হিজাববিহীন নারীদের ধরতে ড্রোন ব্যবহার করছে ইরান
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১২:২০ এম, ১৭ মার্চ ২০২৫

ইরানের রাজধানী তেহরান ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ড্রোন উড়িয়ে নারীদের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। নারীদের হিজাব পরতে বাধ্য করতে ড্রোনের পাশাপাশি ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম ও একটি অ্যাপও ব্যবহার করা হচ্ছে দেশটিতে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে অ্যাপটির নাম হলো ‘নাজের’।
এটি মোবাইলে ব্যবহার করা যায়। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপটির মাধ্যমে হিজাব না পরা নারীর গাড়ির লাইসেন্স প্লেট, অবস্থান, এবং ওই নারী কোন সময়টায় হিজাব না পরে ছিলেন তার সব জানানো যায়।
এরপর অ্যাপটি তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশকে সতর্ক করে দেয়। এছাড়া লাইসেন্স প্লেটের তথ্য সংগ্রহ করে ওই গাড়ির মালিককে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়।
এতে সতর্কতা দিয়ে বলা হয়, ওই গাড়িতে হিজাব আইন লঙ্ঘন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই সতর্কতা উপেক্ষা করলে গাড়িটি জব্দ করা হবে বলেও জানানো হয় ওই বার্তায়।
জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনও নারী হিজাব না-পরে ঘুরছেন কি না, তা ওই অ্যাপের মাধ্যমে পুলিশকে জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
ইরান পোশাকবিধির উপর নজর রাখার জন্য বৈদ্যুতিন নজরদারি যন্ত্রের সাহায্য নিচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হল ড্রোনের ব্যবহার। রাস্তাঘাটে নারীদের উপর নজর রাখতে এই ড্রোনগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
তেহরানের আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ পথে বিশেষ ধরনের সফ্টওয়্যার বসানো হয়েছে। এর সাহায্যে মানুষের মুখ শনাক্তকরণের জন্য।
কেউ হিজাব না-পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করছেন কি না, তা-ও ওই সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে ধরা হচ্ছে। ইরানের মূল সড়কগুলির ধারে বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
সেগুলোও মূলত পোশাকবিধির উপর নজরদারির জন্যও বসানো হয়েছে। ইরান পুলিশ ‘নাজের’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনও চালু করেছে।
রাস্তাঘাটে, গাড়ি, বাসে বা অন্য কোনও প্রকাশ্য জায়গায় কোনও নারীকে হিজাব ছাড়া ঘুরতে দেখলে ওই অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে।
অ্যাম্বুলেন্সেও হিজাব ছাড়া কাউকে দেখা গেলে ওই অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো যাবে। কবে, কোন সময়ে, কোথাও ওই নারী হিজাব ছাড়া ছিলেন, তা-ও পুলিশকে জানানো যাবে ওই অ্যাপের মাধ্যমে। কোনও গাড়িতে হিজাবহীন অবস্থায় দেখা গেলে, সেই গাড়ির নম্বরও পুলিশকে জানানো যাবে।