দেশে ৮০ শতাংশ বিবাহিত পুরুষই নির্যাতনের শিকার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৯:০৪ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২৪
সমাজের প্রায় ৮০ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ম্যানস রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএমআরএফ)। সংস্থাটির পরিসংখ্যার অনুযায়ী, বিগত নয় বছরে পুরো দেশে চার হাজার ২৬৮ জন ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় দুই হাজার ৩২৮ জন পুরুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তবে, প্রকৃত পুরুষ নির্যাতনের সংখ্যা আরো বহু বেশি।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস উপলক্ষে বিএমআরএফের চেয়ারম্যান শেখ খায়রুল আলম সোহেল এ তথ্য জানান।
বিএমআরএফের তথ্যানুযায়ী, পুরো বাংলাদেশে চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত এক হাজার ৬৭ জন পুরুষ নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর পূর্বে, ২০২৩ সালে ১০৪৯ জন, ২০২২ সালে ৭৯২ জন, ২০২১ সালে ৪৫০ জন, ২০২০ সালে ৩৩০ জন, ২০১৯ সালে ২৪০ জন, ২০১৮ সালে ১৭০ জন, ২০১৭ সালে ১২০ জন ও ২০১৬ সালে ৫০ জন পুরুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ হিসেবে গেল নয় বছরে চার হাজার ২৬৮ জন পুরুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তবে, প্রকৃত সংখ্যা আরো বহু বেশি বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।
বিএমআরএফের তথ্যানুযায়ী, নারায়ণগঞ্জ জেলায় চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৬৪৭ জন পুরুষ নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর পূর্বে, ২০২৩ সালে ৬৩২ জন, ২০২২ সালে ৩৯৭ জন, ২০২১ সালে ২১২ জন, ২০২০ সালে ১৫৩ জন, ২০১৯ সালে ১১৭ জন, ২০১৮ সালে ৮২ জন, ২০১৭ সালে ৬৫ জন ও ২০১৬ সালে ২৩ জন পুরুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ হিসাব অনুযায়ী গেল নয় বছরে দুই হাজার ৩২৮ জন পুরুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
শেখ খায়রুল আলম সোহেল বলেন, ‘পুরুষের অধিকার ও নির্যাতন প্রতিরোধে আমাদের সংগঠনটি কাজ করছে। আমাদের সংগঠনের জরিপে দেখা গেছে, পুরো দেশে গেল কয়েক বছর গড়ে প্রায় এক হাজারের অধিক ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় প্রায় ৬০০-৭০০ জনের অধিক পুরুষ নির্যাতনের শিকার হয়। বিবাহিত পুরুষরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। পুরো দেশে প্রায় ৮০ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তবে, বাস্তবে নির্যাতনের শিকার পুরুষের সংখ্যা আরো কয়েক গুণ বেশি। লোকলজ্জা ও সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার ভয়ে বহু পুরুষ এসব নিয়ে কথা বলতে চান না। এসব ঘটনায় নির্যাতিতদের আইনি সহায়তা দেওয়াসহ নির্যাতন প্রতিরোধে আমরা কাজ করে আসছি।’
আইনের অপব্যবহারের ফলে পুরুষ নির্যাতন বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আইন থাকলেও পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ আইন নেই। ফলে, নারী নির্যাতন আইনের অপব্যবহার হচ্ছে। এতে বহু পুরুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, মিথ্যা মামলার মধ্য দিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে। বহু পুরুষ এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। কিন্তু, লোকলজ্জা ও সম্মান হানির ভয়ে অনেকে তা বলতে পারছে না। এমন নানা অভিযোগ নিয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের সংগঠনের কাছে অনেকে আসছে। তবে, তারা প্রকাশ্যে এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হন না।’