অনন্ত জলিলের দাবি মিথ্যা, বললেন প্রেস সচিব
- বিনোদন ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৪:০৮ পিএম, ২০ মার্চ ২০২৫

পোশাক কারখানা সংশ্লিষ্ট দেশের ২৪০টি গ্রুপ বন্ধ হয়ে গেছে বলে ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল যে দাবি করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে প্রেস সচিব তার ফেসবুক ভেরিফাইড প্রোফাইলে পোস্ট দিয়ে এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, `অনন্ত জলিলের সরকার থেকে কিছু সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করার আগে সঠিক তথ্য জানা উচিত। পোশাক কারখানার ২৪০টি গ্রুপ বন্ধ হয়ে গেছে বলে তার যে দাবি তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এছাড়া বাংলাদেশি কারখানা প্রতিদিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেটিও অসত্য। হাজার হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছে বলে তার দাবি, সেটিও ভুল তথ্য।'
প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রকৃত তথ্য হলো, গত সাত মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও শিল্প পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সপ্তাহে গাজীপুর, আশুলিয়া ও সাভারের প্রায় ৯৯ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল।’
সরকারের দাবি মিথ্যা হলে অনন্ত জলিলকে তার তথ্য ও পরিসংখ্যান উপস্থাপন করার জন্য অনুরোধ জানান শফিকুল আলম।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে আলোচিত নায়ক ও গার্মেন্টস মালিক অনন্ত জলিল বলেন, ‘তৈরি পোশাক কারখানা-সংশ্লিষ্ট ২৪০টি গ্রুপ অব কোম্পানি বন্ধ করে মালিকেরা চলে গেছেন।’
সাভারের হেমায়েতপুরে অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন এজেআই এবং এবি গ্রুপে সাম্প্রতিক সময়ে শ্রমিক অসন্তোষ, কারখানায় ভাঙচুর ও কর্মকর্তাদের মারধরের প্রতিবাদে বুধবার (১৯ মার্চ) সংবাদ সম্মেলন করেন অনন্ত জলিল।
এ সময় তিনি বলেন, ‘বিজিএমইতে যদি ৯৮ শতাংশ ভালো থাকে তাহলে ২ শতাংশ লোক আছে, যারা এই শ্রমিক নেতাদের সাথে মিশে লিড দেয়ার চেষ্টা করে, দলাদলি করার চেষ্টা করে। গার্মেন্টস কোনো রাজনীতির বস্তু না। এটা ইন্ডাস্ট্রি, এইটা কোনো রাজনীতির খেলার মাঠ না।’
গার্মেন্টস মালিক অনন্ত জলিল অভিযোগ করে বলেন, ‘বাংলাদেশটাকে অচল করার জন্য যারা এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা নিজেরাও জানেন না তারা কত বড় ক্ষতি করছেন তাদের নিজেদের, দেশের এবং মানুষের। আর এই শ্রমিক ভাইয়েরা তাদের (যারা ক্ষতি করছে) কথায় আনন্দ করে করে ফ্যাক্টরি ভাঙচুর করতেছে, অগ্নিসংযোগ করতেছে। কয়দিন পর তারা কী খাবে তারা নিজেরাও জানে না।’
অনন্ত জলিল দাবি করে বলেন, ‘২৪০টি গ্রুপ অব কোম্পানি বন্ধ করে চলে গেছেন (মালিকেরা)। লাখ লাখ লোক বেকার হয়ে গেছে। এই লাখ লাখ লোক বেকার হওয়াতে বাংলাদেশে এখন ছিনতাই বেড়ে গেছে, সন্ত্রাসী বেড়ে গেছে। আমার ইন্ডাস্ট্রি যদি এইখানে বন্ধ হয়ে যায়, এই ১২ হাজার লোকের যে কত লোক এইখানে সন্ত্রাসী হয়ে যাবে কল্পনাও করতে পারবেন না।’