প্রেসিডেন্টের মেয়াদের শেষ সপ্তাহে এসে পুত্র হান্টারকে বাইডেনের ক্ষমা


30 November/Hunter Biden.webp

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোববার (১ ডিসেম্বর) তার মেয়াদের শেষ সপ্তাহে এসে দুইটি ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পুত্র হান্টারের জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। পুত্রের কোন আইনগত ঝামেলায় তিনি হস্তক্ষেপ করবেন না, ইতোপূর্বে বার বার এমন আশ্বাস দেওয়ার পরও তিনি তাকে ক্ষমা করে দিলেন। সংবাদ এএফপির। 

Your Image

জো বাইডেন বিবৃতিতে বলেন, ‘হান্টারের মামলার তথ্য যাচাই করলে যে কেউ বুঝতে পারবেন, শুধু আমার ছেলে হওয়ার কারণে তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। আর এটা ভুল।’

বাইডেনের এমন সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলবে। এমন সময়ে এই ঘটনা ঘটল, যখন নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) প্রধান ও বিচার বিভাগে অনুগতদের নিজেই নিয়োগ দিচ্ছেন। 

পুত্র হান্টার বাইডেন এ বছরের শুরুতে মাদক সেবন ও অস্ত্রের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত হন। এ ছাড়া, কর ফাঁকির ঘটনাতেও তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। তবে, তার কারাদণ্ড হয়নি।

জো বাইডেন বার বারই বলে এসেছেন, ‘তিনি ছেলেকে ক্ষমা করবেন না।’ 

রোববার (১ ডিসেম্বর) বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি বিচার বিভাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করব না বলে জানিয়েছিলাম, ছেলেকে উদ্দেশ্যমূলক ও অন্যায়ভাবে বিচারের মুখোমুখি হতে দেখেও আমি আমার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসিনি।’

কংগ্রেসে বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের উসকানিতে ছেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করেন বাইডেন। নির্বাচনে বাইডেনের বিরোধিতা করতেই বিরোধী দলগুলো এমন উসকানি দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের এমন ক্ষমা প্রদর্শনের উদাহরণ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন কোকেন সংক্রান্ত মামলায় তার সৎভাইকে ক্ষমা করেছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পও তার আগের মেয়াদে কর ফাঁকির মামলায় পুত্রের শ্বশুরকে ক্ষমা করেন। তারা সবাই কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন।

গেল সেপ্টেম্বর মাসে কর ফাঁকির মামলায় হান্টার বাইডেনের ১৭ বছরের কারাদণ্ডে এবং এ ছাড়া বন্দুক সংক্রান্ত পৃথক মামলায় তিনি ২৫ বছরের কারাদণ্ডের মুখোমুখি হয়েছে।
 
তার আইনজীবীরা বলেছেন, ‘শুধু প্রেসিডেন্টের ছেলে বলেই তাকে আদালতে হাজির করা হচ্ছে।’

হান্টার আগের করগুলো ও সেইসাথে কর্তৃপক্ষের দ্বারা আরোপিত জরিমানা শোধ করেছেন এবং জেলের বাইরে থাকতে ইতোপূর্বে একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে চুক্তিতে পৌঁছেছেন - কিন্তু সেই চুক্তিটি শেষ মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়ে।

তার মামলাটি দীর্ঘ দিন ধরে বাইডেন পরিবারের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত, এই নির্বাচনের বছরে যখন রিপাবলিকানরা অভিযোগ করছে যে, হান্টারের সাথে একটু বেশি নম্র আচরণ করা হচ্ছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×