গাজাবাসীকে সুদান ও সোমালিয়ায় পাঠাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল!


March 2025/Gaza citizen.jpg

যুদ্ধ পরবর্তী পরিকল্পনার আওতায় ফিলিস্তিনের গাজার বাসিন্দাদের সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে পূর্ব আফ্রিকার তিনটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
 
গত মাসে ওয়াশিংটনে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার নিয়ন্ত্রণ নেবে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানকার ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীকে প্রতিবেশী দেশগুলোয় পাঠিয়ে দেয়া হবে।’
 
ট্রাম্প গাজার বাসিন্দাদের জর্ডান ও মিশরে স্থানান্তরের প্রস্তাব দেন। ট্রাম্পের আকস্মিক এমন প্রস্তাবে পুরো মধ্যপ্রাচ্য ও এর বাইরে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। পরে মিশর ও জর্ডানসহ আরব বিশ্বের নেতারা গাজার বাসিন্দাদের না সরিয়েই বিকল্প একটি প্রস্তাব তৈরি করে।
 
সম্প্রতি গাজার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (১২ মার্চ) হোয়াইট হাউসে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিনের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘গাজা থেকে কাউকে বহিষ্কার করা হবে না।’
 
তবে শুক্রবার (১৪ মার্চ) ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গাজার বাসিন্দাদের সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে স্থানান্তরের জন্য পূর্ব আফ্রিকার সুদান, সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা যোগাযোগ করছেন।’
 
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সুদান এরইমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। অন্যদিকে সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা এ ধরনের প্রস্তাবের বিষয়ে অবগত নন।’
 
এদিকে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনার বিষয়ে কাতারের দোহায় হামাসের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। আরব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ। ওই বৈঠকে উইটকফের কাছে গাজার জন্য মিশরের দেয়া পুনর্গঠন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে পাঁচ আরব দেশ।
 
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন। সূত্রের বরাত দিয়ে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, উইটকফ ৫০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিয়েছেন।
 
গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি ১ মার্চ শেষ হয়েছে। এরপর জিম্মি মুক্তি দিতে রাজি করাতে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে ইসরাইল গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×