ড. মাহবুবুল হকের মৃত্যুতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নাহিদসহ বিভিন্ন মহলের শোক
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৯:৫১ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২৪
খ্যাতিমান ভাষাবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রাবন্ধিক ও গবেষক ড. মাহবুবুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।
এক বিবৃতিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ বিগত শতকের '৬০ এর দশকে ছাত্র আন্দোলন, বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ড. মাহবুবুল হকের ভূমিকার কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি কমরেড অশোক সাহা ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমরেড নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়া।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ষাটের দশকে মাহবুবুল হক প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
৬৯’র এর গণঅভ্যুথানে তিনি একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি চট্টগ্রাম জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ন্যাপ-কমিউনিস্ট-ছাত্র ইউনিয়ন গেরিলা বাহিনীর সদস্য হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলা যুব ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ছিলেন। চট্টগ্রাম জেলা যুব ইউনিয়নের আহবায়কেরও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। জেলা সিপিবির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ছিলেন মাহবুবুল হক। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. চন্দন দাশ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শীলা দাশগুপ্ত।
এক শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে এসে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নিরলস ভূমিকা রেখেছেন। একসময় তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, চট্টগ্রাম জেলার সম্পাদকমন্ডলীর একজন সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি উদীচী চট্টগ্রাম জেলার একজন নিবেদিতপ্রাণ সদস্য হিসেবে একসময় দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে দীর্ঘসময় ধরে দেশের সকল গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের একজন নিরলস যোদ্ধা ছিলেন।
শিক্ষক ও গবেষক হিসেবে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা এবং গবেষণায় অনবদ্য তিনি ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলা ভাষার গবেষণা তাঁকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি দিয়েছে। এদেশে শুদ্ধ সংস্কৃতির চর্চা এবং প্রগতিশীল সংস্কৃতির সংগ্রামের ইতিহাসে তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। মাহবুবুল হকের মৃত্যুতে উদীচী পরিবার শোকাহত। তাঁর মৃত্যুতে দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে যে ক্ষতি হয়েছে, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।