এমডি, সিওও এবং সিটিও নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ডিএসইর

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (সিওও) ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ডিএসইর পুনগঠিত পরিচালনা পর্ষদ গেল ৩ অক্টোবর দায়িত্ব নেয়৷ চেয়ারম্যান হিসেবে যার নেতৃত্বে রয়েছেন মমিনুল ইসলাম৷ দায়িত্ব গ্রহণের পরই অগ্রাধিকার ভিওিতে দীর্ঘ দিন শূন্য থাকা শীর্ষ স্থানীয় তিনটি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেন তিনি। তারই অংশ হিসেবে বুধবার (২৭ নভেম্বর) ডিএসইর এমডি), সিওও এবং সিটিও নিয়োগের জন্য জাতীয় দৈনিক পএিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রত্যকটা পদের জন্য আবেদনের শেষ আগামী ২৬ ডিসেম্বর সন্ধা ছয়টা পর্যন্ত। আগামী ৪ ডিসেম্বর সন্ধা ছয়টায় ডিএসইর চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের সাথে আগ্রহী প্রার্থীদের ডিএসই সম্পর্কে ধারণা দিতে ভার্চুয়ালি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

যমুনা রেলসেতু নির্মাণ প্রকল্প ও চট্টগ্রাম পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পে জাইকার ঋণচুক্তি সই

বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দুইটি ঋণচুক্তি সই করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। যমুনা রেলসেতু নির্মাণ (তৃতীয়) ও চট্টগ্রাম পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পে (প্রকৌশল সেবা) জাপানি অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্সের (ওডিএ) আওতায় সর্বমোট ৩৯ হাজার ৯০২ মিলিয়ন ইয়েন (তিন হাজার ১৪৭ কোটি টাকা সমমূল্য) পর্যন্ত ঋণ দিবে জাইকা। সোমাবর (২৫ নভেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি সই অনুষ্ঠিত হয়। চুক্তিতে সই করেন জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। দুই ঋণচুক্তির আওতায় এই ৩৯ হাজার ৯০২ মিলিয়ন ইয়েন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। এর মধ্যে যমুনা রেলসেতু নির্মাণ প্রকল্পে (তৃতীয়) ৩৮ হাজার ২০৬ মিলিয়ন ইয়েন এবং চট্টগ্রাম পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পে (প্রকৌশল সেবা) এক হাজার ৬৯৬ মিলিয়ন ইয়েন বরাদ্দ দেয়া হয়। ঋণের তৃতীয় ধাপ হিসেবে এই যমুনা রেলসেতু (তৃতীয়) চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। যমুনা বহুমুখী সেতুর পাশাপাশি, যমুনা নদীর ওপরে চার দশমিক আট কিলোমিটার জুড়ে এই দৃষ্টিনন্দন রেলসেতুটি রয়েছে। সেতুটি ২০২৫ সালের শুরুতে এর কার্যক্রম শুরু করবে এবং দেশের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে রেল যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। দীর্ঘ মেয়াদী স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে এবং নিয়মিত অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমিয়ে আনতে প্রকল্পে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নেয়া হয়। ঋণে নির্মাণ অংশের জন্য ১.৭ শতাংশ ও পরামর্শ সেবার জন্য ০.৪০ শতাংশ বার্ষিক সুদহার নির্ধারণ করা হয়। দশ বছরের গ্রেস পিরিয়ড সহ ঋণ পরিশোধের সময়কাল নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ বছর। চট্টগ্রাম পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পে সর্বমোট ছয়টি ক্যাচমেন্টের (বৃষ্টির পানির প্রাকৃতিক জলাধার) মধ্যে ক্যাচমেন্ট ২ ও ক্যাচমেন্ট ৪ (কালুরঘাট ও পূর্ব বাকলিয়া), এই দুটির ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে। এটি প্রকল্পের প্রথম পর্যায় এবং এতে পুরো পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার বিস্তারিত ডিজাইন প্রণয়নে কাজ করা হবে। পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন চট্টগ্রামের জনস্বাস্থ্য, পরিবেশগত স্থায়িত্ব ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার মাধ্যমে বেশকিছু টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। প্রকল্পটি বর্জ্য পানি শোধন করতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবে, যেন বর্জ্য পানি থেকে কার্যকরভাবে নাইট্রোজেন ও ফসফরাস অপসারণ এবং পানির দূষণ রোধ করা যায়। পরামর্শ সেবার ক্ষেত্রে ঋণের বার্ষিক সুদহার ০.২০ শতাংশ; যেখানে দশ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ঋণ পরিশোধের সময়কাল নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ বছর। অনুষ্ঠানে ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, ‘আমরা দুটি ভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছি। তবে, এই দুটি প্রকল্পের লক্ষ্য একটিই, আর তা হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণকে সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করা। আশা করি, আমাদের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের সরকারের পরিশ্রমী কর্মীদের জন্য সহায়ক হবে, যারা একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়তে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।’ মো. শাহ্‌রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বাংলাদেশের মানুষের জন্য অব্যাহত সহায়তা বজায় রাখায় জাপানের জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জানান।

গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে দুর্বল ব্যাংককে সহায়তা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

কয়েকটি ব্যাংকের দুর্বল দশা পর্যবেক্ষণ করে গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে ফের টাকা ছাপিয়ে সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সোমবার দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি কোটি সহায়তা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আরও দুই ব্যাংক পেয়েছে আড়াই হাজার কোটি। প্রাথমিকভাবে ৭০ হাজার কোটি টাকা সহায়তা ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্বল দশা ঢাকতে টাকা ছাপানোসহ নানা অবৈধ সুবিধা দিয়ে অর্থলুট আড়ালের চেষ্টায় মত্ত ছিলেন তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালকদার। তবে আগস্টে সরকার বদলের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। দায়িত্বে আসেন নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। যিনি দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টাকা ছাপিয়ে তারল্য সহায়তা না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে ৫টি ব্যাংককে ভল্ট থেকে সোমবার (২৫ নভেম্বর) সাড়ে ১৮ হাজার কোটি দেওয়া হয়েছে। আর মঙ্গলবার অন্য দুটো ব্যাংককে দেওয়া হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। মূলত আওয়ামী লীগ আমলে ব্যাপক অনিয়মের কারণে চরম তারল্য সংকটে ভুগতে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টাকা না ছাপিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এই অর্থ সহায়তার কথা জানালেও বাস্তবে তার সঙ্গে মিল নেই। দায়িত্ব নিয়ে গত ২০ আগস্ট গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের বলেন, দুর্বল ও সমস্যাযুক্ত ব্যাংকগুলোকে টাকা ছাপিয়ে কোনো সহায়তা দেওয়া হবে না। গত ৪ সেপ্টেম্বর তিনি বলেন, তারল্য সংকটে থাকা ‘দুর্বল’ ব্যাংককে সচল রাখতে বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ বিবেচনায় নিয়ে গ্যারান্টির মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক বাজার থেকে নগদ টাকার ঋণ সহায়তা ব্যবস্থা করা হবে। সেই পদ্ধতিতে দুর্বল ব্যাংকগুলো প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ধার নিয়েছে সবল ব্যাংক থেকে। এতেও সংকট দূর না হওয়ায় টাকা ছাপিয়ে সহায়তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সূত্র বলছে, সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ৭ হাজার ৯০০ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা নিয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক নিয়েছে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা টাকা এবং অন্যন্য তিন ব্যাংক নিয়েছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। অপর একটি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিদের সঙ্গে বৈঠক করে ব্যাংকগুলো কত টাকা জোগান পেলে সংকট দূর হবে, সে তথ্য জানতে চান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। পরে প্রতিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান-এমডিদের সঙ্গে পৃথকভাবে সভা করে কোন ব্যাংককে কী পরিমাণ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে, সে বিষয়ে ধারণা দেন গভর্নর। সবমিলে ৭০ হাজার কোটি টাকার চাহিদা দিয়েছে দুর্বল ব্যাংকগুলো। গত ১৯ নভেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক অর্থ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যেসব ব্যাংক অর্থ সংকটের কারণে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না, তাদের সহায়তার জন্য খুব শিগগির আপনারা নতুন উদ্যোগ দেখতে পাবেন। আলোচিত ৫টি ব্যাংকসহ দেশের ১২টি ব্যাংক আওয়ামী আমলের বিভিন্ন ঋণ জালিয়াতি ও অনিয়মের কারণে চরম তারল্য সংকটে রয়েছে। এর মধ্যে আটটি ব্যাংকের মালিকানায় ছিল বিতর্কিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। এসব ব্যাংকের অনিয়ম সত্ত্বেও শেখ হাসিনা সরকার আমলের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি। এতে তারল্য সংকট আরও গভীর রূপ নেয়। এসব ব্যাংকের চলতি হিসাবে ঘাটতি থাকার পরও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিধিমালা ভঙ্গ করে সহায়তার অনুমোদন দেয়।

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের কমল স্বর্ণের মূল্য

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে দুই হাজার ৮২২ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। বুধবার (২৭ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।’নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৩১ হাজার ৩০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ১২ হাজার ৫৪৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ৩৫৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত পাঁচ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ছয় শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে, গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫৪ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩১ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২৩ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার। স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৫৭৮ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি দুই হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি দুই হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫৮৬ টাকায়।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের শরি‘আহ্ সুপারভাইজরি কমিটির ৪৭তম সভা অনুষ্ঠিত

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির শরি‘আহ্ সুপারভাইজরি কমিটির ৪৭তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ সভায়র আয়োজন করা হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও শরি‘আহ্ সুপারভাইজরি কমিটির পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ আবদুল আজিজ এবং ব্যাংকের পরিচালক ও শরি‘আহ্ সুপারভাইজরি কমিটির পর্যবেক্ষক একেএম আবদুল আলীম সভায় উপস্থিত ছিলেন। শরি‘আহ্ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির সদস্য সচিব যুবাইর মোহাম্মদ এহসানুল হক, সদস্য মো. ফরিদউদ্দীন আহমদ, মোহাম্মদ মঞ্জুর-ই-এলাহী ও হাফিজ মুজতবা রিজা আহমেদ, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. হাবিবুর রহমান উপস্থি ছিলেন। সভায় অন্যদের মধ্যে ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিওও মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং শরি‘আহ্ সেক্রেটারিয়েট ডিভিশনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এনসিসি ব্যাংকের উত্তর অঞ্চলের এসএমই রিলেশনশীপ ম্যানেজারদের সভা অনুষ্ঠিত

এনসিসি ব্যাংকের উত্তর অঞ্চলের এসএমই রিলেশনশীপ ম্যানেজারদের সভা সম্প্রতি বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শামসুল আরেফিন। ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির আনাম, এসভিপি ও হেড অব এসএমই শরীফ মোহাম্মদ মহসীন, এসভিপি এবং হেড অব সাসটেইনেবল ব্যাংকিং নিঘাত মমতাজ, এসভিপি ও হেড অব হিউম্যান রিসোর্সেস ডিভিশন এএইচএম আবদুস সাদিক খান, ভিপি ও হেড অব সিআরএম-সিএমএসএমই মো. সোলায়মান-আল-রাজী, ভিপি ও উত্তর অঞ্চলের প্রধান মো. ওমর শরীফসহ উত্তর অঞ্চলের ১১টি শাখার ব্যবস্থাপক এবং এসএমই রিলেশনশীপ ম্যানেজার সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় শামসুল আরেফিন ব্যবসায়ের দীর্ঘ মেয়াদী ও টেকসই প্রবৃদ্ধির উপর গুরুত্বআরোপ করেন। তিনি এসএমই রিলেশনশীপ ম্যানেজারদের বিভিন্ন নতুন নতুন ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় ব্যবসায়ের অর্থায়নের আহ্বান জানান।

ইউএনসিডিপি-এফবিসিসিআই সভা: টেকসই গ্র্যাজুয়েশনে স্থানীয় শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জোর

জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (ইউএনসিডিপি) সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন প্রক্রিয়াকে টেকসই করতে স্থানীয় শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে এফবিসিসিআই। এ জন্য রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ, নতুন বাজার অন্বেষণ, বেসরকারি খাতে গবেষণা ও উদ্ভাবন, দক্ষতা বৃদ্ধি ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেছে এফবিসিসিআই। এক্ষেত্রে, জাতিসংঘের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য সংগঠনটির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে ইউএনসিডিপির সদস্য তেফারে তেসফাচিউর নেতৃত্বে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব এএইচএম জাহাঙ্গীর এবং এসএসজিপি প্রকল্পের কম্পোনেন্ট ম্যানেজার মোস্তফা আবিদ খানসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় এফবিসিসিআই এই আবেদন জানায়। সভায় স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন সংক্রান্ত জাতিসংঘের মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা- এই তিন সূচকেই বাংলাদেশ উত্তীর্ণ হয়েছে। এই অর্জনের ফলে বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। এতে করে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) উৎসাহিত হওয়ার পাশাপাশি বেসরকারি খাতের আস্থা দৃঢ় হবে।’ পাঁচ বছরের প্রস্তুতি শেষে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে। জাতিসংঘের নিয়মানুসারে, উত্তরণের প্রস্তুতকালীন বাংলাদেশকে একটি ’স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজি’ বা এসটিএস প্রণয়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের যৌক্তিক মতামতের প্রতিফলন দেখা যাবে বলে আশা করেন হাফিজুর রহমান। তিনি আরো বলেন, ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরে রপ্তানি বাজারে বাংলাদেশ আর বিশেষ সুবিধা পাবে না। উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কারণেও চাপে পড়বেন উদ্যোক্তারা। এ পরিস্থিতিতে, উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে পৌঁছানোর জন্য স্থানীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’ সভায় তেফারে তেসফাচিউ বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য একটি অনুকরণীয় মডেল হতে পারে। তবে বিশ্ব অর্থনীতি এখন একটি কঠিন সময় পার করছে, যার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় পর্যায়েও।’ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ প্রক্রিয়াকে টেকসই করতে সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত পদক্ষেপের ওপর জোর দেন তিনি। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) পরিচালক মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হাসান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) উপ-পরিচালক সুজন দাস গুপ্ত, সার্ক চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট শাফকাত হায়দার, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম হায়দার, সাবেক পরিচালক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী খোকন, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, বেসিসের সহ-সভাপতি এম আসিফ রহমান।

বাংলাদেশ রেলওয়ে ঋণদান সমিতির  সঙ্গে জনতা ও রুপালি ব্যাংকের চুক্তি

বাংলাদেশ রেলওয়ে ঋণদান সমিতির সাথে জনতা ব্যাংক ও রুপালী ব্যাংকের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত। বাংলাদেশ রেলওয়ে সমবায় ঋণদান সমিতি লিমিটেডের ঋণগ্রহীতা ও আমানতকারীদের ঋণ বিনিয়োগ ও আদায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জনতা ব্যাংক রুপালী ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশ রেলওয়ের উদ্যোগে ঢাকা রেলভবনে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। রেলওয়ে সমবায় ঋনদান সমিতির সভাপতি ও রেলওয় ট্রেনিং একাডেমির রেক্টর পার্থ সরকারে সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সভায় উপস্হিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) আফজাল হোসেন,অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মার্কেটিং এন্ড প্ল্যানিং) সলিম উল্লাহ বাহার,অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) এএম সালাউদ্দিন, সমিতির সহ-সভাপতি ও অতিরিক্ত প্রকল্ল পরিচালক মো:আবুল কালাম চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাব্যবস্হাপক(পূর্ব) তাবাসসুম ইসলাম,পরিচালক মো: জাকির হোসেন জনতা ব্যাংকের পক্ষে উপস্হিত ছিলেন জেনারেল ম্যানেজার আরিফ আহমেদ, ডিজিএম আব্দুস সোবহান মিয়া, এজিএম মীর জাহিদুল ইসলাম রুপালী ব্যাংকে পক্ষে উপস্থিত থেকে চুক্তি স্বাক্ষর করেন জেনারেল ম্যানেজার মইন উদ্দিন মাসুদ,ডিজিএম আফরোজা সুলতানা এজিএম আবু তাহের প্রধান রেলওয়ে ঋণদান সমিতির সচিব মো: সাখাওয়াত হোসেন, আইটি ইনচার্জ মো:মোজাম্মেল হোসন ভূঁইয়া।

কমেছে সোনার দাম

দেশের বাজারে সোনার দাম আরো কমালো বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ৮৯০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এ দাম কমানোর ঘোষণা দিলো বাজুস। এর আগে গত ২০, ২২ ও ২৪ নভেম্বর তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়। ২০ নভেম্বর সব থেকে ভালো মানের একভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ২ হাজার ৯৪০ টাকা। এরপর ২২ নভেম্বর বাড়ানো হয় ১ হাজার ৯৯৪ টাকা। আর ২৪ নভেম্বর বাড়ানো হয় ২ হাজার ৮২৩ টাকা। ফলে তিন দফায় প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ে ৬ হাজার ৭৫৭ টাকা। টানা তিন দফা দাম বাড়ানোর পর এখন কিছুটা কমানো হলো। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৮৯০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৮০৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের একভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির একভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩১৮ টাকা কমিয়ে ৯৪ হাজার ৩২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে ২৪ নভেম্বর সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৭০৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৩০৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৭১ টাকা বাড়িয়ে ৯৫ হাজার ৬৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ সোমবার পর্যন্ত এ দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে। সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এনআরবি ব্যাংকের এএমডি হিসেবে শাকির আমিন চৌধুরীর পদোন্নতি

এনআরবি ব্যাংক পিএলসি মোঃ শাকির আমিন চৌধুরীকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছেন। এর আগে তিনি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারেক রিয়াজ খান, পরিচালনা পর্ষদ এবং ম্যানেজমেন্টের পক্ষ্য থেকে শাকির আমিন চৌধুরীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। দীর্ঘ ৩৮ বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শাকির আমিন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ থেকে কৃষি অর্থনীতিতে ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক হন এবং আরব বাংলাদেশ ব্যাংকে ট্রেইনি অফিসার হিসাবে তার ব্যাংকিংক্যারিয়ার শুরু করেন। শাখা ব্যবস্থাপক, এএমএল, কর্পোরেট ব্যাংকিং, ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট, বৈদেশিক বাণিজ্য, শাখা পরিচালনা এবং অন্যান্য ভূমিকা ছিল তার প্রধান দায়িত্ব। এনআরবি ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি ঢাকা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।

দেশে অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা পরিকল্পনা উপদেষ্টার

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার কমেছে। অন্য দিকে, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমেছে। এতে করে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, বাজেটে এডিপি বাস্তবায়নের হার খুবই কম। এত দিন দুর্নীতি রোধকল্পে কাজ করলেও এখন এডিপি বাস্তবায়নের ওপর জোর দেয়া হবে। ডিসেম্বরে সংশোধিত বাজেটে এডিপির আকার ছোট করা হবে। কারণ, বহু প্রকল্প বাদ দেয়া হয়েছে, বিশেষ করে যেসব প্রকল্প রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।অপচয় রোধ করতে গিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন ধীর গতিতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেগুলোকে ভাল প্রকল্প মনে হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে নীতি সমন্বয়ের সময় এসেছে। যেসব প্রকল্পকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে, এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। এতে করে পিছিয়ে পড়া এডিপি অনেকটা শুধরে নেয়া যাবে।’বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের সমস্যা আছে বলেও জানান ওয়াহিদউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এ খাতে মানুষের বিনিয়োগের আগ্রহ নেই বললেই চলে। বিশেষ করে সুদের হার বাড়ানোর ফলে অর্থ লগ্নিতে আগ্রহ কমছে।’পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘বহু প্রকল্প পরিচালক হয় পদত্যাগ করেছে, না হয় তারা পালিয়ে গেছে। তাই, প্রকল্প চালাতে নতুন পরিচালক নিয়োগ দিতে হয়েছে। বিশেষ করে মাতারবাড়ি প্রকল্প পরিচালক পালিয়ে যাওয়ার আগে বহু সরকারি সম্পদ বিক্রি করে গেছেন। তাকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।’মন্ত্রণালয়গুলো এখনো আগের মত সচল হয়নি জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা প্রকল্প কমাচ্ছি। কারণ, নতুন প্রকল্প ব্যয় থেকে সুফলের সম্ভাবনা যাচাই করা হচ্ছে। এছাড়া উদ্ভাবনী নানা প্রকল্প নিয়ে কাজ চলছে।’রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান ওয়াহিদউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘মূলত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। রূপপুর প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। বাকিটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতকল্পে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’এ দিকে, পরিকল্পনা কমিশনের চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় প্রায় পাঁচ হাজার ৯১৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত পাঁছটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক হাজার ৯৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন চার হাজার ৭৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিড নেটওয়ার্কের পরিবর্ধন এবং ক্ষমতাবর্ধন’ প্রকল্প; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘যুব উদ্যোক্তাদের উন্নীত করার জন্য বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্প; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘মোংলা বন্দরে আধুনিক বর্জ্য ও নিঃসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘চট্টগ্রাম পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প (ক্যাচমেন্ট-২ ও ৪)’ প্রকল্প এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ‘ইমার্জেন্সি মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স প্রজেক্ট (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প।এছাড়া খরচ বৃদ্ধি ব্যতিরেকে দুইটি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জোন এবং খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদ কর্পোরেট শাখার ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংক ট্রেইনিং এন্ড রিসার্চ একাডেমির (আইবিটিআরএ) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। গেস্ট অব অনার ছিলেন ব্যাংকের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর এম মাসুদ রহমান ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম। ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মজনুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জোনপ্রধান মিয়া মোহা. বরকত উল্লাহ। সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর জোনপ্রধান এম জুবায়ের আজম হেলালী, আগ্রাবাদ কর্পোরেট শাখাপ্রধান আবদুল নাসের ও খাতুনগঞ্জ কর্পোরেট শাখাপ্রধান মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন। সম্মেলনে চট্টগ্রাাম উত্তর জোন ও চট্টগ্রাাম দক্ষিণ জোনের অধীন বিভিন্ন শাখাপ্রধান এবং কর্পোরেট শাখাগুলোর প্রধান, প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তারা অংশ নেন।

ইসলামী ব্যাংকের ইসি কমিটির চেয়ারম্যানসহ ৪ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ

এস আলম গ্রুপ ও তার সহযোগীদের হাজার হাজার কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিনসহ চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক ইয়াছির আরাফাতের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে– ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন, পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল করিম ও খুরশীদ-উল-আলম এবং ইসি সদস্য নাজমুল হাসান। আজ আরও যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে তারা হলেন– এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ছেলে ও ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলম, পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল আলম, ইসি কমিটির সদস্য ও স্বতন্ত্র পরিচালক ড. মো. ফসিউল আলম এবং ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমদ।গত ১১ নভেম্বর ওই ৭ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তলব করে চিঠি দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৭ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তলব করা হয়েছে। চিঠিতে কর্মকর্তাদের হাজির হওয়ার পাশাপাশি তাদের পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া চিঠিতে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের চাকতাই শাখার গ্রাহক মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ, ঘুবিলী রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস নামীয় ঋণ পরিদর্শন ও মনিটরিং সংক্রান্ত কর্মকর্তা ভূমিকার বিষয়ের বিস্তারিত তথ্যসহ হাজির হতে বলা হয়। অভিযোগ রয়েছে, মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম সারওয়ার চৌধুরী, জুবলি রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টসসহ অন্যরা ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ইসলামী ব্যাংকে থেকে আত্মসাৎ করেছে। এর আগে গত ২১ আগস্ট এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ওরফে এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুদক।

শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে শ্রম অসন্তোষ ও কিছু শ্রমিককে কালো তালিকাভুক্তি করা ও কিছু শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতাদের সাথে বৈঠকে ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগের আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক ব্যুরোর প্রতিনিধিরা এ উদ্বেগ জানান। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও শ্রমিক অধিকার চর্চার অবারিত সুযোগ সৃষ্টিতে শ্রম আইনের দ্রুত সংশোধনের তাগিদও দেয়া হয় প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে। রোববার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার হোটেল ওয়েস্টিনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এমফে রদ্রিগেজ। বৈঠকে ছিলেন আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি, অফিস অব ট্রেড অ্যান্ড লেবার অ্যাফেয়ার্সের প্রধান, অ্যান এম জোলনার, ইউএনআই গ্লোবাল ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ক্রিস্টি হফম্যান, ওয়ার্কার রাইটস কনসোর্টিয়ামের নির্বাহী পরিচালক স্কট নোভা। প্রতিনিধি দলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান গ্যাপ, পিভিএইচ কর্পোরেশন এবং ভিএফ কর্পোরেশনসহ কয়েকটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ছিলেন। আলোচনায় বিজিএমইএর পক্ষে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের প্রশাসক আনোয়ার হোসেন। তিনি কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, শ্রম অধিকার ও শ্রম আইনের সংস্কারের ক্ষেত্রে পোশাক শিল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিগুলো সম্পর্কে প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন। বিজিএমইএর পরিচালনায় গঠিত সহায়তা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত বিজিএমইএর একজন প্রতিনিধি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা শ্রম ইস্যুতেই বেশি সোচ্চার আছেন। তবে, ক্রেতারা পোশাক পণ্যের ন্যায্যমূল্য না দিলে শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যে সম্ভব নয়, সেটা তারা মানতে নারাজ। এ জন্য বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছ, ‘‘ক্রেতারা কেবল নিতে চায় কিছু দিতে চায় না। ন্যায্য দরের বিষয়ে নৈতিক বাণিজ্য নীতি অনুসরণে ক্রেতাদের অনুরোধ করার জন্য প্রতিনিধি দলকে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা’।’ বৈঠকে আরো টেকসই, ন্যায্য ও শক্তিশালী পোশাক খাত গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও শিল্পের স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে অব্যাহত সহযোগিতার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। চার দিনের সফরে গেল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ঢাকায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এমফে রদ্রিগেজ। রোববার (২৪ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথেও বৈঠক করে প্রতিনিধি দলটি। সোমবার (২৫ নভেম্বর) শ্রমিক নেতাদের সাথে বৈঠক হবে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) প্রতিনিধি দলটির ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে

১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ করলো বিএফআইইউ

বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরর্ত ১০ জন সাংবাদিকসহ ১১ জনের ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ করলো বিএফআইইউর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসঙ্গে তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ দিন তাদের হিসাব বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিতের সময় আরও বাড়ানো হবে। রোববার (২৪ নভেম্বর) বিএফআইইউয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে সংস্থাটি।ব্যাংক হিসাব জব্দ হওয়া সাংবাদিকরা হলেন- দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফত, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, টিভি টুডে প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ওয়াশিংটনের সাবেক প্রেস মিনিস্টার সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, ডিবিসি নিউজের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর নাজনীন মুন্নি, ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক আশীষ ঘোষ সৈকত, গাজী টিভির এডিটর (রিসার্চ) অঞ্জন রায়, সময় টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ কমল দে, দৈনিক আমার সময়ের প্রধান সম্পাদক আব্দুল গাফফার খান, যুগান্তরের সাবেক নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি রাজু আহমেদ। সাংবাদিকদের বাইরে এক্সিম ব্যাংকের হেড অব পিআরও সঞ্জীব চ্যাটার্জীর ব্যাংক হিসাবও জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিএফআইইউয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব হিসাব স্থগিত করা হয়েছে তাদের হিসাব সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী যাবতীয় তথ্য চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠাতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সব ধরনের নির্বাচন স্থগিত

বাংলাদেশ ব্যাংককে দলীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত করতে দলীয় নির্বাচনের বদলে ব্যক্তি নির্বাচনের মত দিয়েছেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। একই সাথে অনির্দিষ্টকালের জন্য আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠেয় সব ধরনের নির্বাচন স্থগিত করেছেন তিনি। রোববার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সাথে দেখা করে ৪০ সদস্যের একটি টিম দুই ডিজির পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন। নির্ধারিত সময়ে পদত্যাগ না করলে পরে ব্যাংকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩০তলা ভবনে সর্বদলীয় ডাক দিয়েছিলেন। এরপর ফের গভর্নরের সাথে দেখা করেন। তখন আহসান এইচ মনসুর এসব কথা বলেন। এ দিন, দুই ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও হাবিবুর রহমানের পদত্যাগ দাবিতে উত্তপ্ত হয় আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা সকাল থেকে একাধিক বার বৈঠক করে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পদোন্নতি পাওয়া দুইজন ডেপুটি গভর্নরকে পদত্যাগের দাবি জানান। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিগত সরকারের সময় যে দুইজন ডেপুটি গভর্নর নিয়োগপ্রাপ্ত তাদেরকে অপসারণ করতে হবে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে জানানো হয়েছে এবং এ ব্যাপারে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলেও নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান। নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকে আগের সরকারের নিয়োগ দেওয়া দুই ডেপুটি গভর্নর রয়েছেন। তাদের অবিলম্বের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি। ডিজি এক ও ডিজি দুইতে পরিবর্তন আনার দাবি জানানো হয়েছিল আমাদের পক্ষ থেকে। গভর্নর বলেছেন, এ বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নিবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মকর্তা এস আলম ও বিভিন্ন গ্রুপকে যারা সহায়তা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আইনের আওতায় আনতে হবে। নজরুল ইসলাম জানান, গভর্নর তাদেরকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে অনেকে রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। কারণ, সম্প্রতি সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নির্বাচন নিয়ে যেভাবে কাজ করেছে, তাতে সুস্পষ্টভাবে সেই বিষয়গুলো উঠে এসেছে। তাই, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যে নির্বাচন হচ্ছে, তা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলেও গভর্ন তাদেরকে জানিয়েছেন বলেও জানান নজরুল ইসলাম। গভর্নরের বক্তব্যের কারণেও ব্যাংকিং খাতে এক ধরনের অনাস্থা তৈরি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, গভর্নরের বক্তব্যের কারণে ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিয়েছেন বহু গ্রাহক। তাই, পরবর্তী কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোন ধরনের স্ট্যাটমেন্ট দেওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলেও তিনি জানান। গেল ৫ অগাস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর ইসলামী ব্যাংকে আন্দোলনের মাধ্যমে ব্যাংক খাতেও আন্দোলন শুরু হয়। ইসলামী ব্যাংকে এস আলমের ক্ষমতার বলয় থেকে মুক্ত করার দাবিতে গেল ৬ আগস্ট ইসলামী ব্যাংকের সামনে আন্দোলন করেন ব্যাংকটির কয়েক শত কর্মী। বিক্ষোভের হাওয়া লাগে বাংলাদেশ ব্যাংকেও। ৭ আগস্ট তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, চার ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউর প্রধান ও পলিসি উপদেষ্টার পদত্যাগে উত্তাল হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর ওই সপ্তাহেই গভর্নর, বিএফআইইউর প্রধান, পলিসি উপদেষ্টা ও দুই ডেপুটি গভর্ন পদত্যাগ করেন। সেই সময়েও বাংলাদেশ ব্যাংকের বাকি দুই ডেপুটি গভর্ন ছিলেন নুরুন নাহার ও হাবিবুর রহমান। প্রশাসনিক কার্যক্রমের জন্য এ দুই ডেপুটি গভর্নরদের পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সে সেসময়। বিক্ষোভে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক বায়েজিদ সরকার ছাত্র-জনতা অভূত্যানে নিহত সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ৫ আগস্টের আগে চুক্তিভিত্তিক ডেপুটি গভর্নর যারা এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন, তাদের অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি করেন। ৭ আগস্ট যে দাবি করা হয়েছিল, সেই দাবি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। বায়েজিদ সরকার বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের পর ৭ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকে বিক্ষোভ করা হয়। সেই সময় নানা রকমের দাবিও উপস্থাপন করা হয়। সেই দাবির মধ্যে ডেপুটি গভর্নরদের পদত্যাগের বিষয়টি ছিল। তবে এখনো তারা বাংলাদেশ ব্যাংকে রয়েছে। তাদের এ পদ থেকে চলে যেতে হবে।’ পরে বিক্ষুদ্ধ কর্মকর্তাদের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গভর্নরের সাথে দেখা করে দুই ডেপুটি গভর্নরের পদত্যাগের দাবি তুলে ধরেন। এ সময় গভর্নর তাদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বিষয়টি আমি দেখছি।’ গভর্নর বলেন, ‘আর্থিক খাতের সংস্কার কাজ চলছে। এ মুহূর্তে তাদের চাকরিচ্যুত করা হলে আর্থিক খাতে বড় ধরনের সমস্যার পাশাপাশি বহিঃবিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে পারে।’ এ জন্য তাদের পোর্টফোলিও দেখে কাজের পরিধির কমিয়ে আনা হবে বলে জানান তিনি। এ সময় কর্মকর্তারা জানান, মূলত তাদের কারণেই আর্থিক খাতের সংস্কার কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। উত্তরে গভর্নর বলেন, ‘শিগগিরই আমি এ দুইজন ডেপুটি গভর্নরের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

নভেম্বরে প্রবাস থেকে এলো ১৭২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার

চলতি নভেম্বর মাসের ২৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭২ কোটি ৬৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। সে হিসেবে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার। রোববার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ২৩ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৪ কোটি ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯৫ কোটি ১৩ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৪ মাসে দেশে ৮৯৩ কোটি ৭১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৬৮৭ কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার এবং অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

বাণিজ্য সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে চীন বাংলাদেশের বড় অগ্রাধিকার : শেখ বশিরউদ্দীন

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বাণিজ্য সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে চীন বাংলাদেশের বড় অগ্রাধিকার। সেকারনেমুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ চীনের সাথে কাজ করতে আগ্রহী।আজ রবিবার বিকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে বাণিজ্য উপদেষ্টা একথা বলেন।উপদেষ্টা বলেন, চীন চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দিতে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে।আমরা অধিক পন্য রপ্তাণির মাধ্যমে এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চাই।তিনি আরো বলেন, চীনের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। এদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও মানুষের জন্য কাজের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে চীনের সাথে এদেশের সম্পর্কে অনন্য মাত্রা যোগ করেছে।মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দুদেশের সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করবে।চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনতে চীন বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য, বিশেষ করে—আম, পাট ও পাটজাত পণ্য ও চামড়া আমদানি করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে।আগামী বছরের জুলাই মাসে চীন বাংলাদেশে একটি বড় প্রদর্শনী আয়োজন করতে চায় উল্লেখ করে তিনি এ আয়োজনে বাণিজ্য উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়াও রাষ্ট্রদূত চীনের আয়োজনে সে দেশে অনুষ্ঠিত চায়না-ইউরোশিয়া বাণিজ্য প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সহায়তা চান।

আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত

আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি কুমিল্লা শাখার আয়োজনে “আর্থিক শিক্ষা ও আর্থিক সেবার" আওতায় স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পিং-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল দশটায় কুমিল্লা টমসম ব্রিজের ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী এই ক্যাম্পিংয়ের আয়োজন করা হয়। জাতীয় সংগীত ও কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। অনুষ্ঠান শুরুতেই প্রধান অতিথি সহ আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করেন আল আরাফাহ্ ব্যাংক পিএলসি কুমিল্লা শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী। আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক, ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট এবং মুখপাত্র,হুসনে আরা শিখা। বিশেষ অতিথি ছিলেন আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর প্রকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব সিএমএআইডি-২ এবং ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি উইং, একেএম আমজাদ হোসেন, ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপালস, ড. মোহাম্মদ শফিকুল আলম হেলাল, শেখ আসাদুল হক, সিনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট, এআইবি পিএলসি, এই সময় ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আর্থিক শিক্ষা,ও আর্থিক ব্যাংকিং আট্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। কুইজ প্রতিযোগিতায় ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের ৮ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্য থেকে প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সহ মোট সাতজনকে বাইসাইকেল সহ মোট সাতটি পুরস্কার প্রদান করা হয়।

রাউজানে ইসলামী ব্যাংকের নতুন শাখা উদ্বোধন

শরীআহ ভিত্তিক আধুনিক ব্যাংকিংয়ের সকল সুবিধা নিয়ে চট্টগ্রামের রাউজানে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর ৩৯৭তম শাখা হিসেবে পথেরহাট শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার এ শাখার উদ্বোধন করা হয়।অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বক্তব্য দেন।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব।ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে কল্যাণমুখী ব্যাংকিংয়ের উপর মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন শরীআহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মোহাম্মাদ আবদুস সামাদ।এতে আরও বক্তব্য দেন- ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মজনুজ্জামান।স্বাগত বক্তব্য দেন- ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম নর্থ জোনপ্রধান এম. জুবায়ের আজম হেলালী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পথেরহাট শাখাপ্রধান মোহাম্মদ নুরুল আবছার।আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক ধর্মপ্রিয় মহাথেরো, রাউজান প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক মীর আসলাম, সমাজসেবক মোহাম্মদ জানে আসলাম, শুভময় দাশ রাজু ও মোহাম্মদ শাহাজান মঞ্জু।এ সময় ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম সাউথ জোনপ্রধান মিয়া মোহা. বরকত উল্লাহ সহপ্রধান কার্যালয় ও বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যবসায়ী, শুভানুধ্যায়ী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক দেশের সর্ববৃহৎ ও শক্তিশালী ব্যাংক। নতুন বাংলাদেশে গ্রাহকরা ইসলামী ব্যাংককে আরো বেশি আস্থার ব্যাংক হিসেবে নিয়েছেন। গ্রাহকরা এখন নির্বিঘ্নে ইসলামী ব্যাংকের প্রতিটি শাখায় সেবা গ্রহণ করছেন।তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ব্যাংক। একঝাঁক সৎ, দক্ষ ও নিষ্ঠাবান কর্মী আধুনিক ব্যাংকিং প্রযুক্তির সমন্বয়ে ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দেশের অন্যান্য শাখার মতো পথেরহাট শাখায়ও ইসলামী ব্যাংকের সর্বজনীন ও কল্যাণধর্মী সেবাসমূহ গ্রাহকের কাছে নিরবচ্ছিন্নভাবে পৌঁছে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

চার মাসে উন্নয়ন খরচ কমেছে দশ হাজার কোটি টাকা

চলতি অর্থ বছরের প্রথম চার মাস (জুলাই-অক্টোবর) সময়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন হার প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা কমেছে। এই চার মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ২১ হাজার ৯৭৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা বা সাত দশমিক ৯০ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের একই সময়ে এটি ৩১ হাজার ৬৯২ কোটি ২৬ লাখ টাকা বাস্তবায়ন হয়েছিল। সেই হিসাবে নয় হাজার ৭১৪ কোটি নয় লাখ টাকা বা ৩০ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমেছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। আইএমইডি সূত্রে জানা গেছে, গেল চার মাসে এডিপি বাস্তবায়নে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১১ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা, বিদেশি ঋণের আট হাজার ২১০ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে এক হাজার ৯৭০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। চলতি অর্থ বছরের এডিপির আকার দুই লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আর মোট প্রকল্পের সংখ্যা হচ্ছে এক হাজার ৩৫২টি। গেল অর্থ বছরের প্রথম চার মাসে সরকারি তহবিল থেকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো ১৮ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা খরচ করেছিল। চলতি অর্থ বছরে এই খরচ কমেছে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। গেল অর্থ বছরের প্রথম চার মাসে বৈদেশিক সহা

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পেতে কাজ করছে সরকার

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পেতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন। রোববার (২৪ নভেম্বর) বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান তিনি। সেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘শ্রম আইন যুগোপযোগী করা, সব শ্রমিকের ইউনিয়ন করার সুযোগ দেয়া, ন্যুনতম মজুরি নিশ্চিত এবং কর্ম পরিবেশ যথাযথ করাসহ ১১ দফা বাস্তবায়ন করার তাগিদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।’ এ সময় বাণিজ্য সচিব আরো বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশের মত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে চাই। জিএসপি সুবিধা পেতে চাই।’

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

পাগলা ঘোড়ার গতিতে ছুটছে স্বর্ণের দাম। দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে দুই হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) থেকে নয়া এ মূল্য কার্যকর হবে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিউর গোল্ড) দাম বেড়েছে। ফলে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।’ নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের মূল্য পড়বে এক লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা। বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরো জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সাথে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত পাঁচ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ছয় শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে, গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এক সপ্তাহে শেয়ারবাজারে মূলধন কমল ১২ হাজার কোটি টাকা

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন গেল সপ্তাহে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা কমে গেছে। ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ১৫০ পয়েন্টের অধিক। সেই সঙ্গে কমেছে গড় লেনদেনের পরিমাণ। গেল সপ্তাহের পাঁচ কার্য দিবসেই লেনদেনে অংশ নেয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মূল্য কমেছে। ফলে, সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে সবগুলো সূচক। গেল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা, যা পূর্বের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ছয় লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। সূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। গেল সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয় ৪৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। পূর্বে সপ্তাহে যা ছিল ৫৫৪ কোটি টাকা।