জন্মদিনে নিশোর চলচ্চিত্রের ঘোষণা, নায়িকা দুইজন

প্রচণ্ড হওয়া, তুমুল আওয়াজ! হেলিকপ্টারের দরজা খুলে মাটিতে পা রাখলেন আফরান নিশো। ঝুটি বাঁধা চুলে দেখা গেল তাকে। জন্মদিনে জানান দিলেন, বড় পর্দায় আসছেন তিনি। সঙ্গে দুই নায়িকা, সুনেরাহ বিনতে কামাল ও তমা মির্জা। দেড় বছরেরও বেশি সময় কোথাও দেখা যায়নি নিশোকে। এ সময়ের মধ্যে দুইটি চলচ্চিত্রের খবর, আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বড় চুলের ছবি নিয়ে শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা। এরই মাঝে খবর আসে, শিহাব শাহীনের নতুন চলচ্চিত্রে যুক্ত হয়েছেন আফরান নিশো। ছবির নাম ‘দাগি’। আজ (৮ ডিসেম্বর) রোববার অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। এই দিনে অনুরাগীদের মন ভাল করে তিনি জানালেন, আসছে ঈদুর ফিতরে বড় পর্দায় ফিরছেন তিনি। প্রচারণার এক ভিডিওটিতে নিশোকে বলতে দেখা গেছে, ‘এত দিন নাকি অনেক খুঁজতেছিলা? এত সহজে খুঁজে পাইলে কি আর দাগি হয়? ক্যালেন্ডারে দাগ কাইটা রাখো, এই দাগির সাথে দেখা হবে ঈদে!’ গল্পনির্ভর চলচ্চিত্র ‘দাগি’। এটি মূলত একজন হিরোর গল্প। নির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, ‘মুক্তি আর প্রায়শ্চিত্যের গল্প এটি। দর্শককে নতুন কিছু দেখানোর চেষ্টা করেছি। এই ধরনের গল্প এখানকার দর্শক আগে দেখেননি। গত দুই বছর ধরে গল্পটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’ নায়িকা তমাও দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বড় পর্দায় অনুপস্থিত। এরই মধ্যে বহু চলচ্চিত্রের প্রস্তাব পেলেও সেসবে সাড়া দেননি তিনি। তমা বলেন, ‘এটা আমার জন্য একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জের ও প্রশান্তির। দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছি কি না, সেটা একটা চ্যালেঞ্জ, অন্য দিকে প্রশান্তি হল দেরি করে ফিরলেও একটা ঠিকঠাক প্রোডাকশনে ফিরতে পারছি। ‘দাগি’র গল্পটা অনেক ভাল লেগেছে আমার। কার বিপরীতে কাজ করছি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ না, আমার কাছে গল্প ও পরিচালক গুরুত্বপূর্ণ।’ দর্শকের প্রত্যাশা কি মেটাতে পারবে দাগি? এমন প্রশ্নে চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রযোজক চরকির প্রধান নির্বাহী রেদওয়ান রনি বলেন, ‘এখন এতটুকু বলতে পারি, ‘দাগি’র গল্পটা অসাধারণ। শিহাব শাহীন একজন পরীক্ষিত নির্মাতা। সব মিলিয়ে কাজটি নতুন একটা স্ট্যান্ডার্ড সেট করবে। আমি আশাবাদী।’ নিজের নতুন চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে আফরান নিশো বলেন, ‘আমি সব সময়ই চাই, গাতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে চলচ্চিত্র করতে, যেখানে গল্পটাও একটা চরিত্র হবে। সেই দিক থেকে দাগির গল্প আমার কাছে অন্য রকম লেগেছে।’

উইল স্মিথ, এমিলিদের সাথে মেহজাবীন

সৌদি আরবের জেদ্দায় বসেছে রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের চতুর্থ আসর। এবারের আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত চলচ্চিত্র ‘সাবা’। মা-মেয়ের সম্পর্কের গল্পের এ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন মাকসুদ হোসাইন। সেখানে গিয়ে মেহজাবীনকে হলিউডের অভিনয়শিল্পীর সাথে ফ্রেমবন্দি হতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে বসেছে উৎসবটির চতুর্থ আসর। চলবে আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১২ দিনের এই আয়োজনে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র স্থান পেয়েছে, যা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল আনন্দের উপলক্ষ। আয়োজনের লাল গালিচায় ইতোমধ্যে আলো ছড়িয়েছেন ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ তারকা ভিন ডিজেল, মিশেল রড্রিগেজ, অস্কারজয়ী মার্কিন অভিনেতা উইল স্মিথ, অস্কারজয়ী মালয়েশিয়ান অভিনেত্রী মিশেল ইয়ো, অস্কার মনোনীত ব্রিটিশ অভিনেত্রী এমিলি ব্লান্ট, অস্কারজয়ী মার্কিন ফিল্মমেকার ও চিত্রনাট্যকার স্পাইক লি, বলিউডের আমির খান, কারিনা কাপুরসহ অনেকেই। এ দিকে, সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে মেহজাবীনের পোস্ট করা সেলফিতে চোখ আটকে যায় ভক্তদের। তাতে দেখা যায়, হলিউডের তারকা উইল স্মিথ, ব্রিটিশ অভিনেত্রী এমিলি ব্লান্টদের। তাদের সাথে ফ্রেমবন্দি হন মেহজাবীন। রোববার (৮ ডিসেম্বর) আয়োজনটির লাল গালিচায় হাঁটবেন বলিউডের রণবীর কাপুর ও বাংলাদেশের মেহজাবীন। এ দিনই তার চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে এবং প্রদর্শনী শেষে কনফারেন্স রুমে সময় দেবেন এই বাংলাদেশি তারকা।এবারের উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন ড্যানিয়েল রহমে ও হাকিম জামা এবং পরিচালনা করেন জোমানা আল-রশিদ, রেড সি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আসেরি, রেড সি ফিল্ম ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং শিভানি পান্ডিয়া মালহোত্রা। এবার উৎসবে ৮৫টি দেশের ৪৯ ভাষার ১২২টি চলচ্চিত্র দেখানো হবে।

কাকুর বয়সী লোক কোমরে হাত দেয়

ভারতের টিভি চ্যানেল জি বাংলার মিঠাই ধারাবাহিকের সুবাদে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেছেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু। তার অনুসারীর সংখ্যা কম নয়। আবার সমালোচনাও সারাক্ষণ ঘিরে থাকে। তবুও, ক্যারিয়ারে একের পর এক মাইলফলক ছুঁয়ে চলেছেন তিনি। দেবের হাত ধরে গত বছরের শেষে বড় পর্দায় পা দিয়েছিলেন। এবার ওটিটি প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছেন। হইচই-তেও শুক্রবারই (৬ ডিসেম্বর) মুক্তি পেয়েছে সৌমিতৃষার অভিষেক সিরিজ কালরাত্রি। ছোট পর্দার এই সফল নাকি এখন বডিগার্ড সাথে নিয়ে ঘোরেন। তা নিয়েও কটাক্ষের মুখে পড়েছেন। পুরোটাই ‘লোক দেখনো’ এমন বিদ্রুপ করছেন নেটিজেনরা। ব্যাপারটি নিয়ে এবার নিন্দুকদের পালটা উত্তর দিলেন সৌমিতৃষা। জানালেন, নিজের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখতে বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, বহু বার অপ্রীতিকর ঘটনার মুখে পড়েছেন তিনি। এ নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সৌমিতৃষা বলেন, ‘পর্দায় একে অপরকে ছুঁই। তাই, যে খুশি এসে যেন ছুঁতে পারে। আমি যখনই মেয়েদের সঙ্গে ছবি তুলি তাদের জড়িয়ে ধরি তখন এমন হয়েছে, কিছু ছেলে বা কাকুর বয়সি লোক এসে কোমরে হাত দেয়।’ সৌমিতৃষা স্পষ্ট বলেন, ‘আমি তো একটা মেয়ে, আমাকে যদি অন্যরকমভাবে কেউ ছুঁতে চায়, আমি বাধা দিতে পারব না। আমার সঙ্গে যে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকেন তারা পারবেন। আর তারা সেটাই করেন। সে কারণেই বডিগার্ড রেখেছি।’ ব্যক্তিগত জীবনকে আড়ালেই রাখতে ভালবাসেন সৌমিতৃষা। তার বন্ধুর সংখ্যা হাতে গোনা। ক্যারিয়ারেই এখন মূল ফোকাস। ছোট পর্দায় এখনই ফিরতে চান না। তবে ২-৩ মাস ধরে সিরিয়াল বন্ধ হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি। নায়িকার কথায়, ‘আমাদের বুঝতে হবে, কী কারণে দর্শক মুখ ফেরাচ্ছেন। জানি, আমাদের টলিউডে হাতগোনা কয়েকটা চ্যানেল ও প্রযোজনা সংস্থা আছে। সেখানেই কাজ হয়। আমি চাই, ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সবাই কাজ পাক। কাউকে যেন পাঁচ-ছয় মাসের বেশি বসে থাকতে না হয়।’ সৌমিতৃষাকে আগামিতে দেখা যাবে ১০ই জুন চলচ্চিত্রে। সেখানে তার বিপরীতে রয়েছেন অভিনেতা সৌরভ দাস।

অনেক কিছু ঘটেছে আমার সঙ্গে, আলহামদুলিল্লাহ আফসোস নেই: পরীমণি

ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়িকা পরীমণি। প্রেম, বিয়ে কিংবা বিচ্ছেদের কারণে বারবার হয়েছেন সংবাদের শিরোনাম। বর্তমানে ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবে বেশ আনন্দেই সময় কাটছে তার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার প্রেম, বিয়ে ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারে পরীমণি বলেন, মানুষ আমার প্রেমে পরে আমি পরি না। নায়কদের সঙ্গে প্রেম হয় না। একজনের সঙ্গে হয়েছিল, বাচ্চা হওয়ার পরে সব শেষ। এসব নিয়ে আমার অনুশোচনা হয় না। তিনি বলেন, খুব সাধারণ জীবন যাপন করার চেষ্টা করি। আমার পাশে সেরকম কোনো মানুষ নেই যে কাঁধে হাত রেখে সান্ত্বনা দিবে যখন কান্না করি। আমার নিজে নিজে কান্না বন্ধ করতে হয়। অভিনেত্রী বলেন, যদি বুঝতাম আমরা কী চাই তাহলে জীবনটা অনেক সাজানো গোছানা থাকতো কোনো ভুল থাকতো না । আমি মরে যায়নি পাগল হয়ে যাওয়ার কথা ছিল উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, অনেক কিছু ঘটেছে আমার সঙ্গে তবে আলহামদুলিল্লাহ কোনো আফসোস নেই। আমি জীবনকে অনেক সহজ করে দেখি। পরী আরও বলেন, দুঃখ হয় কান্না পাই আমিও তো মানুষ। যা মানুষের হয় আমারও তা হয় পরী বলে তো আসলে পরীদের মতো জীবন যাপনা না আমার মানুষের মতো জীবন যাপন করি। বাঁচতে ভালোবাসি আমার জীবনটাকে অনেক ভালোবাসি। যে জীবনকে ভালোবাসে তার তো এগিয়ে যেতে হবে। আমি সবার সাথে কথা বলতে পারিনি আমার কথা বলার আলাদা জোন আছে। আমি দুই চার মিনিটে বুঝে যায় আসলে তার সাথে আমার এক ঘণ্টা কথা বলার জায়গাটা আছে না নেই। আমার যেখানে জমবে না আমি ওখানে থাকি না। প্রসঙ্গত, মুক্তির অপেক্ষায় আছে নায়িকা হিসেবে পরীমণির প্রথম চলচ্চিত্র ‘ফেলুবক্সী’। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন দেবরাজ সিনহা। নতুন এই চলচ্চিত্রটিতে পরীমণি জুটি বেঁধেছেন কলকাতার দর্শকপ্রিয় নায়ক সোহমের সঙ্গে।

বাংলাদেশে কেউ হিন্দুদের ওপর নির্যাতন করছে না বললেন কবির সুমন

জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম বাংলাদেশকে নিয়ে নানা মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ‘নির্যাতনের’ হচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ হচ্ছে। এর মাঝেই সোমবার হঠাৎই আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভাঙচুর ও পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে। এতে আরও উত্তেজনা তৈরি হয় দু’দেশের মধ্যে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের গীতিকার এবং সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। কিছুদিন আগে পতাকা অবমাননা নিয়ে ফেলানী হত্যার প্রসঙ্গ টেনে কবীর সুমন প্রশ্ন তুলেছেন, ‘সীমান্তের কাঁটাতার-বেড়া থেকে ফেলানী যখন ঝুলছিলেন, কিসের কার অবমাননা হচ্ছিল তখন?’ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক পোস্টে কবীর সুমন লিখেন, আমি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। কিন্তু আমি মানুষ হতে চাই। মুসলমানেরা আমার ও আমার পরিবারের ওপরে অত্যাচার করেনি জেঠু। আমার প্রনাম নেবেন। কথাগুলো একটু আগে আমায় লিখে জানিয়েছেন আমার স্নেহভাজন এক নবীন বাংলাদেশি বন্ধু। তার নাম আমি প্রকাশ করছি না। মাঝেমাঝে তিনি কলকাতায় এসে আমার সঙ্গে দেখা করে যান। তার পরিচয় জানলে আমার দেশে তার কপালে কী জুটবে কে জানে। বাংলাদেশের মুসলমান আর হিন্দুদের সম্পর্কে মিথ্যে কথা প্রচার হচ্ছে উল্লেখ করে কবীর সুমন বলেন, মিথ্যা প্রচার শেষ পর্যন্ত পরাজিত হবে। ভারত থেকে যারা বাংলাদেশের মুসলমান আর হিন্দুদের সম্পর্কে মিথ্যে কথা প্রচার করে চলেছে তারা জেনে রাখুক মিথ্যে প্রচারে শেষ পর্যন্ত কোনো কাজই হয় না, পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালি এবং আরজি কর নিয়ে অকথ্য অনর্গল মিথ্যে প্রচার যেমন প্রচারকদের কোনো সুবিধেই ডেকে আনেনি’। শেষ কবির সুমন লেখা শেষ করেন এভাবে, ‘জয় ভালোবাসা! কবীর’। প্রসঙ্গত, কবীর সুমন একজন ভারতীয় বাঙালি গায়ক, গীতিকার, অভিনেতা, বেতার সাংবাদিক, গদ্যকার ও সাবেক সংসদ সদস্য। তার পূর্বনাম সুমন চট্টোপাধ্যায়। ২০০০ সালে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে তিনি তার পুরোনো নাম পরিত্যাগ করেন। কবীর সুমন একজন বিশিষ্ট আধুনিক ও রবীন্দ্রসংগীত গায়ক। ১৯৯২ সালে তার তোমাকে চাই অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি বাংলা গানে এক নতুন ধারার প্রবর্তন করেন। তার স্বরচিত গানের অ্যালবামের সংখ্যা বিশ এর ওপরে। সংগীত রচনা, সুরারোপ, সংগীতায়োজন ও কণ্ঠদানের পাশাপাশি গদ্যরচনা ও অভিনয় ক্ষেত্রেও তিনি স্বকীয় প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন। তিনি একাধিক প্রবন্ধ, উপন্যাস ও ছোটোগল্পের রচয়িতা এবং হারবার্ট ও চতুরঙ্গ প্রভৃতি মননশীল ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের রূপদানকারী।

মারা গেছেন বরেণ্য গীতিকার-সুরকার ‌আবু জাফর

‌‘এই পদ্মা, এই মেঘনা, এই যমুনা সুরমা নদী তটে। আমার রাখাল মন, গান গেয়ে যায় এই আমার দেশ, এই আমার প্রেম আনন্দ বেদনায়, মিলন বিরহ সংকটে’—অসাধারণ এ গানের গীতিকার-সুরকার আবু জাফর আর নেই।৮২ বয়সী এই গীতিকবি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে মারা যান (ইন্না লিল্লাহি... রাজিউন)।তাঁর মেয়ে জিয়ান ফারিয়া তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এই সুরকার। তিনি এক মেয়ে ও তিন ছেলে রেখে গেছেন। সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন তাঁর সাবেক স্ত্রী।‘তোমরা ভুলেই গেছ মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়েসহ অসংখ্য কালজয়ী গানের গীতিকার, সুরকার আবু জাফর।তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার, কবি ও সংগীতশিল্পী। পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপকও ছিলেন তিনি। কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবু জাফর। তার বাবা খোন্দকার মো.জমির উদ্দিন। রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন আবু জাফর। শ্রোতা-দর্শক মহলে তুমুল সাড়া ফেলে তার রচিত দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গানগুলো। একাধিক কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। এর মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ অন্যতম। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের মধ্যে স্থান পেয়েছিল আবু জাফরের এই গানটি।

টিকটকার মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে

ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ। ফলে মামলায় প্রিন্স মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান তদন্ত শেষে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ সংক্রান্ত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। পরে সেটি বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ পাঠানো হয়। বিষয়টি আদালত সূত্রে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জানা গেছে। এর আগে গত ৯ জুন রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন লায়লা। মামলার পরদিন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শুনানি শেষে জামিন ও রিমান্ড উভয় নামঞ্জুর করে এ টিকটকারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ১ জুলাই জামিনে মুক্তি পান তিনি। বর্তমানে জামিনেই আছেন। তদন্তে যা পাওয়া গেছে: আসামি প্রিন্স মামুন একজন টিকটকার। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে একজন টিকটকার হিসেবে পরিচিত তিনি। অপরদিকে বাদি লায়লা ফেসবুকে বেশ পরিচিত মুখ। তিনি বিবাহিত। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না থাকার জন্য ফ্ল্যাটে সন্তানদের নিয়ে একাই থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয় লায়লার। পরে একপর্যায়ে লায়লার সঙ্গে মিডিয়াতে কাজ করার আগ্রহ পোষণ করেন টিকটকার মামুন। এরপর ২০২২ সালের শুরুর দিকে একসঙ্গে পথচলা শুরু করেন মামুন ও লায়লা। পরবর্বীতে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। যা পাকাপোক্ত করার জন্য দু’জনই একসঙ্গে লায়লার বাসায় থাকা শুরু করেন। মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে। সম্পর্ক ঘনিভূত হওয়ার কারণে আইডি, এনআইডি, পাসপোর্টসহ অন্যান্য কাগজপত্রে লায়লার ঠিকানা ব্যবহার করতে থাকেন মামুন। এরপর বিয়ে করবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একই ফ্ল্যাটে বসবাস করতে থাকেন। আর একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করেন। যা কিনা প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিলেছে। এর আগে মামলার অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মত নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায় তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দেই। ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে একাধিকবার আমার সঙ্গে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করে। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতো। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আমার শয়ন কক্ষে আগের মতো আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীসময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।

মর্মান্তিকভ মৃত্যু অভিনেত্রীর, জানা গেল চাঞ্চল্যকর কাহিনি

একটি বিতর্কিত আধ্যাত্মিক পরিষ্কারের রীতিতে অংশ নেয়ার পর মর্মান্তিকভাবে মারা গেছেন মেক্সিকান তারকা অভিনেত্রী মার্সেলা আলকাজার রদ্রিগেজ। গেল ৩০ নভেম্বর মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৩ বছর। সংবাদ দ্য ট্রিবিউন এক্সপ্রেসের। দক্ষিণ আমেরিকার ঐতিহ্যবাহী রীতি ও অনুষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ‘কাম্বো’তে একটি বিষাক্ত পানীয় পান করেছিলেন মার্সেলা। এই রীতির অনুসারীরা বিশ্বাস করেন, তাদের এই অনুশীলন শরীরকে বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্তি দেয়। শর্ট ফিল্মে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য দর্শকমহলে পরিচিত এ অভিনেত্রী। তার অংশ নেয়া রীতিতে অ্যামাজনিয়ান প্রজাতির ব্যাঙের বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। যা পান করার পর বা শরীরে প্রবেশের পর বমি ও ডায়রিয়াসহ মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়ে থাকে। কাম্বো রীতি অনুশীলনে প্রাণনাশের হুমকি থাকায় কয়েকটি দেশে নিষিদ্ধ এটি। এরপরও কিছু কিছু অঞ্চলে আদিবাসী সম্প্রদায়গুলো দীর্ঘ দিন ধরে ওষুধের উদ্দেশ্যে বিষ ব্যবহার করে থাকে। এ দিকে জানা গেছে, মার্সেলা ব্যাঙের বিষ পানের পর গুরুতর অসুস্থ হয়েছিলেন। বমি ও ডায়রিয়া হয়েছিল তার। প্রথমে কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে তা প্রত্যাখ্যান করেন। তবে, পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পর চিকিৎসা নিতে সম্মতি জানিয়েছিলেন। এরপর রেড ক্রস হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু, বিষের প্রভাবে মৃত্যু হয় এ মেক্সিকান তারকার। প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন জানিয়েছেন, সেখানে একজন শামান ছিলেন। যিনি দাবি করেছেন, অভিনেত্রীকে ছেড়ে যেতে পারবেন না। তবে, তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তিনি পালিয়ে যান। আর এ ঘটনায় ওই শামানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা, সেটি খতিয়ে দেখছে স্থানীয় পুলিশ। মার্সেলার মৃত্যু প্রাচীন আধ্যাত্মিক রীতির সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায় সচেতন হওয়ার বিষয়গুলো সাড়া ফেলছে সবার মধ্যে। প্রযোজনা সংস্থা ম্যাপাচে ফিল্মসে কাজ করেছিলেন মার্সেলা। সংস্থাটি এ অভিনেত্রীর অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে।

জামদানি পরে কটাক্ষের শিকার, মুখ খুললেন জয়া

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মন ছুঁয়ে যান এই তারকা। ভারতের মুম্বাইয়ে রোববার (১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডসের পঞ্চম আসর। আয়োজনে সিরিজ, চলচ্চিত্র ও ক্রটিকস- এই তিন ক্যাটাগরিতে ৩৯টি পুরস্কার পান তারকারা। বলিউড ও টালিউডের তারকাদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে ছিলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসান। ‘ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’-এ তিনি পেয়েছেন বিশেষ পুরস্কারও। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামদানি পরে ভারতের মঞ্চে উঠেছেন জয়া। জামদানিকে ব্যতিক্রম নকশায় গায়ে চড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এর কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেন এই তারকা। সেই ছবি ঘিরে আলোচনা এখন তুঙ্গে। কারণ, জয়ার পরনে যে শাড়িটি রয়েছে, তার নকশা ও শাড়ি পরার ধরনটি একটু আলাদা হওয়ায় কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন তিনি। এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন জয়া। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি, অনেকে এটা নিয়ে কথা বলছেন। আমরা আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার যদি ফিউশন করে খেতে পারি, যেমন পিঠা বা মাছ তো আমরা ফিউশন করে খাই। তাহলে আমাদের দেশের কস্টিউম কেন ফিউশন করে পরতে পারব না? কেউ তো দাসখত দেয়নি যে, জামদানি এভাবে পরা যাবে না, ওভাবে পরা যাবে না। জামদানি যদি স্কার্ট হয়, জ্যাকেট হয় তাহলে এভাবে পরলে সমস্যা কোথায়। আমরা যত ফিউশন করব, তত বাইরের দেশের কাছে উপস্থাপন করতে পারব। এটার চাহিদা বহু বেড়ে যাবে। এসব ভেবেই আমি জামদানির এই ফিউশন করেছি। দেখুন, কয়েক বছর আগেও জামদানির এতটা চাহিদা ছিল না। কিন্তু, এখন জামদানির এত চাহিদা যে, মনে হয় এটা শুধু একটি শাড়ি নয়, এটা অলংকারের মত। একটা মেয়ে চায়, তার ঘরে একটা সুন্দর দামি জামদানি থাকুক।’ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘এটাই প্রথম নয়, আমি যতটুকু পারি জামদানি, মসলিন পরার চেষ্টা করি। এই লুকটারও একটা বিষয় ছিল। পুরানে যেসব মেয়েরা যুদ্ধ করত, তাদের যে লুক সেই লুকেই আমি সেজেছিলাম এবং সেটা ইচ্ছে করেই। এমনকি পরিচালক সুজয় ঘোষও আমার লুকের প্রশংসা করেছিলেন।’ ফিল্মফেয়ারের এবারের আসরে উপস্থিত ছিলেন কারিনা কাপুর, অভিষেক বচ্চন, বিজয় ভার্মা, মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহাসহ অনেকেই। তাদের মধ্যে স্বমহিমায় ছিলেন জয়া। সঞ্চালকও মঞ্চে ডেকে নিয়েছিলেন তাকে। সম্বোধন করেছেন ‘ফাইন অ্যাকট্রেস অব বেঙ্গল’ বলে।

বিমান ছিনতাইয়ে গিয়ে স্বামী নিহত, মুখ খুললেন সিমলা

২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৭ উড্ডয়নের পর ছিনতাই করতে গিয়ে নিহত হয়েছিল চলচ্চিত্রনায়িকা সিমলার স্বামী পলাশ আহমেদ। বোমাসদৃশ বস্তু ও অস্ত্র দেখিয়ে বিমানটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। এ ঘটনায় সে সময় সংবাদ মাধ্যমকে কমান্ডো অভিযানে থাকা বিমানবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ছিনতাইয়ের সময় সিমলার সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন পলাশ। পরে আট মিনিটের কমান্ডো অভিযানে নিহত হন চিত্রনায়িকার স্বামী। এ দিন বিমান থেকে একটি খেলনা পিস্তল ও কিছু বিস্ফোরকসদৃশ বস্তু আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনা নিয়ে ফের কথা বলেছেন সিমলা। অভিনেত্রী বলেন, ‘পৃথিবীতে ভালবাসার জন্য এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেছে কি না বলতে পারি না। তবে, আমি বিষয়টি নিয়ে গর্ব করছি না। কারণ, এটি আমার জন্য কষ্টের।’ সিমলা আরও বলেন, ‘আমি চাই না কখনও আমার জন্য কেউ এসব করুক। বেঁচে থাকতে আর কখনোও এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে চাই না। আমাকে ভালবাসলে একটা ফুলই যথেষ্ট।’ পুলিশের তদন্ত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ মার্চ পলাশকে বিয়ে করেন সিমলা। কিন্তু, পলাশ তার আগের বিয়ের খবর অভিনেত্রীর কাছে গোপন রেখেছিলেন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে একই বছরের ৬ নভেম্বর তাকে ডিভোর্স দেন সিমলা। ডিভোর্সের পর মূলত ‘হতাশা’ থেকে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন পলাশ। এ ঘটনায় সিমলাকে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘বিয়ের পর মনে হয়েছিল মানসিক সমস্যা আছে পলাশের। তাই, ডিভোর্স দিই। তবে, কী কারণে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিলেন, তা বলতে পারছি না।’ সে সময়ে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছিল বিমান ছিনতাইয়ের এই ঘটনা। উড়োজাহাজ ‘ময়ূরপঙ্খী’ বিমান ছিনতাইচেষ্টা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন তদন্ত শেষে আদালতে জমা দেয় পুলিশ। তদন্তে ৭৯ জনের সাক্ষ্য ও বিভিন্ন আলামত পরীক্ষার পর জানা যায়, সাবেক স্ত্রী সিমলা ডিভোর্স দেওয়ার পরই হতাশা থেকে বিমান ‘ছিনতাইয়ের’ নাটক করেন পলাশ।

এবার কলকাতায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পীকে বয়কটের ডাক

হাসপাতাল-হোটেলের পর এবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার মাটিতে বাংলাদেশি রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দেয়া হয়েছে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর কলকাতা সংলগ্ন মধ্যগ্রামের সুভাষ ময়দানে শুরু হবে ১৯তম পরিবেশ সচেতনতার মেলা। উদ্বোধনী সন্ধ্যায় শিল্পীর তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার অনুরাগী শুধু বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়। পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, পৃথিবীর যে প্রান্তে বাঙালিরা রয়েছেন, তাদের কাছে রেজওয়ানা অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম। ফলে, এ বারের মেলার স্টার অ্যাট্রাকশন ছিলেন তিনিই। আর সেই অনুষ্ঠানের এক পোস্টার নিয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের শুরু বিতর্কের ঝড়। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে অনুষ্ঠান করতে দিতে নারাজ মধ্যমগ্রামের হিন্দুত্ববাদীদের একাংশ। হিন্দুত্ববাদীদের পাল্টা কড়া অবস্থান নিয়ে আয়োজকদের ঘোষণা প্রয়োজনে দ্বিগুণ নিরাপত্তা নিয়ে অনুষ্ঠান হবে। কিন্তু, বয়কট হবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট করে হিন্দুত্ববাদীরা পৌরসভার কাছে আবেদন করেছেন, যাতে বন্যাকে অনুষ্ঠান করতে দেয়া না হয়। শুধু এখানেই শেষ নয়, মধ্যমগ্রাম নাগরিক সমাজ নামে ফেসবুক পেজে পোস্ট করে তারা জানিয়েছে, যদি ওই শিল্পী অনুষ্ঠান করে তাহলে এবারে পরিবেশ মেলা তারা বয়কট করবে। ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে মধ্যমগ্রাম পুরসভার কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আগামী ২৮ ডিসেম্বর মধ্যমগ্রাম পরিবেশ মেলায় বাংলাদেশের এই শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার গান পরিবেশনা অবিলম্বে বাতিল করা হোক। বাংলাদেশের কোন শিল্পীকে দয়া করে কোন অনুষ্ঠান করতে দেবেন না। আগে দেশ, তারপর সব। অনুগ্রহ করে বিষয়টি ভেবে দেখবেন।’ স্বাভাবিকভাবেই ফেসবুকে এই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৮০ হাজারের বেশি হয়ায় পোস্টটি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। তারপরেই এ নিয়ে শুরু হয় চর্চা। এ ব্যাপারে মধ্যমগ্রাম নাগরিকবৃন্দ ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন রূপক দে বলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চলছে, আমাদের দেশের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করছেন সেদেশের কট্টরপন্থীরা। এ পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের কোন শিল্পীরাই প্রতিবাদ করছেন না। আমাদের কাছে জাতীয়তাবোধ আগে। তাই, আমরা বাংলাদেশের শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীতানুষ্ঠান নিয়ে আপত্তি জানিয়েছি।’ এই বিষয়ে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, ‘যে কোন দেশের শিল্পীকেই আমরা শ্রদ্ধা করি। আমরা শিল্পীদের নিয়ে বিভাজনের রেখা টানতে চাই না। এটা বাঙালি, বিশেষ করে সঙ্গীত অনুরাগীদের সংস্কৃতি নয়। যারা বিভাজনে বিশ্বাস করেন, তারা করতেই পারেন। তবে, এটা ঠিক নয়।’ এ নিয়ে পৌরসভার কাছে কেউ আপত্তি তোলেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এবার শুটিং ইউনিটে ঢুকে সালমানকে হুমকি

বলিউডের অভিনেতা সালমান খানকে ফের হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তবে, এবার আর টেলিফোন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নয়। সরাসরি শুটিংয়ের সেটে ঢুকে! সংবাদ হিন্দুস্থান টাইমসের। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে মুম্বাইয়ের দাদর এলাকার জোন-৫-এ সালমানের শুটিং লোকেশনে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ঢুকে পড়েন। সে সময় সালমান নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ জানায়, ইউনিটে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে ওই ব্যক্তি লরেন্সের নাম করে হুমকি দেন। এরপর তাকে আটক করা হয়। পরে শিবাজি পার্ক থানার পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। কিছু দিন আগে মহারাষ্ট্রের এনসিপির নেতা বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে খুন করা হয় মুম্বাইয়ের বান্দ্রায়। সেই খুনের ঘটনায় বিষ্ণোই গোষ্ঠীর নাম জড়ায়। লরেন্স গুজরাটের জেলে বন্দি। তার ভাই আনমোল বিদেশে। সেখান থেকেই তিনি এই হত্যার ছক কষেছিলেন বলে অভিযোগ। রাষ্ট্ৰীয় অনুসন্ধান সংস্থা (এনআইএ) তার মাথার দাম ঘোষণা করেছে দশ লক্ষ টাকা। আনমোলকে দেশে ফেরানোর প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। অভিযোগ, সিদ্দিকি খুনের পরেই সালমানকে নতুন করে পর পর কয়েক বার খুনের হুমকি দিয়েছে বিষ্ণোই গোষ্ঠী। কখনও পাঁচ কোটি, কখনও দুয়েক কোটি টাকা দাবি করা হয় তার কাছ থেকে।

‘বিয়ে করাটাই সবচেয়ে বড় ভুল ছিল’

টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন শাকিব খানের সাথে চলচ্চিত্র করার আগ্রহ প্রকাশ করে। এরই মধ্যে গুরুতর একটি অভিযোগ আনেন অভিনেত্রী। তার দাবি, লুকিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেছেন এক যুবক। এরপর আরেক মন্তব্য করে ফের ভাইরাল হলেন তিশা। ‘বিয়ে করাটাই সবচেয়ে বড় ভুল ছিল’- এমন মন্তব্য করেছেন তাসনুভা তিশা। ব্যক্তিজীবনে ২০১৪ সালে ভালবেসে ফারজানুল হককে বিয়ে করেছিলেন তিনি। সেই সংসারে ছিল তার এক মেয়ে ও এক ছেলে। কিন্তু, বিয়ের চার বছরের মাথায় ভেঙে যায় এই অভিনেত্রীর সংসার। ২০১৮ সালে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তিশা। কয়েক বছর ‘সিঙ্গেল মাদার’ থাকার পরে ২০২২ সালে বেশ ঘটা করে মো. আসকারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসার ও অভিনয় চালিয়ে গেলেও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাসনুভা তিশা জানান, বিয়ে করাটাই তার জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। সেই কারণ খোলাসা না করলেও এ সময় অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমার বাচ্চাদেরও আমি বিয়ে দেব না। মানে, তাদের বিয়ের জন্য চাপ বা উৎসাহ দেব না। তবে তারা যদি নিজ থেকে কখনও বিয়েতে আগ্রহী হয়, তবে আটকাব না।’ তিশা আরও বলেন, ‘বিয়ে বিষয়টা বহু বড় বিষয়। এটা একটা দায়িত্ব। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য, তাদেরকে অন্য একটা পরিবারে যেতে হয়। অন্য একটা পরিবেশে মানিয়ে নিতে হয়। যদি আমার সন্তানরা সেটা করতে চায়, তাহলে আমার আপত্তি নেই। তবে, আমি তাদের বিয়ের জন্য উৎসাহ দেব না। বাকিটা তাদের ইচ্ছা।’সম্প্রতি তিশাকে অভিনেতা আরশ খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে একাধিক নাটকে কাজ করতে দেখা গেছে। তাদের প্রেমের গুঞ্জনও ছড়িয়েছে। তবে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, আরশের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক নেই।বলে রাখা ভাল, তাসনুভা তিশা ২০১৩ সালে মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি মোস্তফা কামাল রাজের নাটক ‘লাল খাম বনাম নীল খাম’ দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি ২০২০ সালে বাংলালিংকের একটি বিজ্ঞাপনে মনোজ কুমার প্রামাণিকের সাথে কাজ করেন। তিনি রয়েল ক্যাফের বিজ্ঞাপন করেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে তার অভিনীত ‘তুমি এত ভাল কেন’ মিউজিক ভিডিও মুক্তি পায়। তিনি সুমিত সেনগুপ্তের সাথে ‘বিশুদ্ধ ভালবাসা’ নামে আরেকটি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেন। এরপর অসংখ্য নাটকে কাজ করেছেন তিনি।

এক চলচ্চিত্রের জন্য কত নেন তৃপ্তি দিমরি?

বলিউডের নয়া সেনসেশন তৃপ্তি দিমরি। ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র ‘অ্যানিমেল’-এ রণবীরের সাথে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করে আলোচনায় এসেছিলেন। তারপর থেকেই চর্চায় এ অভিনেত্রী। ২০১৭ সালে তার অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে। অল্প দিনের ক্যারিয়ার হলেও তৃপ্তি দিমরি একটি চলচ্চিত্রের জন্য মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক নেন। মুম্বাইয়ে রয়েছে তার কোটি টাকার বাড়ি।অ্যানিমেল মুক্তির আগে, তৃপ্তি দিমরি একটি চলচ্চিত্রের জন্য ২০-২৫ লাখ রূপি নিতেন। কিন্তু, ‘অ্যানিমেল’ চলচ্চিত্রের জন্য প্রায় ৪০ লাখ রূপি নিয়েছিলেন। ‘অ্যানিমেল’-এর সাফল্যের পর তৃপ্তি দিমরি তার পারিশ্রমিক দ্বিগুণ করেছেন। এখন একটি চলচ্চিত্রের জন্য প্রায় ৮০ লাখ রূপি পারিশ্রমিক নেন অভিনেত্রী। তৃপ্তি দিমরির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৫-৩০ কোটি রূপি। মুম্বাইয়ে এ অভিনেত্রীর নিজস্ব বাড়ি রয়েছে; যার দাম কোটি টাকা। সম্প্রতি একের পর এক চলচ্চিত্রে সাফল্য কুড়াচ্ছেন তৃপ্তি। ‘ভিকি বিদ্যা কা ওহ ওয়ালা ভিডিও’তেও বাজিমাত করেছেন তিনি। বিপরীতে অভিনয় করেছেন রাজকুমার রাও।এছাড়া, বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছে ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’। কার্তিকের সঙ্গে তৃপ্তির রসায়নে মুগ্ধ নেটপাড়া। বক্স অফিসে চুটিয়ে ব্যবসায়ও করেছে চলচ্চিত্রটি। আর তার রেশ ফিকে হতে না হতেই জানা গেল তৃপ্তি দিমরি ইমতিয়াজ আলির চলচ্চিত্রে কাজ করতে চলেছেন।

প্রেম থেকে পালিয়ে বিয়ে, ক্যারিয়ার ধ্বংস অভিনেত্রীর!

এত কম বয়সে এবং কম সময়ে এমন ঘটনা হয়তো কোনো অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘটেনি। মাত্র একটি ছবিতেই বদলে যায় তার জীবন। রাতারাতি হয়ে যান বলিউডের স্টার। অনেক বেশি ভাগ্যবতী হলেও শেষে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। বলা যায়, নিজ হাতেই ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেন তিনি! বলছি ভাইজান সালমান খানের নায়িকা ভাগ্যশ্রীর কথা। ‘ম্যানে পেয়ার কিয়া’ ছবিতে কাজ করে বদলে যায় তার জীবন। সে থেকে জনপ্রিয়তাই তাকে সুপারস্টার বানিয়ে দেয়। অথচ তার অভিনয় জীবন শেষ করেন নিজ হাতেই। ‘ম্যানে পেয়ার কিয়া’ ছবিতে অভিনয় করার সময় লুকিয়ে প্রেম ও পালিয়ে বিয়ে করেন ভাগ্যশ্রী। স্বামীর নাম হিমালয়া দাসানি, পেশায় ব্যবসায়ী। কিন্তু এই বিয়েই নায়িকার জনমভর কান্নার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ভাগ্যশ্রীর ভাষ্য ছিল, সেই সময় তিনি বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে যেয়ে বিয়ে করেন। কারণ তিনি মনে করতেন, একমাত্র তার স্বামী হিমালয়াই তাকে বেশি ভালোবাসেন। কিন্তু ভাগ্যশ্রীর ক্যারিয়ারে শনি আসে এই বিয়ে থেকেই। ‘ম্যানে পেয়ার কিয়া’তে বাজিমাৎ করার পর একের পর এক ছবির অফার পেতে থাকেন নায়িকা। কিন্তু সেগুলোর কোনোটিতেই আর আগাননি ভাগ্যশ্রী। কারণ তিনি প্রযোজকদের বলেন, তার ছবিতে স্বামী হিমালয়াকেও রাখতে হবে। কিন্তু সেই অনুরোধ কেউই রাখেননি। ফলে তার সিনেমাও করা হয়নি। ১৯৮৭ এ নিজের অভিনয় জীবন শুরু করেন ভাগ্যশ্রী, তারপর ১৯৮৯-এ ম্যানে পেয়ার কিয়া ছবিতে কাজ করেন নায়িকা। এর অনেক বছর পর রিয়ালিটি শো স্মার্ট জোড়িতে হিমালয়ের সঙ্গে ভাগশ্রীকে দেখা যায়।

বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে গিয়ে লাশ হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী

বয়ফ্রেন্ডের সাথে অবকাশ কাটাতে থাইল্যান্ড গিয়ে মারা গেছেন রাশিয়ান অভিনেত্রী কামিলা বেলিয়াতস্কায়া। গেল ২৯ নভেম্বর পর্যটন স্পটে যোগাব্যায়াম করার সময় একটি বৃহৎ ঢেউয়ের কবলে পড়ে মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ২৪ বছর। সংবাদ নিউইয়র্ক পোস্টের। থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ কো সামুই এলাকায় একটি মাদুর নিয়ে ভিউপয়েন্টের নিচে পাথুরে এলাকায় গিয়েছিলেন কামিলা। পরে একটি শক্তিশালী ঢেউ সেখান থেকে ভাসিয়ে নেয় তাকে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, অভিনেত্রীকে একজন পথচারী বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করেছিলেন। তবে, শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। একটি লাল গাড়িতে লাড কো ভিউপয়েন্টে যেতে দেখা গেছে তাকে। আর ঘটনার ১৫ মিনিট পর সেখানে উদ্ধারকারী দল পৌঁছায়। কিন্তু, নয় ফুটের দীর্ঘ ঢেউয়ের কারণে অভিনেত্রীর কাছে যেতে ব্যর্থ হয় উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। পরে ঢেউয়ে ভেসে যাওয়া জায়গার দুই-তৃতীয়াংশ দূরবর্তী এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার হয় তার। সামুই রেসকিউ সেন্টারের প্রধান চাইয়াপোর্ন সাবপ্রেসাদ বলেছেন, ‘দ্বীপের সমুদ্র সৈকত এলাকায় সতর্কতা ব্যবস্থা জারি রয়েছে। পর্যটকদের খারাপ এলাকা, সাঁতার জানা ও উপকূলরেখার পরিবেশ সম্পর্কে জানানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে পর্যটকদের সতর্ক করে থাকি আমরা। বিশেষ করে চাওয়েং ও লামাই সৈকতের মত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সাঁতার না কাটার জন্য বলা হয়। একইসঙ্গে লাল পতাকা থাকা এলাকাও ঝুঁকিপূর্ণ।’ অভিনেত্রী কামিলা একজন রাশিয়ান বংশোদ্ভূত। তিনি বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে থাইল্যান্ডে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। এ অবস্থায় মৃত্যু হল তার। এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে এক পোস্টে বিখ্যাত ওই পর্যটন এলাকাকে বাড়ি ও পৃথিবীর সেরা জায়গা বলে অভিহিত করেছিলেন এ অভিনেত্রী।

বাংলাদেশ নিয়ে ফেসবুক পোস্ট, ডিলিট করতে বাধ্য হলেন কলকাতার লগ্নজিতা চক্রবর্তী

টলিপাড়ায় গায়িকা হিসেবে খুবই জনপ্রিয় লগ্নজিতা চক্রবর্তী। মাঝেমধ্যেই নিজের গান নিয়ে খবরের শিরোনাম হন তিনি। বিশেষ করে কলকাতার আরজি কর-কাণ্ডের সময় লগ্নজিতা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ট্রেন্ডিং ছিলেন। এসব রেশ মিটতেই আরও একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার মুখে পড়লেন এই গায়িকা। তবে এবার কারণটা ভিন্ন। সম্প্রতি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ফেসবুকে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন লগ্নজিতা। এরপরই নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হন তিনি। গায়িকা অবশ্য সেই সমালোচনার জবাবও দিয়েছেন। শনিবার লগ্নজিতা তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘ভেবেছিলাম এই হিন্দু মুসলিমের ব্যাপারটা আমরা পেরিয়ে এসেছি, অনেক দিন, বছর, কাল আগেই। কোনওদিন ভাবিনি ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে, এই বিষয়টা নিয়ে একটা পোস্ট করতে হবে। এটা অতীত হয়ে গেছে, এমনটাই আমার ভাবনা ও চিন্তা ছিল।’ ফেসবুকে এই পোস্ট করতেই গায়িকাকে নিয়ে ট্রোল-সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। অনেকেই লেখেন লগ্নজিতা কিছুই জানেন না এই সম্পর্কে। আবার অনেকে লেখেন, গায়িকাকে তো বাংলাদেশের শ্রোতা ধরে রাখতে হবে। এসব ট্রোল যদিও চুপ করে হজম করেননি গায়িকা। তিনিও পাল্টা জবাব দিয়েছেন। গায়িকা লেখেন, ‘অনেকে বলছেন, এই যে আমার হিন্দু মুসলিম নিয়ে ভাগ করতে ইচ্ছে করে না, করছে না। এটার কারণ নাকি সিপিএমের ৩৪ বছরের শাসন, আমি নাকি কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতে কী হয় কিছুই জানি না, আমি নাকি খুবই অশিক্ষিত, আমার আরও শিক্ষিত হওয়া উচিত ছিল ইত্যাদি ইত্যাদি।’ সে তো বুঝলাম। কিন্তু আমি তো হিন্দু-মুসলিম যে ভাই-ভাই, এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, এনাদের থেকে শিখেছিলাম। তো রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলও কি সিপিএম ছিলেন? জাস্ট জানতে চাইছি।’ এরপর গায়িকা একাধিক ট্রোল প্রসঙ্গে পাল্টা লেখেন, ‘শুনুন, থ্রেট শুনে আজকাল হুমকিরও বিরক্ত লাগে। যেকোনও জিনিস একঘেয়ে হয়ে গেলে যা হয় আরকি। আমি তো আপনার অফিস যাওয়া নিয়ে কিছু বলছি না। আমার গান গাওয়া নিয়ে আপনার এত সমস্যা কোথায়?’ এরপর মহাত্মা গান্ধীর মন্তব্যও শেয়ার করে লগ্নজিতা লেখেন, ‘তাহলে এখন থেকে আমি কংগ্রেস হয়ে গেলাম (যেভাবে আপনারা ট্রেন্ড ঠিক করে দিচ্ছেন আরকি)। তবে রোববার এই পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই গায়িকা তার পুরোনো সব পোস্ট ডিলিট করে দেন। এরপরই আরও একটি পোস্ট করেন লগ্নজিতা। যেখানে তিনি লেখেন, আমার পরিবার (আমার ব্যক্তিগত জীবন) এবং আমার ব্যান্ড (আমার পেশাদার জীবন)-এর কাতর অনুরোধ, তাদের যেন আর অসম্মান না হয়, আমি আমার সমস্ত পোস্ট ডিলিট করতে বাধ্য হলাম। সমালোচনাকারীরা, আপনার জিতে গেলেন। আনন্দ করুন।

হার্ট অ্যাট‍াক করেছেন সঙ্গীতশিল্পী তপন চৌধুরী

বাংলা গানের জগতের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী তপন চৌধুরী কানাডা প্রবাসী হয়েছেন। গানে গানে খুব একটা সুর তুলতে দেখা যায় না এখন। তবু গানের প্রতি ভালবাসা অফুরান। তার দেহটা যেন বেশ খারাপ! তেমনি বার্তা দিলেন আরেক সংগীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী। ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’খ্যাত শিল্পী হৃদ‌রো‌গে আক্রান্ত হয়েছেন। এই খবর গায়িকা মুন্নী তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। সেই পোস্টে দিনাত জাহান মুন্নী লিখেছেন, ‘গত চার দিন আগে শ্রদ্ধেয় শিল্পী তপন চৌধুরীর হার্ট অ্যাট‍াক হয়েছে এবং গত পরশু তার সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আজ হাসপাতাল থেকে তার বাসায় ফিরেছেন। আপনারা সবাই তার জন্য মন থেকে দোয়া করবেন তিনি যেনো সুস্থ হয়ে উঠেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘তপনদার প রদিন দুইটি রিং পরানো হয়। এরপর দুই দিন হাসপাতালে রাখা হয়। বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। তপন চৌধুরী ছিলেন সোল্‌স ব্যান্ডের সাবেক সদস্য। সত্তরের দশকের শেষভাগ থেকে তিনি সঙ্গীতের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১৯৭৯ সালে তিনি জনপ্রিয় ব্যান্ড দল ‘সোলস’-এর সঙ্গে যুক্ত হন। ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’ তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে অন্যতম।তার অন্য জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘আমি সবকিছু ছাড়তে পারি’, ‘তুমি আমার প্রথম সকাল’, ‘আকাশের সব তারা ঝরে যাবে’, ‘আজ তুমি দূর বহু দূর’, ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘কী কারণে কান্দ রে মন’, ‘মাটির ইঞ্জিন এই দেহটা পুইড়া হইল কালা’, ‘মনে বড় আশা ছিল যাব মদিনায়’, ‘রাত কেটে যায় একা নিরালায়’, ‘যত বার দীপ জ্বালি জানি না সে দীপ কেন নিভে যায়’ ও ‘আমি দেবদাস হতে পারব না’ ইত্যাদি।

আতিফ আসলামের কনসার্ট নিয়ে নালিশ, আয়োজকদের দুঃখ প্রকাশ

পাকিস্তানের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী আতিফ আসলাম। বাংলাদেশে রয়েছে তার অগণিত ভক্ত। আতিফ আসলামকে নিয়ে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) নিয়ে আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় ‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ শিরোনামে কনসার্ট। ‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ কনসার্টে প্রধান আকর্ষণ ছিলেন আতিফ আসলাম। এ দিনের পরিবেশনায় আরও ছিলেন বাংলাদেশের তাহসান, কাকতাল ব্যান্ড, পাকিস্তানের গায়ক আবদুল হান্নান। ট্রিপল টাইম কমিউনিকেশনস এই কনসার্টটির আয়োজন করে। কনসার্টে অংশ নেয়া দর্শকরা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্তরা কনসার্টে অব্যবস্থাপনাসহ নানা অভিযোগ আনেন আয়োজকদের নিয়ে। ‘ম্যাজিকেল নাইট ২.০’ কনসার্টের মঞ্চে দর্শকদের গান শোনাতে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত আটটা ৪৫ মিনিটের দিকে মঞ্চে ওঠেন আতিফ। আর কনসার্ট শুরু হয় শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকাল চারটার পর থেকে। এমনকি আতিফ গান গাওয়ার সময় বিদ্যুৎ চলে যায়- এমন অভিযোগও উঠেছে। এবার এই কনসার্টটি নিয়ে কথা বললেন আয়োজকরা। তারা ভুল ত্রুটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ট্রিপল টাইম কমিউনিকেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘দেশি-বিদেশি এত বড় মাপের সব শিল্পীর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল সত্যিই অসাধারণ। এই কনসার্টে দর্শকদের ভালবাসা আমাদের জন্য ছিল অন্য এক মাত্রায়। আমাদের গেট খোলা হয়েছিল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর একটার পরে এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্থাৎ বিকাল সাড়ে তিনটায় কনসার্ট শুরু করা ছিল আমাদের জন্য বিশাল সাফল্যের ব্যাপার।’ বিভিন্ন অভিযোগ উঠলেও বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে তারা বলেন, ‘কনসার্টে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবরটি সত্য নয়। বিদ্যুৎ পুরোটা সময় সচল ছিল। তবে, মাঝখানে কয়েক মিনিটের জন্য সাউন্ড সংযোগে সামান্য ত্রুটি হয়েছিল, যা আমরা দ্রুত সমাধান করেছি। এছাড়া, কনসার্টের মূল ফটকে সন্ধ্যার দিকে কিছু বহিরাগত বিনা টিকিটে ভেনুতে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে পুলিশের ও বাংলাদেশ আর্মির সহযোগিতায়।’ এত বড় আয়োজনে ভুল ত্রুটির কথা উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করে আয়োজকরা বলেন, ‘দর্শকদের অকুণ্ঠ ভালবাসা আমাদের আপ্লুত করেছে। তবে, এত বড় আয়োজনে কিছু ভুল ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে, তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমরা ইতোমধ্যেই ত্রুটিগুলোর প্রতি দৃষ্টি দিয়েছি, যাতে ভবিষ্যতে আরও দারুণ ও স্মরণীয় কনসার্ট দর্শকদের উপহার দিতে পারি।’ আয়োজনে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতিকে স্মরণ করে একটি বিশেষ ডকুমেন্টারি দেখানো হয়, যা দর্শকদের মধ্যে গভীর আবেগ জাগিয়েছে। আর আতিফ নিজে মাইকে বলেছিলেন, ‘এই রাতটি সত্যিই ম্যাজিকাল।’ কনসার্ট নিয়ে অভযোগ থাকলেও আতিফ তার একের পর এক জনপ্রিয় গান দিয়ে উপস্থিত ভক্তদের মাতিয়ে রাখেন। আতিফের সুরে মেতে উঠে কনসার্ট।

ওয়ালটন ক্যাবলসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন অভিনেতা সিয়াম আহমেদ

সম্প্রতি গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটনের সাথে যুক্ত হয়েছেন অভিনেতা সিয়াম আহমেদ। আগামী এক বছর ওয়ালটন ক্যাবলসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবেন তিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ালটন ক্যাবলসের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সিয়াম। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির পক্ষে চুক্তিতে সই করেন চলচ্চিত্র নায়ক এবং ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। প্রতিষ্ঠানের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ইভা রিজওয়ানা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘ওয়ালটন দেশের ইলেকট্রনিক্স খাতের নেতৃত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশের গর্ব ওয়ালটন। নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। দেশে-বিদেশে সুনাম কুড়াচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্মান বয়ে আনছে বাংলাদেশের জন্যে। ওয়ালটনের মত একটি টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত। ওয়ালটন ক্যাবলসের সঙ্গে আমাকে যুক্ত করায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’ আমিন খান বলেন, ‘সিয়াম আহমেদের প্রতিভা ও খ্যাতি সর্বজনবিদিত। সিয়াম আহমেদ ওয়ালটন ক্যাবলস পণ্যের প্রতিনিধিত্ব করবেন। আমাদের বিশ্বাস, পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা ওয়ালটনকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হব। ওয়ালটনের সঙ্গে স্বনামধন্য এই অভিনেতার সংযুক্তি এ কার্যক্রমকে ভিন্ন মাত্রা দেবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।’ চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের চেয়ারম্যানের বিজনেস কো-অর্ডিনেটর আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, ডেপুটি চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ, ওয়ালটন ক্যাবলসের চিফ বিজনেস অফিসার রাজু আহমেদ, ব্র্যান্ড ম্যানেজার মো. রুবেল মিয়া।

সুবর্ণা মুস্তাফাকে বিমানবন্দরে আটকে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

গুণী অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির সাথেও যুক্তি তিনি। শনিবার (৩০ নভেম্বর ) সকাল থেকেই শোনা যায় বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়েছে তাকে। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছ থেকে জানা যায় আসল তথ্য। মূলত সুবর্ণা মুস্তাফা শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় আটকে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্র জানায়, একটি গোয়েন্দা সংস্থার কিছু অবজারভেশন ও আপত্তি থাকায় তাকে দেশের বাইরে যেতে দেয়া হয়নি। বলে রাখা ভাল, সুবর্ণা মুস্তাফা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন দীর্ঘ দিন ধরেই। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে সরকার গঠন করার পর সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য মনোনয়ন ফর্ম বিক্রি করা শুরু করলে সাংসদ হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন সুবর্ণা মোস্তফা। পরবর্তী তিনি সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত সাংসদ হন। সুবর্ণা মুস্তা ২০১৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪-এর প্রতিনিধিত্বকারী প্রাক্তন সাংসদ

৪০ কেজি গাঁজাসহ বিমানবন্দরে জনপ্রিয় অভিনেত্রী আটক

নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় সিরিজের একটি ‘টু হট টু হ্যান্ডেল’। আর এই সিরিজের অন্যতম তারকা ওলগা বেডনারস্কা। অভিনেত্রী প্রায় ৪০ কেজি গাঁজাসহ বিমানবন্দরে ধরা পড়েছেন। যার বাজারমূল্য দুই কোটি টাকারও বেশি। ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে ক্লাস বি মাদক আমদানির নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ওলগা বেডনারস্কে অ্যাটক করার পর আদালতে নেয়া হলে তিনি জানান ৪০ কেজি গাঁজা যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন। বেডনারস্কাকে অক্টোবর মাসে ম্যানচেস্টার এয়ারপোর্টে থাইল্যান্ড থেকে আসা একটি ফ্লাইট থেকে নামার পর আটক করা হয়। যেখানে কর্মকর্তারা দুটি স্যুটকেসে এক লাখ ৫৭ হাজার ইউরো মূল্যের ‘ক্লাস বি’ মাদক শনাক্ত করেন। বাংলাদেশি টাকায় এর মূল্য প্রায় দুই কোটি ৩৭ লাখ টাকারও বেশি। গ্রেপ্তারের পর বেশ কয়েক সপ্তাহ হেফাজতে থাকার পর আদালত সিদ্ধান্ত নেয়, তাকে ১৫ দিন পুনর্বাসন কার্যক্রমে অংশ নিতে হবে। এছাড়াও অভিনেত্রীকে ২০ মাসের অস্থায়ী সাজাও দেয়া হয়। সেই সাজায় উল্লেখ করা হয়েছে, অভিনেত্রী যদি ২০২৬ সালের নভেম্বরের মধ্যে কোনো অপরাধ করেন, তবে তাকে ২০ মাস জেল খাটতে হবে। বেডনারস্কা আদালতে দাবি করেন, তাকে একজন বলেছিল কিছু ডিজাইনার ঘড়ি এবং কাপড় যুক্তরাজ্যে নিয়ে যেতে হবে। সে জন্য তাকে ১৮ হাজার ইউরো এবং ফ্লাইটের খরচ দেয়া হবে। এর মধ্যে মাদক আছে তা জানতেন না তিনি। তার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে বলেন, ‘আপনি এমন একজনের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন, যাকে আপনি খুব ভালোভাবে জানতেন না। এটাও একটা অন্যায়। আপনি মাদক পাচারে সরাসরি যুক্ত হয়েছেন। নিজে লাভবান হওয়ার আশায় যাছাই না করেই অবৈধ জিনিস বহন করেছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যখন অভিনেত্রীকে এয়ারপোর্টে আটক করা হয়, তখন তিনিস স্যুটকেসের কোডও জানতেন না বলেন। পরে তার স্যুটকেস খোলা হলে তিনি প্রথমে বলেন কিছুই জানানেন না। অভিনেত্রীর বিপুল অর্থের ঋণ ছিল। প্রায় ১৬ হাজার ইউরোর ঋণে ডুবে গিয়েছিলেন তিনি। মূলত ঋণ থেকে বাঁচার জন্যই তিনি অন্যের জিনিস আনা-নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন।

আমি আবার বেশি ছবি আপলোড করতে পারি না: মাহিয়া মাহি

ঢালিউডে নায়িকা হিসেবে হাতে গোনা কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছেন। তাদের একজন মাহিয়া মাহি। দর্শকের কাছে নিজের আলাদা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। তার অভিনীত নারীকেন্দ্রিক একাধিক সিনেমার সাফল্যই সেটার প্রমাণ। এখন কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন তিনি। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব রয়েছেন।সম্প্রতি মাহিয়া মাহি তার ফেসবুক আইডি ও পেজে একসঙ্গে ১৫টি ছবি ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে শেয়ার করেছে। শেয়ার করা ছবিগুলোতে দেখা যায়, খোলা চুল খোশ মেজাজে কোন এক রেস্টুরেন্টে কফি ও কেট খেতে গেছেন। এ সময় তার পরনে রয়েছে ধূসর রঙের টি-শার্ট। মাহির হাসি ও চোখের চাহনি যেন ভক্তদের মনে দাগ কেটেছে। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আমি আবার বেশি ছবি আপলোড করতে পারি না।’ কমেন্ট বক্সে মনি আক্তার লিখেছেন, ‘ইশ্ ক্যাপশনটা তে কেমন যেন মিথ্যার ছোঁয়া আছে, তবে অসাধারণ লাগছে।’ হালিম সরকার নামে এক নেটিজেন বলেন, ‘অগ্নি কন্যা হিসেবে আবার দেখতে চাই।’ আমান উল্লাহর ভাষ্য, ‘আপু আপনার নামের পাশে সরকার এটা চেঞ্জ করতেছেন না কেন।’ প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহিয়া মাহি। তার সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। কিন্তু দাম্পত্য জীবনের আড়াই বছর মাথায় আলাদা হয়ে যান এই দম্পতি।

আর্থিক সঙ্কটে জাস্টিন বিবার

আর্থিক সঙ্কটে রয়েছেন মার্কিন সংগীতশিল্পী জাস্টিন বিবার। র‌্যামসে হান্ট সিন্ড্রোমে আক্রান্ত সংগীতশিল্পী হয়ত এবার ‘বাধ্য হয়ে’ ফের মিউজিক্যাল ট্যুর শুরু করবেন। বিলাসবহুল জীবন যাপনে অভ্যস্ত তারকার প্রয়োজন টাকার। বিপুল খরচ বহন করতে তাকে অনুষ্ঠান করতে হবে বলে জানা যাচ্ছে। দি ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গায়ক নাকি তার প্রাক্তন বিজনেস ম্যানেজারদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেন। তাদের জন্যই নাকি প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে বিবারকে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল থেকে কোনও ট্যুর তিনি করেননি এবং ২০২১ সালের পর থেকে কোনও অ্যালবামও রিলিজ করেনি তার। সম্প্রতি জাস্টিন বিবারের বিচ্ছেদের গুঞ্জন নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। যদিও এই সমস্ত গুঞ্জনের মধ্যেই জাস্টিন ও তার স্ত্রী হেইলি ষষ্ঠ বিবাহবার্ষিকী পালন করলেন। চলতি বছরের অগাস্টে তাদের ছেলে জ্যাকের জন্ম হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাস্টিন এক গুরুতর নিউরোলজিক্যাল সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছেন। যে রোগের নাম র‌্যামসে হান্ট সিনড্রোম। যার ফলে কাজ তেমন ভাবে করতে পারছেন না। অথচ কমেনি জীবন যাপনের খরচ। শিল্পীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, ‘জাস্টিন চিরকালই খরচের বিষয়ে বেপরোয়া এবং কোনও জিনিসের দাম বা নিজের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কোথাওই নজর না দিয়ে খরচ করে যান। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই টাকার টান তো হবেই।’ সম্প্রতি ৩ লাখ ৮০ হাজার ৩৪৯ ডলারের ট্যাক্সের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। ক্যালিফোর্নিয়ায় তার ১৬.৬ মিলিয়ন ডলারের যে এস্টেট আছে তার, সেটার জন্যই করের ধাক্কা।