ইফতারে তরমুজ খেলে কী ঘটে দেহে?
- স্বাস্থ্য
- প্রকাশঃ ০৪:৪৩ পিএম, ০৬ মার্চ ২০২৫

তরমুজ বহু পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি সুস্বাদু ও রসালো ফল। এটি শিশু থেকে বয়ষ্ক সবারই পছন্দ। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহের এই সময়ে রোজা রাখায় শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। তরমুজে ৯২ শতাংশ পানি হওয়ায় এটি ইফতারে পানির চাহিদা মেটাতে পারে। এ জন্য ইফতারে রাখা যেতে পারে মৌসুমি এই ফল।
তরমুজে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় ক্যালোরি খুবই কম। তাই এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ ও সি, ক্যারোটিনয়েডস, লাইকোপিন ও কিউকারবিটাসিন ই আছে। এছাড়া এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তরমুজে হার্টের জন্য উপকারী খনিজ ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি আছে।
দেখে নিন ইফতারে তরমুজ খেলে কী ঘটে শরীরে-
তরমুজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে।
তরমুজে প্রচুর আঁশ আছে, যা হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
তরমুজের অ্যামিনো অ্যাসিড, সিট্রুলাইন পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ও রক্তনালি প্রসারিত করে। এতে রক্ত সহজে পাম্প হয়।
তরমুজের বেশ কিছু পুষ্টিগুণ চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এতে প্রচুর আঁশ আছে, যা হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
তবে তরমুজ উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত হওয়ায় এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বাড়ায়। তাই যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের এটি বেশি না খাওয়াই ভালো।
সাবধানতা:
তরমুজ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বাড়ায়। এ জন্য যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের বেশি না খাওয়াই ভালো।
তরমুজে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় যাদের কিডনি সমস্যা বা কিডনিজনিত রোগ আছে তাদের না খাওয়াই ভালো। এতে প্রচুর পানি থাকায় তরমুজ খাওয়ার পরপরই পানি পান থেকে বিরত থাকুন।