লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি কমাতে মেনে চলুন ৩ পরামর্শ

শরীরের সকল দূষিত বর্জ্য পদার্থ বের করে তাকে সুস্থ রাখাই যকৃৎ বা লিভারের কাজ। আর আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির মারাত্মক একটি অসুখের নাম হল লিভার সিরোসিস। এই রোগে লিভার পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়ে। অর্থাৎ লিভার তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়, যার ফলে বাড়ে মৃত্যুঝুঁকি। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। কিন্তু খুব সহজেই আমরা এই মারাত্মক রোগের হাত থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারি। সামান্য সতর্কতায় লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নেওয়া যাক তার উপায়- ১) যে খাবারগুলো সহজে হজম হবে এবং হজমশক্তি বাড়াতে বেশ কার্যকর সে ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। ব্রকলি, সবুজ শাক, বাঁধাকপি এবং ফুলকপি লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। এছাড়া কাঁচা পিয়াজ এবং রসুন লিভারের জন্য ক্ষতিকর টক্সিনকে দেহ থেকে দূর করতে সহায়তা করে এবং লিভারের সুস্থতা নিশ্চিত করে। ২) নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের অভ্যাস গড়ে তুলুন। শারীরিক পরিশ্রম শরীরে মেদ কমানোর পাশাপাশি লিভারে মেদ জমতে দেয় না। ফলে লিভার সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্তের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে মাত্র ২০ মিনিটের শরীরচর্চা লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের মাধ্যমে লিভারের মারাত্মক সমস্যা থেকে দূরে থাকুন। ৩) নিয়মিত সঠিক পরিমাণে পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। পানি আমাদের লিভারের জন্য ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। যারা পানি কম পান করেন তাদের লিভারের নানা সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। তাই পানি বেশি করে খান। দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করুন। ঢাকাওয়াচ/স

ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে যে ফলগুলো

বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার বাড়ছে আর আগের তুলনায় এখন আরও বেশি মানুষ এই রোগে মারা যাচ্ছে। ২০১৮ সালে সারা পৃথিবীতে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৯৬ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে বছরে এক কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ মারা যাবে। তবে ক্যান্সার আক্রান্ত হবার পর সুস্থ হয়ে ফিরে আসার সংখ্যাও বাড়ছে প্রতি বছর। সেই সঙ্গে বিজ্ঞানীরাও ক্যান্সার শনাক্ত ও চিকিৎসার নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আসছেন। কিছু ফল আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। যেমন কমলা, আপেল, স্ট্রবেরি, আঙুর ও বেদানা বা ডালিম। ঢাকাওয়াচ/স

নতুন বছর সহজ অঙ্গীকার

১। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। বাড়িয়ে দিন ফল আর সবজি খাওয়া। কিছু সংরক্ষণ করুন ফ্রিজে। ঘরে আর কর্মস্থল সর্বত্র আহার। ২। যথেষ্ট ঘুমাবেন। ৭-৮ ঘণ্টা। ঘুমের আগে উষ্ণ ধারা জলে স্নান আর বই পড়ুন। ৩। ধৈর্য ধারণ করুন নিজের উদ্বেগ প্রকাশের চেয়ে বরং শুনুন বেশি বলুন কম। ৪। নিজের জন্য কিছু একান্ত সময় বের করে নিন। ৫। সম্পর্ক উন্নত যাতে হয় সেরকম কাজ করুন। ৬। অতীত ভুলে যান। ৭। নিজের ডেস্কের জঞ্জাল সাফ করুন। ৮। আরও বেশি পানি পান করুন। ৯। নিজ হাতে নোট লিখুন। প্রিয় বন্ধুকে লিখুন চিঠি। ১০।নিঃশর্ত ভাবে মানুষকে ধন্যবাদ দিন। ১১। স্মার্ট ফোন আসক্তি অতিক্রম করুন। ১২। নিজের খাবার নিজে রান্না করুন। ১৩। দান করুন। ১৪। ঘরের বাইরে সময় কাটান। ১৫। নিয়মিত ধ্যান করুন। ১৬। একটি শখ বেছে নিন । ১৭। নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হন । ১৮। নিজের ঘর দোর পরিষ্কার করুন। ১৯। একটি বাজেট স্থির করুন আর এতে লেগে থাকুন। ২০। আরও বই পড়ুন । ঢাকাওয়াচ/স

স্তন ক্যান্সার শনাক্তে গুগল এআইয়ের বিস্ময়কর সফলতা

স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আশাবাদী করে তুলেছে বিজ্ঞানীদের। স্তন ক্যান্সার নিরুপণে প্রচলিত পরীক্ষায় অনেক ভুল ধরিয়ে দিয়েছে গুগল। এটিকে গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিস্ময়কর সফলতা বলছেন চিকিৎসকরা। গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভুল রিপোর্টের কারণে প্রায়ই রোগীর স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসায় দেরি হতে দেখা যায়। এ কারণে রোগীর দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। এ ছাড়া রেডিওলজিস্ট, যাদের সংখ্যা এমনিতেই কম, তাদের কাজের চাপও বাড়ে। এ কারণে ক্যান্সার শনাক্তে ব্যবহার করা হচ্ছে গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এ বিষয়ে গুগল হেলথ-এর প্রযুক্তি প্রধান শ্রাভিয়া শেঠি বলেন, ভবিষ্যতের অ্যাপ্লিকেশনের জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে, যেখানে মডেলটি স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে রেডিওলজিস্টদের সহায়তা করবে।’ এ ক্ষেত্রে মেমোগ্রাম দেখে স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে গুগলের মডেল আরও নিখুঁত ফল দেয়। এতে বিশেষজ্ঞদের তুলনায় ভুল রিপোর্ট কম আসে বলে দাবি করেছে গুগল। খবর আইএএনএসের। এক্স-রে ইমেজিং স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পরীক্ষা। প্রতি বছর শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেই এ পরীক্ষা ৪ কোটি ২০ লাখের বেশি হয়ে থাকে। গবেষকরা গুগলের এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিতে যুক্তরাজ্যে ৭৬ হাজারের বেশি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ হাজারের বেশি নারীর মেমোগ্রাম ব্যবহার করেছেন। পরে যুক্তরাজ্যে আরও ২৫ হাজার নারী এবং যুক্তরাষ্ট্রের তিন হাজার নারীর মেমোগ্রাম এই মডেল দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। গুগল জানিয়েছে, ‘পরীক্ষায় দেখা গেছে, আমাদের ব্যবস্থায় স্তন ক্যান্সার নেই কিন্তু রিপোর্টে বলা হয়েছে আছে এমন ভুল ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রে কমিয়েছে ৫.৭ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যে ১.২ শতাংশ। অন্যদিকে স্তন ক্যান্সার আছে কিন্তু রিপোর্টে বলা হয়েছে নেই যুক্তরাষ্ট্রে এমন ভুল ফলাফল কমিয়েছে ৯.৪ শতাংশ। আর যুক্তরাজ্যে কমিয়েছে ২.৭ শতাংশ। পরবর্তীতে মডেলটি যুক্তরাষ্ট্রের নারীদের ডেটার প্রশিক্ষন দিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, ক্যান্সার নেই কিন্তু রিপোর্টে বলা হয়েছে আছে এমন ভুল কমেছে ৩.৫ শতাংশ এবং ক্যান্সার আছে কিন্তু রিপোর্টে বলা হয়েছে নেই এমন ভুল কমেছে ৮.১ শতাংশ। শুধু এই এক্স-রে দেখেই স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে মানব বিশেষজ্ঞদের চেয়ে এগিয়ে গেছে গুগলের এআই মডেল। ঢাকাওয়াচ/স

শরীরের ভাইরাস ধ্বংস করবে প্লাজমা

ডায়াবেটিস, ক্যান্সারসহ একাধিক রোগের ক্ষত বা আক্রান্ত কোষ সারাতে প্রকৃত অর্থেই নিরাময়কারী ওষুধ পেয়ে গেছেন চিকিৎসকরা। প্লাজমা ব্যবহার করে এক্ষেত্রে সফল হচ্ছেন তারা। শুধু তা-ই নয়, ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাস ধ্বংসেও কার্যকর প্লাজমা। বিজ্ঞানীরা তাই আক্ষরিক অর্থেই চিকিৎসা পদ্ধতিতে নতুন বিপ্লবের আশা করছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, প্লাজমা আসলে বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন কাচ। এটি রোগের নিরাময়ে সহায়তা করার ক্ষমতা রাখে। সূর্য ও বাজ পড়ার সময় প্রকৃতির মাঝেও প্লাজমার দেখা পাওয়া যায়। তবে এর তাপমাত্রা খুবই বেশি থাকে। গবেষকরা সফলভাবে শীতল প্লাজমা তৈরি করেছেন। ফলে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ সম্ভব হচ্ছে। বায়োক্যামিস্ট ড. কাই মাসুয়র বলেন, যেন কল্পবিজ্ঞান বাস্তব হয়ে উঠেছে। আমরা এমন সব রোগীর চিকিৎসা করি, মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর যাদের ক্ষত সারেনি। প্লাজমা তৈরি করতে পদার্থবিদদের আর্গন গ্যাস ভরা একটি বোতল, ইলেকট্রোডসহ কিছু তার, বিদ্যুৎ ও একটি আধারের প্রয়োজন হয়। আধারের মধ্যে ভোল্টেজ ও বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের মাধ্যমে গ্যাসের নিউট্রাল কণা রিচার্জ করা হয়। তখন আচমকা প্লাজমা সৃষ্টি হয়। পদার্থবিদ ক্লাউস-টিটার ভেল্টমান বলেন, এটি এমন এক গ্যাস, যার মধ্যে বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে। কোষের মধ্যে পরীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা জানতে পেরেছেন, প্লাজমা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাকের মতো অনেক রোগের প্যাথোজেন মেরে ফেলে। ডয়চে ভেলে। ঢাকাওয়াচ/স