভিশন সংরক্ষণের প্রয়োজন ছিল ১৩ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা। কিন্তু এর বিপরীতে প্রভিশন রেখেছে ৬ হাজার ৫৪ কোটি টাকা। এতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৭ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। বিগত সরকারের সময়ে দেশের ব্যাংক খাতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। নানা ছাড় ও সুবিধা অব্যাহত রাখার পরও ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমানো যায়নি। উলটো ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ আরও বেড়েছে। খেলাপি ঋণ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত সরকারের আমলে স্বার্থান্বেষী মহলগুলো কারসাজি করে ব্যাংক খাতের অনেক তথ্য লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে সরকারের পতনের পর থেকে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। এ খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের মধ্যে খেলাপির হার ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর আগের প্রান্তিক জুন শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ছিলো ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। এর মানে অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) খেলাপির পরিমাণ বেড়েছে ৭৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এনেছে সরকার। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলছেন, বাহ্যিক দৃষ্টিতে গত দেড় দশকে অগ্রণী ব্যাংক অনেক বড় হয়েছে। ব্যালান্স শিটে সম্পদের আকার লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে ব্যাংকটির ভেতরে ‘ফোকলা’ করে ফেলা হয়েছে। অল্প কিছু প্রভাবশালী গ্রাহকের কাছে পুরো ব্যাংকটি কেন্দ্রীভূত। এ কারণে ব্যাংকের খেলাপি ঋণসহ সব সূচকেরই বিপর্যয়কর চিত্র ফুটে উঠতে শুরু করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদকে অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০০৪ থেকে ২০১০ সালের মার্চ পর্যন্ত তিনি ব্যাংকটির এমডির দায়িত্বে ছিলেন।

রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৪ পর্দা নামছে শুক্রবার

রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৪’-এর পর্দা নামছে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর)। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ের বিআইসিসিতে পাঁচ দিনব্যাপী এবারের মেলা শুরু হয়। মেলায় চার দিন ব্যাপক ক্রেতা ও দর্শনার্থীর সমাগম হয়। কাল শুক্রবার মেলা শেষ হবে রাত নয়টায়। মেলার মাধ্যমে আবাসন খাতের অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। মেলায় অংশ নিয়েছে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট-২ ও মেলা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আক্তার বিশ্বাসের প্রতিষ্ঠান আক্তার প্রপাটির্জ লিমিটেড। তিনি বলেন, ‘মেলায় পজিটিভ সাড়া পাচ্ছি। মেট্রোরেল থাকায় উত্তরার দিকে ফ্ল্যাটের চাহিদা অনেক বেশি। আবার দামের কারণে মিরপুরের দিকে ফ্ল্যাট খুঁছেন কেউ কেউ।’ ড্যাপ সংশোধন হলে মেলার মাধ্যমে আবাসন খাত ঘুরে দাঁড়াবে এমন প্রত্যাশা তার। রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট-৩ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল লতিফের প্রতিষ্ঠান ব্যাসিক বিল্ডার্স লিমিটেড। ছোট থেকে মাঝারি সব ধরনের প্রকল্প নিয়ে মেলায় হাজির হয়েছেন তিনি। রিহ্যাবের এ নেতা জানান, স্বল্প এবং মধ্য ও উচ্চবিত্ত সবার জন্য ফ্ল্যাট রয়েছে তাদের বিভিন্ন প্রকল্পে। মেলায় অংশ নিয়েছে রিয়েল এস্টেট খাতের প্রতিষ্ঠান হক হোম এ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রিহ্যাবের পরিচালক ইমদাদুল হক বলেন, ‘বিগত সময়ের তুলনায় ভাল সাড়া পেয়েছি। আশা করছি, কাল আরো ভাল সাড়া পাব। কারণ, কাল শেষ ও ছুটির দিন। বিশেষ করে আমাদের হক রেডিমিক্স এই মেলায় ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। সব কিছু মিলে আমি বলব, এই মেলা সফল এবং আমাদের সংকট কাটাতে সহায়তা করবে।’ এমএইচএম প্রপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন মিন্টু বলেন, ‘কাল শুক্রবার ও মেলার শেষ দিন অনেক ক্রেতা দর্শনার্থী আসবে এবং তারা তাদের কাংখিত ফ্ল্যাটটি খুঁজে নিতে পারবে। আমরাও মেলা উপলক্ষে আমাদের প্রকল্পের বিভিন্ন ফ্ল্যাট বিশাল ডিস্কাউন্টে তাদের কাছে বিক্রি করতে পারব বলে আশাবাদী।’ মেলায় শুধু রিয়েল এসেট প্রতিষ্ঠানই অংশগ্রহণ করেনি, ফ্ল্যাট বেচাকেনার জন্য অংশগ্রহণ করেছে রিয়েলটস নামে একটি প্রতিষ্ঠান। নতুন পুরাতন সব ধরনের ফ্ল্যাট, ল্যান্ড ও বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি করছে তারা। ১২০ নম্বর স্টলে অংশ নিয়েছে এ্যামবিট বিল্ডার্স লিমিটেড। কোম্পানির ডিএমডি ও রিহ্যাবের পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘মেলায় তারা ভাল লিড পেয়েছেন।’ মেলা কমিটির কো চেয়ারম্যান ও রিহ্যাবের পরিচালক মিরাজ মোক্তাদির মেলায় বেশ কিছু প্রকল্প নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি জানান, হেরিটেজ লিমিটেডের মাধ্যমে তিনি চেষ্টা করছেন নাগরিকদের মৌলিক অধিকার পূরণ করতে।

ফারইস্ট লুট: মামলার এক বছরেও হেমায়েতের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়নি দুদক

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে ৩৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় কোম্পানির সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ হেমায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগপত্র দেয়া হয়নি। গত বছরের ৯ মে দুদকের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক আবু সাঈদ। মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘২০১৩ সালের ১১ আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে তিনটি ব্যাংকে ১৫টি হিসাব খোলেন হেমায়েত উল্লাহ। ওই হিসাবগুলোতে নিজেকে নমিনি দেখিয়ে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের নামে থাকা তিনটি ব্যাংক হিসাব থেকে ৩৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে ওই ১৫টি হিসাবে জমা করেন। পরবর্তী বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে নগদে তুলে সেই টাকা হেমায়েত উল্লাহ আত্মসাৎ করেন।’ এই কাজের মাধ্যমে তিনি দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭ ও ৪৬৮ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে জানিয়েছে দুদক। মামলার তদন্তে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা বা যোগসাজশ পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় নেয়া হবে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে মামলাটির দায়িত্বে রয়েছেন দুদকের উপপরিচালক রেভা হালদার। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘হেমায়েত উল্লাহ বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা হয়েছে। এখন একেকজনের কাছে একেকটি মামলা, আমার কাছে একটি আছে। সবগুলো নিয়ে আসলে আমি বলতে পারব না। আমার কাছে যে এজাহারটি আছে, সেটা কেবল আমি হাতে পেয়েছি।’ অভিযোগপত্র দেয়া নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।’ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এক চিঠিতে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে হেমায়েত উল্লাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ‘কোম্পানি পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, আর্থিক অনিয়ম, বিমা পলিসি গ্রাহক ও বিমাকারীর স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর কর্মকাণ্ডের তথ্য আইডিআরএর নজরে এসেছে। বিমা গ্রাহকদের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সব অনিয়মের তথ্য-প্রমাণ আইডিআরএর কাছে আছে।’ হেমায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা নিজ ভোগ দখলে রেখে এবং মিথ্যা তথ্যসংবলিত সম্পদ বিবরণী দাখিলের অভিযোগে দুদক মামলা করেছে। তার বিদেশ গমনেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফারইস্ট লাইফ সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানিটির অপসারিত চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের দুর্নীতির অন্যতম সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হয় হেমায়েত উল্লাহকে। নজরুল ইসলাম স্বল্প সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আর দেশে ফিরছেন না।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের বঙ্গবাজার উপশাখা উদ্বোধন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ঢাকার রমনা কর্পোরেট শাখার অধীন বঙ্গবাজার উপশাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বঙ্গবাজারে ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ প্রধান অতিথি হিসেবে এ উপশাখার উদ্বোধন করেন। ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রমনা কর্পোরেট শাখাপ্রধান মুহাম্মদ মহী উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মজনুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. হাসানুজ্জামান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বঙ্গবাজার উপশাখা ইনচার্জ মো. জহির উদ্দিন। গ্রাহক ও অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন সমাজসেবক মো. নুরুন্নবী, রহমান গার্মেন্টসের প্রোপাইটর মোহাম্মদ জাবেদ ইকবাল ও জনি কালেকশনের প্রোপাইটর মোহাম্মদ আবদুল করিম। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

শিল্প খাতের লোকজন ট্যাক্স পরিশোধ করেন না: অভিযোগ বাণিজ্য উপদেষ্টার

গণঅভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, ‘গত ৫ আগস্টের আন্দোলন হল, প্রায় দুই হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, ৫০ হাজার মানুষ অসুস্থ হয়ে কাতরাচ্ছেন। তবু আমরা আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছি। এখনও অনেক লোক আসছেন ফটোসেশন করতে। তারা কেন ছবি তুলছেন, আমি বুঝি না। তারা হয়তো বোঝানোর চেষ্টা করছেন, আমার (তাদের) সঙ্গে উপদেষ্টার সম্পর্ক আছে। আমি মনে করি, এটার কোন মূল্য নেই।’ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসনে ‘বাংলাদেশের বিকশিত অর্থনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে অভিগমন’ শীর্ষক দিনব্যাপী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) চট্টগ্রাম শাখা এ সম্মেলনের আয়োজন করে। ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের উদ্দেশে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, ‘একটি রেজুলেশন নেন, সকলে একত্রিত হয়ে ৫০ শতাংশ ভ্যাট ও ট্যাক্স বাড়িয়ে দেন। দেখবেন দেশটি ভাল হয়ে যাবে।’ শেখ বশির উদ্দিন আরও বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় দেশে অপরিকল্পিত বিনিয়োগ হয়েছে। এ জন্য শিল্প খাতকে বাঁচাতে কৃষিতে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। আমাদের শিল্প খাত উচ্চ শুল্ককরের দ্বারা পরিচালিত। শিল্প খাতের লোকজন ট্যাক্স (কর) পরিশোধ করেন না কিন্তু ভ্যাট দেন। আমাদের মত দরিদ্র অর্থনীতির দেশে ভ্যাট ও ট্যাক্সের মধ্যে একটা সংযোগ দরকার।’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে রাজনীতিবিদ, আমলা, বিচারক, বিভিন্ন বাহিনীসহ সবাই মিলে একটি দুর্নীতির জোট তৈরি করেছিল। শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতি যে পরিমাণ হত্যা মামলার আসামিকে ক্ষমা করেছেন তা ইতিহাসে নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘অবৈধ আর্থিক বহিঃপ্রবাহ, অলিগার্কের উত্থান, গুটিকয়েক লোকের হাতে সম্পদের কেন্দ্রীকরণ, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের ধ্বংস এবং ব্যাপক দুর্নীতি দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে। এ কারণে ছাত্র-নাগরিক বিদ্রোহের মাধ্যমে গঠিত নতুন সরকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জুলাই-আগষ্টের শহীদদের মর্যাদা দিতে দেশের সব শিল্পখাতে সেক্টর ধরে সংস্কার করা হবে।’ শ্বেতপত্রে এসেছে দেশ থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা চুরি হয়েছে উল্লেখ করে শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘এত এত টাকা চুরির জন্য কি ১০০ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ৩০০ প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) দায়ী নন? এমন প্রশ্ন তোলার এখনই সময়। এ দেশটা আমাদের সন্তানদের জন্য গড়তে হবে। কিন্তু, দেশের মধ্যে একটা সময় নানা কিছু ঘটল। ওই যে বয়ানটা ছিল, সেটা আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। আমরা অনেকেই নিশ্চুপও ছিলাম। কিন্তু কিছু বাচ্চা ছেলে এর প্রতিবাদ করল। পরে জনতাও যোগ দিলেন, পরিবর্তন এল। এখন আমরা যদি আবার গতানুগতিকভাবে একই জিনিসের চর্চা করি, দক্ষতার মূল্যায়ন না করি, তবে এটি গ্রহণযোগ্য হবে না।’ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘দুই হাজার কোটি সম্পদ মূল্যের কারখানাকে সরকার কি করে ২৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিল? দেশে প্রাইভেট সেক্টরে প্রায় ২৫০ রকমের দুর্নীতি হয়। তাই, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে রাজনৈতিক সংস্কারের চেয়ে অর্থনৈতিক সংস্কারই প্রধান চ্যালেঞ্জ।’ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান সম্মেলনের মূল প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, বিএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবর আলী, আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন।

রূপালী ব্যাংকের নতুন এমডি কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম

রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) তিনি এ পদে যোগদান করেন। চলতি মাসের ১২ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৩ বছরের জন্য কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলামকে রূপালী ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। রূপালী ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সোনালী ব্যাংকে ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম রূপালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ সালে ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির (বিআরসি) মাধ্যমে সিনিয়র অফিসার হিসেবে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করে তিনি ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২৬ বছরের চাকরি জীবনে তিনি ব্যাংকের বিভিন্ন এডি, নন-এডি ও কর্পোরেট শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রধান কার্যালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য ঋণ ও আন্তর্জাতিক বিভাগ, ট্রেজারি, নিরীক্ষা ও পরিদর্শনসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধান হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনষ্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে স্নাতক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়া তিনি এমবিএ ডিগ্রীও অর্জন করেন। কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম এক কন্যা সন্তানের জনক। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার মাসুমাবাদ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

ভারত থেকে আসছে ২৪ হাজার টন চাল

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে চালের প্রথম চালান দেশে আসছে ভারত থেকে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এ চাল নিয়ে বন্দরে ভিড়বে ভারতের জাহাজ। এ চালানে থাকবে ২৪ হাজার ৬৯০ টন সেদ্ধ চাল। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইমদাদ ইসলাম বলেন, উন্মুক্ত দরপত্রের চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ২৪ হাজার ৬৯০ টন সেদ্ধ চাল আমদানি করা হচ্ছে। চালের এই চালান নিয়ে এমভি তানাইস ড্রিম জাহাজটি বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা সংগ্রহ করে ভৌত পরীক্ষা শেষে দ্রুত চাল খালাসের কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর ৩৮১ নম্বর চুক্তির আওতায় ভারত থেকে আমদানি সেদ্ধ চালের এটিই প্রথম চালান বলে জানান তিনি।

এনসিসি ব্যাংক ও ভিসার মধ্যে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশীপ ঘোষণা

এনসিসি ব্যাংক সম্প্রতি ডিজিটাল পেমেন্টে বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় গ্লোবাল ব্র্যান্ড ভিসার সাথে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশীপ চুক্তি করেছে। এর ফলে এনসিসি ব্যাংকের গ্রাহকরা ভিসা কার্ডের মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্টের সেবাগুলো খুব সহজেই নিরাপদে ও সুবিধাজনক সময়ে ব্যবহার করতে পারবেন। এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিন ও ভিসার কান্ট্রি ম্যানেজার (বাংলাদেশ, নেপাল ওভুটান) সাব্বির আহমেদ চুক্তিতে সই করেন। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম, মো. জাকির আনাম ও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ইভিপি ও ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্টের প্রধান মোহাম্ম্দ মহিবুল্লাহ খান, এসভিপি ও হেড অব এসএমই শরীফ মোহাম্মদ মহসীন, এসভিপি ও হেড অব উইমেনস ব্যাংকিং নিগাত মমতাজ, এসভিপি ও হেড অব রিটেইল এন্ড ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস বিজনেস জোবায়ের মাহমুদ ফাহিম, এসভিপি ও আইটি এন্টারপ্রাইজ অ্যাপ্লিকেশনের প্রধান মো. সাজ্জাদুল ইসলাম, এসভিপি ও হেড অব অপারেশন্স সৈয়দ তৌহিদ হোসেন, ট্রানজেকশন ব্যাংকিং ও ক্যাশ ম্যানেজমেন্টবিভাগের প্রধান শাহীন আক্তার নুহা, ভিসার পরিচালক (মার্চেন্ট সেলস্ এন্ড অ্যাকুয়ারিং, সাউথ এশিয়া) আরিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এই চুক্তির আওতায় ভিসা এনসিসি ব্যাংকের মাধ্যমে যৌথভাবে বিভিন্ন উদ্ভাবনী পণ্য সেবা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, প্রচারণামূলক কার্যক্রম এবং ভিসা কার্ডহোল্ডারদের আকর্ষণীয় ডিজিটাল সেবা দেবে। এই অংশীদারিত্বের ফলে এনসিসি ব্যাংকের গ্রাহকবৃন্দ উন্নত প্রযুক্তির আর্থিক সেবা পাবেন এবং নিরাপদ আর্ন্তজাতিক লেনদেনের মাধ্যমে তাঁরা বৈশ্বিক আর্থনৈতিক কাঠামোয় সংযুক্ত হতে পারবেন।এম. শামসুল আরেফিন বলেন, ‘ভিসার সাথে এনসিসি ব্যাংকের এই অংশীদারিত্ব আমাদের গ্রাহকদের জন্য বিশ্বমানের ব্যাংকিং সেবা প্রদানে সহায়তা করবে; যা তাদেরকে অনায়াসে ও নিরাপদে বিশ্বব্যাপী আর্থিক লেনদেনের নিশ্চয়তা দেবে।’ সাব্বির আহমেদ দেশব্যাপী এনসিসি ব্যাংকের ভিসা কার্ডহোল্ডারদের বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সেবা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘ভিসা বাংলাদেশে ডিজিটাল কাঠামো তৈরীতে কাজ করছে এবং অংশীদারদের সাথে তাঁদের সর্বোত্তম গ্রাহকসেবা প্রদানে সচেষ্ট রয়েছে।’

ছুটির দিনে জমজমাট হয়ে উঠেছে রিহ্যাব ফেয়ার

ছুটির দিনে জমজমাট হয়ে উঠেছে রিহ্যাব ফেয়ার ২০২৪। মেলার তৃতীয় দিন সরকারি ছুটি থাকায় বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরের পর থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা ঢুকতে থাকেন। মেলায় দেখে শুনে কেউ পছন্দের ফ্ল্যাট-প্লট বুকিং দিচ্ছেন,কেউ খোঁজখবর নিয়ে রাখছেন যেন আগামীতে ফ্ল্যাট বা প্লট কেনা যায়। বরাবরের মত ক্রেতা টানতে প্রতিষ্ঠানগুলোও প্লট-ফ্ল্যাট বুকিং দিলেই আকর্ষণীয় অফার দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ভ্রমণ, গিফট কিংবা আর্থিক ছাড়। ফ্ল্যাট বুকিং দিলে দামে ছাড় দিচ্ছে কোন কোন প্রতিষ্ঠান। এবারের মেলায় মোট ২২০টি স্টল রয়েছে। মেলা চলবে আগামী শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত। সকাল দশটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত মেলার প্রাঙ্গণ খোলা থাকবে। মেলায় প্রবেশে সিঙ্গেল টিকিট ৫০ আর মাল্টিপল টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা। মেলায় ফ্ল্যাট বুকিং দিলেই পাঁচ লক্ষ টাকা ছাড় দিচ্ছে আরমা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা তুলনামূলকভাবে কম লাভে ফ্ল্যাট বিক্রি করি।’ মেলা উপলক্ষে প্রতি ফ্ল্যাটে পাঁচ লক্ষ টাকা ছাড়ের কথা বলেন তিনি। ক্রিডেন্স হাউজিং লিমিটেডের টিম লিডার নাজমুল হুদা নাহিদ বলেন, ‘আমরা ক্রেতাদের জন্য বেশ কিছু নতুন প্রজেক্ট নিয়ে এসেছি। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি ও লালমাটিয়াসহ ৫২টি প্রকল্পে বিক্রয়যোগ্য ফ্ল্যাট রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু সেমি কন্ডোমোনিয়াম ও সব নাগরিক সুবিধাসহ প্রকল্প রয়েছে। মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্তের জন্য ফ্ল্যাট প্রস্তত করে ক্রিন্ডেন্স হাউজিং।’ মেলায় দেশের সবচেয়ে বড় ভবন নিয়ে এসেছে ট্রপিক্যাল হোম্ লিমিটেড। ঢাকার মালিবাগে ৪৬ কাঠা জমির উপর ৫১ তলা ভবন তৈরি করছে এই প্রতিষ্ঠানটি। ভবনের ছয় তলা হবে বেজমেন্ট ও পুরোটাই কার পার্কিং। সম্পন্ন ভবন হবে বানিজ্যিক। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, উত্তরা, টঙ্গী, বনশ্রী, মতিঝিল, ফকিরাপুল, আফতাবনগর, মাটিকাটা, বসুন্ধরা ও মিরপুরসহ ঢাকার বিভিন্ন লোকেশেন আবাসিক প্রকল্প করছে ট্রপিক্যাল হোমস্। প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার রাকিব হোসেন বলেন, ‘মেলায় দারুন সাড়া পাচ্ছি আমরা।’ মেলায় ছাড় দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।মেলায় অংশ নিয়েছে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামানের প্রতিষ্ঠান জাপান গার্ডেন সিটি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং ম্যানেজার মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘মেলায় পজিটিভ সাড়া পাচ্ছি।’ আজ ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতা সমাগম বেশ ভাল বলে জানান তিনি। মেলায় ছোট ও মাঝারি ফ্ল্যাটের ১১টি চলমান প্রকল্প নিয়ে এসেছে এমএইচএম প্রপার্টিজ লিমিটেড। মিরপুর, কল্যানপুর, আফতাবনগর ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বিভিন্ন সাইজ ও ধরনের ফ্ল্যাট রয়েছে তাদের। মেলা উপলক্ষে দশ শতাংশ ছাড় ও স্পট বুকিংয়ে এসিসহ বিভিন্ন ধরনের গিফট দিচ্ছে তারা। তৃতীয় দিন মেলা পরিদর্শন করেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

রেমিট্যান্স ডলারের দাম বেঁধে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

গত দুই বছর ধরে দেশের ডলারের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত চার মাসে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হয়। কিন্তু গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই ডলারের দাম বাড়তে শুরু করে এবং তা ১২৮ টাকায় পৌঁছায়। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন ১২৩ টাকার বেশি দামে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় না কেনে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের মতে, ব্যাংকগুলোকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে যে, রেমিট্যান্স কেনার ক্ষেত্রে ১২৩ টাকার সীমা মানতে হবে। এতদিন এই সীমা ছিল ১২০ টাকা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ব্যাংক ১২৬ থেকে ১২৭ টাকায় ডলার কিনেছে। ডিসেম্বরের শুরুতে পুরোনো আমদানি দায় পরিশোধের চাপ বেড়ে যায়। এ কারণে সরকারি ও বেসরকারি খাতের বেশ কিছু ব্যাংক বেশি দামে ডলার কিনতে বাধ্য হয়। এর ফলে ডলারের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়। ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার ফলে বেশি দামে ডলার কেনা হচ্ছে। এতে করে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়লেও বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে ডলার কেনার ক্ষেত্রেও বেশি দামের প্রভাব দেখা দিয়েছে। বেশি দামে ডলার কেনার জন্য ১৩টি ব্যাংককে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক এবং ১১টি বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে। ব্যাংকগুলোকে তাদের কার্যক্রমের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। নির্দেশনার পর বেশ কিছু ব্যাংক রেমিট্যান্সের দর কমিয়ে এনেছে। গত দুই দিনের মধ্যে ডলারের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। রেমিট্যান্সের দামও কিছুটা কমে এসেছে। তবে খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আমদানি দায় মেটানো সম্পন্ন হলে ডলারের বাজার আরও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।

পদ্মাকে একীভূত করবে না এক্সিম ব্যাংক

পদ্মা ব্যাংককে একীভূত করার প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এক্সিম ব্যাংক।মঙ্গলবার দেশের বড় পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তথ্য দিয়ে এক্সিম ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।যদিও পদ্মা ব্যাংক বলছেন, এক্সিম ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি তারা জানে না।সোমবার এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পদ্মা ব্যাংককে একীভূত করার প্রক্রিয়াটি আর চলমান না রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।ব্যাংকটি বলছে, দেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে এই মুহূর্তে তারা পদ্মা ব্যাংকের দায়িত্ব নিতে পারবে না। পদ্মা ব্যাংক অপেক্ষা করলে ‘ভালো সময় এলে দেখা যেতে পারে’।ব্যাংক খাতের সংস্কারে সবচেয়ে আলোচিত হওয়া ‘মার্জার’ বা সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল ব্যাংক দুটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যস্ততায় ওই চুক্তি হয় গত মার্চে।সরে আসার কারণ তুলে ধরে এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, “দেশের অনেক কিছুই বদলে গেছে। এই মুহূর্তে পদ্মা ব্যাংকের দায়িত্ব নিতে পারব না আমরা (এক্সিম ব্যাংক)।“বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পদ্মা ব্যাংকের দায়িত্ব নিতে পারবে না। তারা যদি (পদ্মা ব্যাংক) অপেক্ষা করে, তাহলে ভালো সময় এলে দেখা যেতে পারে।’’সিদ্ধান্তের আগে পদ্মা ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।এদিকে পদ্মা ব্যাংক বলছে, সোমবার ব্যাংকটির পরিচালক পর্ষদের সবশেষ বৈঠকেও এক্সিম ব্যাংকের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।সরকার বদলের পর পদ্মা ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদ ওইদিন প্রথম বৈঠক করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পদাধিকার বলে পদ্মা ব্যাংকের পরিচালক হওয়া জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবুর রহমান।তিনি বলেন, “আমরা ব্যাংকটির (পদ্মা ব্যাংক) ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য নতুন কিছু উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেছি। খেলাপি ঋণ আদায়ে জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।“এক্সিম ব্যাংকের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বোর্ড তাদের (এক্সিম ব্যাংকের) সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানেও না।’’ব্যাংক সংখ্যা কমিয়ে আনার পদক্ষেপ হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বরে দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক ।এর পর গত ১৮ মার্চ প্রথমবারের মত শরিয়াহভিত্তিক এক্সিম ব্যাংক ও প্রচলিত ধারার পদ্মা ব্যাংক একীভূত হতে সমঝোতা চুক্তি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যস্ততায়।কিন্তু গত অগাস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বদলে যায় হিসাবনিকাশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরে থাকা ‘ভালো ব্যাংক’ এক্সিমের আর্থিক সূচকের ক্ষত বেরিয়ে আসতে শুরু করে।তাতে একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়া থমকে গেলে গত অক্টোবরে এক্সিম ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হওয়া নজরুল ইসলাম স্বপন বলেছিলেন, “কি আর বলবো, ব্যাংক তো ফাঁকা করে দিয়ে গেছে। আমরা সামাল দিচ্ছি, তারল্য সংকট থাকলেও অন্যদের মত তীব্র না। এতটুকু ব্যবস্থা করতে পেরেছি।’’তিনি বলেছিলেন, “সুন্দর সময়ের অপেক্ষায় আছি। ব্যাংক আগে ভালো হোক, তারপর পদ্মা ব্যাংকের দায়িত্ব নেওয়া বা মার্জারের বিষয়টি আসবে।”সেই ‘সুন্দর’ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছিলেন, “কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ মাস সময় দিতে হবে। তার আগে বলা যাবে না।”যদিও মার্জার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের নিরীক্ষা শেষ করেছে ব্যাংক দুটো। নিরীক্ষা প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকে জমাও পড়েছে।গত মার্চ মাসে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর থেকে পদ্মা ব্যাংক আমানত সংগ্রহ কার্যত বন্ধ করে রেখেছে। নতুন ঋণও বন্ধ। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদত্যাগ করায় কাজ চলছে ‘ভারপ্রাপ্ত’ দিয়ে।আমানত না পেয়ে আর্থিক সংকট সামাল দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে সম্প্রতি ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা তারল্য সহায়তাও চেয়েছে পদ্মা ব্যাংক।

অর্থ উপদেষ্টার সাথে ডিএসই ও ডিবিএর প্রতিনিধিদ দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম‍্যান মমিনুল ইসলাম এবং ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিএসই এবং ডিবিএর আট সদস‍্যের প্রতিনিধি দল অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধি দল এ সময় পুঁজিবাজারের সংস্কারে সরকারের গৃহিত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও নীতিসহায়তার জন‍্য উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। প্রতিনিধি দল বাজার উন্নয়নে প্রধান অন্তরায়গুলো এবং সেগুলোর প্রতিকারে কিছু প্রস্তাবনা পেশ করেন। এছাড়া, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সহায়তা, নেগেটিভ ইক্যুইটির সমাধান, সরকারি ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর বাজারে তালিকাভুক্তকরন এবং করনীতিতে কিছু পরিবর্তনের ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়। সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রস্তাবনাগুলো ইতিবাচক বিবেচনায় নেয়ার ব্যাপারে প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ সব অংশীজনের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন। প্রতিনিধি দল উপদেষ্টাকে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগে ডিএসই এবং ডিবিএর পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং আশাবাদ ব‍্যক্ত করেন যে, নতুন বছরে সংস্কার কার্যক্রমগুলো দৃশ্যমান হওয়া শুরু হলে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক ধারা ফিরে আসবে। প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. শাকিল রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান, মিনহাজ মান্নান ইমন, রিচার্ড ডি রোজারিও, ডিবিএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুদ্দিন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর হায়দার।

ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ে জমে উঠেছে রিহ্যাব ফেয়ার

উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিনেই মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠছে রিহ্যাব ফেয়ার। আবাসন খাতের উদ্যোক্তাদের আয়োজনে রিহ্যাব ফেয়ার থেকে ক্রেতারা তার পছন্দমত ফ্ল্যাট ও কাঙ্খিত প্লটের বুকিং দিতে পারছেন। কেউ কেউ কিনে নিচ্ছেন রেডি ফ্ল্যাট। এক ছাতার নিচে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান থাকায় রিহ্যাব ফেয়ার ঘিরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সব সময় বাড়তি আগ্রহ রয়েছে। ফেয়ার নিয়ে খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা। এছাড়া, ফ্ল্যাট ও প্লট বুকিংয়ে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার আগারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বিআইসিসিতে রিহ্যাব ফেয়ার ২০২৪’-এর উদ্বোধন করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সিনিয়র সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়াসহ সংগঠনটির পরিচালনা পর্ষদ ও সাধারণ সদস্যরা। রিহ্যাবের পক্ষ থেকে কয়েক মাস ধরেই দ্রুত ডিটেইল এরিয়া প্লান (ড্যাপ) সংশোধনের তাগিদ দেওয়া হচ্ছিল। এ প্রসঙ্গটি টেনে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব ড্যাপ সংশোধন করা হবে।’ পাঁচ দিনের এ মেলা চলবে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত। এবারের মেলায় বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির পাশাপাশি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানও অংশ নিয়েছে। মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ২০০১ সাল থেকে ঢাকায় রিহ্যাব হাউজিং ফেয়ার শুরু হয়। এটি ঢাকায় অনুষ্ঠিত রিহ্যাবের ২৬তম ফেয়ার। এছাড়া, চট্টগ্রামে ১৫টি ফেয়ার সফলভাবে সম্পন্ন করেছে রিহ্যাব। রিহ্যাব ২০০৪ সাল থেকে বিদেশে হাউজিং ফেয়ার আয়োজন করে আসছে। এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ১২টি, যুক্তরাজ্যে, দুবাই, ইতালির রোম, কানাডা, সিডনি, কাতারে একটি করে ও দুবাইতে দুইটি রিহ্যাব হাউজিং ফেয়ার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এসব ফেয়ার আয়োজনের মাধ্যমে রিহ্যাব দেশ ও বিদেশে গৃহায়ন শিল্পের বাজার সৃষ্টি এবং তা প্রসারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছে। অন্য দিকে, প্রবাসী ক্রেতারা দেশে তাদের পছন্দের আবাসন খুঁজে পাচ্ছেন। আবার এই ফেয়ারের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি গৃহায়ন শিল্প এবং লিংকেজ শিল্প বিকাশে অনন্য ভূমিকা পালন করে চলেছে এই ফেয়ার। রিহ্যাব ফেয়ারে ২২০টি স্টল রয়েছে। এই ফেয়ারে পাঁচটি গোল্ড স্পন্সর, ১৮টি কো-স্পন্সর, ১৮টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও দশটি অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সকাল দশটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত ক্রেতা দর্শনার্থীরা মেলায় ঢুকতে পারবেন। মেলায় প্রবেশে সিঙ্গেল এন্ট্রি টিকিটের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। আর মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিট দিয়ে একজন দর্শনার্থী মেলার সময় পাঁচ বার ঢুকতে পারবেন। এন্ট্রি টিকিটের সম্পূর্ণ অঃর্থ দুস্থদের জন্য কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির (সিএসআর) কাজে ব্যয় করা হবে। টিকিটের রাফেল ড্রতে থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।

পূবালী ব্যাংকের আইএসও/আইইসি ২৭০০১:২০২২ সনদ অর্জন

পূবালী ব্যাংক পিএলসি তথ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড আইএসও/আইইসি ২৭০০১:২০২২ সনদ অর্জন করেছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইন্টারটেক বাংলাদেশের কান্ট্রিম্যানেজিং ডিরেক্টর নেয়ামুল হাসান ও প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপার্স (পিডব্লিউসি) বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজিংপার্টনার শামস জামান পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আলীর হাতে সনদ হস্তান্তর করেন। এই সনদ অর্জনের মাধ্যমে পূবালী ব্যাংক গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষা ও সেবার মান নিশ্চিত করতে তাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। এই সনদ প্রাপ্তি দেশের আর্থিক খাতের জন্য একটি উদাহরণ ও গ্রাহকসেবার মান উন্নয়নে ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি আরও সুদৃঢ় করবে। অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আইএসও/আইইসি ২৭০০১:২০২২ সনদ প্রাপ্তি পূবালী ব্যাংকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই সনদ গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষায় আমাদের প্রতিশ্রুতি ও আধুনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানে আমাদের দক্ষতার স্বীকৃতি। আমরা এই অর্জনকে ভবিষ্যতের উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচনা করছি।’ অনুষ্ঠানে পূবালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইছা, মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন, আহমেদ এনায়েত মনজুর, মো. শাহনেওয়াজ খান ও মো. আনিসুজ্জামান এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিতছিলেন।

ইএসকিউআর কোয়ালিটি চয়েস প্রাইজ অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ পেল ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ

অনন্য সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি কোয়ালিটি চয়েস প্রাইজ অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ পেয়েছে ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউরোপিয়ান সোসাইটি ফর কোয়ালিটি রিসার্চ (ইএসকিউআর) এই পুরস্কারটি দিয়ে থাকে। গেল ৯ ডিসেম্বর অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাতে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজের হেড অফ রিসার্চ মো. হাসিব রেজা পুরস্কার গ্রহণে করেন। নৈতিকতা, উদ্ভাবন, নেতৃত্ব ও ধারাবাহিক উন্নতির সংস্কৃতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অসাধারণ ভূমিকা পালন করছে- এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইএসকিউআরের এই কোয়ালিটি চয়েস প্রাইজটি দেওয়া হয়। এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজের গ্রাহকসেবা ও নৈতিকতার প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও প্রতিষ্ঠানটি সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। মান বজায় রেখে ক্লায়েন্ট ও এই খাতের অন্যান্য অংশীজনদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজের সিইও মোহাম্মদ রহমাত পাশা এই অর্জন সম্পর্কে বলেন, ‘এই পুরস্কার আমাদের টিমের কঠোর পরিশ্রম, উদ্ভাবনী মনোভাব ও প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমাদেরকে গ্রাহকদের আরও উন্নত সেবা প্রদানে অনুপ্রাণিত করবে এবং গুণগত মান ধরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এই প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রমের সকল ধাপে মান বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।’ ইএসকিউআরের প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের লুসানে অবস্থিত। গুণগত মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেয় এই সংস্থা। ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ গুণগত মান বজায় রেখে ভবিষ্যতেও ক্লায়েন্টদের জন্য উন্নত সেবা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আর্থিক খাতে একটি নতুন মানদণ্ড তৈরি করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আরও এক মাস বাড়ল

ব্যক্তিশ্রেণির করদাতা আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর। ব্যবসায়ী ও করদাতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সবকিছু বিবেচনা করে করদাতাদের সুবিধার্থে ব্যক্তিশ্রেণির ও কোম্পানির সব করদাতার অনলাইনে ই-রিটার্ন ও অফলাইনে কাগজের রিটার্ন দাখিল উভয় ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়িয়ে আজ এনবিআর থেকে একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।’

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের মেহেন্দিগঞ্জ উপশাখা উদ্বোধন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির বরিশাল শাখার অধীন মেহেন্দিগঞ্জ উপশাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এম. কামাল উদ্দীন জসীম এ উপশাখার উদ্বোধন করেন। ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বরিশাল জোনপ্রধান মো. সরোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বরিশাল শাখাপ্রধান মো. নুরুজ্জামান। গ্রাহক ও অতিথিদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন খোকন গাজী ও মাহবুব আলম তালুকদার, পাতারহাট বণিক সমিতির সভাপতি জিয়া উদ্দিন সেলিম, সমাজসেবক মো. সফিকুল ইসলাম, এম সাইফুর রহমান ও গিয়াস উদ্দিন দিপেন, মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র মো. কামাল উদ্দিন খান ও সৈয়দ রফিকুল ইসলাম লাবু, মেহেন্দিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আ. রাজ্জাক খান ও সাংবাদিক জাহেদুল বারি খোকন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মেহেন্দিগঞ্জ উপশাখা ইনচার্জ মো. রাকিবুল হাসান। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।