নালিতাবাড়ীতে বাড়ছে সরিষার চাষ
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৪:০৬ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
কৃষি অফিস জানায়, গতবছর উপজেলায় ১২১০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ উপজেলায় সরিষার আবাদ হয়েছে ২ হাজার ১৭৩ হেক্টর। গত বছরে পতিত থাকা ৯শ ৬৩ হেক্টর জমি সরিষা আবাদের আওতায় এসেছে। ফলে নালিতাবাড়ি উপজেলার শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল ফলাতে কৃষিতে সকল ফসলের প্রণোদনার অংশ হিসেবে সরিষা ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিনামূল্যে ৯ হাজার ৬০০ জন কৃষকের মাঝে সরিষার উফশী জাতের বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়। সরিষা চাষ বাড়ার আরেকটি কারণ সরিষা ক্ষেতে মৌচাষ। মৌমাছির মাধ্যমে সরিষা ফুলের পরাগায়নে সহায়তা হচ্ছে। এতে মধু চাষের পাশাপাশি সরিষার উৎপাদনও বাড়ছে। সরিষা ও মৌচাষি উভয়েই লাভবান হচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিকেলের মিষ্টি রোদে সরিষা ফুলগুলো বাতাসে দোল খেতে থাকে। ফুলগুলো তাদের কলি ভেদ করে সুভাষ ছড়িয়ে দিচ্ছে চারিদিকে। এ যেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের নিদর্শন। ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন নানা বয়সের নারী, পুরুষ, শিশুসহ বিনোদন প্রেমিরা। সরিষা মাঠ ঘুরে ঘুরে দেখছেন তারা। কেউ-কেউ দেখা যায় সেলফি তুলছেন।
নন্নী পশ্চিম পাড়া গ্রামের সরিষা চাষি হাজি আঃ রশিদ সরকার (৫২) বলেন, সরিষা চাষ করতে প্রতি একরে ১২-১৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। একরে ২৫-৩০ মণ সরিষা হওয়ার আশা করছি। এক মণ সরিষার মূল্য ২ হাজার ৮ শ থেকে তিন হাজার টাকা। সরিষা চাষে যে সার আমরা ব্যবহার করি, পরবর্তীতে বোর ধান রোপনের সময় সার বেশি লাগে না। এতে আমাদের খরচ কিছুটা কম হয়।
কয়েকজন সরিষা চাষী জানায়, দেশি সরিষার চেয়ে বারি ও বিনার উদ্ভাবিত সরিষার জাতগুলোর ফলন বেশি হয়। আগ্রহী অনেকেই আমন ধান কাটার পর জমি পতিত না রেখে সরিষা চাষ করেছেন। এরপর আবার বোরো ধান রোপণ করতে পারবেন। এতে একই জমিতে বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ২ হাজার ১৭৩ হেক্টর জমিতে আবাদকৃত সরিষা কর্তন করে কৃষক পুনরায় ওই জমিতে বোরো ধান রোপন করবে। গতবারের চেয়ে এবার নালিতাবাড়ীতে সরিষা চাষ বেশি হয়েছে। আমরা কৃষকদের সর্বদা নানা পরামর্শ ও সহযোগীতা দিচ্ছি।
ঢাকাওয়াচ/টিআর