রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরআন পুড়ালো দুর্বৃত্তরা
- রাজশাহী প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৩:৫০ পিএম, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সৈয়দ আমীর আলী হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হল ও মতিহার হলে কোরআনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১২ জানুয়ারি) সকালে প্রথমে জিয়া হলে, পরে মতিহার ও আমীর আলী হলের মুক্তমঞ্চে কোরআন পোড়ানো অবস্থায় পাওয়া দেখে প্রশাসনকে জানায় হলের শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের মসজিদে ও সৈয়দ আমীর আলী হলের মুক্তমঞ্চে কোরআন শরিফের প্রথম দুই-তিন পারা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
সৈয়দ আমীর আলী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফিরোজ হাসান বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, এটা ইচ্ছাকৃতভাবেই উস্কানিমূলক একটি ঘটনা। কোন একটা দল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও আমাদের মধ্যে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির উদ্দেশ্যেই এটা করেছে। আমরা চাই, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক ও দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।’
এ ব্যাপারে সৈয়দ আমীর আলী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুনর রশীদ বলেন, ‘রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হল সুপার আমাকে ঘটনা জানায়। কোন ধর্মের এমন অবমাননা করুক এটা আমরা সহ্য করব না। হল প্রশাসন একটা তদন্ত কমিটি গঠন করবে। এছাড়া, আমি উপাচার্যের সাথে কথা বলেছি, তিনি দুপুর ১২টায় মিটিং কল করেছেন। কোন একটা মহল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির পাঁয়তারা করছে। যারা এ ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে।’
ঘটনার বিষয়ে মতিহার হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সামিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। ভারপ্রাপ্ত যে আছে, তার সাথে কথা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করা হচ্ছে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’
তবে শহীদ জিয়াউর রহমান হল প্রাধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল কেটে দেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব জানান, এটা অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ। ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা এটায় কাজ করছে। আমি শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান করব। এ ধরনের ঘৃণিত কাজ যারা করেছে, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।’