সাইফের ওপর হামলাকারী কি বাংলাদেশি, নতুন তথ্য দিলেন আইনজীবী
- বিনোদন ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:৪৫ পিএম, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলায় অবশেষে পুলিশি হেফাজতে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। মূল অভিযুক্ত বাংলাদেশের নাগরিক বলে ধারণা মুম্বাই পুলিশের। তবে এ প্রসঙ্গে ভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন আইনজীবী সন্দ্বীপ ডি শেরখান। সংবাদ এনডিটিভির।
পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের প্রথম দিন পেরোতেই জেরার মুখে দোষ স্বীকার করেছেন শেহজাদ। এরইমধ্যে রেকর্ড করা হয়েছে শেহজাদের বয়ান। বয়ানে দোষ স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ আমিই করেছি।’
রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাতে বলিউড তারকা সাইফের ওপর হামলা প্রসঙ্গে সিনিয়র পুলিশ অফিসার দীক্ষিত গেদাম সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘অপরাধী তার দোষ স্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন, তিনিই সাইফের হামলাকারী। ডাকাতির উদ্দেশেই তিনি এ হামলার ঘটনা ঘটান।’
শেহজাদের পরিচয় প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে পুলিশ অফিসার দীক্ষিত বলেন, ‘শেহজাদ একজন বাংলাদেশি নাগরিক। তার কাছে কোনো ভারতীয় কাগজপত্র নেই।’
পুলিশ অফিসার দীক্ষিত আরও বলেন, ‘শেহজাদের কাছে পাওয়া যেসব কাগজপত্র পাওয়া গেছে তাতে বোঝা যায়, তিনি একজন বাংলাদেশি নাগরিক। নাম পরিবর্তন করে বিজয় দাস হয়ে গত চার মাস ধরে তিনি মুম্বাইয়ে বাস করছেন।’
এদিকে, শেহজাদের আইনজীবী সন্দ্বীপ ডি শেরখান ভিন্ন তথ্য দিয়ে বলেছেন, ‘শেহজাদ চার মাস নয় বরং দীর্ঘ দিন ধরেই ভারতে বসবাস করছেন। ভারতে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্রই তার রয়েছে। শুধু তাই নয়, শেহজাদের পরিবারও ভারতেই থাকেন।’
শেরখান আরও বলেন, ‘তার মক্কেল বাংলাদেশি নন। যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে তার পুরোটাই অনুমান নির্ভর।’
৩০ বছর বয়সী শেহজাদকে সাইফের বাড়ির ৩৫ কিলোমিটার দূর থেকে আটক করে পুলিশ। এরপর তাকে বান্দ্রার আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন সাইফ আলি খান। হামলার পর রক্তাক্ত সাইফকে ভর্তি করা হয় লীলাবতী হাসপাতালে। সেখানে সফল অস্ত্রোপচার শেষে এখন লীলাবতী হাসপাতালেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিচ্ছেন সাইফ। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) হাসপাতাল ছাড়তে পারেন ভারতের ছোট নবাবখ্যাত এ বলিউড তারকা।