খাবার ও মানবিক সহায়তা বন্ধ করে দেয়ায় গাজার পরিস্থিতি আরও খারাপ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০১:৩৮ এম, ১১ মার্চ ২০২৫

গাজায় ইসরায়েল কর্তৃক পণ্য প্রবেশ বন্ধ করে দেয়ায় ফিলিস্তিনিদের এই উপত্যকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে গেছে। পণ্য সরবরাহ না থাকায় অনেক বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে খাবারের দাম অনেক বেড়েছে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় গাজার বাসিন্দারা সুপেয় পানি থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। ফিলিস্তিনের কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স
ইসরায়েল জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের ওপর যুদ্ধবিরতির চাপ প্রয়োগের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর ফলে খাবার, ওষুধ এবং জ্বালানি তেলের ওপর প্রভাব পড়েছে।
গাজায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, মানবিক সহায়তা বন্ধের মাধ্যমে গত ১৭ ধরে চলা গাজায় যুদ্ধের কারণে এখানকার বাসিন্দাদের আরও করুণ পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে। কারণ গাজার ২৩ লাখের বেশি মানুষ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
হামাস ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘সমষ্টিগত শাস্তি’ বলে বর্ণনা করেছে এবং আলোচনায় কোনো ছাড় দিতে রাজি নয় বলে জানিয়েছে।
গাজা বেকারি ইউনিয়নের প্রধান আবদেল-নাসের আল-আজরামি রয়টার্সকে বলেন, গ্যাসের অভাবে ২২টি সক্রিয় বেকারির মধ্যে ছয়টি ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, অবশিষ্ট বেকারিগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে যদি তারা ডিজেল বা আটার সংকটে পড়ে। এর মধ্যে যদি না ক্রসিং খুলে পণ্য সরবরাহ শুরু হয়।
আবদেল নাসের বলেন, ২২টি বেকারিও মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না, এখন ছয়টি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রুটির চাহিদা বেড়েছে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির বিষয়ে অচলাবস্থার কারণে গাজায় পণ্য প্রবেশে বাধা দেয়। প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির কারণে গত সাত সপ্তাহ ধরে গাজায় হামলা বন্ধ রয়েছে।