
মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’ শুরু
গেল কোরবানি ঈদে সিনেমা হলে ‘তুফান’ তুলেছিলেন শাকিব খান। আসছে রোজার ঈদে করবেন ‘বরবাদ’। তারপর কোরবানি ঈদে চলাবেন ‘তাণ্ডব’। কবে শুটিং শুরু হবে ‘তাণ্ডবে’র? এবার জানা গেল সে খবর। আগামী মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে জ্বলে উঠবে ‘তাণ্ডবে’র ক্যামেরা, লাইট। একটি বিশ্বস্ত সুত্র নিশ্চিত করেছে বিষয়টি। সূত্র জানিয়েছে, রায়হান রাফীর পরিচালনায় মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে মুম্বাইয়ে শুটিং শুরু হবে ‘তাণ্ডবে’র। দৃশ্যধারণ করা হবে থাইল্যান্ডেও। মাঝে ঈদের ছুটি বাদ দিয়ে টানা এক মাস শুটিং চলবে। সম্পূর্ণ মারকাটারি ছবি হতে যাচ্ছে শাকিব-রাফীর জুটির ‘তাণ্ডব’। পর্দায় কিং খানকে পলকে পলকে রঙ পাল্টাতে দেখা যাবে। এমনই রহস্যময় হবে চরিত্রটি। জানা গেছে, ছবিটিতে সুপারস্টারের সঙ্গে থাকছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবিটি প্রযোজনা করবে এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড। শাকিব খানের সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘দরদ’। এতে শাকিবের বিপরীতে দেখা গেছে বলিউডের সোনাল চৌহানকে। আরও ছিলেন বাংলাদেশের সাফা মারওয়া। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন এলিনা শাম্মী, রাহুল দেব প্রমুখ। ছবিটির পরিচালক অনন্য মামুন।

স্কেচ গ্যালারি নন্দন জীবনসঙ্গী নাট্যশিল্পী সম্মাননা পাচ্ছেন দুই নাট্যদম্পতি
অজস্র নাট্যকর্মীর সহস্রদিবসের শ্রমে ঘামে প্রেমে গড়ে উঠেছে আমাদের নাট্যসড়ক। এ সড়ক কখনোই মসৃণ ছিল না। বন্ধুর নাট্যপথে দুরন্ত স্বপ্ন আর অপরিমেয় সাহস নিয়ে হেঁটেছে আমাদের নাট্যকর্মীরা। নাটককে ভালোবেসে তারা উজাড় করে সঁপেছেন নিজেকে। রৌদ্র তাপে হেঁটে হেঁটে নাটকের বন্ধুর প্রান্তরে খুঁজেছেন জীবনের পূর্ণতা। অনেকে ধ্রুপদী মেলবন্ধনে সহযাত্রীকেই করেছেন জীবনের ধ্রুবতারা। তখন তাদের কাছে সমার্থক হয়ে গেছে নাটক, জীবন আর সংসার। নাটকের মঞ্চকে ঘিরে তারা ছড়িয়েছেন শিল্প ও জীবনের সমূহ ডালপালা। যুগপৎ নাট্য ও জীবনসাধনায় মগ্ন এই জীবনসঙ্গী নাট্যশিল্পীদের হার্দ্য সম্মাননা জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে সময়ের প্রয়োজন মেটাতে তারুণ্যের শক্তিতে ভর করে সৃষ্ট, সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা ও তার অনালোকিত দিকগুলো উপস্থাপনে প্রয়াসি স্কেচ গ্যালারি-নন্দন। সে প্রচেষ্টার প্রথম পর্বে আগামী শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় নাট্যাঙ্গনের দুই নাট্যদম্পতি জোবায়দুর রশিদ- মাফতুহা মুনমুন এবং মোহম্মদ আলী হায়দার- সামিনা লুৎফা নিত্রাকে সম্মাননা প্রদানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করবেন শিল্পী নওমান এ আলম খান।

সেই রাতে কারিনার ভূমিকা কী ছিল? মুখ খুললেন সাইফ
বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের বাড়িতে গত ১৫ জানুয়ারি ঘটে যাওয়া হামলার ঘটনায় এখনও হিসাবের সমীকরণ থামছে না। ভেসে আসছে নতুন নতুন তথ্য। অনেকের দাবি সেদিনকার ঘটনা ছিল সাজানো নাটক। যার নেপথ্যকারী সাইফপত্নী কারিনা নিজেই! নেটিজেনদের এসব অভিযোগের পর মুখ খুললেন অভিনেতা। জানা যায়, ওই রাতে অজ্ঞাত এক আততায়ীর হামলায় জখম হন বলিউড নবাব। ছুরি দিয়ে ৬টি কোপ দেয়া হয় তার শরীরে। এর পরপরই সাইফকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে অপারেশন করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেই রাতে কারিনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে। অনেকের মতে, নিশ্চয়ই কারিনা সেদিন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। বাড়িতে এত কিছু ঘটল, কিন্তু তিনি কোথায় ছিলেন? তিনি কি আদৌ বাড়িতে ছিলেন?বিষয়টি নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন সাইফ। কারিনা সম্পর্কে অভিনেতা বলেন, ‘সেদিন কারিনা ডিনার করার জন্য বাইরে গিয়েছিল। আমার পর দিন সকালে কিছু কাজ ছিল বলে আমি বাড়িতেই ছিলাম। আমি যাইনি। ও ফিরে আসার পর আমরা কিছুক্ষণ গল্প করি ও শুয়ে পড়ি। শুয়ে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা চিৎকার শুনতে পাই, কেউ একজন জেহরের ঘরে ঢুকেছে ছুরি হাতে। টাকা চাইছে।’ সাইফ বলেন, ‘চিৎকার শুনেই আমি ঘর থেকে বেরিয়ে আসি এবং লোকটিকে ঘর থেকে বের করার চেষ্টা করি। ধস্তাধস্তি হওয়ায় আমার পিঠে, কব্জিতে ও ঘাড়ে আঘাত লাগে। আমি যখন হাতাহাতি করছিলাম তখন কারিনা জেহকে নিয়ে তৈমুরের ঘরে চলে যায়।’ সাইফ আরও বলেন, ‘কারিনা শুধু আমাকে নয়, বাচ্চা দুটোকেও সঙ্গে করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। ও ভয় পাচ্ছিল, যদি ওই লোকটা বা লোকটার অন্য কোন সঙ্গী বাড়িতে থাকে তাহলে বাচ্চাগুলোর ক্ষতি হয়ে যাবে। আমরা কোন রকমে সিঁড়ি দিয়েই নিচে নামছিলাম। কারিনা ক্যাব, রিক্সা, অটোর জন্য চিৎকার করছিল। আমার পিঠে তখন অসহ্য যন্ত্রণা করছিল।’ নবাবপুত্র বলেন, ‘বেবো বাচ্চাদুটোকে তার বোনের বাড়িতে রেখে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইছিল। বারবার পাগলের মতো সবাইকে ও ফোন করছিল, কিন্তু কেউ এক বারও ফোন ধরেনি। আমি তখন বললাম, আমি ঠিক আছি। আমি মরবো না। সবশেষে একটা অটো ধরে আমরা চারজনেই হাসপাতাল পৌঁছে যাই।’ উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন সাইফ আলি খান। হামলাকারী হিসেবে অভিযুক্ত মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ সাইফকে ছয় বার ছুরিকাঘাত করেন। হামলার পরপরই রক্তাক্ত সাইফকে ভর্তি করা হয় লীলাবতী হাসপাতালে। সেখানে সফল অস্ত্রোপচারসহ পাঁচ দিনের চিকিৎসা শেষে গত ২১ জানুয়ারি হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফেরেন সাইফ।

‘আমি বাংলায় গান গাই’-এর স্রষ্টা প্রতুল মুখোপাধ্যায় আইসিইউতে
গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কলকাতার একটি হাসপাতালে আইসিইউতে রয়েছেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর সংবাদ প্রতিদিনের। জানা গেছে, অন্ত্রের অপারেশনের পর হার্ট অ্যাটাক হয় তার। দ্রুত অবনতি হতে থাকে শারীরিক অবস্থার। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণের ফলে পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হয়ে উঠছে। এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রের জানা গেছে, ‘নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত গায়ক। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীল সেন হাসপাতালে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের খোঁজখবর নিয়েছেন। বিভিন্ন চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন হয়েছে। সোমবার রাতেও তিনি সংকটজনক অবস্থায় এসএসকেএমের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড সূত্র।’কয়েক দিন আগেও হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে চিকিৎসকদের ‘আমি বাংলার গান গাই’ গেয়ে শোনান প্রবীণ গায়ক। কিন্তু সপ্তাহ খানেক আগে তার আচমকাই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কারণ, হার্ট অ্যাটাক হয়েছে গায়কের। তড়িঘড়ি কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হয় তাকে। সেখানেই ধরা পড়ে, ফুসফুসেও প্রবল সংক্রমণ রয়েছে। তবে সেই সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়া না ভাইরাসের জেরে, নাকি মিশ্র গোত্রের, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কড়া অ্যান্টিবায়োটিক চললেও তাতে সেভাবে সাড়া দিচ্ছেন না প্রতুল। প্রতুল মুখোপাধ্যায় ১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্ম নেন। তার অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’ (১৯৮৮), ‘যেতে হবে’ (১৯৯৪), ‘ওঠো হে’ (১৯৯৪), ‘কুট্টুস কাট্টুস’ (১৯৯৭), ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ (২০০০), ‘তোমাকে দেখেছিলাম’ (২০০০), ‘স্বপনপুরে’ (২০০২), ‘অনেক নতুন বন্ধু হোক’ (২০০৪), ‘হযবরল’ (২০০৪), ‘দুই কানুর উপাখ্যান’ (২০০৫), ‘আঁধার নামে’ (২০০৭)। বাংলাদেশে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২০১১ সালের মার্চে। অ্যালবামটির নাম ‘আমি বাংলায় গান গাই’।
/sai-kar.webp)
সাইফ-কারিনার সংসার ভাঙছে ?
জানুয়ারি মাসে সাইফ আলি খানের উপর আততায়ীর হামলার ঘটনা এখনও আলোচনায় রয়েছে। প্রায় একমাস কেটে গেলেও সেই ঘটনা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি! ‘ছোটে নবাবে’র উপর হামলার ভয়াবহ ঘটনায় যখন পতৌদি পরিবার উদ্বিগ্ন, ঠিক সেই সময় শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেবোর ইনস্টাগ্রাম স্টোরি দেখে শোরগোল পড়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিয়ে-ডিভোর্স নিয়ে কী এমন ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন কারিনা যা নিয়ে এত হইচই শুরু হয়েছে? কারিনা কাপুর পোস্টে জীবনের কঠিন সময়ে নম্র বা বিনীত থাকার পাঠ দেওয়া হয়েছে। কারিনা লিখেছেন, ‘বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ, উদ্বেগ, সন্তানের জন্ম, প্রিয়জনের মৃত্যু কিংবা প্যারেন্টিং, এই বিষয়গুলোর প্রকৃত অর্থ তুমি তখনই বুঝতে পারবে, যখন এগুলো তোমার জীবনে বাস্তবে ঘটবে। বাস্তবজীবনে প্রচলিত থিওরি কিংবা অনুমান দিয়ে কোনও কাজ হয় না। যতক্ষণ না জীবন তোমাকে কঠোর পরিস্থিতিতে ফেলে বিনীত থাকার পাঠ দেয়, তার আগ পর্যন্ত তুমি মনে করো তুমিই সবথেকে বেশি স্মার্ট।’ এই পোস্ট মুহুর্তেই ভাইরাল হলেও একাংশের অনুমান বেবো এমনিই এমন দার্শনিক পোস্ট করেছেন। অনেকে মনে করছেন, সাইফের হামলার পেছনে কারিনার হাত রয়েছে বলে যে গুজব ছড়িয়েছে, সেটিরই জবাব দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। উল্লেখ্য, ১৬ জানুয়ারি গভীর রাতে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফ যখন হাসপাতালে গিয়েছিলেন, কারিনা সঙ্গে যাননি। তাতে কারিনাকে নিয়ে নানা গুজব ছড়াতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বলতে শুরু করেন ওই রাতে কারিনা ‘মদ্যপ’ ছিলেন, তাই তিনি হাসপাতালে যাননি।
/tahsan-mithila-.jpg)
তাহসানের বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা
দীর্ঘদিন একা থাকার পর চলতি বছরের শুরুতেই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদকে বিয়ে করেছেন এ গায়ক। তবে তার সঙ্গে বিয়ের আগে অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সঙ্গে দীর্ঘ ১১ বছরের দাম্পত্যজীবন কাটিয়েছেন তাহসান। ২০১৭ সালে দীর্ঘদিনের সেই দাম্পত্যজীবনের ইতি টানেন মিথিলা-তাহসান। তারপর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কলকাতার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জিকে বিয়ে করেন মিথিলা। এদিকে মিথিলার সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদের পর কয়েক বছরের মধ্যে নতুন কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন না তাহসান। তবে চলতি বছরের শুরুতে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর কথা জানান তিনি। আর তার বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পর মিথিলার প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল―তা জানতে ব্যাপক কৌতূহলী ছিলেন ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী ও নেটিজেনরা। গায়কের বিয়ের পর শুরু থেকেই বেশ নীরব ছিলেন মিথিলা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, বিয়ে নিয়ে কিছুই বলার নেই আমার। আর এ নিয়ে কথা বলতেও চাই না। এটা যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। এটা আমারও কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নয় যে, আমি কথা বলব। যার জীবনের ঘটনা, তার ব্যক্তিগত বিষয়। এখানে আমার বলার কিছুই থাকতে পারে না। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রী বলেছিলেন, বিচ্ছেদ হলেও তাহসানের সঙ্গে বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি মনে করেন, সন্তান থাকলে তার স্বার্থ আগে দেখতে হবে। সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য সর্বাগ্রে। মিথিলার ভাষ্যমতে―আয়রাকে দেখতে পেলাম না। তাহসান আর আমি দু’জন লড়াই করলাম, এই ইগোর যুদ্ধে তো সন্তানের ক্ষতি হবে। এ জন্য তাহসানের সঙ্গে আমার এখনো বন্ধুত্ব রয়েছে। প্রায়ই মেয়েকে নিয়ে কথা হয় আমাদের।

আমি পরীর যোগ্য: সাদী, কী মন্তব্য অভিনেত্রীর?
ভালবাসার মাসে নিজের মনের ইচ্ছা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন তরুণ গায়ক শেখ সাদী। জানিয়েছেন, তিনি পরী পেতে চান! রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাদা পোশাকে নিজের তিনটি ছবি আপলোড করেন সাদী। এরপর ক্যাপশনে ইংরেজিতে লেখেন দুটি লাইন। যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায়, আমি মেয়েদের একদমই পছন্দ করি না। আমি পরীর যোগ্য।সাদীর এমন ফেসবুক পোস্টে ঢালিউড চিত্রনায়িকা পরীমণি মন্তব্য করেন। দরজার আড়াল থেকে উঁকি দেয়া একটি মেয়ে পুতুলের ইমোজি জুড়ে দিয়ে লিখেন, ‘ওহ’!সাদীর এমন পোস্টে ভক্তরাও মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন নানা মন্তব্য। একজন লেখেন, তোমাকে শুধু পরীর সাথেই ভালো লাগে। আরেকজন লেখেন, গান হয়ে যাক একটা পরী নিয়ে, আমাদের পরীমণির সাথে। এ বছরের সেরা ক্যাপশন বলে জানিয়েছেন খান মোহাম্মদ আলি নামের এক ভক্ত। অনেকে আবার তরুণ এ গায়ককে শুভ কামনা দিতে শুরু করেছেন।গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর ২৭ জানুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান ঢালিউড চিত্রনায়িকা পরীমণি। অভিনেত্রীর জামিনদার হন গায়ক সাদী। আদালতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরীমণির সঙ্গে ছিলেন তিনি। তারপরই মিডিয়ার চর্চায় পরিণত হয়েছেন তরুণ এ গায়ক।

ছায়ানটের নৃত্য উৎসবে প্রমা অবন্তীর মনোমুগ্ধকর ওড়িশি নৃত্য পরিবেশন
বাংলাদেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট আয়োজিত নৃত্য উৎসব ১৪৩১-এ ওড়িশি নৃত্য পরিবেশন করেছেন ওড়িশী নৃত্যশিল্পী প্রমা অবন্তী। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ছায়ানট মিলনায়তনে এ রাগেশ্রী পল্লবী আশ্রিত ওড়িশি নৃত্য পরিবেশন করেন বাংলাদেশের প্রথম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দীক্ষিত ওড়িশী নৃত্যশিল্পী প্রমা অবন্তী। রাগেশ্রী পল্লবী ওড়িশী নৃত্যের এক অনন্য রচনা, যেখানে সৌন্দর্য, গতি ও শৃঙ্গার একসূত্রে গাঁথা। এই নৃত্যরূপটি মূলত একতালীর ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে, যেখানে রাগ রাগেশ্রীর মোহময়ী সুরের সঙ্গে নৃত্যের প্রতিটি ভঙ্গি মিলেমিশে সৃষ্টি করে এক অপূর্ব আবহ। পদ্মশ্রী গুরু গঙ্গাধর প্রধান ও গুরু রামাহারি দাসের সৃজনশীল নৃত্যনির্মাণে রাগেশ্রী পল্লবী হয়ে ওঠে এক আবেগময় উপস্থাপনা, যেখানে নৃত্যশিল্পী প্রতিটি অঙ্গভঙ্গি ও অভিব্যক্তির মাধ্যমে সংগীতের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্যকে প্রকাশ করেন। প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও ছায়ানট শাস্ত্রীয় নৃত্য উৎসব আয়োজন করেন। ওড়িশি নৃত্যের পাশাপাশি মণিপুরি, ভরতনাট্যম, গৌড়ীয় ও কত্থক নৃত্যও পরিবেশিত হয়। ছায়ানট প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬১ সালে। সংগঠনটি রাজধানীতে বাংলা বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতার পথপ্রদর্শকও।
/btv february.jpg)
একুশের ইতিহাস নিয়ে বিটিভিতে ‘ভুলিনি সেদিন’
মিশা বাবা-মায়ের সঙ্গে বিদেশ থাকে। বছরে দু-একবার দেশে আসলে চাচাতো ভাই-বোনদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করে ও দাদিমার সঙ্গে আড্ডা দিয়ে তার সময় কেটে যায়। এবার মিশা এসেছে ফেব্রুয়ারি মাসে। তার খুব ইচ্ছে ছিল জুলাই অভ্যুত্থানে দেশে এসে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেয়ার। কিন্তু নানান কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। তাই সে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসকে মাথায় রেখে ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছে। এ দিবসকে ঘিরে কী করা যায় তা নিয়ে চাচাতো ভাই-বোন দীপা আর মিতুলের সঙ্গে আলাপ করে। কিন্তু ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ার কারণে একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে এতো উচ্ছ্বাস নেই মিতুলের। একুশের ইতিহাসটাও সে ঠিকমতো জানেনা। মিশা নিজেও তো ইংরেজি মিডিয়ামে পড়েছে তবুও সে ইতিহাস জানে। আসলে জানতে চাইলেই জানা যায়। এমনই গল্পে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) ৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে প্রচারিত হবে নাটক ‘ভুলিনি সেদিন’। রবিউল আলমের রচনায় প্রযোজনা করেছেন শাহ জামান মিয়া। অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, তন্ময় বিশ্বাস, মাইশা, মিলি বাসার, আশরাফ টুলু, সামিয়া নাহিসহ আরো অনেকে।
/db.jpg)
শাওন ও সাবাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিলো ডিবি
অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন এবং অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দুজনকে ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাদের নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ডিবি কার্যালয় থেকে আফরোজ শাওন এবং অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি কলকাতার হোটেল পার্কে অনুষ্ঠিত সভায় সরাসরি এবং ভার্চুয়ালি যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে শাওনের নাম উঠে আসে। এরপর তাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়। এরপরই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই অভিনেত্রীকে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে নিজেদের হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে একটি মাইক্রোবাসে সরাসরি মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এর আগে একইদিন সন্ধ্যায় এই অভিনেত্রীর জামালপুরে নরুন্দি রেলওয়ে সংলগ্ন বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে স্থানীয় ছাত্র-জনতা। এরপর বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে সোহানা সাবাকে আটক করে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ডিবি সূত্রে জানা গেছে, অভিনেত্রী শাওনের পর সোহানা সাবা নজরদারিতে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগপন্থি শিল্পীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’ এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা।
/db.jpg)
ডিবি কার্যালয়ে শাওন-সাবাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ
রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আটক অভিনেত্রী, সংগীত শিল্পী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন এবং অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে। তবে তাদের কোনো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে নাকি জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হবে তা এখনো নিশ্চিত নয় পুলিশ। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মেহের আফরোজ শাওন ও অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের কোন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে, সে সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রথমে অভিনেত্রী শাওনকে তার ধানমণ্ডির বাসা থেকে আটক করে ডিবির একটি দল। এর কয়েক ঘণ্টা পর মধ্যরাত সাড়ে ১২টার দিকে একই এলাকা থেকে আটক করা হয়ে সোহানা সাবাকে। ডিবি সূত্রে জানা গেছে, অভিনেত্রী শাওনের পর সোহানা সাবা নজরদারিতে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি শাওনের রাজনৈতিক অবস্থান ও কিছু মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা তার পরিবারের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে এবং আজ সন্ধ্যায় বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এদিকে আওয়ামী লীগপন্থি শিল্পীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’-এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা।
/NS.jpg)
অভিনেত্রী সোহানা সাবা আটক
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে এবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি বলেন, অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অভিনেত্রী শাওনের পর সোহানা সাবা আমাদের নজরদারিতে ছিলেন। তাকে কিছু সময় আগে আমাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগপন্থী শিল্পীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’-এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা।
/rodela.jpg)
ন্যান্সির গানের মডেল হলেন মেয়ে রোদেলা
মায়ের পথে হাঁটছেন ন্যান্সিকন্যা রোদেলা। এরইমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে তার গান ও গায়কী। নতুন খবর হলো, এবার মায়ের গানে মডেল হচ্ছেন মেয়ে। ন্যান্সি জানান, মিউজিক ভিডিওর পরিকল্পনা এসেছে রোদেলা ও ইব্রাহিম মাহাদির কাছ থেকে। তাদের উদ্যোগেই ভিডিওটি তৈরি হয়েছে। তারকা শিল্পীদের নিয়ে ভালো মানের একটি ভিডিও তৈরি করাও বেশ ব্যয়বহুল। এমন পরিস্থিতিতে রোদেলা ও মাহাদি গানটির ভিডিও করার উদ্যোগ নেয়। গানটি লিখেছেন গুঞ্জন রহমান। ‘তোমারই আছি’ শিরোনামের গানটির কম্পোজিশন, মিক্স ও মাস্টারিং করেছেন হৃদয় খান। চলতি মাসে ন্যান্সির ইউটিউব চ্যানেল থেকে গানটি প্রকাশ পাবে। ন্যান্সিকন্যা রোদেলা নিজেও গানের চর্চা করেন; পাশাপাশি নাচে তালিম নিয়েছেন। আগ্রহ আছে অভিনয় এবং মডেলিংয়েও। সেই আগ্রহ থেকে প্রথমবারের মতো মডেল হলেন রোদেলা, আর সেটা মা ন্যান্সির গানে। ইব্রাহিম মাহাদির পরিচালনায় ন্যান্সির গাওয়া ‘তোমারই আছি’ গানের ভিডিওতে দেখা যাবে রোদেলাকে।

নোরা ফাতেহির মৃত্যুর গুজব, যা জানা গেল
বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। সুপারহিট সিনেমা গুলোর আইটেম গানে অংশ নিতেই বেশি দেখা যায় তাকে। হঠাৎ করেই ছড়িয়ে পড়েছে তার মৃত্যুর গুজব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে নোরা ফাতেহির মৃত্যুর গুজব। দাবি করা হচ্ছে, পাহাড়ের খাদে পড়ে মারা গেছেন অভিনেত্রী।সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসের ভয়ঙ্কর দাবানাল থেকে বেঁচে ফিরেছেন নোরা। এরই মাঝে ‘বাঞ্জি জাম্পিং’-এ যোগ দিতে গিয়ে নাকি চরম বিপদে পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তার মৃত্যু সংবাদ। দাবি করা হয়, দুঃসাহসিক ক্রীড়ায় যোগ দিতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন অভিনেত্রী। ‘বাঞ্জি জাম্পিং’-এ যোগ দিতে গিয়েই বিপত্তি। পাহাড়ে খাদে পড়ে গিয়েছেন নোরা। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। অভিনেত্রীর খবর ছড়িয়ে পড়তেই নোরার সহযোগী দলের তরফ থেকে সত্যিটা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘নোরা একদমই সুস্থ আছেন। তার মৃত্যুর খবরটি শুধুই গুজব।’ নোহার মৃত্যুর গুজবকে কেন্দ্র করে যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা গেছে, এক নারী বাঞ্জি জাম্পিং করতে গিয়ে পাহাড়ের খাদে পড়ে যান। সেই নারীর মুখ স্পষ্ট নয়।এই ভিডিওতে দাবি করা হয়, ইনি হলেন নোরা ফাতেহি, যিনি এই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহির দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে।’ অনেক দূর থেকে ভিডিওটি তোলায় ওই নারীর মুখ ছিল অস্পষ্ট। যদিও নোরার সহযোগী দলের তরফ থেকে এই খবর সম্পূর্ণ ভুয়া বলেই উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি, নোরা যে একেবারে সুস্থ আছেন সে বার্তাও দেয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, নোরা ফাতেহি নৃত্যশিল্পী, মডেল, অভিনেত্রী ও গায়িকা। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি ‘হৃদয়ে ভারতীয়’ বলে নিজেকে অভিহিত করে থাকেন। রোয়ার: টাইগার্স অব দ্য সুন্দরবনস চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার বলিউডে অভিষেক ঘটেছিল। তিনি তেলুগু চলচ্চিত্র টেম্পার, বাহুবলী: দ্য বিগিনিং ও কিক ২ চলচ্চিত্রে আইটেম গানে পারফর্ম করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

পপির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দিলেন মা
চলচ্চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপির বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে একাধিক অভিযোগ করলেন অভিনেত্রীর মা মরিয়ম বেগম। জানালেন এর আগেও একাধিক বার ভাই-বোনদের ঠকিয়ে পারিবারিক জমি দখল করেছেন অভিনেত্রী। তাই, পপির বিরুদ্ধে সঠিক বিচার চান তিনি। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় জিডি করেছেন অভিনেত্রীর বোন ফিরোজা পারভীন।জিডিতে পপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, পারিবারিক জমি এককভাবে দখলে নিতে চান অভিনেত্রী। এ নিয়ে ভাই-বোনদের সঙ্গে বিবাদ চরমে পৌঁছালে তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেন পপি ও তার স্বামী আদনান উদ্দিন কামাল।জিডি সূত্রে জানা যায়, পৈতৃক জমি দখলে নেয়ার জন্য সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিববাড়ি এলাকার ভাড়াটিয়া বাড়ির সামনে অবস্থান করেন পপি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্বামী আদনান উদ্দিন কামাল। সঙ্গে কল্লোল মজুমদার ও শিপন নামে আরও দুজন সহযোগী ছিলেন।জমি দখলে ছোট বোন ফিরোজা পারভীন ও মা মরিয়ম বেগম পপিকে বাধা দেন। এ সময় পপি ও তার স্বামী ফিরোজা, মরিয়মকে ভয় দেখান ও মেরে ফেলার হুমকি দেন।এ প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে পপির মা মরিয়ম বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েটা আগে ভালোই ছিল। কিন্তু বিয়ের পর ৫-৬ বছর ধরেই স্বামীর প্ররোচনায় আমাদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। বাবার জমি দখলের চেষ্টা করছে।এর আগেও পারিবারিক জমি দখল করেন পপি। সে প্রসঙ্গে মরিয়ম বলেন, ‘আমার স্বামী আমির হোসেন জীবিত থাকা অবস্থাতেই পারিবারিক জমি ১১ কাঠার মধ্যে পপি নিজের নামে ৫ কাঠা লিখে নিয়েছিল। ওই সময় পেশী শক্তি দিয়ে আমাদের ভয় দেখানো হয়েছিল। উপায় না পেয়ে নায়ক আলমগীর সাহেব, জায়েদ খানসহ আরও দুয়েকজনকে জানাই। তারা পপিকে বিষয়টি সমাধানের কথা জানালেও পপি থামছেই না।’ মরিয়ম আরও বলেন, ‘এখন পপি বাকি ৬ কাঠা জমি দখল নেয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের নানাভাবে হয়রানির মধ্যে রেখেছে। পপি ছাড়াও আমার আরও ৩ মেয়ে ও ২ ছেলে রয়েছে। তাদের হুমকি দিচ্ছে। আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। এই বয়সে আমরা কোথায় যাব?’ পপির মেজবোন ফিরোজা পারভীন বলেন, ‘আমরা ৪ বোন, ২ ভাই। পপি সবার বড়। সে আমাদের বাবার জমি দখলের চেষ্টা করছে অনেক বছর ধরেই। বাবার মৃত্যুর পর থেকেই আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি।’ফিরোজা আরও বলেন, ‘স্বামীসহ পপি খুলনায় অবস্থান করছেন। আমাদের হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।’১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের কুলি সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন পপি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে অন্যতম আবেদনময়ী এই অভিনেত্রী। অভিনয় ক্যারিয়ারে মেঘের কোলে রোদ, কি যাদু করিলা, গঙ্গাযাত্রা সিনেমায় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিন বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।

নেটফ্লিক্সে আসছে আরিয়ানের ছয় পর্বের ওয়েব সিরিজ, চমক দেখাবেন শাহরুখ
নেটফ্লিক্সের ‘নেক্সট অন নেটফ্লিক্স’ শিরোনামের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের পুরো পরিবার। সেই প্রোগ্রামেই জানা গেল নতুন খবর। শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের প্রথম সিরিজ আসতে চলেছে চলতি বছর। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ২০২৫ সালের নতুন কাজের তালিকা প্রকাশ করে ওটিটি প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্স। আর এই তালিকায় নাম রয়েছে আরিয়ান খানের নতুন সিরিজের। ‘দ্য বাডস অব বলিউড’-এর প্রযোজনা করেছে রেড চিলিজ প্রোডাকশন। ছেলের নতুন এই সিরিজে শাহরুখ খানই অভিনেতা, তিনিই প্রযোজক। ছেলের প্রথম কাজে চাপ ছিল কতটা, প্রশ্ন আসতেই মজার ছলে জবাব দিলেন কিং খান।শাহরুখ খান বলেন, ‘অন্য সবাই কাজ করে, আমি নামেই প্রযোজক। প্রযোজক, পরিচালক, লেখক হয়ে পোষাবেনা আমার। আমি একজন পরিশ্রমী তারকা। আমি পর্দায় এলে পেছনে মিউজিক বাজে। প্রযোজকদের সঙ্গে এসব কিছুই হয় না।’ শাহরুখের মুখে এই কথা শুনে হাততালিতে ফেটে পড়েন দর্শকগ্যালারিতে থাকা সবাই।স্টাইলিংয়ে সব সময় অনবদ্য শাহরুখ খান। এ দিন তাকে দেখা গেছে চুল ঝুটি বাঁধা, চোখে কালো সানগ্লাস, ছিল কালো রঙের পোশাক। ২০২৪ সালে কোনো ছবি আসেনি শাহরুখের। তবে ২০২৩ সালে ধামাকা দিয়েছিলেন জাওয়ান, পাঠান, আর ডাঙ্কি দিয়ে। তবে এ বছর নেটফ্লিক্সের এই সিরিজ ছাড়াও, শাহরুখকে দেখা যাবে কিং-এ।জানা গেছে, ৬ পর্বের এই সিরিজে সালমান খান, শাহরুখ, রণবীর কাপুর, বাদশা ও ববি দেওলের ক্যামিও দেখা যাবে। আরিয়ান গত বছরের মে মাসে তার সিরিজের শুটিং শেষ করেছেন।
 25/bapparaj.jpg)
ব্যর্থ প্রেমিকের খোলস ছেড়ে অ্যাকশন নিয়ে ফিরছেন বাপ্পারাজ
ক্যারিয়ারে ত্রিভুজ প্রেমের অনেক গল্পে অভিনয় করেছেন বাপ্পারাজ। বেশির ভাগ সিনেমায় শেষ দৃশ্যে থাকতেন আত্মত্যাগের ভূমিকায়। পর্দায় নেই অনেক দিন, তবে এখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ান বাপ্পারাজ। প্রায়ই দেখা যায় তাঁর সিনেমার দৃশ্য শেয়ার করে কেউ লিখছেন ব্যর্থ প্রেমিক কিংবা কেউ লিখছেন ব্যর্থ প্রেমের সফল নায়ক। তাঁর সিনেমার সংলাপ নিয়ে হরহামেশাই তৈরি হয় মিম। এই যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ট্রেন্ড চলছে ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার ‘চাচা, হেনা কোথায়’ সংলাপটি। এবার ব্যর্থ প্রেমিকের খোলস ছেড়ে অ্যাকশন নিয়ে আসছেন বাপ্পারাজ। ‘রক্ত ঋণ’ নামের ওয়েব ফিল্মে পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অ্যাকশন মুডে দেখা যাবে বাপ্পাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি নজর এড়ায়নি নির্মাতা ও বাপ্পার। তাই হয়তো রক্ত ঋণ ওয়েব ফিল্মের অ্যানাউন্সমেন্ট টিজের বার্তা দিলেন, ‘বিরহ নয়, এবার অ্যাকশন হয়ে যাক’। প্রায় দেড় মিনিটের টিজার শুরু হয়েছে বাপ্পারাজের প্রেমের সমাধি সিনেমার ‘পাখি যায় উড়ে যায়’ গান দিয়ে। যে গান দিয়ে প্রায়ই বানানো হয় মিম। কয়েক লাইন বাজার পরেই বাপ্পারাজ বলেন, ‘বন্ধ করো। অনেক তো বিরহ হলো, এবার একটু অ্যাকশন হয়ে যাক।’ রক্ত ঋণ বানাচ্ছেন মোস্তফা খান সিহান। এতে পুলিশ কর্মকর্তা সায়েম জব্বার চরিত্রে অভিনয় করছেন বাপ্পারাজ। থ্রিলার ঘরানায় তৈরি রক্ত ঋণের গল্পে দেখা যাবে হঠাৎ করে শহরে কয়েকজন চিকিৎসককে খুন করা হয়। সেই সিরিয়াল কিলারকে খুঁজতে নামে পুলিশ। দায়িত্ব পড়ে পুলিশ কর্মকর্তা সায়েম জব্বারের ওপর। টিজারে বাপ্পারাজের মুখে শোনা গেল, ‘সব ক্রাইমের একটা হোল থাকে। আমাদের কাজ হচ্ছে সেই ফুটোটা খুঁজে বের করা। সবাই পায় না। সবাইকে দিয়ে সব কাজ হয় না।’ নির্মাতা সিহান বলেন, ‘দেশি সিনেমা নিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা করছি। রক্ত ঋণের সংলাপ, চিত্রনাট্যে নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমাকে খুঁজে পাওয়া যাবে।’ ওয়েব ফিল্মে বাপ্পারাজকে কাস্টিং করা প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, ‘অনেক দিন ধরে পর্দায় নতুন কোনো কাজ না থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি অ্যাকটিভ। সবাইকে চমকে দিতেই তাঁকে প্রধান চরিত্রে ভেবেছি। তাঁর কাছে প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ার পর তিনি না করে দিয়েছিলেন। অনেক অনুরোধের পর সিনেমার গল্প ও পরিবেশন পরিকল্পনা শুনে উনি রাজি হন।’ ইতিমধ্যেই সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছে। শিগগিরই পুরো কাজ শেষ করে দেশের একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি দেওয়া হবে। এতে আরও অভিনয় করেছেন আরশ খান, শাহেদ আলী সুজন, নাদিয়া হক প্রমুখ। সবশেষ ‘পোড়ামন ২’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন বাপ্পারাজ। রক্ত ঋণ দিয়ে আট বছর পর অভিনয়ে ফিরছেন তিনি।

গুরুতর অসুস্থ ফরিদা পারভীন, নেওয়া হয়েছে আইসিইউতে
লালনসঙ্গীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন শ্বাসকষ্ট নিয়ে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বলে জানিয়েছেন তাঁর স্বামী যন্ত্রসঙ্গীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘ফরিদা পারভীনের শারিরীক অবস্থা ভালো খুব একটা ভালো নয়। তাকে এখন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তাঁর ফুসফুসে পানি জমেছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি জটিলতা রয়েছে।’ ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার বলেন, ‘তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী ভোরে ভর্তি হয়েছেন। শরীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তাঁর ডায়াবেটিস রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ এবং থাইরয়েডের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যায়ও ভুগছিলেন। বক্ষব্যাধি, কিডনি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞের তত্ত্ববাবধানে আছেন তিনি। তাঁর অবস্থা কিছুটা জটিল। তাকে ডায়ালাইসিস করতে হবে।’ ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসঙ্গীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। ১৯৮৭ সালে সঙ্গীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান এই শিল্পী। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ একাধিক সম্মাননা। ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি গানের স্কুলও রয়েছে তাঁর। ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন।

উদিতের চুমুর ভিডিও ভাইরাল, বললেন ‘ওদের খুশি করতে হয়’
ভারতের জনপ্রিয় গায়ক উদিত নারায়ণ নতুন বিতর্কে জড়ালেন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি মঞ্চে এক নারী ভক্তকে চুমু খেয়েছেন। তবে সমালোচনা গায়ে মাখছেন না উদিত নারায়ণ। তার দাবি ভক্তদের ভালোবাসা উপেক্ষা করতে চান না বলেই এমনটি করেছেন। মঞ্চে ‘টিপ টিপ বারসা পানি’ গানটি পরিবেশন করছিলেন উদিত। মঞ্চের সামনে পালাক্রমে কয়েকজন নারী ভক্ত এলেন সেলফি তুলতে। সেলফির আবদার মেটালেনও তিনি। কিন্তু ছবি তোলার পাশাপাশি তিনি নারী ভক্তদের চুমু খেলেন। এমনকি একজনের ঠোঁটেও চুমু খেলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ দৃশ্যের ভিডিও ভাইরাল হয়। জনপ্রিয় এ গায়কের এমন আচরণ খুব একটা ভালো চোখে দেখছেন না ভক্তরা। ‘উদ্ভট’ আচরণের জন্য শিরোনাম হলেন বলিউড গায়ক উদিত নারায়ণ।সামাজিক মাধ্যমে উদিত নারায়ণ লিখেছেন, ‘আমার পরিবারে কোনো বিতর্ক নেই। কিন্তু এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে যেন বিতর্ক তৈরির চেষ্টা চলছে। আমি যখন স্টেজে গান গাই, তখন ভক্তরা এই রকমই আবদার করে। আমাদেরও উচিত ওদের খুশি করা। দীর্ঘ ৪৬ বছর আমি বলিউডে কাজ করছি। কখনো আমার ইমেজ নষ্ট হয়নি। ভক্তরা আমাকে সব সময় ভালোবেসেছে। আমিও হাতজোড় করে তাদের ভালোবাসাকে সম্মান করেছি। একটাই কথা মনে হয়, এই সময়টা যদি আর ফিরে না আসে।’ তাছাড়া এই বিতর্ক নিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসকেও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন উদিত নারায়ণ। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ আমাদের এটা করতে উৎসাহ দেন, এভাবেই আমাদের প্রতি তাদের ভালোবাসা জানান। এগুলো সবই ওদের পাগলামি। এতে এত নজর দেয়ার মতো কিছু হয়নি।’উদিত নারায়ণ বলেন, ‘আমি যখন মঞ্চে গান গাই তখন দর্শকদের মধ্যে একটা পাগলামি কাজ করে। ওরা আমায় ভালোবাসেন। আমাদেরও তো ওদের খুশি করতে হয়।’

মালা বিক্রেতা থেকে এবার চলচ্চিত্রের নায়িকা
বেশ কিছু দিন ধরেই আলোচনায় আছেন মালা বিক্রেতা মোনালিসা ভোঁসলেকে নিয়ে। নেট-দুনিয়াতে ভাইরাল হয়েছেন তিনি। ভারতের মহাকুম্ভে মালা বিক্রি করছিলেন তিনি সেই ভিডিও ভাইরাল হয় নেট-দুনিয়ায় এরপর থেকেই শুরু হয় তার সৌন্দর্য নিয়ে আলোচনা। এবার জানা গেল সিনেমার অভিষেক হতে যাচ্ছে ভাইরাল গার্ল মোনালিসা। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনাও তার রূপের প্রশংসায় করেছেন। কুম্ভ মেলায় এসে ভাগ্য খুলে গেল মোনালিসার। গুঞ্জন উঠেছে দক্ষিণী সিনেমায় আল্লু অর্জুনের নায়িকা হতে চলেছেন মোনালিসা। সেই গুঞ্জনের মধ্যে মোনালিসার বলিউড অভিষেকের খবর এল। সনোজ মিশ্রর পরিচালনায় ‘দ্য ডায়েরি অব মণিপুর’ সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছেন এই ভাইরাল তরুণী। সনোজ মিশ্র এর আগে ‘দ্য ডায়েরি অব ওয়েস্ট বেঙ্গল’ সিনেমা পরিচালনা করেছিলেন। যদিও সিনেমাটি এখনো পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। পরিচালক তার নিজের ইনস্টাগ্রাম আইডিতে মোনালিসার সঙ্গে ছবি শেয়ার করি এই খবর জানান। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই সেই সিনেমার শুটিং শুরু হবে। ভাইরাল কন্যাও যোগ দেবেন শুটিং ফ্লোরে। সিনেমাটির গল্পকারও সনোজ নিজেই। মোনালিসা দক্ষিণী বিনোদন দুনিয়া থেকে ডাক পেয়েছেন- এর আগে এমন খবর পাওয়া যায়। আল্লু অর্জুন ‘পুষ্পা থ্রি’-এ তাকেই নাকি নায়িকা হিসেবে পেতে চান। মোনালিসা স্কুলের গণ্ডিও কখনো ছোঁয়নি। বাড়িতে মা-বাবা। একমাত্র উপার্জনকারী তিনিই।

গানের মঞ্চে হঠাৎ অসুস্থ সাবিনা ইয়াসমিন, নেয়া হল হাসপাতালে
দীর্ঘ বিরতির পর ফের গানের মঞ্চে ফিরেছিলেন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। তবে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়নি, গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের মেয়ে ফায়রুজ বাঁধন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকায় ছিল এই কণ্ঠশিল্পীর গানের সন্ধ্যা। মঞ্চে উঠে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা গানও গেয়েছেন তিনি। আমন্ত্রিত দর্শক-শ্রোতারাও মুগ্ধ হয়ে তার গান শুনছিলেন। তবে হঠাৎ গানের মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে গুলশানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। ফায়রুজ বাঁধন বলেন, ‘দীর্ঘ দিন পর আম্মু আজ মঞ্চে উঠেন। তবে গানের মাঝপথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। আম্মুর মাথাব্যথা শুরু হয়। পরে তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।’ এদিকে চিকিৎসা শেষে ইতোমধ্যে সাবিনা ইয়াসমিনকে বাসায় নেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সংগীতশিল্পী জাহাঙ্গীর সাইদ। তিনি বলেন, ‘সাবিনা আপার ভার্টিগো সমস্যা রয়েছে। হঠাৎ গাইতে গাইতে তিনি ভার্টিগো সমস্যায় পড়েন। এরপর মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড ধরতে গিয়ে ভারসাম্য রাখতে পারেননি। পড়ে যান। তারপর দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসকেরা প্রাথমিক সব চিকিৎসা করেন। রাত সাড়ে ১০টার সময় আমরা আপাকে নিয়ে বাসার দিকে রওনা করেছি। এখন আপা পুরোপুরি ঠিক আছেন।’ দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় গান গাওয়া থেকে বিরতি নিয়েছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন। ২০০৭ সালে ক্যানসার ধরা পড়ার পর চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আবারও গান শুরু করেছিলেন। মাঝখানে বিশ্বের কয়েকটি দেশের প্রবাসী বাঙালিদের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানেও গান করেছেন। তবে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন করে তার শরীরে ক্যানসার ফিরে আসে। ওই সময় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছিলেন তিনি। তবে অনেকগুলো রেডিওথেরাপি নিতে হয়েছিল এই কণ্ঠশিল্পীকে।

কামরাঙ্গীরচরে কী ঘটেছিল, জানালেন অপু বিশ্বাস
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার ঘটনা তারকাদের সঙ্গে বারবার ঘটছে। প্রথমে চট্টগ্রামে মেহজাবীন চৌধুরী, পরে টাঙ্গাইলে পরীমণি, এরপর রাজধানীতে তোপের মুখে একটি অনুষ্ঠান বাতিল করতে হয়েছে অপু বিশ্বাসকে। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন চিত্রনায়িকা। গত ২৮ জানুয়ারি কামরাঙ্গীচরে একটি রেস্তোরাঁর উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল অপুর। কিন্তু স্থানীয় কিছু মুসল্লির আপত্তিতে অভিনেত্রীকে ছাড়াই রেস্টুরেন্টের উদ্বোধন করেন মালিকপক্ষ। পুরো বিষয়টি নিয়েই শুরু থেকে নীরব ভূমিকা পালন করলেও বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) একটি গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন অপু। তিনি বলেন, মালিকপক্ষ থেকে যোগাযোগ করে বলল, আপু টাইম শেষ। আপনি একটা সুন্দর ভিডিও পাঠিয়ে দিন। কিন্তু কেন? জানতে চাইলে চিত্রনায়িকা বলেন, তাদের ইলেকট্রিসিটি সমস্যা ছিল। আমি তো এর আগেও একটা ওপেনিংয়ের অনুষ্ঠানে গেছি। এ প্রসঙ্গে কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমীরুল ইসলাম বলেন, উদ্বোধনের জন্য অপু বিশ্বাস আসবেন এমন প্রচারণা শুরুর পর স্থানীয় মুসল্লিরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানান। এরপর রেস্টুরেন্ট মালিকেরা জানান, অপু বিশ্বাসকে আনলে যদি মুসল্লিরা বিশৃঙ্খলা করেন, আপত্তি জানান, তাহলে আমরা অপু বিশ্বাসকে আনব না। আমরা ব্যবসা করব। লোকজন নিয়ে চলতে হবে। কারও সঙ্গে আমাদের বিরোধের দরকার নেই। এরপর অপু বিশ্বাসকে ছাড়াই রেস্তোরাঁর উদ্বোধন সম্পন্ন হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেন, দুঃখিত অপু বিশ্বাস দি। আমাদের শিল্পীদের মধ্যে ইউনিটি কম থাকার কারণে তোমাকেও এভাবে অপমানিত হতে হলো। তা না হলে মেহজাবীন, পরীমণির পর আর কোনো শিল্পীদের এভাবে অপমান করার আগে ৫০০০ বার ভাবতে হতো।

‘সমকামিতার সমর্থক কাফি’ দাবি নিয়ে যা জানা গেল
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফির একটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, ‘সমকামিতার সমর্থক কাফি’। ওই দাবিতে প্রচারিত পোস্টে সংযুক্ত ছবিতে কাফির হাতে এলজিবিটিকিউ+ প্রাইড পতাকার সদৃশ রঙের একটি টুপি দেখা যায় এবং ওই টুপিটির আলোকেই দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে ওই দাবিটি সঠিক নয়। কাফিরিউমর স্ক্যানার জানায়, কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফি সমকামিতার সমর্থক নন। তিনি নানা সময়ে সমকামী বিরোধী ভিডিও বানিয়েছেন ও নিজেকে সমকামিতার বিপক্ষের একজন ব্যক্তি বলে দাবি করেছেন। এমনকি রিউমর স্ক্যানার টিমকেও তিনি এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তাছাড়া, প্রদর্শিত টুপিটির সাথেও সমকামিতা বা এলজিবিটিকিউ+ এর প্রাইড পতাকার রঙের পার্থক্য রয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করে প্রচারিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। পোস্টগুলোতে কেবলমাত্র কাফির হাতে থাকা টুপিটির রঙের উপর ভিত্তি করেই দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। কাফির ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, ওই ছবিটি গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) কাফি তার ফেসবুক পেজে ‘একা থাকার অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে প্রিয়তমা।’ শীর্ষক ক্যাপশনে পোস্ট করেছিলেন৷ ওই পোস্টটিতে কাফি সমকামিতার বিষয়ে কোনো উল্লেখ করেননি। পরবর্তী অনুসন্ধানে কাফির হাতে থাকা ওই টুপিটি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, টুপিটিতে মূলত চারটি রঙ রয়েছে; যা হলো কালো, লাল, হলুদ ও সবুজ। অপরদিকে, ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডো বোউল্ডারের অন্তর্ভুক্তি ও সামাজিক পরিবর্তন কেন্দ্র এবং হেল্থ নামের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নিবন্ধ থেকে জানা যায়, প্রচলিত রেইনবো প্রাইড ফ্ল্যাগে সাধারণত ছয়টি রঙ থাকে। রঙগুলো হল লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, বেগুনি ও নীল বা বেগুনি নীল। অর্থাৎ, এলজিবিটিকিউ+ এর পতাকাতে কালো রঙ থাকে না কিন্তু কাফির হাতে থাকা টুপিতে কালো রঙ একাধিকবার দেখা যায়। এ ছাড়া, কাফির হাতে থাকা টুপিতে এলজিবিটিকিউ+ এর পতাকাতে থাকা কমলা, বেগুনি ও নীল রঙ দেখা যায়নি যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, কাফি’র হাতে থাকা টুপিটি এলজিবিটিকিউ+ এর সমর্থনে প্রচলিত কোনো টুপি নয়। টুপিটির ছবি রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে টুপিটি অ্যামাজনের ওয়েবসাইটে ‘ইউনিসেক্স জ্যামাইকা রিগেজ ক্যাপ রাস্টা স্লিংকি বিয়ানি মাল্টি-কালার স্ট্রাইপড স্লাচি ব্যাগি বিয়ানি স্কুলিজ গোরু রাস্টা হ্যাট’ শীর্ষক নামে বিক্রি হতে দেখা যায়। পণ্যের নাম বা বিবরণীতে এটির সাথে সমকামিতার কোনো সম্পৃক্ততা উল্লেখ করতে দেখা যায়নি। পরবর্তী অনুসন্ধানে কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফির ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করলে তাকে নানা সময়ে সমকামিতার বিরুদ্ধে কথা বলতে বা ভিডিও বানাতে দেখা যায়। ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারিতে তার ফেসবুক পেজে প্রচারিত একটি ভিডিওতে কাফি’কে বলতে শোনা যায় যে, সমকামী বা সমকামী সমর্থকদের চেয়ে কুকুর ভালো। সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে গল্পে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে ২০২৪ সালের শুরুর দিকে অভিযোগ করেছিলেন তৎকালীন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব।২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকার কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক : বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে আসিফ মাহতাব বলেন, ‘সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে।’ এ সময় তিনি এই পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। এরই প্রেক্ষিতে পরবর্তী আসিফকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় চাকরিচ্যুত করেছিল বলে জানা যায়। সেসময়ও কাফি একটি ভিডিও তৈরি করে আসিফ মাহতাবকে পুরোপুরি সমর্থন জানিয়ে আসিফকে পদচ্যুত করার সিদ্ধান্তের জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা করেন। এ ছাড়াও, আরো নানাসময়ে তাকে সমকামিতা বা ট্রান্সজেন্ডারবিরোধী ভিডিও তৈরি করতে দেখা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে টুপি হাতে কাফির ওই ছবিটি প্রচার করে তাকে সমকামী সমর্থক বলে প্রচার করা হলে তিনি তার ফেসবুক পেজে গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) একটি ভিডিও প্রচার করেন৷ ভিডিওটিতে তিনি সমকামী সমর্থক হওয়ার দাবিটি মিথ্যা বলে জানান। এ বিষয়ে রিউমর স্ক্যানার টিম কাফির সাথে যোগাযোগ করলে কাফি জানান, ‘আমি একজন মুসলিম। সমর্থন করার বিষয়ই আসে না। বরং, আমি সমকামিতার বিপক্ষে। আমি এর বিপক্ষে ভিডিও ও বানিয়েছি।’ সুতরাং, কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফি সমকামিতার সমর্থক শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।

আমার ওপর এবার একটু রহম করো: পরীমণি
বাংলাদেশী চলচ্চিত্রঅভিনেত্রী পরীমণি ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চলমান আলোচনা-সমালোচনার কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। একপর্যায়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যেখানে গণমাধ্যম ও ভক্তদের প্রতি তার আকুতি প্রকাশ পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে পরী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আজ কোনো এক কারণে নিজেকে নিজের মতো করে অনেকগুলো প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করলো আমার। নিজের সাথে কথোপকথন হলো খুব। নিজেকে আক্রমণাত্মক প্রশ্ন করলাম সবগুলোই।’ এরপর তিনি উল্লেখ করেন, কেন গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এত মাতামাতি করেন, কেন তার কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন বেশি আলোচিত হয় এবং কেন পূর্ববর্তী অভিনেত্রীদের সময় এমনটা দেখা যেত না ‘ এই নায়িকা আরও লেখেন, ‘নিজেকে থামিয়ে দিলাম এরকম হাজারো প্রশ্নের থেকে। কারণ, জীবনে কখনো কখনও নিজের কর্ম অবস্থানের থেকে খুব বেশি জরুরি হয়ে পড়ে ওই জীবনটা। প্রত্যেকটা জীবনের অধিকার আছে সুন্দর করে বেঁচে থাকার। আমার প্রথম অনুরোধ, প্লিজ এবার একটু ছেড়ে দেন আমাকে। আমার কাজের বাইরে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আর টানাটানি কইরেন না আল্লাহর ওয়াস্তে।’ তিনি স্পষ্টভাবে জানান, তার ক্যারিয়ারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ এখন তার সন্তানদের সুন্দর জীবন দেওয়া। ‘আমি আমার বাচ্চাদের মা, একমাত্র অভিভাবক হয়ে আমি তার সর্বোচ্চটা দিতে চাই। যেমন করে হয়তো সব মায়েরাই চায়!’ এই অভিনেত্রী তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, ‘গত তিন-চার মাস তার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল। তিনি বলেন, ‘কেন/কী জন্য সেটা বলার প্রয়োজন নেই বলে ধরে নিচ্ছি।’ তার বক্তব্যে স্পষ্ট, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অব্যাহত আলোচনার কারণে তিনি বিরক্ত ও মানসিকভাবে ক্লান্ত। ‘আমি নায়িকা, আমি মেয়ে, সব কিছু ছাড়িয়ে আমি একজন মানুষ। আমি এই পৃথিবীর সমস্ত মানুষের কাছে প্রার্থনা করছি- হে মানুষ, হে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণ, তোমরা আমার উপর এবার একটু রহম করো। আগে আমি সুন্দর করে একটু বাঁচি, তারপর এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেবো।’ মূলত গণমাধ্যম ও ভক্তদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরী, যেন তারা তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আর অতিরিক্ত মাতামাতি না করেন। অভিনেত্রী চান, তার কাজকে গুরুত্ব দেওয়া হোক এবং তার ব্যক্তিগত জীবনকে তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে রাখা হোক।