ট্রাম্পের প্রতিনিধির সাথে মাদুরোর বৈঠক: ছয় মার্কিনিকে মুক্তি দিল ভেনেজুয়েলা
- ফরিদ শ্রাবণ
- প্রকাশঃ ০৩:৪৯ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ভেনেজুয়েলায় বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া ছয় মার্কিন নাগরিককে নিয়ে দেশে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত রিচার্ড গ্রেনেল। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) তিনি এ কথা জানান। এর আগে কারাকাসে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সাথে দেখা করেন গ্রেনেল। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার সকালে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে, গ্রেনেলের এই সফরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য আটক আমেরিকানদের মুক্তি নিশ্চিত করা। এমন এক সময়ে এই পদক্ষেপ নেয়া হলো যখন ট্রাম্প প্রশাসন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসন এবং গ্যাং-বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে।
গ্রেনেল ওই ছয় মার্কিন নাগরিকের নাম উল্লেখ করেননি। তবে অনলাইনে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে তার সাথে বিমানে থাকা ছয় ব্যক্তিকে দেখা যায়। তারা ভেনেজুয়েলার কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী হালকা নীল পোশাক পরে ছিলেন।
গ্রেনেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, ‘আমরা এই ৬ জন আমেরিকান নাগরিককে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’
এদিকে ট্রাম্প তার নিজের করা এক পোস্টে এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘গ্রেনেল ভেনিজুয়েলা থেকে ছয়জন জিম্মিকে দেশে ফিরিয়ে আনছেন।’
ভেনেজুয়েলায় ঠিক কতজন আমেরিকান বন্দি আছেন তা স্পষ্ট নয়, তবে ভেনেজুয়েলার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন কমপক্ষে নয়জন।
এদিকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরোর কর্মকর্তারা বন্দিদের বেশিরভাগকেই সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। তাদের দাবি বন্দি মার্কিনিদের অধিকাংশই সন্ত্রাসী ও তাঁদের কেউ কেউ শীর্ষ পর্যায়ের ‘ভাড়াটে সৈন্য’।
ভেনেজুয়েলার সরকার দীর্ঘ দিন থেকেই বিরোধী দলের সদস্য এবং বিদেশি বন্দিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ করে আসছে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা সবসময় এই ধরনের ষড়যন্ত্র অস্বীকার করেছেন।
২০২৩ সালের শেষের দিকে, ভেনেজুয়েলার সরকার কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর ১০ জন আমেরিকানসহ কয়েক ডজন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছিল। যখন যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোর ঘনিষ্ঠ একজন মিত্রকে মুক্তি দেয়।
মাদুরো বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, আমরা প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছি, আশা করি এটি অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই এটি অব্যাহত থাকুক।’
শুক্রবার ভেনেজুয়েলা সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মাদুরো এবং গ্রেনেল প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে অভিবাসন এবং নিষেধাজ্ঞা নিয়েও আলোচনা করেছেন।