জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলা: কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ঢাবি
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:০৯ এম, ২০ মার্চ ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী সবাইকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি কোনো শিক্ষক হামলায় পরোক্ষভাবে ইন্ধন দিয়েছিলেন কি-না তা তদন্তে নতুন দুইটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, ‘হামলাকারীদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হবে আর কারও ছাত্রত্ব শেষ হলে বাতিল হবে সনদ।’
এছাড়া বহিরাগত কেউ হামলায় জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও থানার মাধ্যমেই শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘কোনো অপরাধী যেন পার পেয়ে না যায়। আর কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যেন শাস্তি না পান তা নিশ্চিতের মাধ্যমে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ঢাবি ক্যাম্পাসে নারীসহ শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনা তদন্তে করা হয় সত্যানুসন্ধান কমিটি। সম্প্রতি তাদের প্রতিবেদনে ১২৮ জনের নাম এসেছে। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও বিশ্বিবদ্যালয় শাখা সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের হামলায় নির্দেশ ও সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে।
হামলাকারীর সংখ্যা আরও বেশি, কমিটির রিপোর্ট কেন তার পুরোপুরি তথ্য আসেনি- এমন প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের। উত্তরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, প্রাথমিক এ রিপোর্টের ভিত্তিতে নতুন তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। যাতে চিহ্নিত করা যাবে সব অপরাধীকে। শুধু শিক্ষার্থী নয়, হামলায় কোনো শিক্ষকের পরোক্ষ ইন্ধন ছিল কি না তা খতিয়ে দেখতেও হয়েছে আরেকটি কমিটি।
ঢাবির প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘হামলায় জড়িতদের বহিষ্কারের সুপারিশ থেকে অপরাধের ধরন অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে। তবে অপরাধী কারও ছাত্রত্ব শেষ হলে বাতিল হতে পারে তার সনদ। অন্য প্রতিষ্ঠানের যারা হামলায় অংশ নিয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই তার শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’
শুধু ঢাবি নয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও জুলাই আন্দোলনে হামলাকারী শিক্ষার্থী ও ইন্ধনদাতা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘স্বচ্ছ তদন্ত প্রক্রিয়ায় অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’ নিরপরাধ কারও প্রতি অবিচার না করারও পরামর্শ তার।
এছাড়া আবাসন সংকটসহ নানা সমস্যাকে পুঁজি করে ছাত্র সংগঠনগুলো যাতে কাউকে সহিংসতায় ব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য শিক্ষার্থীদের এসব সুবিধা নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আরও আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ এ বিশ্লেষকদের।